Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

এআইআইবি থেকে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেল সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস ডেস্ক:


এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। 



প্রতি ডলার সমান ১১৭ টাকা ১১ পয়সা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা।


সোমবার (১ জুলাই) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এবং এআইআইবির ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজাত মিশ্রা এআইআইবি’র এ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।



ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় সংস্থাটি এ ঋণ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এআইআইবি’র এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, পরিবেশের পরিবর্তন প্রতিরোধকল্পে মজবুত ভিত্তি তৈরি ও অভিযোজনের মাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুভিত্তিক টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির মাত্রা ও প্রভাব হ্রাস, গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং দেশের অর্থনীতিকে জলবায়ুভিত্তিক নিম্ন কার্বন অর্থনীতিতে রুপান্তর করা।


এআইআইবি থেকে গৃহীত এ ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণের সুদের হার হিসেবে এককালীন শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ পরিশোধ করা হবে।



আরও খবর



সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাজান কেবলা রহঃ জীবনী দর্পণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

 

হযরত বাবা ভান্ডারী (রঃ) হচ্ছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের দ্বিতীয় মহান ওলী। তিনি ১২৭০ সালের ২৭শে আশ্বিন (মোতাবেক ১০ই অক্টোবর ১৮৬৫ইং এবং ১২ই জামাদিউসসানী ১২৭০ হিজরী) সোমবার ভোর বেলা চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার অন্তর্গত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ আবদুল করিম শাহ সাহেব এবং মাতার নাম সৈয়দা মুশাররফজান বেগম সাহেবা। তিনি হযরত গাউছুল আজম শাহ সুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডার (রঃ)- এর আপন ভাতষ্পুত্র। তাঁর জন্মের অব্যবহিত পর নবজাত শিশু অবস্থায় তাঁকে দেখে তাঁর আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীগণ আনন্দে পুলকিত হয়ে মন্তব্য করেছিল, এ শিশু মানব নয়, বরং একজন সম্মানিত ফেরেশতা। আমরা এরূপ সুন্দর ছেলে কখনও দেখিনি। নিশ্চই ইনি কালে একজন উচ্চ মর্যাদার ওলী হবেন হযরত বাবা ভান্ডারী (রঃ)-এর শিক্ষা জীবন শুরু হয় তাঁর বাড়ীর আঙ্গিনায় সে সময়ে বিদ্যমান একটি ফোরকানীয়া মাদ্রাসায়। ফোরকানীয়া মাদ্রাসাটির শিক্ষক ছিলেন একজন অভিজ্ঞ আলেম ও ধর্ম পরায়ণ লোক। মাদ্রাসা শিক্ষক হযরত বাবা ভান্ডারী (রঃ)-এর পিতাকে একদিন ডেকে বললেন, আপনার এ শিশু সন্তানকে পাঠ আরম্ভ করে দিন, কালে ইনি একজন আদর্শ পুরুষ হবেন এবং তাঁর প্রেমের স্পর্শে এসে মাটির মানুষ সোনায় পরিণত হবে।


দুনিয়াব্যাপী তাঁর নামের ডঙ্কা বাজবে শিক্ষকের মন্তব্য শুনে বাবা ভান্ডারী (কঃ)-এর পিতা মুগ্ধ হয়ে যান এবং তিনি বাবা ভান্ডারী (কঃ)-কে প্রথম পাঠদান করার জন্য হযরত গাউছুল আজম শাহ সুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) সমীপে নিয়ে যান। হযরত আকদাছ (কঃ) বাবা ভান্ডারী (কঃ) কে শিক্ষার্থীর বেশে দেখে মৃদু হাসলেন এবং বললেন তুমি কালামুল্লাহ পড়বে? আচ্ছা পড় দেখি অতপর হযরত আকদাছ (কঃ) পবিত্র কোরআন মজিদ থেকে কিছু আয়াত পাঠ করেন এবং মিলাদ শরীফ পড়ে খোদার দরবারে ভান্ডারী (কঃ)-এর জন্য মুনাজাত করেন। হযরত আকদাছ (কঃ)-এর অনুমোদন পেয়ে হযরত বাবা ভান্ডারী (কঃ) উক্ত ফোরকানীয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যান এবং পড়াশুনা শুরু করে দেন। মাদ্রাসায় ভর্তি হলে কি হবে? হযরত বাবা ভান্ডারী (কঃ) এর ঝোঁক ছিল সর্বদা হযরত আকদাছ (কঃ)-এর সান্নিধ্য লাভের প্রতি। তিনি প্রায়শঃ হযরত আকদাছ (কঃ)-এর সান্নিধ্যে থাকতে ভালবাসতেন। যদি কখনও তা সম্ভব না হতো তবে একাকী ধ্যানমগ্ন থাকতেন। । তিনি মাঠে গরু চরাতেন। গরু চরানোর মধ্যে তাঁর একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছিল। তিনি গরুকে বলতেন দেখ! ফসল নষ্ট করিস না গরু দিব্যি বাধ্যগত দাসের মত তাঁর কথা মান্য করত। গরুর জমির আলের উভয় পার্শ্বের ঘাস খেয়ে উদর পূর্ণ করত, কিন্তু ফসলের ক্ষতি করত না।


