Logo
শিরোনাম

দূষণের কারণে কমে যাচ্ছে পুরুষদের শুক্রাণুর মান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সারাবিশ্বেই পুরুষদের বীর্যে শুক্রাণুর মান কমে যাচ্ছে। কিন্তু দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার পেছনে এটি এমন একটি কারণ- যা নিয়ে আলোচনা হয় খুবই কম। তবে পুরুষদের এ সমস্যা ঠিক কেন হয়, তা এখন বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করতে শুরু করেছে।

জেনিফার হ্যানিংটনকে ডাক্তার বলেন, আপনার সমস্যাটা সমাধান করা যাবে। চিন্তা করবেন না, আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারব। এরপর জেনিফারের স্বামী কিয়ারানের দিকে ফিরে তিনি বলেন, আপনার জন্য আমরা খুব বেশি কিছু করতে পারবো না।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা এই দম্পতি দুবছরের বেশি সময় ধরে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন।

তারা জানতেন যে এটা কঠিন হবে। কারণ জেনিফারের পলিসিস্টিক ওভেরিয়ান সিনড্রোম নামে একটি সমস্যা আছে। যা তার উর্বরতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

কিন্তু তারা যার জন্য তৈরি ছিলেন না, তা হলো- কিয়ারানেরও একটি সমস্যা আছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিয়ারানের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম এবং যা আছে সেগুলোরও নড়াচড়া করার ক্ষমতা কম।

আরো খারাপ খবর হলো যে এর চিকিৎসা করা জেনিফারের সমস্যাটার চাইতেও কঠিন, হয়ত অসম্ভব।

জেনিফারের এখনো মনে আছে, এ কথা শোনার পর তার স্বামীর প্রতিক্রিয়ার কথা।

জেনিফার বলেন, সে স্তম্ভিত, শোকাহত হয়ে পড়ল। আমি কিছুতেই ব্যাপারটা মানতে পারছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল, ডাক্তারই ভুল করেছে।

মানসিক বিপর্যয়
কিয়ারান সবসময়ই চাইতেন সন্তানের বাবা হতে। তিনি বলেন,
আমার মনে হলো আমিই আমার স্ত্রীকে ডুবিয়েছি।

পরের কয়েক বছরে কিয়ারানের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে লাগল। তিনি একা একা অনেক বেশি সময় কাটাতে শুরু করলেন। তিনি বিছানায় শুয়ে থাকতেন। শান্তি খুঁজতে শুরু করলেন অ্যালকোহলের মধ্যে।

তারপর একসময় শুরু হলো প্যানিক অ্যাটাক হওয়া। যার লক্ষণ- হঠাৎ শরীর কাঁপতে থাকা, বুক ধড়ফড় করা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরানো।

কিয়ারান বলেন, সেটা ছিল এক গভীর সঙ্কটকাল, মনে হলো আমি যেন একটা অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি।

পুরুষের অনুর্বরতা নিয়ে কেউ কথা বলতে চান না
দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার যত ঘটনা ঘটে, তার প্রায় অর্ধেকই ঘটে পুরুষের অনুর্বরতার কারণে।

কিন্তু নারীদের অনুর্বরতা নিয়ে যত আলোচনা হয়, তার তুলনায় পুরুষদের অনুর্বরতা নিয়ে আলোচনা হয় খুবই কম। এর একটা কারণ হলো যে এ সমস্যাটিকে ঘিরে নানারকম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রশ্ন আছে, যেন এটা নিয়ে কথা বলাই নিষেধ।

যেসব পুরুষদের উর্বরতার সমস্যা আছে তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

তার ওপর যেহেতু পুরুষদের অনুর্বরতা নিয়ে সমাজে নেতিবাচক ধারণা আছে, তাই অনেককে এ জন্য এক নীরব মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে এ সমস্যা সম্ভবত বাড়ছে।

এতে দেখা যায়, দূষণসহ বিভিন্ন কারণ পুরুষের উর্বরতার ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় বীর্যে শুক্রাণুর মানের ওপর। স্বভাবতই ব্যক্তি স্তরে এবং পুরো সমাজের জন্যই এর পরিণাম অত্যন্ত ব্যাপক।

