Logo
শিরোনাম

দূষণের কারণে কমে যাচ্ছে পুরুষদের শুক্রাণুর মান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সারাবিশ্বেই পুরুষদের বীর্যে শুক্রাণুর মান কমে যাচ্ছে। কিন্তু দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার পেছনে এটি এমন একটি কারণ- যা নিয়ে আলোচনা হয় খুবই কম। তবে পুরুষদের এ সমস্যা ঠিক কেন হয়, তা এখন বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করতে শুরু করেছে।

জেনিফার হ্যানিংটনকে ডাক্তার বলেন, আপনার সমস্যাটা সমাধান করা যাবে। চিন্তা করবেন না, আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারব। এরপর জেনিফারের স্বামী কিয়ারানের দিকে ফিরে তিনি বলেন, আপনার জন্য আমরা খুব বেশি কিছু করতে পারবো না।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা এই দম্পতি দুবছরের বেশি সময় ধরে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন।

তারা জানতেন যে এটা কঠিন হবে। কারণ জেনিফারের পলিসিস্টিক ওভেরিয়ান সিনড্রোম নামে একটি সমস্যা আছে। যা তার উর্বরতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

কিন্তু তারা যার জন্য তৈরি ছিলেন না, তা হলো- কিয়ারানেরও একটি সমস্যা আছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিয়ারানের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম এবং যা আছে সেগুলোরও নড়াচড়া করার ক্ষমতা কম।

আরো খারাপ খবর হলো যে এর চিকিৎসা করা জেনিফারের সমস্যাটার চাইতেও কঠিন, হয়ত অসম্ভব।

জেনিফারের এখনো মনে আছে, এ কথা শোনার পর তার স্বামীর প্রতিক্রিয়ার কথা।

জেনিফার বলেন, সে স্তম্ভিত, শোকাহত হয়ে পড়ল। আমি কিছুতেই ব্যাপারটা মানতে পারছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল, ডাক্তারই ভুল করেছে।

মানসিক বিপর্যয়
কিয়ারান সবসময়ই চাইতেন সন্তানের বাবা হতে। তিনি বলেন,
আমার মনে হলো আমিই আমার স্ত্রীকে ডুবিয়েছি।

পরের কয়েক বছরে কিয়ারানের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে লাগল। তিনি একা একা অনেক বেশি সময় কাটাতে শুরু করলেন। তিনি বিছানায় শুয়ে থাকতেন। শান্তি খুঁজতে শুরু করলেন অ্যালকোহলের মধ্যে।

তারপর একসময় শুরু হলো প্যানিক অ্যাটাক হওয়া। যার লক্ষণ- হঠাৎ শরীর কাঁপতে থাকা, বুক ধড়ফড় করা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরানো।

কিয়ারান বলেন, সেটা ছিল এক গভীর সঙ্কটকাল, মনে হলো আমি যেন একটা অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি।

পুরুষের অনুর্বরতা নিয়ে কেউ কথা বলতে চান না
দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার যত ঘটনা ঘটে, তার প্রায় অর্ধেকই ঘটে পুরুষের অনুর্বরতার কারণে।

কিন্তু নারীদের অনুর্বরতা নিয়ে যত আলোচনা হয়, তার তুলনায় পুরুষদের অনুর্বরতা নিয়ে আলোচনা হয় খুবই কম। এর একটা কারণ হলো যে এ সমস্যাটিকে ঘিরে নানারকম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রশ্ন আছে, যেন এটা নিয়ে কথা বলাই নিষেধ।

যেসব পুরুষদের উর্বরতার সমস্যা আছে তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

তার ওপর যেহেতু পুরুষদের অনুর্বরতা নিয়ে সমাজে নেতিবাচক ধারণা আছে, তাই অনেককে এ জন্য এক নীরব মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে এ সমস্যা সম্ভবত বাড়ছে।

এতে দেখা যায়, দূষণসহ বিভিন্ন কারণ পুরুষের উর্বরতার ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় বীর্যে শুক্রাণুর মানের ওপর। স্বভাবতই ব্যক্তি স্তরে এবং পুরো সমাজের জন্যই এর পরিণাম অত্যন্ত ব্যাপক।

এক গোপন উর্বরতা সঙ্কট?
গত এক শতাব্দীতে সারা বিশ্বে জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। মাত্র ৭০ বছর আগেও পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ২৫০ কোটি। কিন্তু ২০২২ সালে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০০ কোটি।

তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন কমে আসছে, যার পেছনে প্রধান কারণগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক।

বিশ্বজুড়ে শিশু জন্মের হার রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। পৃথিবীর ৫০ ভাগ মানুষই এখন এমন দেশগুলোতে বাস করে, যেখানে উর্বরতার হার নারীপ্রতি দুটি শিশুরও নিচে। এর ফলে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যাই এক সময় কমে আসবে, যদি অভিবাসন না হয়।

জন্মহার কমার কিছু ইতিবাচক কারণ আছে। নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ এখন অনেক বেড়েছে।

নিম্ন উর্বরতার হারের কিছু দেশ আছে, যেগুলোতে অনেক দম্পতিই তাদের যতগুলো সন্তান আছে তার চেয়ে বেশি নিতে চায়, কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে পারে না।

এরই পাশাপাশি রয়েছে আরো অনেক কারণ। একজন ব্যক্তির সন্তান জন্মদানের শারীরিক সক্ষমতাকে বলা হয় ফিকান্ডিটি। এখন মনে করা হচ্ছে যে এই ফিকান্ডিটির হার বর্তমানে হয়ত কমে যাচ্ছে।

কিছু গবেষণায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে প্রজনন-সংক্রান্ত সমস্যার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, দেহে টেস্টোস্টেরন নামে হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া, পুরুষাঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়া এবং অণ্ডকোষের ক্যান্সার।

দূষণ ঘটাচ্ছে প্লাস্টিক ও অন্য রাসায়নিক পদার্থ
মানুষের ঘরের ভেতরে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেবেকা ব্ল্যানচার্ড।

এই প্রভাব বোঝার জন্য তিনি কাজে লাগাচ্ছেন গৃহপালিত কুকুরকে। গৃহপালিত প্রাণি হিসেবে সেই কুকুর একই বাড়িতে থাকছে এবং একই দূষণকারী রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসছে।

রেবেকা গবেষণা করছেন প্লাস্টিক, আগুনরোধী রাসায়নিক ও ঘরের অন্য নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে। এসব রাসায়নিক পদার্থের কিছু কিছু নিষিদ্ধ, কিন্তু পরিবেশে ও পুরোনো জিনিসপত্রের মধ্যে তার অবশেষ রয়ে গেছে।

তার গবেষণায় দেখা গেছে, এসব রাসায়নিক পদার্থ আমাদের হরমোন সিস্টেমকে বিঘ্নিত করতে পারে এবং মানুষ ও কুকুর উভয়ের ক্ষেত্রেই উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, আমরা মানুষ ও কুকুর উভয়েরই শুক্রাণুর নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। তাছাড়া তার ডিএনএ ভেঙে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে দেখেছি।

ডিএনএ ভেঙে যাওয়া বলতে তিনি বোঝাচ্ছেন, যেসব জিনগত-সামগ্রী দিয়ে শুক্রাণু তৈরি, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা ভেঙে যাওয়া। এর ফলে গর্ভধারণের পরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, ডিএনএ ভেঙে যাওয়ার পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে মিসক্যারেজ বা ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তার এ তথ্যের সাথে অন্য গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের মিল রয়েছে। ওই গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে যে প্লাস্টিক, বিভিন্ন সাধারণ ওষুধ, খাদ্য ও বাতাসে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থ উর্বরতার ক্ষতি ঘটাতে পারে।

এগুলো শুধু পুরুষ নয়, নারী ও শিশুদের দেহেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

কার্বন ও কখনোই নষ্ট হয় না এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থের অস্তিত্ব গর্ভস্থ শিশুর দেহেও পাওয়া গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পুরুষের উর্বরতা
জলবায়ু পরিবর্তনও পুরুষের উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বেশ কিছু প্রাণির ওপর চালানো জরিপে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিশেষ করে শুক্রাণুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

দেখা গিয়েছে যে তাপপ্রবাহ কীটপতঙ্গ ও মানুষের শুক্রাণুর ক্ষতি করে।

২০২২ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গরম পরিবেশে বা উচ্চ তাপমাত্রায় কাজ করলে শুক্রাণুর মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

