Logo
শিরোনাম
মোংলায় বিশ্ব জলাভূমি দিবসে বক্তারা

দূষণ ও দখলের কবল থেকে ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবনকে বাঁচাও

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট :

 প্লাস্টিক এবং শিল্প দূষণ ও দখলের কবল থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবনকে বাঁচাও। পরিবেশের ভারসাম্য, জীববৈচিত্র, কৃষি, মৎস্যসহ খাদ্য নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জলাভূমি। বাংলাদেশে জীববৈচিত্রের ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ উদাহারণ হলো সুন্দরবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে এই সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো আগলে রাখে। বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবনসহ দেশের সকল জলাভূমি রক্ষায় সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে  মোংলার কাপালিরমেঠ বিলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে ”সুন্দরবন বাঁচাও” শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্ব জলাভূমি দিবসের ”সুন্দরবন বাঁচাও” শীর্ষক মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাপা মোংলা আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা নাজমুল হক, রাকেশ সানা, শেখ রাসেল, হাছিব সরদার, ছবি হাজরা প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন সম্প্রতি ব্রাজিলের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের ফুড সেফটি এন্ড কোয়ালিটি ডিভিশনের এক যৌথ গবেষণায় সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদী, মোংলা নদী ও রূপসা নদীর ১৭ প্রজাতির মাছ মাইক্রো প্লাস্টিকের সংক্রমিত হওয়ার ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্লাস্টিক দূষণের ফলে সামুদ্রিক মাছ এখন হুমকির মুখে। আর মাইক্রো প্লাস্টিকে সংক্রমিত মাছ খেলে লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। ”সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট” জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।  তাই দূষণ ও দখলের কবল থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবন পুনরুদ্ধারের এটাই সময়। সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ মারা, নদীতে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা ও শিল্প দূষণের কবল থেকে সুন্দরবন রক্ষার আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ও শপথ নিতে হবে। 


আরও খবর

দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের হলে মুক্তি পেল দুই নতুন সিনেমা। সরকারি অনুদানের সাত বছর পর আজ শুক্রবার আলোর মুখ দেখল ‘দায়মুক্তি’। অন্যদিকে বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শন ও কানাডায় মুক্তির পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে এসেছে ‘বলী’।

বৃদ্ধাশ্রমের গল্পকে উপজীব্য করে ‘দায়মুক্তি’ নির্মাণ করেছেন বদিউল আলম খোকন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও সুম্মি রহমান। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। আরও আছেন সামিয়া নাহি, সুচরিতা, সুব্রত প্রমুখ।

২০১৭-১৮ সালের অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ‘দায়মুক্তি’। অবশেষে সাত বছর পর আজ ছবিটি মুক্তি পেল। সিনেমাটির সহপ্রযোজক জসিম উদ্দিন।

এদিকে, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘বলী (দ্য রেসলার)’। বানিয়েছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ছবিটি। ‘বলী’র প্রযোজক পিপলু আর খান, সহপ্রযোজক সাইফুল আজিম ও গাউসুল আলম শাওন।

এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। সাগরপারের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে, যিনি অংশ নেন ঐতিহ্যবাহী বলী খেলায়। আরো অভিনয় করেছেন প্রিয়াম অর্চি, অ্যাঞ্জেল নূর, এ কে এম ইতমাম প্রমুখ।

২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পায় ‘বলী’। এরপর কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, সংকট তত বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। সবার দৃষ্টি জাতীয় নির্বাচনের দিকে। সবকিছু প্রস্তুত, এখন নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগবে না। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন পেছানোর চিন্তা যুক্তিযুক্ত নয়। একটি দেশে গণতন্ত্র হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচার হতেই হবে। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিচার চালিয়ে নেবে। তড়িঘড়ি করলে বিচারকাজ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঘোষণাপত্রের খসড়া বিএনপি হাতে পেয়েছে, তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে, আরও আলোচনা দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন থাকতেই পারে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তিই জনগণ মেনে নেবে না।


আরও খবর



নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। একজন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনকালীন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ আসাদ পরিবার।

তিনি বলেন, ২৪-এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। ৬৯ গণঅভ্যুত্থানের তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।

আমরা এখনো একটা নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা একটা সামগ্রিক ব্যাপার। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা বদলানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সবসময় সেটা পারি না।

গত ১৫ বছর আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অবশেষে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেই বিজয়ের মধ্যদিয়ে সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশা-আশা করছি, যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের স্বপ্নগুলো যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের মোটা ভাতকাপড় পরে থাকতে পারেন। তবুও ভোটাধিকার ফিরে পেতে চান। কথা বলার অধিকার চান। তাদের সন্তানরা যেন লেখাপড়া শিখতে পারেন সেটা চান। তারা ন্যায়বিচারের সমাজ চান।