এক গোপন উর্বরতা সঙ্কট?
গত এক শতাব্দীতে সারা বিশ্বে জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। মাত্র ৭০ বছর আগেও পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ২৫০ কোটি। কিন্তু ২০২২ সালে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০০ কোটি।

তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন কমে আসছে, যার পেছনে প্রধান কারণগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক।

বিশ্বজুড়ে শিশু জন্মের হার রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। পৃথিবীর ৫০ ভাগ মানুষই এখন এমন দেশগুলোতে বাস করে, যেখানে উর্বরতার হার নারীপ্রতি দুটি শিশুরও নিচে। এর ফলে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যাই এক সময় কমে আসবে, যদি অভিবাসন না হয়।

জন্মহার কমার কিছু ইতিবাচক কারণ আছে। নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ এখন অনেক বেড়েছে।

নিম্ন উর্বরতার হারের কিছু দেশ আছে, যেগুলোতে অনেক দম্পতিই তাদের যতগুলো সন্তান আছে তার চেয়ে বেশি নিতে চায়, কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে পারে না।

এরই পাশাপাশি রয়েছে আরো অনেক কারণ। একজন ব্যক্তির সন্তান জন্মদানের শারীরিক সক্ষমতাকে বলা হয় ফিকান্ডিটি। এখন মনে করা হচ্ছে যে এই ফিকান্ডিটির হার বর্তমানে হয়ত কমে যাচ্ছে।

কিছু গবেষণায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে প্রজনন-সংক্রান্ত সমস্যার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, দেহে টেস্টোস্টেরন নামে হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া, পুরুষাঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়া এবং অণ্ডকোষের ক্যান্সার।

দূষণ ঘটাচ্ছে প্লাস্টিক ও অন্য রাসায়নিক পদার্থ
মানুষের ঘরের ভেতরে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেবেকা ব্ল্যানচার্ড।

এই প্রভাব বোঝার জন্য তিনি কাজে লাগাচ্ছেন গৃহপালিত কুকুরকে। গৃহপালিত প্রাণি হিসেবে সেই কুকুর একই বাড়িতে থাকছে এবং একই দূষণকারী রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসছে।

রেবেকা গবেষণা করছেন প্লাস্টিক, আগুনরোধী রাসায়নিক ও ঘরের অন্য নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে। এসব রাসায়নিক পদার্থের কিছু কিছু নিষিদ্ধ, কিন্তু পরিবেশে ও পুরোনো জিনিসপত্রের মধ্যে তার অবশেষ রয়ে গেছে।

তার গবেষণায় দেখা গেছে, এসব রাসায়নিক পদার্থ আমাদের হরমোন সিস্টেমকে বিঘ্নিত করতে পারে এবং মানুষ ও কুকুর উভয়ের ক্ষেত্রেই উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, আমরা মানুষ ও কুকুর উভয়েরই শুক্রাণুর নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। তাছাড়া তার ডিএনএ ভেঙে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে দেখেছি।

ডিএনএ ভেঙে যাওয়া বলতে তিনি বোঝাচ্ছেন, যেসব জিনগত-সামগ্রী দিয়ে শুক্রাণু তৈরি, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা ভেঙে যাওয়া। এর ফলে গর্ভধারণের পরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, ডিএনএ ভেঙে যাওয়ার পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে মিসক্যারেজ বা ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তার এ তথ্যের সাথে অন্য গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের মিল রয়েছে। ওই গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে যে প্লাস্টিক, বিভিন্ন সাধারণ ওষুধ, খাদ্য ও বাতাসে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থ উর্বরতার ক্ষতি ঘটাতে পারে।

এগুলো শুধু পুরুষ নয়, নারী ও শিশুদের দেহেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

কার্বন ও কখনোই নষ্ট হয় না এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থের অস্তিত্ব গর্ভস্থ শিশুর দেহেও পাওয়া গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পুরুষের উর্বরতা
জলবায়ু পরিবর্তনও পুরুষের উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বেশ কিছু প্রাণির ওপর চালানো জরিপে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিশেষ করে শুক্রাণুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

দেখা গিয়েছে যে তাপপ্রবাহ কীটপতঙ্গ ও মানুষের শুক্রাণুর ক্ষতি করে।

২০২২ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গরম পরিবেশে বা উচ্চ তাপমাত্রায় কাজ করলে শুক্রাণুর মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

