Logo
শিরোনাম

ঈদে ঢাকা ছাড়ছে ৬৫ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬৬ মানুষ ঢাকা ছাড়েন। ঢাকার বাইরে যাওয়া সিমের হিসাব দিয়ে এমন তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি। গত ঈদুল ফিতরে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৬ লাখ। তবে এই হিসাব গড়ে জনপ্রতি সিমের সংখ্যায় ধরা হয়েছে। ১৮ বছরের নিচে কেউ এই হিসেবের মধ্যে পড়ে না।

মন্ত্রী চারটি অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি অ্যাজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সিমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা পরিসংখ্যানটি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

এতে দেখা যায়, শুক্রবার ও শনিবারে রবির মোট ১৫ লাখ ৪৫ হাজার, গ্রামীণফোনের ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার, বাংলালিংকের ১৪ লাখ ১৭ হাজার ও টেলিটকের ১ লাখ ৬৮ হাজার সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছাড়েন।

তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, মোবাইল ব্যবহারকারীর চেয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি হবে। কারণ অধিকাংশই পরিবার নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন। একটি পরিবারের সবাই মোবাইল ব্যবহার করে না বিশেষ করে অল্প বয়সীরা। আবার অনেকেই আছেন একাধিক সিম ব্যবহার করেন।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




মানিকদির ‘আতঙ্ক’ নাজিমের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার এলাকারআতঙ্কনাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না অন্তত ৩০ মামলা অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে তার বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক হাজার টাকা বেতনে ভাঙারীর দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন

জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড তার কর্মকান্ড দিনদিন এতোই ভয়ংকর হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে

এলাকাবাসী জানায়, সমপ্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তাসহ জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি কেনেন নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে জমির কাছে গেলেই লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে নাজিমের বিরুদ্ধে


অপর এক মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে তার জমি দখল করে নেয় এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সি ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়াও রয়েছে জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয় এছাড়াও লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানী মামলা করলে আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক সময় অভিযানে আসা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন


তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া সবসময় গণমাধ্যমকে বলে এসেছেন অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে সবশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেছেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ভূমিদস্যু নাজিমের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি এলাকার ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।এলাকার বিভিন্ন মানুষের নামে ভূয়া হয়রানী মুলক মামলা করে নানান ভাবে হয়রানি করে এই নাজিম ।

আবুল ফজল নামের এক ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উপর দিয়ে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ও ১৫০ ফুট চওড়া মিরপুর ডিওএইচএসগামী সড়ক নির্মাণের ফলে মাটিকাটা মানিকদি এলাকার রাস্তার দুপাশের জমির মূল্য বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় এ এলাকার জমির ওপর বহু মামলার আসামি ভূমিদস্যু নাজিমের দৃষ্টি পড়ে। জোয়ার সাহারা মৌজার সিএস ও এসএ-৬১০, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬১৪, আরএস-৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৫ এবং মহানগর-৩৪৩০১, ৩৩৯০৪, ৩৩৯১১, ৩২২৪৮ ও ৩২২৮৯ দাগের প্রায় ১০ বিঘা সম্পত্তির রেকর্ডিয় মালিক এ এলাকার প্রায় ১০০ নিরীহ ব্যক্তি। তাদের নেই কোনো শিক্ষা, নেই কোনো অর্থ, নেই কোনো শক্তি। তাদের এ দুর্বলতার সুযোগে নাজিম মানিকদি এলাকায় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে তোলে এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।

