Logo
শিরোনাম

ঈদযাত্রায় ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image


সদরুল আইন:


ঈদের আর মাত্র দুদিন বাকি। তাই দলে দলে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। 


আজ শুক্রবাার (১৪ জুন) ভোর থেকেই বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। রাজধানীর গুলিস্তান, মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ বেশিরভাগ দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে ভিড় করছেন ঘরমুখো মানুষ।



যাত্রীরা জানান, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘর থেকে বেরিয়েছেন অনেকে। বাস ধরতে যেন কোনোভাবেই দেরি না হয়, সেজন্য আগেভাগেই টার্মিনাল ও কাউন্টারে গেছেন তারা। 



তবে নির্ধারিত সময়ে অনেকে বাস না ছাড়ার অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, বাসের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।


বাস কাউন্টার থেকে জানানো হয়,  ঢাকায় ফিরতে সময় বেশি লেগে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে বাসগুলো টার্মিনাল বা কাউন্টারে পৌঁছাতে পারছে না। এজন্য বাস ছাড়তে কিছুটা দেরি হলেও যাত্রীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তারা।


এদিকে, দূরপাল্লার বাস ছাড়াও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে লঞ্চ ও রেলপথে। কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেলের অগ্রিম টিকেট পাওয়ার পরও সিটে বসতে পারেননি। 



ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গত বুধবার (১২ জুন) থেকে শুরু হয় ‘স্পেশাল’ ট্রেন সার্ভিস। কিন্তু প্রথম দিনেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে সকল ট্রেন। 


অন্যদিকে, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ভিড়ের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন লঞ্চ যাত্রীরা।



পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঈদুল আজহায় নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা ও পশুবাহী নৌযানের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পুলিশ রয়েছে।


আইজিপি বলেন, জনগণের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করা, যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি এবং নসিমন, করিমন, ভটভটি, থ্রি হুইলার ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।


হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, যাত্রীদের আমরা বারবার অনুরোধ করছি যেন ঝুঁকিপূর্ণ অনিরাপদ যাত্রায় শামিল না হন।



 পিকআপ, পশুবাহী ট্রাক, খোলা ট্রাক, মালবাহী পরিবহন, বাসের ছাদে যাত্রা না করার জন্য। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় শামিল হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


তিনি বলেন, আমাদের উচিত একটু দেরি হলেও সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাড়ি গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা।


ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত হলেও এর আগে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মোট পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।



আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




পতিত স্বৈরাচারের বিপুল বিনিয়োগে দেশে নৈরাজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পতিত স্বৈরাচার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সম্প্রতি নারীদের ওপর যে জঘন্য হামলার খবর আসছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা আমাদের সব শক্তি প্রয়োগ করে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।

দেশের সব মানুষকে নিয়ে নারীবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব। তাছাড়া, আমাদের সমাজে এখনও এমন বহু মানুষ আছে যারা নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাদের খাটো করে দেখে, অবজ্ঞার চোখে দেখে। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীর পাশে দাঁড়ানোর, তাদেরকে সমর্থন জানানোর, কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে নারীকে খাটো করে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তা না হলে আমরা জাতি হিসেবে এগোতে পারব না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।

সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনও অনেকক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুঃস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ নানান ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ওএসডি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করা হয়েছে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলামকে। একই আদেশে দেশের আরো ২৮ জন সিভিল সার্জনকে ওএসডি করা হয়েছে।

রোববার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সনজীদা শরমিন এতে স্বাক্ষর করেছেন।

ঝালকাঠিতে ২১ তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঝালকাঠি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

এদিকে,  ওএসডি করা ২৯ সিভিল সার্জনকে আগামী ৬ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ মান্য না করলে ৯ মার্চ তারা স্টান্ডরিলিজ হয়ে যাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



