Logo
শিরোনাম

দ্বিতীয় বার আইজিপি পদক পেলেন রাঙ্গাবালী থানার ওসি হেলাল উদ্দিন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী :

প্রশংসনীয় ও ভাল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দ্বিতীয় বারের মত ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ পদক পেয়েছেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন। পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ এ পদক পাওয়ায় শনিবার দুপুরে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের সদস্যরা তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। 

জানা গেছে, ২০২৩ সালে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রশংসনীয় ও ভাল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ হেলাল উদ্দিনকে এ পদক দেওয়া হয়। বুধবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্র্যাউন্ডে তাকে ব্যাজ পদক পরিয়ে দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এসময় তার হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এরআগে ২০১৮ সালে বরিশালের উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) থাকাকালীন প্রথমবারের মত আইজিপি পদকে ভূষিত হন হেলাল উদ্দিন। 

পুলিশের দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ এ পদক দ্বিতীয়বারের মত পেয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ভাল কাজের স্বীকৃতি যখন পাওয়া যায়, তখন সেই কাজের উৎসাহ অনেকগুণ বেড়ে যায়। আমি নিজে যেমন কাজে উৎসাহ পাবো, আমার দেখাদেখি অন্যরাও উৎসাহিত হবেন। আমি চাইবো, ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু করতে। আমার টিমের সদস্যদেরও ভাল কাজের জন্য  উৎসাহ দিবো। 


আরও খবর



শনিবার থেকে বেকার হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের অর্ধলক্ষ জেলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মো: আতোয়ার রহমান মনির,লক্ষ্মীপুর :

প্রজনন মৌসুমে‘ মা ইলিশ’ রক্ষায় উপকূলীয় মেঘনার লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত  ঘোষিত অভয়াশ্রম এলাকায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এ সময় ইলিশ ধরা বন্ধে অভিযান চালাবে নৌ-পুলিশ,কোস্টগার্ডসহ মৎস্য বিভাগ।

জাটকা সংরক্ষন ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্যরাত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবে ২৫ কেজি। এই সময়ে বরাদ্ধকৃত চাল লুটপাট না  করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত তা বাস্তবায়নের দাবী জানান জেলেরা। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন,নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ,উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়ছে বলে দাবী করেন তিনি।


 এরইমধ্যে মেঘনা নদী থেকে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। জালসহ অন্যান্য মালামাল গুছিয়ে তুলছেন অনেক জেলে। ২২ দিন সব ধরনের মাছধরা বন্ধ ধাকবে এ কারনে এর মধ্যে জাল সারাইয়ের কাজ করছেন কেউ কেউ। 

জানাগেছে, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় মেঘনা উপকূলে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ৫২ হাজার জেলে কর্মহীন থাকবে। এদের অধিকাংশই বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় জাল বুনে দিন পার করছেন। এখানকার জেলেরা বলছেন, তাদের কেউ কেউ জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ ধরার যাবতীয় সরঞ্জাম মেরামত করছেন। বিগত সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে চাল না পাওয়ায় কেউ আবার পুর্নবাসনের দাবী হিসেবে নিষেজ্ঞার আগেরই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সঠিক জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের করার দাবী তুলেছেন।


কমলনগরের জেলে তাফাজ্জল  হোসেন,একেতো উপার্জন বন্ধ,তার উপর সরকারি প্রণোদনা পান না তারা। আর পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটানোর চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এতে দু'বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। এ সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় কর্মহীন বেকার সময়ে সংসার চালানোর দুশ্চিন্তার ভাঁজ বলছেন তিনিসহ অসংঙ্খ জেলেরা। 

মতির হাট এলাকার ট্রলারের মালিক সাহাজালাল বলেন, আমার এই ট্রলারে ২১ জন লোক আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত, মাছ ধরে সেই ঋণ পরিশোধ করে। এখন এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাছ ধরতে না পারলে তাদের এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবে। তাই এই জেলেদের অভিযানের আগেই দ্রুত চাল দিলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট দূর হবে।


 জেলে রফিজল হাওলাদার বলেন, বিগত অভিযানে সরকার চাউল দেছে। তা পাই নাই। এবার ২২ দিনের অভিযান । জেলে সন্তান নিয়ে কিভাবে চলবে ২২ দিন। এ জন্য  দ্রুত চাল দেয়ার দাবি তার।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। মেঘনা নদী নির্ভরশীল সরকারি তালিকায় এদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এদের অধিকাংশই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর নিষেধাজ্ঞা সময়ের ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ঘোষিত এলাকায় সকল ধরণের মাছ ধরা,সংরক্ষণ,আহরণ,বাজারজাতকরণ, মজুদকরণ ও পরিবহন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। এর মধ্যে খাদ্য সহায়তা এসেছে ৩৯ হাজার ৭ শত ৫০ জন জেলে পরিবারের জন্য ৯ শত ৯৩ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। যথা শীঘ্রই চালু পেয়ে যাবে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলছেন, ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। এসময় ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরো বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরাই বেশি বেকার হয়। এখানে কোনো কলকারখানা না থাকায়, তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থান নেই। নির্দিষ্ট সময়ে জেলেদের ২০ কেজির চালের পরিবর্তে ২৫ কেজি করে ৩৯ হাজার ৭ শত ৫০ জন জেলে পরিবারের জন্য ৯ শত ৯৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল, জরিমানা সহ বিভিন্ন শাস্তির কথা জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ইতিমধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাল জেলেদের মাঝে বিতরন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি হারে চাল দেয়া হবে। কেউ বাধ যাবেনা। নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না বলে আশা করেন তিনি। বলেন, যারা আইন অমান্য করবে,তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।


