Logo
শিরোনাম

এএফসি কাপে খেলতে কলকাতায় বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৩১৩জন দেখেছেন

Image

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ের জন্য আজ শনিবার (১৪ মে) কলকাতায় পৌছেছে বসুন্ধরা কিংস। তৃতীয় বারের মত এএফসি কাপ মিশনে ভারতে পৌছেছে কিংস।

২৬ জন খেলোয়ড় নিয়ে ১০ টা ১৫ মিনিটের ফ্লাইটে কলকাতার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করে ইতোমধ্যেই কলকাতায় পৌছেছে বেঙ্গল জায়ান্টরা।

আজ দলের সঙ্গে কলকাতা যাননি অস্কার ব্রুজোনের দুই শিষ্য সুদি আব্দুল্লাহ ও চিনেদু ম্যাথিউ। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই দলের সঙ্গে যোগ দিবেন তারা এমনটাই জানানো হয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। এএফসি কাপে কোচ ব্রুজোনের বাজির ঘোড়া হতে পারেন এই দুই বিদেশি ফুটবলার।

কলকাতার যুব ভারতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ১৮ই মে শুরু হবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। শুরুর দিনেই কিংসের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস। এরপর ২১ তারিখে এটিকে মোহনবাগান এবং ২৪ তারিখে প্রতিপক্ষ গোকুলাম কেরালা।

 

সূচিঃ১৮ মে, ২০২২, রাত ৯টা

বসুন্ধরা কিংস বনাম মাজিয়া স্পোর্টস

২১ মে ২০২২, বিকেল ৫টা
এটিকে মোহনবাগান বনাম বসুন্ধরা কিংস

২৪ মে ২০২২, বিকেল ৫টা
বসুন্ধরা কিংস বনাম গোকুলাম কেরালা। 


আরও খবর



দিঘলিয়ায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে

সারোয়ার খান কলেজ-এর ১৫ বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি দিঘলিয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ, এ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষসহ ১৫ টি বিষয় শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের এ সাফল্যে কলেজ ও এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কৃতি শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে সংবর্ধনার।  সাফল্যের নজির রেখে আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ আবারও প্রমাণ করেছে যে উপজেলার কলেজগুলোর মধ্যে তরাই সেরা।

গতকাল ও গত পরশু, দিঘলিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

কলেজ পর্যায়ে সরকারি এম এ মজিদ কলেজ সহ পাঁচটি কলেজ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় বিচারকদের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম স্থান লাভ করে আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের হিসেবে মনোনীত হন। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তারা হলেন: শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষক ডক্টর পারভিন সুলতানা, শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার শিক্ষক অধ্যাপক  ডক্টর পারভীন সুলতানা, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক প্রভাষক মোঃ ফয়সাল আহাম্মেদ।  শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তারা হলেন- শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার তোহা, হামদ/ নাতে প্রথম হয়েছেন মোসাম্মৎ জান্নাতি, বাংলা কবিতা আবৃত্তিতে মোসাম্মৎ জান্নাতি, শ্রেষ্ঠ রোভার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি টিপু সুলতান, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত প্রথম নিবেদিত কর্মকার। এছাড়া শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপ ও শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি গ্রুপ এর কৃতিত্ব অর্জন করেছে আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ।

কলেজে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, কলেজ পরিচালনার পর্ষদের সম্মানিত সভাপতি বিশিষ্ট প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদের এর বুদ্ধিদীপ্ত দিকনির্দেশনা ,সার্বক্ষণিক তদারকি , কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, কলেজের শিক্ষক কর্মচারী ছাত্র-ছাত্রী ,অভিভাবক বৃন্দ , বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, আজগর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী হাওলাদার সহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফরহাদ হোসেন সহ সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সর্বোপরি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা এর সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সাফল্যের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আমরা আবারো প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে এই উপজেলার কলেজ পর্যায়ে আমরাই সেরা।


আরও খবর



মোখার ঝুঁকিতে ১৫ লাখের বেশি শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কক্সবাজারে সীমান্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান ওনো ভন মানেন এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু বাস করে এবং ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে শিশুরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এদিকে, কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরে যেতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সেখানকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

বারবার তাদের পাহাড় ধসের ঝুঁকির কথা বলা হলেও স্থানীয়রা কেউ সরতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বান্দরবান-কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তারা মানুষকে সচেতন করতে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা আগে থেকেই জানিয়ে আসছেন। সূত্র : বিবিসি।


আরও খবর



মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে শিশু ?

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

আজকাল অনেক বাবা-মাই নিজেদের ব্যস্ততার কারণে শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেন। সেটা নিয়ে সময় কাটাতে কাটাতে তাদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়। দেখা যায়, স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরেই অনেক শিশু মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক অভিভাবকই বুঝতে পারেন না মোবাইল আসক্তি শিশুদের মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কাটাতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-

১. সন্তানকে সময় দিন। অধিকাংশ সময়ই শিশুরা একা থাকে। এ কারণে তারা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে। শিশু একাকীত্বে ভুগলে তা বিপদজ্জনক হয়ে উঠবে তার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে। এ কারণে যতটা সম্ভব শিশুকে সময় দিন।

২. সম বয়সীদের সঙ্গে শিশুতে মিশতে শেখান। রোজ নিয়ম করে তাকে খেলতে নিয়ে যান। আজকাল অধিকাংশ শিশুর সময় কাটে বাড়িতে। এ কারণে ভার্চুয়াল দুনিয়া তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়।

