Logo
শিরোনাম

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে কুমিল্লায় বিশাল জশনে জুলুছ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো ঃ

 আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর উদ্যোগে কুমিল্লা নগরে জশনে জুলুছ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  

 সকালে নগরের সুজানগর এলাকা থেকে বখশীয়া দরবার শরীফ থেকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর আয়োজনে বিশাল জশনে জুলুছ বের হয়ে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  নগরের দারাগাবাড়ি হযরত শাহ গাজীপুরী (রহ:) দরবার শরীফে মাহফিল দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন পীর শাহজাদা কুতুব উদ্দিন বখশী।

এসময় শাহপুর দরবার শরীফের পীরসাহেব হযরত গোলাম আবদুল কাদের কাওকাব, কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কমিটির জুলুছ সম্পাদক খাদেম মোঃ ফিরোজ, কাউন্সিলর এড শওকত আহমেদ , কাউন্সিলর বাবুল মিয়া , কাউন্সিলর হানিফ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গৃহবধু আয়না হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল'কে ঢাকার আদাবর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ কাম্প থেকে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর চৌকস অভিযানিক দল মঙ্গলবার ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকা অভিযান পরিচালনা করে গৃহবধূ আয়না হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২), দেবর শাকিল হোসেন (২২) উভয়ের পিতা খোরশেদ আলম এবং তাদের মা মোসাঃ আমেনা বেগম কে আটক করা হয়। আটককৃতরা সকলে, নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের বাসিন্দা।


মামলার বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গত ১২ মার্চ নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) কে ভোর রাতে বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশ কে খবর দিলে সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, মৃত আয়না আক্তারের সাথে তার শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল এর সাথে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমীরা ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকতো। সেই জের ধরে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে জানান মৃতের স্বজনরা। এঘটনায় মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামুইরহাট থানায় ভাতিজিকে শ্বাসরোধে হত্যার দ্বায়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলার পর থেকেই শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল ও আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ আত্নগোপনে চলে গেলে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩ মার্চ আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ কে নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর থেকে আটক করেন এবং আমেনা, এরশাদ ও শাকিল কে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল কে ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকায় থেকে ২৬ আটক করা হয়।


আরও খবর



টি-টোয়েটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আর মাত্র দেড় মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েটি বিশ্বকাপের নবম আসর। এই আসরকে কেন্দ্র করে স্কোয়াড গোছাতে মাঠে নেমে পড়েছে দলগুলো। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়, শক্তিশালী দল তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পারছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল।

বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড প্রায় চূড়ান্ত বিসিবির। শুধু কয়েক জায়গায় বার বার চিন্তা করছে নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়ক।

শ্রীলঙ্কার সিরিজের মাঝ পথে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তবে আসন্ন বিশ্বকাপে তার ওপরেই ভরসা রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার সঙ্গী হিসেবে দেখা মিলবে সৌম্য সরকারের। বাড়তি ওপেনার হিসেবে দলে জায়গা পাচ্ছেন তরুণ তানজিদ তামিম।

লঙ্কানদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সৌম্যর বদলি হিসেবে খেলতে নেমে ৮১ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস অর্জন করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, এরপর তাওহীদ হৃদয় এবং সাকিব আল হাসানের জায়গা নিশ্চিত।

ফিনিশারের ভূমিকা পালনের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি তরুণ জাকের হোসেনকে দলে রাখতে চায় নতুন নির্বাচক প্যানেল। বিপিএলের পর লঙ্কানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

বাংলাদেশের স্কোয়াডে তিন পেসার অটোচয়েজ। যেখানে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে পেস বিভাবে শক্তি বাড়াতে লড়াই হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মধ্যে। দীর্ঘ দিন ধরেই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছে টাইগাররা।

তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হওয়ায় বিশ্বকাপ দলে সাইফউদ্দিনই এগিয়ে রয়েছে। কারণ, নতুন বলে সুইং এবং ডেথ ওভারে এই ডান বোলারের ইয়োরকার দেওয়ার দক্ষতা যেকোনো দলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

