Logo
শিরোনাম

এবারের বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেট ৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে। কারণ বাজেটে অকারণে অর্থ বৃদ্ধি করে লাভ হবে না।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আজ অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।

এবারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।


বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বাজেটের আকার ৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছেন দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। যেখানে আড়াই লাখ কোটি টাকারও বেশি বাজেট ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণের বিকল্প খুঁজে পাননি তিনি। বরাবরের মতো ব্যর্থতার পরও এনবিআরের কাঁধেই চাপালেন বাজেটের ৬০ শতাংশের বেশি অর্থ যোগানের দায়িত্ব।


আরও খবর



বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিয়ে অসন্তুষ্টি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের 'তৃতীয় টার্মিনাল : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এ বৈঠকে শাহজালাল বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ এবং টার্মিনাল-২-এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিয়ে অসন্তুষ্টি এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অংশীজনেরা।  বিমানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।


এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ -এটিজেএফবি'র  আয়োজনে  'তৃতীয় টার্মিনাল :সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক এ  গোলটেবিল বৈঠক আজ  রাজধানীর লা মেরিডিয়ান ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।  

বৈঠকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এভিয়েশন অপারেটর'স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান।  বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এটিজেএফবির সভাপতি তানজীম আনোয়ার।

বৈঠকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াসহ শাহজালাল বিমানবন্দরের অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার বিষয়টি আমরা দেখব। দুই বছর যে আমরা হাত দিয়ে বসে থাকবো বিষয়টা এমন নয়। যদি তার সক্ষমতার ঘাটতি হয় বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তিনি তৃতীয় টার্মিনাল চালু হতে আরও এক বছর লাগবে বলে জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হেন্ডলিং মতো সক্ষমতা আছে কি নেই, এটা প্রাথমিকভাবে পারসেপশনের একটি বিষয়। তার কারণ, বিমানের এতো দিন যে সার্ভিস আমরা পেয়ে আসছি সেটা মনপুত না।  একটি কমন অভিযোগ, আমি টিকিট পাই না কিন্তু বিমানে উঠে দেখি পুরো বিমান ফাঁকা। বিমান যেহেতু এখন আমার দায়িত্বে, সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেগুলো নিয়ে গতকাল আলোচনা করেছি।  শুধু আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না, আমি এগুলোর ইনেশপেকশনে যাই। আমাকে আপনার মুভিং কন্ট্রোল রুম বলতে পারেন। যদি বিমানের সক্ষমতার অভাব হয়, সেটার বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবো।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, এখন পর্যন্ত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল তৈরিতে ২৩ হাজার কোটি খরচ হয়েছে। একটি কি-নোট পেপারে দেখলাম দূর্নীতি না হলে এত টাকা খরচ হওয়া কথা না। নিশ্চয়ই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

তিনি বলেন, হাসান আরিফ বলেন, সব কিছুতেই সংস্কারের একটি বিষয় আসছে। দুদকও সংস্কার করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিষয় যেটি বিগত সরকারের ১৭ বছরে ঘটেছে, সেগুলোর শেত্বপত্র আসছে। সেভাবে বিমানেরও শেত্বপত্র আসবে। শেত্বপত্র মানে শুধু অভিযোগই আনা না, এটি আত্মশুদ্ধির একটি প্রক্রিয়া।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালসহ দেশের সব টার্মিনালগুলোকে উন্নত করার জন্য বেবিচক কাজ করছে। এসব টার্মিনালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য উপদেষ্টার সাথে আমাদের কথা হয়েছে। এখন শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু জাতির কাছে একটা স্বপ্ন। তবে এজন্য বেবিচক বসে নেই। সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করে যাচ্ছেন।