৭ মাস পর বাবা হলেন ঝালকাঠীর শহীদ সেলিম

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

হাসপাতালে নবজাতকের কান্নার সঙ্গে সঙ্গে আত্মীয় স্বজন সবাই কেঁদে উঠলেন। নবজাতক জন্মের পরে আনন্দের পরিবর্তে শোকার্ত আহাজারি ও বিলাপে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সবাই স্মৃতিচারণ করে শহীদ সেলিম তালুকদারের অনুপস্থিতি স্মরণ করেন। ছাত্রজনতার আন্দোলনে নলছিটির শহীদ সেলিম তালুকদারের (২৮) স্ত্রী সুমী আক্তারের ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে শনিবার (৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে। ঝলকাঠি শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান দুনিয়ার আলো দেখতে পায়। নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম তালুকদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৩১ জুলাই নিহত হন। অথচ এর তিনদিন পরই ছিল (৪ আগস্ট) প্রথম বিবাহবার্ষিকী। ৮ আগস্ট পরীক্ষায় ধরা পড়ে সেলিমের স্ত্রী সুমী আক্তার অন্তঃসত্ত্বা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সুমী আক্তারের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান দুনিয়ার আলো দেখতে পায়, কিন্তু সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি সেলিম। মৃত্যুর সাত মাস সাতদিন পর সেলিমের উত্তরাধকিার আসল পৃথিবীতে। সেলিম একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হন। ৩১ জুলাই রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ২ আগস্ট সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় সেলিমকে। সেলিম নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর এলাকার সুলতান হোসেন তালুকদারের ছেলে। তিনি বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে আড়াই বছর আগে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি শুরু করেন। তারা তিন বোন ও এক ভাই। সেলিম ছিলেন মেজ। সেলিমের স্ত্রী সুমী জানান, ওইদিন সকালে বাড্ডা লিংক রোডের কুমিল্লাপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে আন্দোলনে যোগ দেন সেলিম। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের মধ্যে আটকে পড়েন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন। সুমী আক্তার বলেন, আমার স্বামী শহীদ হয়েছেন। তার স্মৃতি হিসেবে এই সন্তানই আমার কাছে থাকবে। আমার একটাই চাওয়া আমার সন্তানকে যেন কারও কাছে হাত পাতা না লাগে। আমি যতদিন বাঁচব শহীদ সেলিমের স্ত্রী হিসেবে বাঁচব। সন্তানকে তার পরিচয় দেব।

ছেলের শোকে এখনো কাতর মা সেলিনা বেগম। তিনি বলেন, এখন যদি সেলিম বেঁচে থাকত তাহলে প্রথম সন্তান, কত আনন্দ পেত। তাও সেলিমের ভাগ্যে নেই। সেলিনা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলের চিকিৎসার পেছনে প্রায় ১৮ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে এসব টাকা জোগাড় করেছি। সেই টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। তিনি  ছেলের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা চান। 


আরও খবর



ফাইল আদান-প্রদানে উইন্ডোজের নতুন ফিচার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আইফোন ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদান আরও সহজ হচ্ছে। মাইক্রোসফটের ‘ফোন লিংক’ অ্যাপ ও ‘লিংক টু উইন্ডোজ’ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আইফোন থেকে উইন্ডোজ ১১ বা ১০ কম্পিউটারে ফাইল শেয়ার করা সম্ভব হবে। তবে উইন্ডোজ ইনসাইডার্স ব্যবহারকারীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে নতুন এই ফিচার।

উইন্ডোজ ইনসাইডার্স হলো মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ও ফিচার পরীক্ষা করার একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। আইফোন ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল শেয়ারিং প্রক্রিয়াটি সব সময়ই কিছুটা জটিল ছিল। যারা স্মার্টফোন থেকে পিসিতে বা পিসি থেকে আইফোনে ফাইল পাঠাতে চাইতেন, তাদের নিজের ইমেইলে ফাইলটি পাঠাতে হতো বা ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মতো থার্ড পার্টি সার্ভিস ব্যবহার করতে হতো।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ডেস্কটপ অ্যাপ হিসেবে চালু হয় মাইক্রোসফটের ‘ফোন লিংক’ অ্যাপটি। সে সময় এটি শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের উইন্ডোজ পিসিতে ফাইল শেয়ার করার সুযোগ দিত।

গত বছর মাইক্রোসফট লিংক টু উইন্ডোজ নামে একটি স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য এই অ্যাপ চালু করেছিল। তবে ফোন লিংকের মাধ্যমে এখনো আইফোনের সঙ্গে ফাইল আদান-প্রদান করা যায় না। এটি আইফোন ব্যবহারকারীদের তাদের ফোনের ইনকামিং কল, মেসেজ এবং কনটাক্টগুলো কম্পিউটারে দেখার সুযোগ দেয়। তবে মাইক্রোসফটের এই ফিচার অ্যাপলের এয়ারড্রপ ফিচারের মতো কাজ করে। এটি কম্পিউটার স্ক্রিনের কোনায় একটি নোটিফিকেশন দেখাবে যে, পিসি কোনো ফাইল গ্রহণ করেছে।

