Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ঈদের আগে ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সরকার নির্ধারিত মূল্যে কিছু পরিমাণ বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও সেটা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। আবার কারখানা থেকেই খোলা সয়াবিন তেলের দাম চাওয়া হচ্ছে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট :

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে। বেশি দামেও মিলছে না বোতল জাত সয়াবিন তেল।

ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, গত বুধবার বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গেলে বোতল জাত তেল নেই বলে দোকানদার জানায়। পরে দাম বেশি দেওয়ার কথা বললে ৫ লিটার বসুন্ধরা তেল দেয়। কিন্তু বোতলের সঙ্গে তেলের মূল্য ৭৬০ টাকা লেখা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ৮৬০ টাকা। বাজারের বিভিন্ন ক্রেতা জানান, বসুন্ধরা ৫ লিটার তেলে সঙ্গে ৫ কেজি আটা, তীর ৫ লিটার তেলের সঙ্গে ২ লিটার সরিষার তেল নিতে বাধ্য করছে, তা না হলে তারা সয়াবিন তেল বিক্রি করছে না। এতে বাধ্য হয়ে অনেকেই তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাউফল (পটুয়াখালী) : গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল বাজারের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল নেই। আবার খোলা তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দোকানদার বোতলজাত তেলই বিক্রি করছেন না। এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটে সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

সোয়াবিন তেলের দাম জানতে গেলে পৌর সদরের লোকনাথ ভান্ডারের দোকানি সঞ্জয় কুমার বনিক সাংবাদিকদের বলেন, এক সপ্তাহ থেকে বোতলজাত তেল সংকট চলছে।

পৌরসদরের বাসিন্দা ক্রেতা রিয়াজ বলেন, গত ১০ দিন আগে খোলা সয়াবিন তেল কিনলাম ১৮০ টাকা কেজি। সেই তেল এখন কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।

পৌর সদরের বাংলাবাজার এলাকার আরেক ব্যবসায়ী আবদুল জলিল বলেন, সয়াবিন তেলের চাহিদা আছে কিন্তু সরবরাহ নেই। ডিলাররা বলছেন সরবরাহ বন্ধ।’

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) : বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেল ২০০ টাকা লিটার মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এতে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। বিক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহ যাবত কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। তাই বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। যাও পরিমাণে অল্প পাওয়া গেলেও বেশি দরে কিনে বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বোয়ালমারী বাজারের মেসার্স সাহ স্টোর, দত্ত ভান্ডারসহ বিভিন্ন স্থানের একাধিক মুদি দোকানদার বলেন, ইন্দোনেশিয়া তেল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই মুনাফালোভীরা তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ফরিদপুরের সভাপতি শেখ ফয়েজ আহমেদ বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পেছনে ডিলার ও পাইকারদের হাত রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারি ও বিশেষ অভিযান নিয়মিত করা হলে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অবৈধভাবে মুনাফা অর্জন করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। প্রায়দিনই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। খোঁজখবর নিয়ে এর সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাগেরহাট : বাগেরহাটে সয়াবিন তেলের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তেল কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ভোক্তারা। খোলা তেলও বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত তেলের থেকে বেশি দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অগ্রিম টাকা দিয়েও কোম্পানি থেকে তেল পাচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজারসহ অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। যেসব দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল রয়েছে, তারা ১৬০ টাকা গায়ের রেটে ১৭০ টাকা লিটার বিক্রি করছেন। এছাড়া খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, দাম বেশি নেওয়ার অপরাধে আমরা বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানাও করেছি। বর্তমানে যদি কোনো ব্যবসায়ী এ ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে স্বল্প দূরত্বের পরিচিত যান হিউম্যান হলার-লেগুনা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুটপারমিট ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলেও প্রভাবশালী রাজনীতিকদেরমদতেআর পুলিশের আস্কারায় লক্কড়ঝক্কড় অবস্থায় বছরের পর বছর বীরদর্পে রাজপথে চলছে বিপজ্জনক এই যান পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে লেগুনায় রূপান্তর করা এসব যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণও 

ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে, এসবের স্টিয়ারিংও রয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে। যাদের হেলপারও কোমলমতি শিশু। লেগুনা মালিক-শ্রমিকরা এক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না। শিশুশ্রম বিষয়টিও বেমালুম কেয়ারই করছে না শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তবে কাগুজে তৎপরতা কিছুটা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

ছাড়া দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলেও নিয়ে কোনো ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। নিয়মনীতি মেনে না চলা এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নজিরও খুবই কম। যার অন্যতম কারণ এসব লেগুনার মালিকানায় রয়েছেন খোদ পুলিশ সদস্যরাও। গতকাল দৈনিক বাংলা মোড়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় দুই কনস্টেবলের সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)  

তারা জানান, রাজনৈতিক নেতা, প্রতিবন্ধী, সাংবাদিক পুলিশের মালিকানায় চলছে রাজউক ভবনের সামনে থেকে বাসাবো-খিলগাঁও রুটের লেগুনা। রুটপারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই; জানা থাকলেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। কোনো একটি লেগুনা আটকালেই সাংবাদিক, না হয় রাজনৈতিক নেতা কিংবা খোদ পুলিশ অফিসাররাও ফোন দিচ্ছেন। চা খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছেন। 

তবে প্রতিদিন দৈনিক বাংলা মোড়ে ফকিরাপুল মোড়ে দুটি করে লেগুনা রেকার করা হয়। রেকার বিল নিয়ে আবার ছেড়েও দেয়া হয়। সরকারের রাজস্বের যোগান হলেও অনিময়মের মধ্য দিয়েই চলার কারণ রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ সাংবাদিকদের মালিকানা। রাজউক ভবন থেকে খিলগাঁও-বাসাবো রুটে যে কটি লেগুনা চলছে এর মধ্যে ১৫টি সাংবাদিকের, পুলিশের মালিকানায়ও প্রায় ২০-৩০, বাকি সব রাজনৈতিক নেতাদের, প্রতিবন্ধীদের। ঢাকার অন্যান্য রুটেও একই অবস্থা বলে বলছেন তারা। 

ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের কাগজপত্র তল্লাশি করতে দেখা গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার। পুলিশের সামনে দিয়েই যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে বসে মাঝে মাঝে যাত্রীবাহী লেগুনা নিয়েই অপ্রাপ্তবয়স্করা মেতে উঠছে গতির লড়াইয়েও। ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বশীল দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, অনেক সময় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদেরও এসব লেগুনায় যাতায়াত করতে দেখা যায়

বেশ কিছু দিন ধরে সরেজমিন ঘুরে ঢাকার রাস্তায় চলাচল করা অধিকাংশ লেগুনাতেই দেখা গেছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। যারা ওস্তাদের দেয়া ট্রেনিংয়ের ভিত্তিতেই স্টিয়ারিং ধরেছে বলে জানায়। আর এই ট্রেনিং তাদের কাছে বিআরটিএর লাইসেন্সের চেয়েও মূল্যবান। বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চালকের আসনে বসা এসব বালক চালকদের সহযোগীও কোমলমতি শিশুরা। ঢাকায় সরকারি হিসাবে বৈধ প্রায় পাঁচ হাজার লেগুনার স্টিয়ারিংয়ে বসে আছে অন্তত ১০ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। সংখ্যার ৬০ শতাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া প্রতিটি লেগুনায় রয়েছে একজন করে হেলপার। সে হিসাবে ১০ হাজার হেলপারের মধ্যে হাজারই অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং কোমলমতি শিশুও রয়েছে । 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, সেখানে ১৩-১৪ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোররাই বনে যাচ্ছে চালক-হেলপার। যারা মানুষের সাথে সঠিক আচরণ কীভাবে করতে হয় তাও বুঝে না এখনো। আর এদেরই কাজে লাগাচ্ছে লেগুনা সংশ্লিষ্টরা। যেখানে আন্তর্জাতিকভাবেই শিশুশ্রম নিষিদ্ধ।     