অন্যদিকে স্পিন বিভাগে মূল ভূমিকায় থাকবেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে দেখা যাবে লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন ও অফ স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী। বিপিএল এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। ফলে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের ১৪ জন ক্রিকেটার চূড়ান্ত।

তবে ১৫ নম্বর সদস্য কে হবে তা নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করছে নির্বাচকরা। একটি জায়গার জন্য লড়াই করছেন তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন পাটেয়ারী ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে সাইফউদ্দিনকে দিয়ে চার পেসার নিশ্চিত হওয়ায় এই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছেন তানজিম সাকিব।

তাই মিডিল অর্ডারের অভাব পূরণের জন্য শামীম ও আফিফের মধ্যে একজনকে বেঁছে নিতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আফিফের বিপিএলের ব্যর্থতা এবং দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকায় শামীমের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। এ ছাড়াও কোচ হাথুরুসিংহের অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন আফিফ। ফলে সব কিছু মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়তো মিস করতে চলেছে এই বাঁহাতি ব্যাটার।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মাহেদী ও শামীম পাটোয়ারী।


আরও খবর



ঈদে সড়কে মৃত্যু বেড়েছে, মোটরসাইকেলেই বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদে প্রতিবারই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনসহ গত তিন দিনে সড়কে প্রাণহানির পরিমাণটা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক মোটসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনজন পর্যন্ত মারা যাওয়ার খবর আসছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বয়সও বেশি নয়। স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রও রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল আরোহী।নিহতদের মধ্যে পঞ্চগড়ে চারজন, খাগড়াছড়িতে তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন, ঢাকায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, যশোরে একজন, নেত্রকোনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন এবং নড়াইলের দুইজন রয়েছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার এবং আজ তৃতীয় দিন শনিবারও সারাদেশে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

এসব দুর্ঘটনায় শুধু নিহতই নয়, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার সংখ্যাটিও বেশ উদ্বেগজনক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত মোট তিন দিনে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যাটিও অনেক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি নিয়ম-নীতি না মানা, কমবয়সি কিশোর ও তরুণদের অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। দল বেঁধে প্রতিযোগিতা ছাড়াও ট্রাফিক তদারকির অভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঈদের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের মোট দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশিই মোটরসাইকেলে ঘটে থাকে। তার মধ্যে ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ঘটে। এই সময় অনেকেই মহাসড়কে যানজট এড়াতে বাড়ির পথে যাত্রা করেন। দেখা যায়, সাধারণ সময়ে হয়তো মোটরসাইকেলে একজন থাকেন; কিন্তু ঈদের সময় স্ত্রী, বাচ্চা এবং নিজে থাকার পরেও পেছনে একটা কাপড়ের ব্যাগ থাকে। যেটা ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।


আরও খবর



ভাঙ্গাড়ি দোকানের কর্মচারী হাজার কোটি টাকার মালিক নাজিম!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন। এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগিদের অভিযোগ থেকে জানা যায় ,লক্ষীপুরের এক হত দরিদ্র পরিবারে নাজিম উদ্দিনের জন্ম, পিতা-আবু তাহের, জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । সন্তানদের বেশি লেখাপড়া করাতে না পারলেও ছোট বেলা থেকেই জামাতের আদর্শে বড় করেছেন।

পিতার অভাবের সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় চলে আসেন নাজিম । ভাষাণটেক বস্তিতে অবস্থানকালে মাসিক  তিন হাজার টাকা বেতনে ভাঙ্গারীর দোকানে চাকুরী নেন। ধীরে ধীরে নাজিম উদ্দিন এলকার বিভিন্ন নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ভাঙ্গারী দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রি করে কিছু টাকা পুজি করেন । পরবর্তীতে নব্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিনের সাথে সখ্যতা গড়ে  ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদি নামাপাড়ায় নেতার বাড়ির পাশেই নাজিম বাসা ভাড়া করে ।