নিম্নমানের খাদ্য, মানসিক চাপ ও অ্যালকোহল
পরিবেশগত বিভিন্ন কারণের পাশপাশি ব্যক্তিগত নানা সমস্যাও পুরুষদের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে। এর মদ্যে রয়েছে নিম্নমানের খাদ্য, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হয় এমন জীবনযাপন, মানসিক চাপ, অ্যালকোহল পান ও মাদকসেবন। বর্তমানে অনেক দম্পতিই অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সে সন্তানের মা-বাবা হচ্ছে।

তবে নারীদেরকে তাদের জীবনের সবচেয়ে উর্বর সময়কাল বা বায়োলজিকাল ক্লকের কথা যতটা মনে করিয়ে দেয়া হয়, তার বিপরীতে পুরুষদের উর্বরতার ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যাপার নয়- এমনটাই আগে মনে করা হতো। কিন্তু সেই ধারণার এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

বেশি বয়সে মা-বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা ও উর্বরতা কমে যাওয়ার সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে।

এখন বলা হচ্ছে যে পুরুষদের অনুর্বরতাকে আরো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং এ সমস্যা নিরুপণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী দরকার। একই সাথে দূষণ রোধের জরুরি প্রয়োজনের ব্যাপারে সচেতন হতেও বলা হচ্ছে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও ব্যায়াম দিয়ে শুরু করাটা ভালো, কারণ এর সাথে শুক্রাণুর মান উন্নত হওয়ার সম্পর্ক দেখা গেছে।

তিনি আরো বলছেন, অরগ্যানিক খাবার খাওয়া ও বাইফেনল-এ বা বিপিএ-বিহীন প্লাস্টিক ব্যবহার করার কথা। এই বিপিএর সাথে নারী ও পুরুষ উভয়েরই অনুর্বরতার সম্পর্ক রয়েছে।

হ্যানিংটন দম্পতি শেষ পর্যন্ত ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে দুটি সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন।

কিয়ারান হ্যানিংটন বলেন, আমি প্রতিদিনই আমার সন্তান দুটির জন্য কৃতজ্ঞতা বোধ করি। অতীত দিনগুলোর কথা আমি ভুলিনি।

সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর

লবঙ্গ চা খেলে যেসব উপকার পাবেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাকিবের সামনে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। ক্রিকেট বিশ্বেও বাংলাদেশের পোস্টার বয় হিসেবে পরিচিত তিনি। প্রায় ১৮ বছর ধরে লাল-সবুজের জার্সিতে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। লম্বা এই পথ চলায় দেশের তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেরই অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন সাকিব।

বাংলাদেশ নিজেদের সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে। ওই সিরিজে উইকেট শিকারের দিক বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবার ওপরে উঠে গিয়েছিলেন সাকিব। পেছনে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে

বল হাতে উইকেট পেলেও সাকিবের ব্যাটে রানের দেখা নেই অনেকটা দিন ধরেই। পাকিস্তান টেস্ট শেষ করে উড়াল দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানে কাউন্টি ক্রিকেটে মাত্র এক ম্যাচ খেলে শিকার করেন ৯ উইকেট। ভারত সিরিজেও বল হাতে মাইলফলকের খুব কাছাকাছি আছেন সাকিব

ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এর আগে কেবল চারজনই ক্রিকেটারই টেস্টে ৪০০০ রান করার পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। সাকিব আল হাসান আছেন সেই এলিট ক্লাবে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। রানের কোটা আগেই পূরণ করে ফেলেছিলেন। দরকার বল হাতে ৮ উইকেট

সাকিব ক্যারিয়ারের ৬৯ টেস্ট শেষে রান ৪ হাজার ৫৪৩ রান করেছেন। তবে ২৫০ উইকেটের মাইল ফলক স্পর্শ করার জন্য আরও ৮টি উইকেট প্রয়োজন। ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টে ৮টি উইকেট নিতে পারলেই ৩৭ বছরের অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০০ রানের পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেয়ার নজির গড়বেন

সাকিবের আগে এই কীর্তি করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের চার গ্রেট অলরাউন্ডার। ভারতের কপিল দেব, ইংল্যান্ডের স্যার ইয়ান বোথাম ছাড়াও এই ক্লাবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরির। রানের দিক থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার। ১৬৬ টেস্ট খেলে ক্যালিস ১৩ হাজার ২৮৯ রান করেন এবং ২৯২টি উইকেট নেন

