Logo
শিরোনাম

এইচএমপিভি ভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

করোনার পর বিশ্বের বহু দেশেই নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি। সম্প্রতি চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত সহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশেও।একজনের শরীরে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছে।

তবে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, এই ভাইরাস বহু আগেই দেশে শনাক্ত হয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন- সর্দি, কাশি, জ্বর যদি হয় মাস্ক ব্যবহার করা, অন্যদের থেকে নিজেকে দূরে রাখা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির গবেষণা বলছে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া হতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তুষার মাহমুদ বলেন, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী এই ভাইরাস শিশু, বয়স্ক আর গর্ভবতীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে বেশি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেন নিউমোনিয়া না হয়ে যায় সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভিতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই বললেই চলে। তাই কোভিডের সময়কার মতোই স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ তাদের।


আরও খবর



বন্যা মোকাবিলায় ঘাটতি সাড়ে ৫ কোটি ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছে।জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এই জরুরি পরিস্থিতিতে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মাঠে নেমেছে। ২০২৫ সালে বন্যা মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে সাড়ে ৫ কোটি ডলার। তবে এর মধ্যেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জরুরি চাহিদা পূরণে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে ডাবলুএফপি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় ডব্লিউএফপির কার্যালয়। এতে জানানো হয়, ২৯ মে সরকারের অনুরোধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বন্যার পূর্বাভাস জারির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএফপি আগাম সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে।

এই কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবারের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে খাদ্য, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পাশাপাশি নিজেদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পেরেছেন পরিবারগুলো।

ডব্লিউএফপির আগাম আর্থিক সহায়তার উপকারভোগী নুরুল বেগম বলেন, আগের বন্যাগুলোতে কখনো কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি। এবার এই টাকা দিয়ে আমি আমার সন্তানদের খাবার কিনব, আমার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করব এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখব। এই সহযোগিতার জন্য ডব্লিউএফপিকে ধন্যবাদ।

ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ সবসময়ই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা জনগোষ্ঠীর ওপর। আমাদের আগাম পদক্ষেপ নেওয়ায় এসব পরিবার দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃঢ়তা ও মর্যাদার সাথে নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছে।

২০২৫ সালে জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি একটি চারধাপের জরুরি প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুর্যোগের আগে আগাম প্রস্তুতি, দুর্যোগের পরপরই জরুরি খাদ্য সরবরাহ, বাজার সচল হলে আর্থিক সহায়তা এবং নগদ অর্থের বিনিময়ে কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডব্লিউএফপি ৬০ লাখের বেশি দুর্যোগ প্রবণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে বর্তমানে ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন।

ডম স্ক্যালপেলি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির ফলে পরিবারগুলো খাদ্য সংগ্রহ ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু এই উদ্যোগের জন্য সময় ও সম্পদ খুবই সীমিত। আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা দ্রুত ও বৃহৎ পরিসরে আমাদের পাশে দাঁড়ান এবং পরবর্তী বন্যার আগেই মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেন।

ডব্লিউএফপির এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৃহত্তর জাতীয় পর্যায়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন, কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন, স্টেপ এবং স্টার্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা মিলে ১৫টির বেশি আগাম প্রস্তুতি কাঠামো কার্যকর করে। ২০২৫ সালে ৪৬টি সংস্থা এই ধরনের কাঠামো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভূমিধস, খরা ও তাপপ্রবাহসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

ডব্লিউএফপির এই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক দাতা সংস্থা। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলোর বহুপাক্ষিক সহযোগিতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে, যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী বসবাস করেন, টানা ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩৩টি শিবিরের সবগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএফপির এ শিবিরগুলোতে স্থানচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট ও গরম খাবার সরবরাহ করছে। বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টি বিস্কুটের স্থানীয় মজুদ পুনরায় পূরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় ডব্লিউএফপির কার্যালয়। এতে জানানো হয়, ২৯ মে সরকারের অনুরোধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বন্যার পূর্বাভাস জারির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএফপি আগাম সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে।

এই কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবারের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে খাদ্য, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পাশাপাশি নিজেদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পেরেছেন পরিবারগুলো।

ডব্লিউএফপির আগাম আর্থিক সহায়তার উপকারভোগী নুরুল বেগম বলেন, আগের বন্যাগুলোতে কখনো কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি। এবার এই টাকা দিয়ে আমি আমার সন্তানদের খাবার কিনব, আমার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করব এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখব। এই সহযোগিতার জন্য ডব্লিউএফপিকে ধন্যবাদ।

ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ সবসময়ই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা জনগোষ্ঠীর ওপর। আমাদের আগাম পদক্ষেপ নেওয়ায় এসব পরিবার দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃঢ়তা ও মর্যাদার সাথে নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছে।

