Logo
শিরোনাম
মোংলায় বিশ্ব জলাভূমি দিবসে বক্তারা

দূষণ ও দখলের কবল থেকে ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবনকে বাঁচাও

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট :

 প্লাস্টিক এবং শিল্প দূষণ ও দখলের কবল থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবনকে বাঁচাও। পরিবেশের ভারসাম্য, জীববৈচিত্র, কৃষি, মৎস্যসহ খাদ্য নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জলাভূমি। বাংলাদেশে জীববৈচিত্রের ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ উদাহারণ হলো সুন্দরবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে এই সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো আগলে রাখে। বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবনসহ দেশের সকল জলাভূমি রক্ষায় সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে  মোংলার কাপালিরমেঠ বিলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে ”সুন্দরবন বাঁচাও” শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্ব জলাভূমি দিবসের ”সুন্দরবন বাঁচাও” শীর্ষক মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাপা মোংলা আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা নাজমুল হক, রাকেশ সানা, শেখ রাসেল, হাছিব সরদার, ছবি হাজরা প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন সম্প্রতি ব্রাজিলের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের ফুড সেফটি এন্ড কোয়ালিটি ডিভিশনের এক যৌথ গবেষণায় সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদী, মোংলা নদী ও রূপসা নদীর ১৭ প্রজাতির মাছ মাইক্রো প্লাস্টিকের সংক্রমিত হওয়ার ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্লাস্টিক দূষণের ফলে সামুদ্রিক মাছ এখন হুমকির মুখে। আর মাইক্রো প্লাস্টিকে সংক্রমিত মাছ খেলে লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। ”সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট” জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।  তাই দূষণ ও দখলের কবল থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সুন্দরবন পুনরুদ্ধারের এটাই সময়। সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ মারা, নদীতে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা ও শিল্প দূষণের কবল থেকে সুন্দরবন রক্ষার আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ও শপথ নিতে হবে। 


আরও খবর

লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা

শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




২৫ মার্চ ভয়াল গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালীর স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সে আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



গৃহবধূ'কে নির্যাতনের চেষ্টা, বিচারে জরিমানার টাকা মাতব্বরদের পকেটে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় গৃহবধূ'র ঘড়ে এক ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আটক।গোপনে মিমাংসা (ধামাচাপা) দিতে ৬০ হাজার নিয়ে মিমাংসায় বার্থ হোন গ্রামের প্রধান মাতব্বর ও গ্রাম সমিতির সভাপতি। এরপর মিমাংসার নামে মোটা অংকের টাকানিয়ে আটককৃত ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেন কযেকজন মাতব্বর। গৃহবধূকে না দিয়ে সব টাকা মাতব্বরদের পকেটে। অপরদিকে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন গৃহবধূ। 

গৃহবধূ'র ঘড়ে ঢোকার পরই ঘড়ের দরজায় তালাদিয়ে ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে আটক করেন। পরে গৃহবধূ'র ঘড় থেকে বের করে আদর্শগ্রাম সমিতির ঘড়ে নিয়ে ফের আটক করে রেখে গোপন সমঝোতা (মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে) দীর্ঘ ৭ ঘন্টাপর আটককৃত ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে রবিবার ভোর ৪ টারদিকে ছেরে দেন মাতব্বররা। এলাকার লোকজনের মাঝে আলোড়ন চৃষ্টিকারী এঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের বাগাচাড়া (আদর্শপাড়া) গ্রামে।

স্থানিয় সুত্রে জানাযায়, বাগাচারা (আদর্শপাড়া) গ্রামে মায়ের বাড়িতে বসবাসকারী ভুক্তভোগী গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী হাটচকগৌরী এলাকার একটি ইট ভাটায় রান্না (শ্রমিকের) দিনে কাজ করেন এবং সন্ধায় বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে থাকেন।

গত শনিবার দিনগত রাত ৯ টারদিকে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম হোসেন ঐ গৃহবধূ'র ঘড়ে ঢুকে তাকে ফের কু-প্রস্তাব দিলে, এসময় গৃহবধূ বাহির থেকে ঘড়ের দরজায় তালাদিয়ে ঘটনাটি গ্রামের মাতব্বর সহ লোকজনকে জানান। 