আরও খবর



গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ফরিয়াদ রস তুজ বিন নেহী,

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

সুলতানে দ্বীন শাহে্ জমীন,

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

মাকছুদে তান মাতলুবে জান,

মাহকুম হায় তু সারা জাহান।

মুশকিল কোশা ইয়ে আজিজী, 

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

আসসালাম আয় আফেতাবে গাউছিয়ত, আসসালাম আয় মাহেতাবে কুতুবিয়ত। আসসালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া, আসসালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।


ফজলে কর ইয়া রব মুহাম্মদ মুস্তাফা কে ওয়াস্তে সাইয়্যেদে কাওনাইনে শাহে্ আম্বিয়া কে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহাল আলামীন ইয়ে র্আজ মেরী হো কবুল, ইসতাজেব হাজা দোয়ায়ি মুস্তাফা কে ওয়াস্তে।


দূর কর রঞ্জ দেলী হায় ছখত মুঝকো, বেকালী উছ শাহে্ সিদ্দিক্বে আকবর বাছাফা কে ওয়াস্তে।


ফজ্লকে হাতোঁছে মুঝ্কো মেওয়ায়ে মাক্সুদ্ খিলা, উছ ওমর ফারুকে আ-দিল বেরিয়া কে ওয়াস্তে।


দো-জাহাঁ মেঁ হযরতে উসমান-কে রোছে মুঝে, মাত্ খাজাল কিজিয়ো তু উছ ছাহেব হায়া কে ওয়াস্তে।


বারেগাহে আলী মে তেরে হায় ইয়ে মেরি ইলতিজা, হল্লে মুশকিল হো মেরি মুশকিল কোশা কে ওয়াস্তে।


বুলবুলে বাগে মদিনা কুররাতুল আইনে রাসূল, ইয়ানী বিবি ফাতেমা খায়রুন্নেছা কে ওয়াস্তে।


দে খুশী দিলকো মেরি ছর ছব্জ কর নখ্লে মুরাদ, উছ জিগর খাস্তা হাসান ছাহেব লেওয়াকে ওয়াস্তে।


হার তরফ ছে ফৌজ গমনে আকে ঘেরা হায় মুঝে, দে পানা ইয়া রব শহীদে কারবালা কে ওয়াস্তে।


কাওন তুজ বিন দাদ ইছ আছি কো দেবে ইয়া খোদা, জোদতর ফরিয়াদ রস যইনুল আবা কে ওয়াস্তে।


মাই বহুত হায়রান হোঁ কর রহম কি মুঝপর নজর, বাকের ও জাফর আলী ওয়া মুছা রেজা কি ওয়াস্তে।


মুছা ও কাজেম ত্বকী ও বানকী ও আস্করী, আওর ইমামে মাহদীয়ে পীরে হুদাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, গাউছুল আ’যম পীরানে-পীর দস্তগীর শেখ সৈয়দ আবু মীর মুহীউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানী রাদ্বিআল্লাহু তা’য়ালা আনহু রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মইনুদ্দীন চিশতী আজমীরি সাঞ্জীরি রহমাতুল্লাহি তা’য়ালা আলাইহি রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল আ’যম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল আ’যম গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছে জামান সৈয়দ আবুল বশর আল মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল ওয়ারা সৈয়দ মইনুদ্দীন  আহমদ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল আ'যম সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


তোমারি এস্কেতে, তোমার এস্কেতে রাখিও মোদের আবাদ, খুদীকে মিটায়ে যেন পাই খোদার স্বাদ। দুয়েরী পর্দা উঠায়ে দাও,দয়া করি দেখা দাও-ধরা দাও ওগো দয়াল নবীজি।


(এরপর ব্যক্তিগত ফরিয়াদ মাতৃভাষায়/আরবী/ফার্সীতে করা যাবে) আরবী মুনাজাত রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল্ আখেরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার,ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলা খায়রি খালক্বিহি ওয়া নূরে জাতিহী মুহাম্মাদীন ওয়াআলিহি ওয়া আছহাবিহি আজমাইন। বিজুদি কালেমায়ে তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম।