মানিকদি এলাকার ১০ বিঘা সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নাজিম উদ্দিন জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভুয়া দলিল পর্চা দেখিয়ে মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধশত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও নানা প্রকার পেশাজীবীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে জমির শেয়ার ও ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সংগ্রহ করে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জোর করে এসব জমি দখল করে নানা প্রকার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫০টির অধিক মামলা রয়েছে। নিরীহ মানুষের জমিতে নিজ নামে মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণ করে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজ দখলে নেওয়া হয়। মানুষের জমি এলাকার চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে মসজিদের সাইন বোর্ড লাগিয়ে শত শত পরিবারকে জিম্মি করে জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। জমির মালিকরা নিরুপায় হয়ে নাজিম উদ্দিনসহ ৬৬ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন। বিচারক ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ, বেদখল, হস্তান্তর, অবৈধভাবে নির্মাণ থেকে নাজিম গংকে বিরত থাকতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। এর পরও তিনি তার অবৈধ দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অসহায় হয়ে পড়েছে। এলাকার কেউ এদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। কোনো মামলা হলেও নিরপেক্ষ সাক্ষীর অভাবে জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অবৈধ উপায়ে ভূমিদস্যু নাজিম হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন। এর মধ্যে জোয়ার সাহারা মৌজায় প্রায় ২০ বিঘা জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বাউনিয়া মৌজায় ১০ বিঘা জমি যার বাজার মূল্য ১৫ কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস-এ ৪০০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট আছে যাহার বর্তমান বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস রোডে সিটি কাবাব-এর ৫ কাঠা জমি, যার বাজার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। লাল মিয়ার টেক মানিকদি এলাকায় ৫ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবন, যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনটি প্লট ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা। গ্রামের বাড়িতে প্রায় ৮০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। দুবাইতে তার স্বর্ণের দোকানে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। মালয়েশিয়ায় রয়েছে তার দুটি দোকান ও একটি তেলের পাম্প, বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় পচিশ কোটি টাকা। পূর্বাচল পাতিরা মৌজায় তার রয়েছে ১০ বিঘা জমি, যার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। নাজিমের এসব অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে।

নাজিম তার কিশোর গ্যাংদের দিয়ে রাতের আঁধারে কাউসার ও ইয়াবা মনিরের মাধ্যমে অন্যের জমি দখল করে তা ভুয়া দলিল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন।

রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অন্যের জমিতে জোর করে বালু ভরাট করে নাজিমের সাইনবোর্ড লাগালেই মালিক পরিবর্তন হয়ে যায়। একদিকে সাধারণ শেয়ার ক্রেতাদের ঠকিয়ে নিজে অর্থের পাহাড় গড়ে চলেছেন, অন্যদিকে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুতার একটা বড় অংশ টাকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দিয়ে নাজিম পুরো এলাকাকে ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তুলছেন। ভাইসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নামে শুধু ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০টি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও জোর করে জমি দখলের মামলা রয়েছে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ১৫০ সেনাসদস্যের সমবায় সমিতির কেনা জমি নাজিম বাহিনী জোর করে দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া মানুষকে অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় হত্যা, গুমসহ নানা ভয়ভীতি দেখালে ৫০টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নাজিম বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।

মানিকদি এলাকার ভুক্তভোগী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী রেজাউল ও ক্যাপ্টেন জহির বলেন, আমরা আমাদের পেনশনের টাকা নাজিমের কাছে দিয়ে বিপদে পড়েছি। তার অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। নাজিম বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান তারা।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বেশ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।

সোমাবার (৮ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক থাকার চিত্র দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাস স্ট্যান্ডের যানবাহন সড়ক দখল করে রাখাসহ নানা সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে এবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ নেই।

মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক প্রায় ফাঁকা বলা চলে। এতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখান থেকে বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেবো। আশা করছি, বাকিটা পথ স্বস্তির হবে।

সিএসজিচালিত অটোরিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, মহাসড়কে কোনও যানজট নেই। আজ গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়নি। যানজটের ভোগান্তি নেই।

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের জব্বর মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে চিটাগাংরোড চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো। তবে এখনো ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে, ওই সময়ে যানজট হয় কি না তা বলা সম্ভব নয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম রয়েছে। গাড়ির চাপ একেবারে নেই। তবে বিকালের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।