তিনি আরও বলেন, একটা কথা আমি সবসময় বলি। যেই কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। আমি বলি নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কেন বলি সেটাও অনেক বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি বিগত ১৫ বছর নির্বাচন থেকে আমরা বঞ্চিত। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। এখন সেই বিষয়টাকে যদি জোর করে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে জনগণ আবার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই ধরনের নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, তাহলে অন্যান্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তখন জনগণের যে চাহিদা সেখান থেকে তারা পুরোপুরি বঞ্চিত হয়। আমরা এই কথাটা বারবার বলতে চাই, নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, যার জন্য গত ১৫ বছর আমরা লড়াই করেছি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক জানিয়ে ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। একটা বিষয়ে সবাই একমত একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। সেই নির্বাচন শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক পথে যাওয়ার একটা পথ সৃষ্টি করা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে সবগুলো সংস্কার শেষ করে নির্বাচনে যাওয়ার কথা আসছে। তাহলে কি এখন আমরা ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করব? তাহলে কি যতদিন সংস্কার না হয়, ততদিন জনগণ অপেক্ষা করবে?

আমলাতন্ত্র আগে যে ব্যবস্থায় ছিল, এখন সেই ব্যবস্থায় সচিবায়ল থেকে প্রশাসনে সব জায়গায় দলীয়করণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে আমরা বলছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন, আমি বলেছি যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। আমি কথা বলেছি, তার কারণ আছে। আমরা দেখছি বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। আমরা আশা করবে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে। দেশে যে সংকট আছে, সেটা থেকে মুক্ত করবে।

শহীদ আসাদ আমাদের ইতিহাসের একটি নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে যতই স্মরণ না করুক কিন্তু ইতিহাস থেকে আসাদকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অমর হয়ে থাকবে আসাদ।


আরও খবর



ভারতের সাথে অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের সাথে সম্পাদিত সীমান্ত সংক্রান্ত সকল ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লীতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ২০১১ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে একটি অসম চুক্তি হয়েছে। তাছাড়া মহিষাশন (ভারত)-কুলাউড়া (বাংলাদেশ) আন্তঃদেশীয় রেলপথের কুলাউড়া রেল স্টেশন সীমান্ত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত। আমরা তাদেরকে আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভিতরে আসতে দেবো না। সেখানে সীমান্তের সন্নিকটে কাস্টমস-সহ একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট নির্মাণের প্রস্তাব করা হবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে হলে দুই পক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এগুলো একপক্ষে করার নিয়ম নাই। উন্নয়নমূলকভাবে একটা মসজিদ বা মন্দির করতে হলে দুই দেশের সম্মতি নেয়া প্রয়োজন৷ আগামীতে কিছু করতে হলে যেন তারা সম্মতি নেয় এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে৷

ভারতের সাথে সম্পর্কের আস্থা বাড়াতে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দিবে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শুধু ছাড় দিয়ে কিন্তু আস্থা বাড়ানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমেও আস্থা বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা অনেক সময় ফেন্সিডিল-সহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেয়। যদিও তারা বলে ফেন্সিডিলগুলো ওষুধ হিসেবে তৈরি করছে। আসলে এটা মাদক হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বৈঠকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার।

৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক/ভারতীয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক সীমান্ত হত্যা/সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বা কাউকে আহত করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন বা অবৈধ পারাপার অথবা অনুপ্রবেশ বন্ধ; ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয় এরূপ চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন; বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীসমূহের পানির সুষম বণ্টন, নদী হতে পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনঃউন্মুক্তকরণ; বিতর্কিত মুহুরীর চর এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য 'কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা' কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন; দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট। অপরদিকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাসপোর্টের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দুর্বল পাসপোর্টের সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, এই তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক তৈরি করা হয়।

গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র‍্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। এ বছরের সূচকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ১৯৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে- ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

অপরদিকে সূচকের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে গ্রিস, নিউজিল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৭টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৬টি দেশে।

সপ্তম স্থানে থাকা কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও পোল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৮৫টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। সূচকের অষ্টম স্থানে আছে এস্তোনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৪টি দেশে।

সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে- ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। দশম অবস্থানে থাকা আইসল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮২টি দেশে।

এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম। লিবিয়া এবং ফিলিস্তিন একই তালিকায় রয়েছে। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম। অর্থাৎ এবার দেশটি চার ধাপ এগিয়েছে। এদিকে পাসপোর্ট সূচকে ভারতের অবস্থান ৮০তম, ভূটানের ৮৩তম, মিয়ানমার ৮৮ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ৯৬তম।


আরও খবর