ছোটবেলা থেকেই তিনি নামাজ, রোজা ও কোরআন পাঠে নিজেকে সদাসর্বদা নিয়োজিত রাখতেন।

তিনি প্রতিনিয়ত তাহাজজুদ নামাজও আদায় করতেন। লেখাপড়ায় তিনি ছিলেন মাদ্রাসার সেরা ছাত্র। মোহছেনীয়অ মাদ্রাসায় পড়ার সময় তিনি জায়গীর (লজিং) থাকতেন। জায়গীর থাকাকালে শেষ রাতে চট্টগ্রাম বহদ্দার মসজিদ এ সাদা কাপড় পরিহিত সুফিগণের জামাতে তাঁকে বহুবার ইমামতি করতে দেখা গেছে বলে প্রতক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন।

হযরত বাবা ভান্ডারী (কঃ) যখন ২৩ বৎসর বয়সে পদার্পণ করেন তখন থেকে তিনি সংসার জীবনের প্রতি নিরাসক্ত হয়ে পড়েন। সংসারের দিকে তার মনোযোগ আকর্ষন করার জন্য তাঁর পিতামাতা ফটিকছড়ি থানার সুয়াবিল গ্রাম নিবাসী সৈয়দ কমর চাঁদ শাহ (রঃ)-এর বংশধর আলহাজ্ব সৈয়দ আশরাফ আলী আল-হাছনী সাহেবের প্রথমা কন্যা মোছাম্মৎ জেবুন্নেছা বেগমের সাথে তাঁকে এ সময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান। কিন্তু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। এক অভিনব ব্যাপার ঘটল তাঁর ২৫ বৎসর বয়সে পদার্পণ করার পর। এ সময় তিনি জমাতে উলার ফাইনাল পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা দিতে যাবার পূর্বে হযরত আকদাছ (কঃ)-এর অনুমতি জন্য তিনি দরবার শরীফে এলেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হবার পরও হযরত আকদাছ (কঃ)-এর সাথে কথা বলার তাঁর সুযোগ হল না; অথচ হযরত আকদাছ (কঃ)-এর অনুমতি ছাড়া তিনি পরীক্ষা দিতে কিছুতেই যাবেন না। অগত্যা পরীক্ষার তারিখ ঘনিয়ে আস, তখন সকলের চাপে পড়ে তিনি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসেম (তাৎর ভ্রাতা) এবং হযরত আকদাছ (কঃ)-এর পুত্র সৈয়দ ফজলুল হক সাহেবকে সাথে নিয়ে হযরত আকদাছ (কঃ) এর অনুমতির নিতে যান। হযরত আকদাছ (তঃ) তখন দরবার শরীফের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত কাটাখালী নামক খালের তীরে সরিষা ক্ষেতের ধারে তাঁর অনুগত শিষ্যদের উপবিষ্ট ছিলেন।