আব্বাস উদ্দিনের নির্দেশে ও অর্থায়নে নাজিম উদ্দিন ভূইয়া শুরু করেন জমি কেনা বেচার ব্যবসা। নিউগিনি প্রপার্টিজ লি: নামে সাইন বোর্ড লাগিয়ে শুরু করেন জমি দখল । এলাকার নিরীহ দরিদ্র জমির মালিকদেরকে টার্গেট করে নাজিম উদ্দিন জোর পূর্বক জমি দখল ও জমি ভরাট শুরু করেন। নিজের ভাই সাইফুল, শামীম, তাজুল, রেজাউলকে রাজননৈতিক ছায়া ও শেল্টার দেন আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন । আর সন্ত্রাসী শাহীন, নয়ন, মিলনসহ শতাধিক অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী নিয়ে গড়ে তোলেন নাজিম বাহিনী । নামাপাড়ার জলাধার ধীরে ধীরে গিলতে থাকে নাজিমের নিউগিনি প্রপার্টিজ।

আওয়ামী নেতার ছত্রছায়ায় নাজিম বাহিনী রাতের আঁধারে শত শত ড্রাম ট্রাক ভরে বালু ফেলে এলাকার নিরীহ দরিদ্র লোকের জমি দখল করে ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে শেয়ার আকারে ও প্লট আকারে  বিক্রি করতে থাকে । শত শত সেনা,নৌ,বিমান,পুলিশ বাহিনীর সদস্য সহ স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের শেষ সম্বল দিয়ে নাজিম উদ্দিনের নাম সর্বস্ব কোম্পানিতে জমি কিনতে ছুটে আসে। চটকদার বিজ্ঞাপন আর অল্প দামে প্লট/শেয়ার পাবার আশায় শত শত মানুষ নাজিমকে দেয় কোটি কোটি টাকা।

এভাবে অবৈধ টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন । স্থানিয় বাসিন্দা এবং তার নিজ গ্রামের লোকজনের ধারনা নাজিমের হাতে আলাদিনের চেরাগ আছে নইলে এত অল্প সময়ে কি ভাবে এত টাকার মালিক হলেন । তার অবৈধ টাকা থেকে নামাপাড়ার ঐ আওয়ামী নেতাকে মাসিক দশ লক্ষ টাকা প্রদান করে । এর বিনিময়ে  সকল অপকর্ম হালাল করতে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় জমি দখল করে পাহারা দেয় ফলে দিন দিন ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন হয়ে উঠছে শক্তিশালী ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ার সাহারা মৌজার আরএস ৫৬১, ৫৬২, ৫৬৫ দাগের প্রায় ১০ বিঘা জমি দলিল ও নামজারী ছারা শুধুমাত্র অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন দখল করে রেখেছেন। প্রকৃত মালিকগণ এসব জমির কাছে যেতে পারে না।

এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তার মুঠো ফোনের নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়। জোর পূর্বক দখল করা ১০ বিঘা জমিতে নাজিম বাহিনী অস্ত্র হাতে নিয়ে দিন রাত পাহারা দেয় । এলাকার সকল প্রকার নির্মাণ ও উন্নয়ন মূলক কাজে নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালিত সাপ্লায়ারদের নিকট থেকে বাজার মূল্যের বেশি মূল্যে মালামাল কিনতে বাধ্য হয় । নাজিম বাহিনীর বেধে দেওয়া চড়া দামে নির্মাণ সামগ্রী না কিনলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় । রাতের বেলায় নাজিম বাহিনীকে চাঁদা না দিলে কোন বালুর ট্রাক ঢুকতে পারেনা । এভাবেই চলছে নাজিম উদ্দিনের অপকর্ম। ক্যান্টনমেন্ট থানায় নাজিম বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় দেড় ডজন ফৌজদারী মামলা। নামে বেনামে নাজিম উদ্দিনের রয়েছে অঢেল, সম্পদ।