গত অক্টোবর মাসে, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও একটি ফিচার চালু করে মাইক্রোসফট। তাই এখন উইন্ডোজ ১১-এর ‘ক্রস ডিভাইস এক্সপেরিয়েন্স হোস্ট’ ব্যবহার করে পিসি ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফাইল এক্সপ্লোরারে ব্রাউজ এবং ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন। এর জন্য কোনো ক্যাব?ল সংযোগের প্রয়োজন নেই। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অংশ নয় ফোন লিংক অ্যাপ।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, নতুন এই সুবিধা সব আইফোন মডেলে ব্যবহার করা যাবে না। শুধু আইওএস ১৬ বা তার পরবর্তী সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেমের আইফোন এবং উইন্ডোজ ১০ ও ১১ কম্পিউটারে এটি ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে ফোন লিংক এবং লিংক টু উইন্ডোজ অ্যাপ দুটি যথাক্রমে ১.২৪১১২. ৮৯.০ এবং ১.২৪১১২. ৭৩ সংস্করণে আপডেট করতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই সুবিধা আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, অ্যাপলের এয়ারড্রপ সুবিধা ব্যবহার করে আইফোন এবং ম্যাক কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। তবে যেসব আইফোন ব্যবহারকারী উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ফাইল শেয়ারিং প্রক্রিয়া বেশ জটিল হয়ে থাকে।


আরও খবর



ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বললেন, একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ছাড়া আন্দোলন বন্ধ হবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে সমাবেশ থেকে তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও এটিএম আজহার মুক্ত হলেন না কেন? তার মুক্তি কবে হবে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই। আমাদের উদারতা ও ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না।

অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও জামায়াত কেনো দলীয় নিবন্ধন ফিরে পায়নি- এ প্রশ্ন তুলে শফিকুর রহমান বলেছেন, দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন। আমরা চরম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। কিন্তু সবকিছুর সীমা আছে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেছেন, ফ্যাসীবাদের ভাষায় কথা বলবেন না। রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলুন। ভয় দেখাবেন না; চোখ রাঙিয়ে কথা বলবেন না। কারো চোখ রাঙানীকে ভয় করি না।

২০১২ সালে ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহার। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রায় পুনর্বিবেচনায় রিভিউ করেছেন এটিএম আজহার।

মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াতের পাঁচ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বিচার চলাচলে অথবা রায় ঘোষণার পর কারাগারে মারা গেছেন আরও পাঁচ জন। দণ্ডিত নেতাদের মধ্যে একমাত্র এটিএম আজাহার বেঁচে আছেন। জামায়াত বারবার অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ মিথ্যা মামলায় ও সাজানো সাক্ষীতে নেতাদের সাজা দিয়েছে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্যান্য মামলায় জামায়াতের সব নেতা ছাড়া পেয়েছেন। মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলা স্পর্শকাতর হওয়ায় জামায়াতও এতদিন এটিএম আজাহারের মুক্তির কথা বলেননি। মঙ্গলবার রাজধানীসহ দেশের ৭৯ সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে জামায়াত।

বিকেল চারটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও পল্টন মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরির কারণে বিজয়নগরমুখী সড়কে ঘণ্টখানেক আগে থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্মদিবসে সমাবেশ এবং রাস্তা বন্ধ হওয়ায় তীব্র যানজট হয়। বিকেল পাঁচটায় অফিস ছুটির পর ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। জামায়াত আমিরের নেতৃত্বে পল্টন থেকে প্রেস ক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত মিছিল হয়। ওই সময়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগ আরও বাড়ে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথভাবে আয়োজিত সমাবেশ থেকে শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনে জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে শীর্ষ নেতাদের একে একে কারাবন্দি করা হয়। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সকল মজলুম মুক্তি পেলেও এটিএম আজহারই ব্যতিক্রম। তিনিসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আপোসের বদলে ফাঁসি বেছে নিয়েছেন। আমাদের বিজয় সবে শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ’।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। দুই মহানগরের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।


আরও খবর