এব্যাপারে (আদর্শপাড়া) গ্রাম সমিতির সভাপতি ও প্রধান মাতব্বর জালাল বলেন, শনিবার রাত ৯ টারদিকে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী গৃহবধূর ঘড়ে ঢুকলে তাকে ঘড়ের ভেতর রেখে বাহির থেকে দরজায় তালাদিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ঘটনাটি আমাদেরকে জানান। এসময় ঘটনাটি গোপনে মিমাংসা করার জন্য প্রথমে (গৃহবধূ'র) ঘড়ে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আটক থাকাকালে আমি ৬০ হাজার টাকা নেয়,কিন্তু গৃহবধূ টাকানিয়ে আপোষ করতে রাজি না হয়ে ন্যায় বিচার দাবি করায় আমি মিমাংসা করতে না পেরে যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম তাকে সেই টাকা ফেরত দিয়েছি। 

তবে সমিতির ঘড়ে এনে আটক রেখে গোপন মিমাংসার সময় আমি ছিলাম না। 

পরে জানতে পারি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং ৩০ হাজার টাকা যারা গোপন মিমাংসায় মাতব্বর ছিলেন তারাই সেই টাকা তাদের কাছে রেখে দিয়েছেন জানিয়ে আদর্শগ্রাম সমিতির সভাপতি জালাল আরো জানান, রাত ৩ টারদিকে ফোনকরে আমাকে ঘটনাস্থলে মিমাংসার জন্য ডাকা হলেও আমি আর যাইনি, তবে মান-সন্মানের দিক বিবেচনা করে হর্ষি গ্রামের বাবু ও আদর্শ গ্রামের ছেকেন সহ কয়েকজন মাতব্বর ঘটনাটি গোপনে রাতেই  মিমাংসা করেছেন।


অপরদিকে সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ন্যায় বিচার দাবি করে জানান, ধান চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম আমাকে আরো ৫-৬ মাস থেকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। 

কু-প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনাটি আমি সে সময় গ্রামের মাতব্বর, আমার স্বামী সহ লোকজনকে জানিয়েছিলাম। অবশেষে শনিবার রাত ৯ টারদিকে ব্যবসায়ী আসলাম আমার ঘড়ে ঢোকেন আমার ইজ্জত নষ্ট করার জন্য। এসময় আমি তাকে ঘড়ের ভেতর রেখে বাহির থেকে দরজায় তালাদিয়ে ঘটনাটি সাথে সাথে মাতব্বর সহ লোকজনকে জানায় এবং যেহতু সে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন এজন্য আমি ন্যায় বিচার দাবি করি। কিন্তু আমি ন্যায় বিচার পাইনি দাবি করে ভুক্তভোগী গৃহবধূ আরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশও এসেছিলো, আমি পুলিশের কাছেও ন্যায় বিচার দাবি করেছি। তারপর ও দীর্ঘ ৭ ঘন্টা আটক করে রাখার পর গোপনে কি করা হলো তা আমি জানতেও পারলাম না মাতব্বররা অভিযুক্ত আটক ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে ভোর ৪ টারদিকে ছেরে দেন। 

আপনাকে নাকি মাতব্বররা ২০ হাজার টাকা দিয়ে আপোষ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভুগি গৃহবধূ বলেন, আমি কোন টাকা পাইনি বা নেয়নি, যেহতু আসলাম আমাকে ৫-৬ মাস ধরে কু-প্রস্তাব দিয়েছেন এবং সর্বশেষ আমাকে ধর্ষণের জন্য আমার ঘড়ে ঢুকেছেন এজন্য আমি ন্যায় বিচার চাইছি, এখনো আমি ন্যায় বিচার চাচ্ছি।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে স্থানিয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে গৃহবধূর ঘড়ে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আটকের ঘটনা রাতে শুনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি যেহতু মেয়ে ঘটিত, এজন্য আমি রাতে না বসে পরেদিন সকালে বসার কথা বলেছিলাম। এরপর আমাদের না জানিয়ে রাতেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছেন একটি মহল, যা খুবই দুঃখজন।


এব্যাপারে স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র'র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেয়ে ঘটিত ঘটনার বিষয়ে আমাকে রাতে জানানো হয়, যেহতু মেয়ে ঘটিত বিষয় এজন্য আমি পরের দিন সকাল ১০ টারদিকে বসার কথা বলেছিলাম। এরপর আর আমাকে কেউ ডাকেন নি বা এব্যাপারে কিছুই বলেন নি।

বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আসলাম এর মুঠোফোনে কলদিলে রিসিভ করার পর তিনি আসলাম এর ছেলে পরিচয় দিয়ে কেন ফোন করা হয়েছে জানতে চান, এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হয়েছে বলামাত্র সংযোগ কেটে দেওয়ায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

একজন ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে আটক করে রাখার খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও পুলিশ পৌছার পূর্বেই মাতব্বররা গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পরও ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম আদর্শগ্রাম সমিতির ঘড়ে আটক অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ পৌছার পরই আটককৃত ব্যবসায়ীকে ছেরে দেন মাতব্বর সহ স্থানিয় কতিপয় ছেলেরা। একদিকে জরিমানার টাকা মাতব্বরদের পকেটে, অপরদিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছেন। তথ্য সংগ্রহের শুরু থেকেই ঘটনার সাথে জড়ীত ৩ জন এঘটনায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদককে বিভিন্নভাবে অফার করেন, যা প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সাথেই থাকুন-ঘটনার সাথে জড়ীত সকলের নাম পরিচয় এবং গোপনে মোট কত টাকা নিয়ে মাতব্বররা পকেটে রেখেছেন সে তথ্য সহ কে এই ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম তার অন্তরালের আরো বিস্তারিত তথ্যসহ প্রতিবেদন ২য় পর্বে প্রকাশ করা হবে।


আরও খবর



বিশ্বম্ভরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৯জন দেখেছেন

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার:

যথাযোগ্য মর্যদায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্বম্ভরপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

 ২৬ শে মার্চ রবিবার দিনের শুরুতে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের শুভ সূচনা হয়।সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্মৃতিসৌধে শহীদদের সম্মানে প্রথমেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্বম্ভরপুর  উপজেলা প্রশাসন।পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ, থানা পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন, উপজেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,সরকারি দিগেন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজ,সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,শিল্পকলা একাডেমী,প্রেসক্লাব, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।পুস্পস্তপক অর্পণের পর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ,প্রতিযোগিতাও খেলাধুলা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ’র সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার'দে’র সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা। এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সফর উদ্দিন,সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিল্পী রানী মোদক,থানার অফিসার ইনর্চাজ সাইফুল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বেনজির আহমদ মানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আপ্তাব উদ্দিন প্রমূখ।আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ এছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোনাজাত, দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাগণ  উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়,সন্ত্রাস নয়। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।

শুক্রবার সকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার পোরশা হাইস্কুল কাম-মাদ্রাসা মাঠে ২ নং তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যকালে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, ইতি মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষদের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের দিয়েছেন বয়স্ক ভাতা, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌছেনি।দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সকল নেতাকর্মীদের আহবান জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকি মূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে। কৃষক তার ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ দিয়েছেন ১৯ জন কৃষক। শেখ হাসিনার সরকার পদ্মাসেতু করেছে।মেট্রো রেল চলছে আর পাতাল রেলের কাজও চলছে। ২০২৩ সালে আরো অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ বলেও  উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য বারবার কারাবরণ করেছিলেন। অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর তার লাশ ঢাকায় দাফন না করে টুঙ্গিপাড়ায় দাফন করা হয়। কুচক্রীদের উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালি যাতে বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়। বাস্তবে হয়েছে উল্টো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিস্তার ঘটেছে।

বিএনপি'র আন্দোলন সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলনের মৃত্যু ঘটেছে। এখন তাদের চল্লিশার কর্মসূচি চলছে। দেশের উন্নয়নে বিএনপি'র কোন ভূমিকা নেই। তাদের রাজনীতি শুধু লুটপাট আর খাই খাই। কোন ভরসায় মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে.? এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী এবং পোরশা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমা খাতুন বক্তৃতা করেন।


আরও খবর



মাইক্রোবাসে আগুন, প্রাণ গেলো ৪ জনের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল রাঙ্গামাটি এলাকায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই নারীসহ চারজন নিহত হয়েছে।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল কালাম জানান, যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস ময়মনসিংহের ধোবাউরা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলো। রবিবার রাত দুইটার দিকে মাইক্রোবাসটি রাঙ্গামাটি এলাকায় পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।এসময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে মারা যায় ভেতরে থাকা দুই নারীসহ চার জন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া গুরুতর দগ্ধ আরো সাত জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুদ্দিন জানান, হতাহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।


আরও খবর