এবারের ঈদযাত্রায় যানজট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। আশা করছি, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ফলে যানজটের শঙ্কা নেই।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী (৭) কে ধর্ষণের অভিযোগে  সোহাগ তরুন (১৬) কে আটক করেছে পুলিশ। ভিকটিম শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই মহাদেবপুর থানা পুলিশ ঐ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক পূর্বক বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ। আটককৃত সোহাগ তরণী স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র ও শিবগঞ্জ বাজারের যুগল তরণী'র ছেলে। 

মামলা সূত্রে জানায়, ভিকটিম শিক্ষার্থী স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। তাকে চকলেট দেয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী সোহাগ তরণী তার নিজ শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিম এর চিৎকারে তার মা ছুটে এসে রক্তাত্ব অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার পরই পুলিশ অভিযুক্ত কে আটক পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করেন।


আরও খবর



তীব্র গরম উপেক্ষা করে রমনায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পয়লা বৈশাখকে বরণ করতে রাজধানীর রমনা পার্কে মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে আসছেন নারী-পুরুষ ও শিশু। শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের সামনের দুটি গেট দিয়ে তারা পার্কে ঢুকছেন। সবাইকে রমনায় প্রবেশের আগে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। শাহবাগ ও মৎসভবনের মাঝে ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে আরেকটি গেট করা হয়েছে। সেটি দিয়ে পার্কে প্রবেশকারীরা ঘোরা শেষে বের হচ্ছেন। তবে বের হওয়া মানুষের চেয়ে প্রবেশের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত ধরে শত শত মানুষ হাঁটছেন। তাদের সবার পরনে কম বেশি বৈশাখের পোশাক। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ ছবি তুলছেন। নিজেকে সেলফিবন্দি করতে ভুলছেন না তারা। কেউ আবার রোদের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সাথে ছাতা নিয়ে এসেছেন।

আজ আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেদিকে খেয়াল নেই পয়লা বৈশাখ উদযাপনকারী মানুষজনের। রমনায় প্রবেশের পর লোকজন পুকুরপাড়ের ধার ধরে কেউ বসে গল্প করছেন, কেউ আবার নতুন তৈরি পুকুরের কোল ঘেঁষে কংক্রিটে বাঁধানো পাড়ে হেঁটে সময় কাটাচ্ছেন।

তবে প্রচণ্ড রোদ থাকায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গরম থেকে রেহাই পেতে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য কেউ কেউ আইসক্রিম এবং ঠান্ডা জাতীয় বরফ শরবত কিনে খাচ্ছেন।

শাহবাগের শিশু পার্কের বিপরীতে রমনার প্রধান গেট। তার পাশের ফুটপাতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন আনিস আহমেদ। এসেছেন পুরান ঢাকা থেকে। তিনি বলছিলেন, অনেক কষ্টে ঢুকেছিলাম ভেতরে, কিন্তু এত মানুষ! হাঁটার মতো পরিবেশ নেই। বাধ্য হয়ে এখানে বসে আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি।

খিলগাঁও এলাকা থেকে এসেছে নবীন ও আয়েরা। তারা দুজন স্কুলপড়ুয়া। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে তারা। এখন রমনা পার্কটা ঘুরে দেখার জন্য মৎস্য ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের মতে, রমনা পার্কে অন্য দিন আসাটা আর আজকে আসাটা এক নয়। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বৈশাখের আমেজে আজ রমনা পার্ক সেজেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রবেশ করছে এতে। ফলে অন্যরকম একটি দেখার দৃশ্য।

তীব্র গরমের হাঁপিয়ে ওঠা মানুষজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি সরবরাহ করতেও দেখা গেল। পার্কজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে তারা বেশ তৎপর।

রমনার বটমূলে কোরাস গান গেয়ে সূর্য ওঠার মুহূর্তে বৈশাখকে বরণ করা হয়। এই আয়োজনে শতাধিক শিল্পী অংশ নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি শাহবাগ ও ঢাকা ক্লাব হয়ে আবারও চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