এর আগে প্রবন্ধে এভিয়েশন অপারেটর'স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক। তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশনের ক্ষেত্রে যেন রাজনীতির উপর অপারেশনাল বিষয় প্রাধান্য পায় তার জোর দাবি রাখব। তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা এবং টার্মিনাল অপারেশন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বর্তমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং মনোপলি ভেঙ্গে একাধিক কোম্পানিকে দেয়া হোক। এখানে বিমান প্রসঙ্গ নয়, বরঞ্চ গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মনোপলি ভাঙ্গা সম্ভব হলে চূড়ান্ত বিচারে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। আর অন্য অপারেটরের সাথে যোগ্য বিবেচনা হলে বিমানকেও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এতে দেশ এবং জনগণ একধারে আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং উন্নত সেবা পাবে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান পরিচালনা বোর্ডের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বিশ্বের কোথাও রাজধানী বাস ঘরের ভিতর বিমানবন্দর নেই। সেখানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তথা তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের সময় তার বিবেচনা করা হয়নি। এমন অপরিকল্পিত কার্যক্রমের জন্য ৫৪ বছরেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অর্জন শূন্য। তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও কোন একটি সংস্থা একক ভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। সেখানে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করছে বিমান। বিষয়ে সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে তা বলা যায় না।

ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জিএসএ রিদম গ্রুপের হেড অব বিজনেস মাসুদুজ্জামান বলেন, বিমান বাংলাদেশের জাতীয় এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান। আমরা চাই বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করুক।  কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো তাদের কাজের প্রক্রিয়া দীর্ঘ। বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার আগে বিমান থেকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার অনুমতি নিতে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ৪ মাসে বেশি সময় ঘুরতে হয়েছে।  তিনি বলেন,শাহজালালের নতুন কার্গো টার্মিনাল দেখার আমার সুযোগ হয়েছে। এ টার্মিনালটি বিশ্বের অন্যতম বড় ও আধুনিক। কিন্তু এখন যারা শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ব্যবস্থাপনা করছে, তাদের দিয়ে আদও তা ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে কিনা তা পর্যালোচনা জরুরী।

এয়ারলাইন্স অপারেটরস কমিটির ঢাকার (এওসি) চেয়ারপারসন দিলারা হোসেন বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগে যেসব অভিযোগ শুনেছি এখনো একই ধরনের অভিযোগ আসছে। এই বিমানবন্দরে ক্রমেই বিদেশি এয়ারলাইন্স বাড়ছে। কিন্তু গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং এর সেবার মান বাড়ছে না।

গোল টেবিলে বেবিচকের সদস্য (অপারেশন্স এন্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, এয়ার এ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ, কাতার এয়ারওয়েজের কার্গো ম্যানেজার সুহেদ আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার এটিএম নজরুল ইসলাম, লা মেরিডিয়াল বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার কনস্টান্টিনোস গ্যাভরিয়েল, বেঙ্গল এয়ারলিফটের গ্রুপ সিইও বাহাউদ্দিন মিয়া, থাই এয়ারওয়েজের এয়ারপোর্ট সার্ভিস সুপারইন্টেন্ডেন্ট সৈয়দ ইয়াসেরুল আলম, এয়ার ইন্ডিয়ার এয়ারপোর্ট ম্যানেজার শয়নদেব ঘোষ, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার সেরকান অ্যাকেন , ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম-জনসংযোগ কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কবির আহমেদ ছাড়াও দেশি বিদেশী এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর, ওটিএ’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মূল্য নিয়ন্ত্রণে ১৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে আরো ১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




সবজির বাজারে শীতের আমেজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি ও মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। এছাড়া শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে দাম। একই সঙ্গে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম। তবে এখনও চড়া আলু ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আলুর দাম চড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে আলুর দাম বাড়তি। হিমাগার থেকেই এখনও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। ফলে আলুর দাম কমছে না। অন্যদিকে, কৃষকের ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা বাজারে আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।

খুচরা বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। সেই হিসাবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কৃষকের শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। তিন সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি শিম ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, শালগম ১০০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য সবজি ও শাক আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৬-১৭ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বেড়েছে।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮৫ টাকায়। বেশ কিছুদিন ধরেই পণ্যটি ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম।

ডিমের ডজন চড়া দাম ১৫০ টাকায় স্থির থাকলেও কোথাও কোথাও পাঁচ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