বাংলাদেশে শ্রম অধিদপ্তরের কলকারখানা পরিদর্শকরা যেসব প্রতিষ্ঠানে শিশুশ্রমিক আছে বা যেসব মালিকরা শিশু শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াও এখন কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।হানিফ খোকন বলেন, ‘শিশুশ্রমের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ। ঢাকায় লেগুনাচালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কেবল তাই না, বিভিন্ন সিএনজি গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করছে শিশু-কিশোররা। ছাড়া ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, লেদ আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতেও যারা কাজ করে তাদের বয়সও সর্বোচ্চ ১০-১২ বছর। শিশুশ্রমে জর্জরিত আমাদের দেশ। ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভাররাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেগুনার চালক-হেলপার নেয়। রাস্তায় ঘুরাফেরা করে এমন শিশু-কিশোরদের তারা ধরে এনে স্টিয়ারিংয়ে বসাচ্ছে। 

ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কাজ করছে দৈনিক ২০০ টাকার লোভ, আর নিয়োগ দেয়া চালকের ভাবনায় থাকছে প্রফেশনাল কাউকে নিলে দিতে হবে বেশি বেতন খাবার খরচ। বাড়তি খরচ এড়াতেই ২০০ টাকায় শিশু-কিশোর দিয়ে লেগুনা চালাচ্ছে তারা। 

তিনি আরও বলেন, লেগুনাগুলো চলে দৈনিক জমায়। গাড়িগুলোও খুবই লক্কড়ঝক্কড়। প্রাপ্তবয়স্ক অভিজ্ঞ চালকরা এসব চালাতেও চায় না। যারা লাইসেন্স পায়নি, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা হেলপারি করত ঝুঁকি উপেক্ষা করেই তাদের হাতেই স্টিয়ারিং দিচ্ছে তারা। ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারও ব্যর্থতা রয়েছে, শ্রম অধিদপ্তরেরও অবহেলা আছে। অন্যথায় লেগুনা কিংবা গণপরিবহনে শ্রম আইনের এমন বরখেলাপ হতে পারে না

এদিকে অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়ছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওস্তাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং শেখা অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা যাত্রী পরিবহন করে পুলিশের নাকের ডগায়। সড়কে চলাচলরত অবস্থায় লাইসেন্সের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক ডিভিশনের। তাদের দায়সারা দায়িত্ব পালনের কারণেও এসব বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পুলিশ থামায়, পরে ছেড়েও দেয়। 

যাত্রীরা বলছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা নিজের মতো গাড়ি চালায়। কোনো কিছুর ধার ধারে না। এদিকে নিজেদের দক্ষতার কথা জানান দিয়ে এসব চালকদের ওস্তাদরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, অভিজ্ঞ সিনিয়রদের না দিয়ে কম বয়স্কদের দিয়ে বেশি আয় করার জন্য গাড়ি চালান তারা। যদিও কম বয়সি চালকরা কিছুটা অসতর্কতার সাথে চালায় বলেও স্বীকার করছেন তারা। ভবিষ্যতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের হাল ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই কোমলমতি শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও কেন উঠেন এমন প্রশ্নের জবাবে যাত্রীরা বলছেন, বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন তারা।  

পরিবহন বিশেষজ্ঞ . মো. শামসুল হক বলেন, ‘অদক্ষ, অবৈধ চালক দিয়ে যখন চালানো হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই এরা যানজটের দিকে লক্ষ করবে না, নিরাপত্তার ইস্যুটিও লক্ষ করবে না। তাদের নজর রাস্তায় থাকে না, নজর থাকে যাত্রীর দিকে। রাজধানীতে অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা। যাদের না আছে লাইসেন্স, না আছে সংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণা। অদক্ষ চালকের কারণেই দেশে আশঙ্কাজনক হারে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এদিকে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড লেবার ইউনিট শিশুদের জন্য ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপারের কাজটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২০১৩ সালে একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়, সরাসরি রৌদ্রের মাঝে ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপার হিসেবে কাজ করার কারণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ধোঁয়া সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়মিত খাবার গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এসব শিশু-কিশোরদের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, পাকস্থলিতে ঘা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, মূত্রনালীতে সংক্রমণ এবং শারীরিক মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে বলেও উল্লেখ করা হয়। 