হযরত বাবা ভান্ডারী (কঃ) মস্তক নত করে দাঁড়িয়ে আছেন। হযরত আকদাছ (কঃ) অপলক নেত্রে হযরত বাবা ভান্ডারী (কঃ)-এর দিকে চেয়ে রইলেন এবং জজবা হালে অনেক কিছু বললেন। হযরত আকদাছ (কঃ)-এর জজবা অবস্থায় উচ্চারিত এ সকল কথার মর্মার্থ সাধারণের বোধগম্য হলনা। কিছুক্ষন পর আকদাছ (কঃ) স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেন এবং বললেন তোমার পরীক্ষা হয়ে গেছে, বাছা। আমি তোমাকে নাজিরহাটস্থ আশরাফ আলী খলিফার দোকানে খেয়ে মসজিদে থাকতে বলি কিন্তু এতে সৈয়দ মোহাম্মদ হাসেম ছাহেব পরিতৃপ্ত হলেন না। তিনি হযরত আকদাছ (কঃ) কে বললেন, তাঁর (হযরত বাবা ভান্ডারী) যে পরীক্ষা হযরত আকদাছ (কঃ), তাঁকে শহরে যেতে হবে এতে হযরত আকদাছ বললেন যাও! তুমি ও ফয়জুল হক মিঞা আমার হুজরার তাকের উপর হতে পীরানে পীরের হরিণী আবাটি (চৌগা) শীঘ্রই নিয়ে আস। তারা তাঁর আদেশ মত তাই করলেন। হযরত আকদাছ (কঃ) উক্ত হরিনী আবাটি (এক প্রকার জুব্বা) নিজে পরিধান করলেন। কিছুক্ষন পর তিনি উহা খুলে হযরত বাবা ভান্ডারী গায়ে পরিয়ে দিলেন এবং শহরে যাবার অনুমতি দিলেন। বলাবাহুল্য, এটি ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ এর মাধ্যমে তিনি তাঁর ফয়েজ রহমত বাবা ভান্ডারী (কঃ) কে বর্ষণ করলেন এবং মহান ওলীর সনদ প্রদান করলেন। এভাবে যিনি মহান ও অনন্ত পরীক্ষায় পাশ করলেন, তাঁর সীমিত পার্থিব পরীক্ষায় পাশের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল। তিনি পরীক্ষার হলে জমাতে উলা ফাইনাল পরীক্ষা দিতে গেলেন। কোন মতে দুদিন পরীক্ষা দিলেন। পরীক্ষার তৃতীয় দিনে আধ্যাত্মিক আগনের দহনে তিনি আর স্থির থাকতে পারলেন না। কাগজ কলম সব ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জজবা হালে অনেক দুর্বোধ্য কথা বললে এবং গজল গাওয়া শুরু করলেন। শিক্ষক ও হলের সকল পরীক্ষার্থীগণ হতভম্ব হয়ে গেলো। এরূপ একজন নামীদামী ছাত্র পরীক্ষা দেবেনা এ কেমনতর কথা। শিক্ষক ও সহপাঠিগণ তাঁকে অনেক বুঝালেন। কিন্তু কোন কাজ হল না। দুনিয়া তাঁর কাছে তখন অতি তুচ্ছ, অতি নগণ্য।


তিনি শুধু তকন অন্তরে তাঁর প্রমাস্পদকেই দেখছেন। প্রেমাস্পকেই উদ্দেশ্য করে তিনি বলতে থাকলেন, এসেছেন আপনি? এসেছেন? আপনি কষ্ট স্বীকার করে কেন এসেছেন? আমি মাথায় ভর দিয়ে হেঁটে আপনার খেদমতে হাজির হতাম এরূপ বলতে বলতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। তাঁর পরীক্ষা পর্ব এখানেই শেষ হয়। তারপর তাঁকে পরীক্ষা হল থেকে জায়গীর বাড়ী এবং জায়গীর বাড়ী থেকে দরবার শরীফে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার সাথে হযরত আকদাছ (কঃ)-এর আধ্যাত্মিক যোগসূত্র অপূর্ব। হযরত বাবা ভান্ডারী যখন পরীক্ষার তৃতীয় দিনে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে উক্তরূপ ঘটনা করছিলেন, তখন হযরত আকদাছ (কঃ) হযরত বাবা ভান্ডারী (রঃ)-এর জোষ্ঠ্য ভ্রাতা সৈয়দ গোলাম ছোবহান সাহেবকে ডেকে বললেন, মিঞা, আমি হ্জ্বে যেতে চাই। আমার সারাটা বাগান খুঁজেও একটি গোলাপ ফুল পেলাম না। হজ্বে যাবার অর্থ পরলোক গনের ইঙ্গিত বুঝতে পেরে হযরত গোলাম ছোবহান সাহেব কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, হুজুর, আপনার খাদের গোলামুর রহমান সাহেব (রঃ) শহরে আছেন। তাকে আপনার খেদমতে হাজির করব কি? হযরত আকদাছ (কঃ) বললেন, তাঁকে বাড়িতে আনলে ভাল হয়


আরও খবর

কারবালার ৭২ জন শহীদের নাম

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫




দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে একমত সব দল

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। তবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।