সমালোচনায় মাহিয়া মাহি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বছরজুড়েই কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কখনও বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদ নিয়ে, কখনও সন্তান নিয়ে। কখনওবা আবার রাজনৈতিক মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি।

এবার মাহির একটি স্ট্যাটাস নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়, যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ভক্ত-অনুরাগীরা ভাবছেন, হয়তো হতাশা থেকে এমন কথা বলেছেন মাহি।

গত ১৬ নভেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটস দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন, ‘ঝগড়া করারও কেউ নেই।’ অভিনেত্রী পোস্টটি করা মাত্রই তার কমেন্টসবক্সে মন্তব্যের ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আমারও ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে। আরেকজন লেখেন, কোনো চিন্তা করবেন না, যার কেউ নেই তার জন্য আমি আছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার ভেঙে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের আড়াই বছর মাথায় দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন মাহি-রাকিব।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় আলোচিত সুমন হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামীকে আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পত্নীতলায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী সুমন হোসাইন (২৩) হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামী বুলবুল (৩৫) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার ২১ নভেম্বর দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান। এর আগে ভোরে ঢাকার গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত বুলবুল হলেন, সুমন হোসাইন হত্যা মামলার মূল আসামী সে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার গাহন গ্রামের আব্দুল করিম এর ছেলে। আর হত্যার শিকার যুবক সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন ও শাহিদা'র ছেলে। সুমন হোসাইন পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন ফটোস্ট্যাটের স্বত্বাধিকারী। 

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, গত ১৭ নভেম্বর রাত সারে ১০টায় নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে সুমন দাবি করেন বুলবুল এর কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্পও নেন। সেই টাকা বৃদ্ধি পেতে পেতে ১০ লাখ টাকা হয়ে যায়। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দন্দ চলছিল এবং বুলবুল সুমনকে চাপও দিচ্ছিলেন। সেই টাকাই সুমন রাতে মহাদেবপুর উপজেলা থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তার মাঝখানে বুলবুল তার কিছু লোক দিয়ে তাকে ধাওয়া করে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন বলে লাইভে বলেন। এরপর একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ কর্মকর্তা


গাজিউর রহমান আরো জানান, এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পালিয়ে বেড়ান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বুলবুল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। তবে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা কারা জড়িত এর মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টারদিকে নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে কথা বলেছিলেন সুমন হোসাইন। সেই ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভ ভাইরাল হয়। জানা যায়, কিছুদিন আগে তিনি নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মজসিদ মার্কেটের বুলবুল টেলিকমের স্বত্বাধিকারী বুলবুল হোসেনের কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল সুমন হোসাইন এর কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকের পাতা নেন। ঋণ গ্রহণের পর সুমন পর্যায়ক্রমে সুদসহ বুলবুলকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বুলবুল সুমনের কাছ থেকে প্রথমে আরো ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং পরে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকার জন্য বুলবুল সুমনকে হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন। নিরুপায় হয়ে সুমন বুলবুলের দাবি করা ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে  গত সোমবার ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চান। বুলবুলকে টাকা দেওয়ার জন্য সুমন মহাদেবপুর থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ১৭ নভেম্বর রবিবার রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামে ফিরছিলেন। সুমনের ভাষ্যমতে, তিনি গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌঁছালে বুলবুল এর নের্তৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সুমন পালিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ছিনতাইকারীরা তার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যার জন্য খুঁজছে বলেও দাবি করেন সুমন। লাইভে সুমন বলে যান, মহাদেবপুর থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার খবর বুলবুল ছাড়া আর কেউ জানত না। সুমনের ফেসবুক লাইভ দেখে তার গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া ও আশপাশের গ্রামের লোকজন নাদৌড় মোড়ে ছুটে আসেন। লোকজন ছুটে এসে সুমনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে উপজেলার পদ্মপুকুর বালকাপাড়া গ্রামের একটি গাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পলাতক ছিলেন।


আরও খবর