এসব থেকে পরিত্রাণ মোটকথা, শিশুশ্রম বন্ধের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা প্রণয়নের পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দিনে দিনে খাতে শিশু-কিশোরদের সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে। এসবের তদারকিতে যেন এক ধরনের অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। তবে সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদেরউপানুষ্ঠানিক শিক্ষাদক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণপ্রদানের মাধ্যমে শিশুশ্রম নিরসনে বিকাশের মাধ্যমে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃত্তি মেধাবৃত্তি বিতরণ করবে বলে বিকাশের সাথে একটি চুক্তি করে। এক লাখ শিশুর জন্য এই প্রকল্প। 

গণপরিবহনে নিয়োজিত শিশু-কিশোরদের জন্য পৃথক কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব . সেলিনা আক্তার বলেন, ‘এদের জন্য আলাদা করে কিছু নেই। যেসব এনজিও নিয়ে কাজ করছে তারা তালিকা দিচ্ছে। আমরা দেখছি। তবে আলাদা করে কিছু নেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় তারাও পড়বে

 


আরও খবর



অভিযান বন্ধে দস্যুদের চাপের মুখে নাবিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে দস্যুদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন খবরে অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে দস্যুরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, গত দুদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী জিম্মি হওয়া জাহাজটিকে চাপের মুখে রেখেছে। অন্যদিকে দস্যুরাও অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে। দস্যুরা নৌবাহিনীর উদ্দেশে বলেছে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে।

এদিকে, জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ ও সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনো ক্ষতি ছাড়াই নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছি না। তাছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে সহিংস অভিযান পরিচালনা করা যাবে না।

তিনি বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।


আরও খবর



পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযান একটু বাড়াবাড়ি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো যেন রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে এজন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করে নীতিমালা করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।

তিনি বলেন, রেস্তোরাঁ করতে হলে বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির ছাড়পত্র নিতে হবে, বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যেকোনো রেস্তোরা ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এতে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে।

ইমরান হাসান বলেন, রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় একাধিক সংস্থা থেকে। আইন-শৃঙ্খলা কর্মে নিয়োজিত বাহিনী সমূহ যেমন- আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‍্যাব বাহিনীও তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করেছেন। তাদের কাজটি করতে দিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে রেস্তোরাঁ শিল্পের সঙ্কটের উত্তরণের উপায় এবং আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা, ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক, রেস্তোরাঁ সেক্টরটি তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর, সিটি কর্পোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর, সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসক প্রশাসনসহ অনেক অধিদফতর ও সংস্থা। ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউক ও সিভিল ডিফেন্সের টনক নড়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করছে এবং স্টাফদের গ্রেফতার করছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়।

তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই। আবার লাইন সংযোগ থাকলেও লাইনে গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বা লাকড়ি ব্যবহার। লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়। পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাচ্ছি।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না খেজুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে দোকানদারদের অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা: ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে আমদানি করা বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতি কেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করা হয়েছে।

যদিও সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও খেজুর মিলছে না। বাজারে সবচেয়ে কম দামের খেজুর জাইদি জাতের। এই খেজুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যেটির সরকার নির্ধারিত দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর রোজায় যে খেজুর পাইকারি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই খেজুরের ওপরে এবার শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