৩. পড়াশোনার বাইরে খেলাধূলা, গান, ছবি আঁকা, সাঁতার শেখা -এসব কাজে শিশুদের যুক্ত করুন। এসব কর্মকাণ্ড তাকে মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখবে।

৪. অনেক অভিভাবকই আছেন কারণ ছাড়া সেলফি তোলেন, মোবাইল স্ক্রল করেন। অভিভাবকদের এমন আচরণ শিশুদেরও মোবাইলের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এ কারণে সবার আগে মোবাইলের প্রতি অভিভাবকদেরও আসক্তি কমানো জরুরি।

৫.শিশুকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন। গাছ লাগানো, কাগজ কেটে হাতের কাজ করা, রং তুলি দিয়ে ছবি আঁকার অভ্যাস করালে শিশুর মোবাইলের প্রতি আগ্রহ কমবে। মোবাইল না দিয়ে শিশুকে গল্প শোনাতে শোনাতে খাওয়াতে পারেন।

৬. সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো আপনার অজান্তেই হতে পারে মানসিক চাপ। এ কারণে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট রাখুন। এতে আপনি ও শিশু দুজনই ভালো থাকবেন।


আরও খবর

জিমেইলে আসছে নীল টিক

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




কাজী রাইয়ানকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৩৭১জন দেখেছেন

Image

নুরুল্লাহ খান শাজাহান, নিজস্ব প্রতিনিধি:

লিকুমিয়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ৫ বছরের শিশু কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন যা পরিবার এবং সাংবাদিক পিতার পক্ষে মেটানো অসম্ভব। সুস্থভাবে সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ ঢাকার দোহার উপজেলার ঘাটা গ্রামের সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ ও রাশেদা আক্তার দম্পত্তির ছেলে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে মাত্র ১১ মাস বয়সে প্রথম লিকুমিয়া (all) ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে রূপের। এর দীর্ঘ ৪ বছর চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠে সে। তবে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্বপ্রায় রূপের বাবা। হঠাৎ গতমাসে আবারো গুরুতর অসুস্থ হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রূপকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে শিশুটির। বর্তমান রুপ বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান তত্বাবধানে রয়েছে রূপ।

প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে রূপের অবস্থা আশংকাজনক। তার লিভার ও স্প্রিন্ট বড় হয়ে গেছে। এছাড়া সে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত, পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।

ডাক্তার আরো জানান, রূপের বনমেরু পরিবর্তন করা গেলে ৮০% সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে এ চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। ভারতে নিয়ে করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

রূপের সাংবাদিক পিতার পক্ষে এ টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। এ অবস্থা ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের সুদৃষ্টি কামনা করেন পরিবারটি।

যোগাযোগের ঠিকানা: ০১৭১৬৫৫৯১৯০ (বিকাশ), রূপের বাবা সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ

মো. জোবায়ের আহমেদ

একাউন্ট নাম্বার: ০০১২১০০০৩১১৪৭

সাউথইস্ট ব্যাক, জয়পাড়া শাখা, দোহার


আরও খবর



মশার কামড়ে নতুন রোগের আতঙ্ক!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

মশার কামড় খাননি, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। তবে কার শরীরের গন্ধ কেমন, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, পতঙ্গটি কার প্রতি কতটা আকৃষ্ট হবে। নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এ গবেষণার ফলাফল গত শুক্রবার (১৯ মে) কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি করেন জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহকারী অধ্যাপক কোনর ম্যাকমেনিম্যান এবং গবেষক দিয়েগা গিলারদো ও স্টেফানি রানকিন-টার্নার। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল এডগার সিমুলুনডুর নেতৃত্বাধীন জাম্বিয়ার মাকা রিসার্চ ট্রাস্ট।

মশা সাধারণত ফল-মূল ও লতা-পাতার রস খায়। তবে ডিম ফোটাতে স্ত্রী মশার অতিরিক্ত প্রোটিনের দরকার হয়। তখন তারা মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত খেতে হুল ফোটায় বা কামড়ায়। তবে ভয়ের কথা হলো, কামড়ের মাধ্যমে তারা পরজীবী ও ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। এতে করে যত ধরনের অসুখ হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো ম্যালেরিয়া। এখনো প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।

গবেষণায় মূলত আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ায় প্রজাতির মশার আচরণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান, মানুষের শরীরের ঘামে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের কারণে মশার আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের শরীরের ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে মশা কতটা আকৃষ্ট হয়, তার তুলনা করা হয়। দেখা যায়, এ পতঙ্গ ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট দূর থেকে গন্ধ শনাক্ত করতে পারে।

গবেষকরা দেখতে পান, কার্বোক্সিলিক অ্যাসিডের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। এ অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে বিউটিরিক, যা দুর্গন্ধযুক্ত পনিরে পাওয়া যায়। এ অ্যাসিড মানুষের ত্বকে সৃষ্টির জন্য দায়ী একধরনের ব্যাকটেরিয়া। পাশাপাশি ইউক্যালিপটল নামের একধরনের রাসায়নিকের প্রতিও তাদের আকর্ষণ বেশি, যা গাছগাছালিতে থাকে।

গবেষণাটির সহলেখক এডগার সিমুলুনডু বলেন, এ গবেষণার ফলাফল মশাকে প্রলোভনে ফেলা বা বিমুখ করার নতুন ধারণা সামনে নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে মশাকে মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পথ বন্ধ করা যেতে পারে। এতে করে আফ্রিকা অঞ্চলে মহামারিতে পরিণত হওয়া ম্যালেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।

 সূত্র : সিএনএন।


আরও খবর