নিম্নমানের খাদ্য, মানসিক চাপ ও অ্যালকোহল
পরিবেশগত বিভিন্ন কারণের পাশপাশি ব্যক্তিগত নানা সমস্যাও পুরুষদের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে। এর মদ্যে রয়েছে নিম্নমানের খাদ্য, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হয় এমন জীবনযাপন, মানসিক চাপ, অ্যালকোহল পান ও মাদকসেবন। বর্তমানে অনেক দম্পতিই অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সে সন্তানের মা-বাবা হচ্ছে।

তবে নারীদেরকে তাদের জীবনের সবচেয়ে উর্বর সময়কাল বা বায়োলজিকাল ক্লকের কথা যতটা মনে করিয়ে দেয়া হয়, তার বিপরীতে পুরুষদের উর্বরতার ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যাপার নয়- এমনটাই আগে মনে করা হতো। কিন্তু সেই ধারণার এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

বেশি বয়সে মা-বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা ও উর্বরতা কমে যাওয়ার সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে।

এখন বলা হচ্ছে যে পুরুষদের অনুর্বরতাকে আরো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং এ সমস্যা নিরুপণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী দরকার। একই সাথে দূষণ রোধের জরুরি প্রয়োজনের ব্যাপারে সচেতন হতেও বলা হচ্ছে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও ব্যায়াম দিয়ে শুরু করাটা ভালো, কারণ এর সাথে শুক্রাণুর মান উন্নত হওয়ার সম্পর্ক দেখা গেছে।

তিনি আরো বলছেন, অরগ্যানিক খাবার খাওয়া ও বাইফেনল-এ বা বিপিএ-বিহীন প্লাস্টিক ব্যবহার করার কথা। এই বিপিএর সাথে নারী ও পুরুষ উভয়েরই অনুর্বরতার সম্পর্ক রয়েছে।

হ্যানিংটন দম্পতি শেষ পর্যন্ত ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে দুটি সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন।

কিয়ারান হ্যানিংটন বলেন, আমি প্রতিদিনই আমার সন্তান দুটির জন্য কৃতজ্ঞতা বোধ করি। অতীত দিনগুলোর কথা আমি ভুলিনি।

সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর

চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে

শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দাম কমেছে মুরগি, মাছ ও ডিমের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাজারে গরুর মাংসসহ কমেছে মুরগি মাছ ডিমের দাম। দীর্ঘ সময় পরে এ নিম্নমুখী প্রবণতায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতা। তবে এখনো বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চাল চিনি আটা ও ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা মালিবাগ ও মগবাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র। একই সঙ্গে শীতের সবজিও অনেকটা ক্রেতার নাগালে।

চলতি বছরের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাতে চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। মোটা চালের দাম আগের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগে যে খুচরা পর্যায়ে সবধরনের চালের দর কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছিল, এখনো সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ায় আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি কিনতে খরচ হচ্ছে কমবেশি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নাই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে নতুন করে পাতাসহ পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এতে অন্যান্য পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১১০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে স্বস্তির বাজারে ক্রেতাদের টানছে গরুর মাংস। এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়, যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কম। তবে সাধারণ বাজারে এখনো আগের নিয়মে পরিমাণমতো হাড্ডিসহ মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।

গরুর মাংসের পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১১০ ও ১২০ টাকার মধ্যে।

বাজারে এখন মাছের সরবরাহ ভালো। তা ছাড়া মাংসের দাম কমার প্রভাবও পড়েছে মাছের দামে। বেশি কমেছে চাষের মাছে। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি কিনতে এখনো গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




দলীয় মনোনয়ন ফরম নিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ মাসুদ রানা,জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ :

দলীয় মনোনয়ন ফরম নিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম 

গোপালগঞ্জ-২আসন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কাশিয়ানি উপজেলা একাংশ নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এর পক্ষে তার জৈষ্ঠ্য পুত্র এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম এসময় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহাবুব আলি খান,সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহাবুদ্দিন আজম,সদর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু,জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম,বি সাইফ (বি,মোল্লা) পৌর আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান বিটু জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা সহ গোপালগঞ্জ থেকে আগত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের হাত থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।

এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।মনোনয়নপত্র বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

পরে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। এরপর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বায়ুদূষণ মারাত্মক রূপ নিচ্ছে ঢাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৫ নভেম্বর সকালে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৫১ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান খুব অস্বাস্থ্যকর।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ৩০৩ ও ২৩৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম ও তৃতীয় স্থানে আছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

একই সময়ে সবচেয়ে নির্মল বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ তিনে রয়েছে ইতালির মিলানো, জাপানের নাগোয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। এর মধ্যে সকালে মিলানো ও নাগোয়ার স্কোর ছিল ৪। আর সিডনির স্কোর ছিল ১০।


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




রাজধানীতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩ বাসে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে ৩টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা পৃথক তিন স্থানে এসব আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি

প্রথমে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায়। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা

ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এটি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দুটি ইউনিট সেখানে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাসটির আগুন নির্বাপণ করে

এরপর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মতিঝিলে মধুমিতা সিনেমা হলের গলিতে সোনালী ব্যাংকের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগে স্থানীয়রা ওই বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলেন

বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মধুমিতা সিনেমা হলের পেছনের গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা সোনালী ব্যাংকের বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে বাসের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে পল্টন এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী তানজিল পরিবহনের বাসটি পল্টন এলাকায় পৌঁছালে এটিতে আগুন দেওয়া হয়

আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণ

এদিকে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি তখন আপনাদের কয়েকজনের সঙ্গেই কথা বলছিলাম। আমার ঠিক পেছনে কয়েক গজ দূরে বিকট শব্দে ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করার জন্য কোর্টের আঙিনায় ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারাই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে। এখানে কেউ থাকলে মারাত্মক আহত হতে পারত। এটা সেই ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে কোর্টের ভেতরে হামলা হতো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছি


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




দক্ষিণ গাজা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ইসরায়েলি হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে এবার দক্ষিণ গাজাও গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সেখানকার লোকজনকে আরো দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির পর দুদিনে ইসরায়েলের হামলায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তারা। এর মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে বেশ কিছু হামলা চালানো হয়েছে। বড় ধরনের হামলার অংশ হিসেবে শুধু শুক্রবার দিবাগত রাতেই ৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।

উত্তর গাজায় অভিযানের সময় বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। সেখানকার বাসিন্দাদের বেশির ভাগই তখন দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নেন। এখন দক্ষিণ গাজায়ও ইসরায়েল হামলা জোরদার করেছে। গাজার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এখন তারা কোথায় যাবেন?

গাজায় ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুদফায় তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও রাজি হয়নি ইসরায়েল। গত শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

যুদ্ধবিরতিতে শুরু থেকে আগ্রহ ছিল না ইসরায়েলের। শনিবার দেশটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আলোচনায় অচলাবস্থার কথা জানিয়ে কাতারের দোহা থেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধিদলকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া সংস্থাটির প্রতিনিধিদলকে ইসরায়েলে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস চুক্তির নিজেদের অংশ পালন করেনি। চুক্তি অনুযায়ী শিশু ও নারীদের মুক্তি দেওয়ার কথা। এ নিয়ে হামাসের কাছে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল এবং তারা সেটি অনুমোদনও করেছিল।

তবে সমঝোতা না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস। তারা বলছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জিম্মি নারী সেনাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। বয়স্ক বন্দিবিনিময়ে দেশটি রাজি হয়নি।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ব্যবহারের জন্য ইসরায়েলকে ১০০টি বাংকারবিধ্বংসী বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এই বোমার নাম বিএলইউ-১০৯। ওই বোমার বিস্ফোরকবোঝাই সম্মুখভাগের ওজন ৯০০ কেজির বেশি। শক্ত কোনো অবকাঠামোয় আঘাত হেনে সেটির ভেতরে প্রবেশের পর বিস্ফোরিত হয় এই বোমা। এর আগে আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন যুদ্ধে বিএলইউ-১০৯ ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েলের হামলায় ১৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৫০ জন। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বেশির ভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি হাসপাতালগুলোতে মেঝেতে রেখেও আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা না পেয়ে আহতদের বড় একটি অংশ মারা যাচ্ছেন।

সূত্র : আল-জাজিরা।

 


আরও খবর