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কপিল দেব। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ১৩১টি টেস্টে ৫ হাজার ২৪৮ রান করার পাশাপাশি ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন বোথাম। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ১০২টি টেস্ট খেলে করেছিলেন ৫ হাজার ২০০ রান। নিয়েছিলেন ৩৮৩টি উইকেট। চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ১১৩টি টেস্ট খেলে ভেট্টরি ৪ হাজার ৫৩১ রান করেছেন। উইকেটের সংখ্যা ৩৬২


আরও খবর



সেপ্টেম্বরে ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা, ৪৪ ধর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে অন্তত ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকারের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও সামগ্রিকভাবে এ অগ্রগতি অপর্যাপ্ত। কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশজুড়ে ৮৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং ২৩টি ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের আরও আটজন নিহত হয়েছেন

এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বা হেফাজতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে গুলিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুইজন এবং আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হন। সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে নির্যাতনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এ মাসটিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন

গত মাসে অন্তত ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫ জন কিশোরী, ১৮ নারী ও কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। একজন আত্মহত্যা করেছেন


আরও খবর



কাঁচা বাজারের উত্তাপে দিশেহারা ক্রেতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

হঠাৎ করেই আবারও কাঁচা মরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এক দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে এই নিত্যপণ্যটির দাম। আবারও চড়েছে সবজির বাজারও। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ও শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রাহাত জানান, বুধবার এই মরিচ ছিল ২৪০ টাকা কেজি। হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, শুনলাম বর্ডার বন্ধ। মরিচ ঢুকে নাই। তাই দাম বেশি।

ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করা কামাল হোসেন নামে একজন বলেন, আমরা কারওয়ান বাজার থেকে সবজি আনি। ওইখানেই দাম অনেক। পাইকারিতে দাম না কমলে আমগো হাতে কিছু নাই।

এদিকে হঠাৎ দাম বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছেন অনেক ক্রেতা৷ মুক্তার আলী নামে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আড়াই শ গ্রাম মরিচ ১০০ টাকা! চিন্তা করা যায়? সব কিছুর দাম বাড়তি। এইভাবে চলে নাকি?

কাঁচা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় তিনি বিকল্প পথ ধরেছেন বলে জানান। মুক্তার আলী জানান, কাঁচা মরিচ না কিনে ১০ টাকার শুকনো মরিচ কিনেছেন তিনি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু কাঁচামরিচ নয়, সব ধরনের সবজির দামই চড়া।

একমাত্র পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। বাজার ভেদে আবার এই পেঁপেই বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে৷ তবে অন্যান্য সব সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি।

বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা পিস দরে৷ শশার কেজি ৮০ টাকা, লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, উস্তা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। প্রতি কেজি টমেটোর জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা।


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২১১ কোটি ৩১ লাখ (২ দশমিক ১১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনেই যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা গত বছরের সেপ্টেম্বরের পুরো মাসের চেয়ে প্রায় ৭৮ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। তার আগের বছর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এই হারে রেমিট্যান্স এলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২২৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, পু‌লি‌শের ক‌মিউ‌নি‌টি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আ‌সে‌নি

গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের কোনো এখতিয়ার নেই

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের কোনো এখতিয়ার নেই বলে মত দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর সাত দফা বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির নেতারা। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে দেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তার দাবি করেন আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন যে অপশাসন করে গেছে যে গণহত্যা করেছে তাদের আর এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আর তাদেরকে যারা এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে। ২০০৮ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত যে ভারত বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ বাস্তবায়ন করেছে সেই ভারতকে তিন হাজার মেট্রিকটন ইলিশ পাঠানো ঠিক হয়নি বলেও মতামত দেন তারা। তারা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ যদি রাজনৈতিক দল করতে চায় তাদের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দল করতে হবে। কোনো গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারে না আওয়ামী লীগেরও সেই সুযোগ নেই। দেশের আদালতে তার যেমন বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়কের নামে ছাত্রলীগ বা শিবিরের নেতাকর্মী তাকাটা ক্ষতির কিছু না তারা অন্যায় করলে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে পিটিয়ে হত্যা কেউ সমর্থন করে না।পতিত সরকারের এজেন্টরা এসব কাজে জড়িত থাকতে পারে। 


আরও খবর