আলী রীয়াজ বলেন, প্রাপ্ত ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট করার জন্য অধিকাংশ দল মতামত দিয়েছে। কিছু কিছু দল এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নীতিগতভাবে একমত। কোনো কোনো দল সামান্য কারণে আপত্তি জানিয়েছে। সব রাজনৈতিক দল যেহেতু দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে নীতিগতভাবে আগ্রহী, সেক্ষেত্রে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একমত হতে পারবো। যেসব দলের এ বিষয়ে আপত্তি আছে তারা জানিয়েছে তারা আবারও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন করার জন্য। প্রস্তাবের পর অনেক রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাব সমর্থন করছে না। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি নামে নতুন কমিটির প্রস্তাব করেছিলাম। সেখানে এনসিসির যেসব দায়দায়িত্ব ছিল, তা সীমিত করে কাঠামোগত দিক পরিবর্তন করা হয়। যেসব রাজনৈতিক দল কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছিল তারা এর বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ নতুন কাঠামোগত দিকের প্রস্তাব তুলে ধরেছি।

সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ প্রতিষ্ঠান কমিটি কোন কোন কমিশনে নিয়োগ দেবে তা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, নিয়োগ কমিটি সুনির্দিষ্টভাবে ৬ কমিশনের প্রধান ও সদস্য নিয়োগ এবং আইনের দ্বারা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। এগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্ম-কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মনে করে এই কমিশনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কমিটির সদস্য কারা হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, কাঠামোগত দিক থেকে চিন্তা করে বলেছি- যখন সংসদ বহাল থাকবে তখন কমিটি কীভাবে কাজ করবে সেটা বলেছিলাম। তারমধ্য প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার; যদি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে উচ্চকক্ষের স্পিকার, বিরোধীদলের নেতা ও অন্য বিরোধী দলগুলোর নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, এর আগে এনসিসিতে আমাদের প্রস্তাব ছিল- রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির অন্তর্ভুক্তি। সেটা যেহেতু অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি, সেজন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেখান থেকে সরে এসে প্রস্তাব দিয়েছিল রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধি আমরা সুনির্দিষ্ট করেছি। আমরা বলেছি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের কর্মে লিপ্ত এমন ব্যক্তি নয়, মনোনয়নের পূর্বে ১০ বছর কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয় বা কোনো সংগঠনের সদস্য নয় এমন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হতে পারবেন। প্রধান বিচারপ্রতির প্রতিনিধির ক্ষেত্রে আমরা বলেছি তার মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। কাঠামোগত দিক থেকে এটাই আমরা প্রস্তাব করেছি। নিম্নকক্ষের স্পিকার এতে সভাপতিত্ব করবেন।

তিনি বলেন, আলোচনায় একটি বিষয় আসছে- যখন সংসদ বহল থাকবে না, তার মানে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে তখন কী হবে? আমাদের দিক থেকে প্রস্তাব ছিল এটা অব্যাহত রাখার। আলোচনা যেটা স্পষ্ট হয়েছে, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যারা এই কমিটিকে সমর্থন করে তারা মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে এই কমিটি বহাল রাখার প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন ওঠে ওই সময় নির্বাচন কমিশনে কীভাবে নিয়োগ হবে? আলোচনা করে অনেকে প্রস্তাব করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে সীমিতভাবে (ক্ষমতা) দেওয়া যায়। অন্য কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা থাকবে না।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ১২৮ জন নিহত, আহত ৯০০

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলি হামলায় দুই দিনে (শুক্রবার ও শনিবার) নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১২৮ জন নিহত এবং প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যমগুলো। ১৫ জুন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কিছু ইরানি সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যম তাদের নিজস্ব পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তবে এসব তথ্য সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শনিবার জানানো হয়েছে, তেহরানের একটি ভবনে ইসরাইলি হামলায় ২০ শিশুসহ ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর বলেন, সেখানে ৩১ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ৩০ জন সামরিক কর্মী এবং ইরানি রেড ক্রিসেন্টের একজন সদস্য রয়েছেন।

ইরানি রেড ক্রিসেন্ট পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলায় দুইজন নিহত হওয়ার খবর জানায়। এছাড়া শনিবার জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, ইসরায়েলি হামলায় ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