বাদামতলীর খেজুর ব্যবসায়ী শাওন বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবসময় অল্প লাভেই বিক্রি করে থাকি। আমাদের চিন্তা থাকে লাভ অল্প হলেও বিক্রি যদি বেশি হয়, তা হলে লাভ এমনিতে বেশি হবে। আমাদের বিক্রি হয় কেনার ওপর ভিত্তি করে। যেই খেজুর আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ৩৫০ টাকা শুল্ক দেয়া লাগছে। তা হলে বোঝা যাচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে খেজুরের দাম বেড়েছে। এই বিক্রেতার দাবি, সরকার যদি শুল্ক কমিয়ে দেয় তা হলে খেজুরের দাম অটোমেটিক কমে যাবে। জনগণের ভোগান্তি হবে না। এখন সবাই একতরফা ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছে। আসল ঘটনা তো অন্য জায়গায়। আমরা আমদানি করি, সেটির শুল্ক যদি বেশি দিতে হয়, তাহলে দাম তো বাড়বেই। এটি হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসা। ফলে খুচরা বিক্রেতারা যে দামে কেনেন, তার চেয়ে বেশি মুনাফায় খেজুর বিক্রি করছেন।

 

খেজুর কিনতে এসে জসিম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে খেজুর গত বছর কিনেছিলাম ৩০০ টাকায়, সেটি চাইছে ৬৫০ টাকা। পছন্দও হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা কেজি খেজুরের ২০০ গ্রাম কিনলাম। পরিচিত দোকানদার মন খারাপ বুঝে বললেন, 'জায়গামতো কোনো খবরদারি বা নজরদারি কোনোটাই নেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামতলীতে খেজুরের বস্তাপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে কমপক্ষে এক হাজার টাকা। এক দিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখতেই হবে, সেটা নিয়ে কতো কোর্টকাচারি চলল। খেজুরে বাড়তি দাম, বরই খাওনের পরামর্শ মন্ত্রীর। সেটা নিয়েও কতো কত সমালোচনা। কিন্তু খেজুর নাগালে এলোই না।' বাদামতলীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাত ও আকার অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ৩০ ধরনের খেজুর বিক্রিক্র হয়। এর মধ্যে দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে 'জাইদি' ও বস্তায় আসা খেজুর। এটি আসে ইরাক থেকে। এ ছাড়া আজোয়া, মরিয়ম, মাসরুক, ডালা-আলজেরিয়া, নাঘাল, সায়ের, মডজুল, থকালমি, ফেনছি, ইরান ও জর্দানের মরিয়ম, লাকজারি, সুগাই, তিউনিসিয়া থাল, সুফকারি, জাম্বু, মাবরুম, দাব্বাস, রেজিজ, আমিরাতের লুলু ও বারহিল বাজারে
এসব খেজুরের চাহিদা রয়েছে।


দেশের বাজারে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মেডজুল ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি। আজোয়া এবং মরিয়ম ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আরও বেশি দামের খেজুরও আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাইদি খেজুর, দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বেইলি রোডে নিহত ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহত ৪৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর দুজনের মরদেহ এখনো পড়ে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে। ডিএনএ টেস্ট করে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শনিবার (২ মার্চ) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া।

তিনি বলেন, দুজনের লাশ এখনো মর্গে আছে। ডিএনএ টেস্টের মধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ৪০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে থাকা সাংবাদিক অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টির লাশ আঙুলের ছাপের মাধ্যমে নিশ্চত হয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়া শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন (৩৫), তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী (২৪) এবং তাদের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিলার (৪) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো সাততলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে। ভবনটির অধিকাংশ ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

এরমধ্যে আগুনে হতাহতের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে দ্বিতীয় তলার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। এ রেস্টুরেন্ট থেকে কমপক্ষে ১৫টির বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ভবনটির নিচতলায় চায়ের চুমুক নামে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে মুহূর্তে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মাত্র এক মাস আগে ভবনটির নিচতলায় চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করেছিল।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, গ্রিন কোজি কোটেজ নামে ভবনটির ডেভেলপার আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। ভবনটির সব ফ্লোর ব্যবহার হচ্ছিল বাণিজ্যিকভাবে। তবে রেস্টুরেন্টের জন্য ব্যবহারের কোনো অনুমতি ছিল না এ ভবনের।


আরও খবর