 ভাঙ্গারীর দোকানের কর্মচারী থেকে নাজিম উদ্দিন  হাজার কোটি টাকার মালিক । জোয়ার সাহারা মৌজার ৬১০, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬১৪, ৬১৫, ৬১৬ ও ২৫৬ দাগে রয়েছে নাজিম উদ্দিনের প্রায় বিশ বিঘা জমি। বাউনিয়া মৌজার ২৫৭ নং দাগের ১০ বিঘা, মিরপুর ডিওএইচএস এ তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের ২টি ফ্ল্যাট। গ্রামের বাড়ীতে কিনেছে ২০ বিঘা জমি। দুবাইতে রয়েছে ২টি স্বর্নের দোকান ।

কয়েকমাস আগে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটেছেন নাজিম উদ্দিন। এ বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল বলেন, সেনা বাহিনী থেকে অবসর গ্রহনের পর আমার উর্দ্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৩ নং দাগের ৫(পাঁচ) বিঘা জলাশয় জমি ক্রয় করি। নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করি। ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামীলীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছি।

প্রায় ১৫/২০ জন সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম বাহিনী জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। জমির কাছে গেলেই লাঠি সোটা নিয়ে আক্রমন করে। জীবন বাঁচাতে জমির মায়া ছেড়ে গৃহবন্ধী হয়ে আছি । পথ চলতে ভয় পাই। ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের নিকট নাজিম বাহিনী ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করলে বোরহান উদ্দিন দিতে অস্বীকার করলে নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমন করে ও তার জমি দখল করে নেয়। এতে বাধা দিলে নাজিম বাহিনী রাতে তার বাড়ীতে হামলা করে ও তাকে বেদম প্রহার করে। এছাড়া এলাকার বেশ কয়েকটি বিয়েল এস্টেট ও হাউজিং কোম্পানির প্রায় ১২ বিঘা সম্পত্তি নাজিম বাহিনী জোর পূর্বক দখলে নিয়েছে। 

সিআইডি অফিসে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে, দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও নাজিম উদ্দিনের অত্যাচার থেকে এলাকার নিরীহ এমন কি সরকার দলীয় লোকজনও রেহাই পায়নি। এক অদৃশ্য শক্তির বলে জামায়াতের অর্থযোগান দাতা আইনের উর্দ্ধে থেকে অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। সাধারণ জনগন নাজিম বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় এবং ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিনের অবৈধ দখল থেকে তাদের জমি জমা ফেরত চায় ।  শফিকুল ইসলাম লালমিয়া, ক্যান্টনমেন্ট ১৫ নং ওয়ার্ডের একজন ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা ।

জামায়াত বিএনপির কর্মী নিয়ে চাঁদাবাজী ও ভূমিদস্যুতার ইন্দন দেবার প্রতিবাদ করায় নব্য আওয়ামী নেতা আব্বাস উদ্দিন লালমিয়াকে নিজে কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিলে তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী লালমিয়াকে খাবার টেবিল থেকে ডেকে নিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এ বিষয়ে লালময়িার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পিতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।

২১ শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় জননেত্রীর জীবন বাঁচাতে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিজের শরিরে ধারন করে কিছুদিন আগে মৃত্যুবরন করেন । তার সন্তান হয়েও নব্যআওয়ামীলীগের হাতে মাইর খেয়ে পঙ্গু হতে চলেছি।  হামলাকারি নব্যআওয়ামীলীগ নেতার নাম বাদ দিয়ে মামলা নেওয়া হলেও আসামী না ধরায় মামলা তুলে নেবার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে । এতে আমার পরিবারের চলাফেরা সীমিত হয়ে গেছে । ছেলে মেয়ের লেখা পড়াব বন্ধ হয়ে গেছে । আব্বাস উদ্দিনের সহযোগীতায় বিএনপি জামায়াতের অর্থ যোগান দাতা জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামীলীগ এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। আব্বাস উদ্দিনের আশ্রয় প্রশয়ে জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিন অন্যের জমি দখল করে হাজার কোটি টাকার মালিক।


আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাই বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিক ভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে ডব্লিউএইচওর অংশীদার হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল।


আরও খবর