ইরানের সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি জানান, গত তিন দিনে কমপক্ষে ৩০ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। তবে তিনি মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানাননি। এছাড়া ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, শুক্রবার আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডারসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন হামলায় ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর কমপক্ষে ১৮ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। আলাদা হামলায় সাতজন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হন।

এদিকে টানা তৃতীয় দিনের মতো ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। রবিবার বিকালের পর দেশটির রাজধানী তেহরানে নতুন করে বিস্ফারণের শব্দ শোনা গেছে। তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শাহরাক-ই-গারব এবং সাদাত আবাদ এলাকায় বিকট আকারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইসফাহানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে, ওই হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ইসরায়েলের তেল আবিব ও আশপাশের শহরগুলোতে শনিবার (১৪ জুন) রাতভর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলায় বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ১১ ইসরায়েলি নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।


আরও খবর



ঢাকা মেডিকেল কলেজ

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে হল পরিদর্শনে আল্টিমেটাম

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ |

Image

নিরাপদ আবাসনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলেজের হল পরিদর্শনে আসার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তারা বলেছেন, দাবি বাস্তবায়নে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নিলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন এবং কলেজ প্রশাসনের একতরফা হলত্যাগের নির্দেশনা মানবেন না।রোববার ১২টায় কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন।

বৈঠকের পর মিলন চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষার্থীরা জানান, দিনের পর দিন তারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জীবন বিপন্ন করে থাকছেন, কিন্তু প্রশাসন কার্যকর সমাধানের পরিবর্তে কেবল তাদের হল ছেড়ে দিতে বলছে।

সরেজমিনে না এলে হবে কঠোর কর্মসূচি

ঢামেকের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডা. ফজলে রাব্বী হলের আবাসিক ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, অনেক দিন ধরে নিরাপদ আবাসনের জন্য আন্দোলন করছি। হলের ভগ্নদশা দেশবাসী দেখেছে। আজ কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম, কিন্তু সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাইনি। বরং আমাদের বারবার বলা হয়েছে হল ছেড়ে দিতে।

তিনি বলেন, আমরা এখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বলছি— আগামীকাল (২৩ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে তিনি যেন তার প্রতিনিধি দলসহ ঢামেকে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন এবং সমস্যার বাস্তব সমাধান দেন। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।

এক প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে হল ছাড়তে হবে, কিন্তু সেখানে কোথাও লেখা নেই যে ভবনের সংস্কারের জন্য এটি করা হচ্ছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আমাদের আন্দোলন দমন করতেই এই নির্দেশনা। আমরা এটা মানছি না। যেহেতু সংস্কার হচ্ছে না, আমরাও হল ছাড়ছি না।

তিনি আরও যোগ করেন, এই হলে থাকতে গেলে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় ভবন ভেঙে পড়তে পারে। এর দায়ভার তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকেই নিতে হবে, কারণ এখনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সেটা দায়িত্ব এড়ানোর নামান্তর হবে।

আরেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তৌহিদুল আবেদীন তানভীর (কে-৭৮ ব্যাচ) বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলনে দাবির বিষয়গুলোতে কতটুকু অগ্রসর হয়েছে জানতে চেয়েছি। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। শুধু মিটিং ডেকে, নির্দেশনা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি— আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যদি নিজে বা তার প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে না আসেন, তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন আরও কঠোরতর করতে বাধ্য হব।

বহাল আছে হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনার বিপরীতে শিক্ষার্থীরা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা হল ত্যাগ করবেন না। আজকের ঘোষণায় সেই সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, যেহেতু ভবনের সংস্কার বা বিকল্প আবাসনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেহেতু আমরা আমাদের হল ছাড়ছি না। আন্দোলন থামছে না।

প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে ঢামেক শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের মূল দাবিগুলো হলো- দ্রুত বাজেট পাস করে নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণ, নতুন ভবন চালু না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা, নতুন একাডেমিক ভবনের বাজেট অনুমোদন, পৃথক বাজেট ও বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ এবং প্রকল্পের অগ্রগতি দেখভাল করতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি।

কলেজ কর্তৃপক্ষ গতকাল এক আদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে এবং আজ ২২ জুন দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়ে এবং তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন।


আরও খবর



বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন ডেঙ্গুরোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৫২ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৪ জন এবং খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪১৩ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৪২৯ জন। তাদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ছয় হাজার ৫১৬ জন, মারা গেছেন ৩১ জন।

২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।


আরও খবর