আরও খবর



টাইগারদের রেকর্ড ব্যবধানে হারাল ভারত

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আজ চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনের ব্যাট করতে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদা পোশাকে সবথেকে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৪১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। চেন্নাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে তাই বিশ্বরেকর্ডই করতে হতো টাইগারদের। শান্তর দল সে রেকর্ড গড়তে পারবেন এমনটা ভেবেছিলেন হয়তো খুব কম সমর্থকই। তবে যারা ভেবেছিলেন তাদের জন্য সকালেই দুঃসংবাদ। ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে দ্রুতই অল আউট হয়েছে বাংলাদেশএকদিন হাতে রেখেই ২৮০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ভারত

সাকিব আউট হয়ে যেতে পারতেন আজ সকালেই। তবে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে মিস করে বসেন তিনি। স্ট্যাম্পিং করার দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিলেন ঋষব পন্ততবে তিনি বল গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। সাকিবও ফিরে আসেন ক্রিজেবেঁচে যান তিনি

৫ রানে দিন শুরু করা সাকিব জীবন পাওয়ার পর নিজের ইনিংস বড় করার চেষ্টায় ছিলেনতবে শেষ রক্ষা হয়নি। দলীয় ১৯৪ রানে ফিরতে হয়েছে তাকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল ডিফেন্ড করেছিলেন তিনিতবে ব্যাটের কানায় লাগায় পর প্যাডে ছুঁয়ে বল চলে যায় যশ্বসী জয়সোয়ালের হাতে। সাকিব ফিরেছেন ব্যক্তিগত ২৫ রানে

এদিকে আজ ৫১ রানে দিন শুরু করা টাইগার অধিনায়ক শান্ত দেখেশুনে খেলছেন ভারতীয় বোলারদের। দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। তবে অপরপ্রান্তে যোগ্য সঙ্গী পাননি তিনি। সাকিব ফেরার পর লিটন দাস ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন। দেখেশুনেই খেলছিলেন তিনি। তবে জাদেজার শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। সকাল থেকেই পিচে ভালো টার্ন পাচ্ছিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। জাদেজার বলে দারুণ ডিফেন্ড করেছিলেন লিটনতবে ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে বল চলে যায় স্লিপেতা মুঠোবন্দী করেন রোহিত শর্মা

এদিকে লিটন ফেরার পর মেহেদী মিরাজও শান্তকে সঙ্গ দিতে পারেননি। অশ্বিনের বলে জাদেজার মুঠোবন্দী হয়ে তিনি সাজঘরের পথ ধরেন। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে তখন ক্রিজে ছিলেন কেবল শান্ত। ৮২ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি। তবে শতকের পথে আর এগোনো হয়নি টাইগার অধিনায়কের। তিনি ফিরে যান জাদেজার বলে

শান্ত ফেরার পর বাংলাদেশের হার সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্রআর বিশাল জয় তুলে নিতে ভারতীয় বোলাররাও খুব বেশি সময় নেননি। অশ্বিনের বলে তাসকিন আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদকে সাজঘরের পথ দেখান জাদেজা। তাতেই নিশ্চিত হয় একদিন হাতে রেখেই ভারতের ২৮০ বিশাল জয়। চতুর্থ ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন৩ উইকেট পেয়েছেন জাদেজাবাকি ১ উইকেট নিয়েছেন বুমরা

 

 

 

 


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকার কেন অপেক্ষা করছে, প্রশ্ন রুহিন হোসেনের

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অন্তর্বর্তী সরকার কেন অপেক্ষা করছে? এমন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রথমে উনারা এসে বললেন, সংস্কার অনেকগুলো কাজ করবেন। তিন মাস সময় দেওয়া হলো, তিনমাস পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। উনারা এখন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করবেন না। তাহলে কি কালক্ষেপণ? এই তিনমাস সময় লাগার তো কথা না?।


শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নির্বাচন কমিশনে কেমন সংস্কার চাই’ এই শিরোনামে সেমিনারের আয়োজন করে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট  এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। 


অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।


তাদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট কথা শুনতে চাই জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সংবিধান সংস্কার করবে। অনেকদিন ধরে দেশে যে সংকট সেই ব্যবস্থা উচ্ছেদের আকাঙ্ক্ষা আমরা করলাম। স্বাধীন দক্ষ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই। 


রুহিন বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ফিরিয়ে আনা। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া ও প্রচলিত ব্যবস্থা পরিবর্তন করে আনুপাতিক ব্যবস্থা জরুরি।


দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট এবং প্রাদেশিক সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ‘না ভোট’ প্রবর্তন করতে হবে।


আরও খবর



লিবিয়া থেকে ১৫৪ বাংলাদেশি ফিরলেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আফ্রিকার লিবিয়া থেকে ১৫৪ বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ২০২২) একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আইএমওর পক্ষ থেকে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার, মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়

আরও জানানো হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলি এবং আইএমও একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে

এর আগে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লিবিয়ার বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বেনগাজি থকে ঢাকায় ফেরানো হয়

সে সময় লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে জানানো হয়, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৩৯০ বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন বন্দিশিবিরসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন


আরও খবর