২০২৫ সালে জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি একটি চারধাপের জরুরি প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুর্যোগের আগে আগাম প্রস্তুতি, দুর্যোগের পরপরই জরুরি খাদ্য সরবরাহ, বাজার সচল হলে আর্থিক সহায়তা এবং নগদ অর্থের বিনিময়ে কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডব্লিউএফপি ৬০ লাখের বেশি দুর্যোগ প্রবণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে বর্তমানে ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন।

ডম স্ক্যালপেলি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির ফলে পরিবারগুলো খাদ্য সংগ্রহ ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু এই উদ্যোগের জন্য সময় ও সম্পদ খুবই সীমিত। আমরা আমাদের অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা দ্রুত ও বৃহৎ পরিসরে আমাদের পাশে দাঁড়ান এবং পরবর্তী বন্যার আগেই মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেন।

ডব্লিউএফপির এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৃহত্তর জাতীয় পর্যায়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন, কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন, স্টেপ এবং স্টার্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা মিলে ১৫টির বেশি আগাম প্রস্তুতি কাঠামো কার্যকর করে। ২০২৫ সালে ৪৬টি সংস্থা এই ধরনের কাঠামো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভূমিধস, খরা ও তাপপ্রবাহসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

ডব্লিউএফপির এই আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক দাতা সংস্থা। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলোর বহুপাক্ষিক সহযোগিতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে, যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী বসবাস করেন, টানা ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩৩টি শিবিরের সবগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএফপির এ শিবিরগুলোতে স্থানচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট ও গরম খাবার সরবরাহ করছে। বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টি বিস্কুটের স্থানীয় মজুদ পুনরায় পূরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী লেবাননের হিজবুল্লাহ অবশেষে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

শুক্রবার (২০ জুন) সংগঠনটি জানায়, ট্রাম্প যেভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, তা পুরো অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের আগ্রাসন।

হিজবুল্লাহ মূলত ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু চলমান সংঘাতে তারা এখন পর্যন্ত সরাসরি জড়ায়নি। গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধের পর সংগঠনটি উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই তারা এখনও লেবানন সীমান্তেও সক্রিয় হয়নি।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে মুখ খুলেছেন হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাঈম কাসেম।

তিনি একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তা শুধু ইরানেরই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের আগ্রাসন।


আরও খবর



লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 |

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ইতোমধ্যে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বুধবার সকালে বলেন, ইতোমধ্যে লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এখন উপকূলের কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




নওগাঁয় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অজ্ঞাতনামা এক নারীর (২৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে  নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বকের মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে সাবেক সোনালী ব্যাংকের সামনে খড় হাটির পাশে পথচারীরা পেশাব করতে যায়। সেখানে খড়ের গাদার পূর্ব পাশে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পেয়ে তারা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে আসে। তথ্য সংগ্রহকালে নারীর নাম-পরিচয় মিলেনি।নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন রেজা বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে একই সাথে নিহতের নাম পরিচয় সনাক্তের জন্য কাজ চলছে।

এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকায় যারা থাকেন বা যাচ্ছেন তারা যে সব বিষয়ে সাবধান হবেন!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

১। ফার্মগেটে হঠাৎ দেখতে পেলেন, কতগুলো মানুষ একজন মানুষ কে মেরে রক্তাত্ত করে চলেছে আর সে আপনাকে বলছে ভাই, সাহায্য করেন। আপনি দয়া দেখাতে গিয়ে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলেই বিপদ হতে পারে। ওরা আপনাকে মেরে সব কিছু নিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।

২। ওভার ব্রিজ এর উপর মহিলা কাঁদছে যে, সে যার সাথে দেখা করবে তার মোবাইলে কল দিতে হবে কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। বলবে আপনার মোবাইল দিয়ে সেই লোকের নাম্বারে মিসকল দিলেও সে ব্যাক করবে। আপনি কল দিলেন তো ফাঁদে পড়লেন। ওরা নিরীহ মানুষ দেখে তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ও পরবর্তীতে সেই নাম্বারে কল করে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়, রাজী হলে আপনাকে তাদের আস্তানাতে নিয়ে ব্লাক মেইল করবে।

৩। শাহবাগ, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী জ্যামে আটকে আছেন, নানা ধরণের লিফলেট যেমনঃ দুর্বলতা,রোগে, নানা লোভে আপনাকে ফাঁদে ফেলার ব্যবস্থা।

এমন বলে যে রুম ডেট এর ব্যবস্থা আছে।

৪। রাস্তায় সুন্দর চোখ এর বোরকা আলি আপনার সাথে কথা বলতে চায়, প্রেমের প্রস্তাব নয়, কিন্তু ইসারা, যে আপনি ভাববেন একটু চেষ্টা করলে কাছে পাবেন, যদি তাই ভাবেন তবে ধরা পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। আপনাকে তাদের আস্তানায় নিবে, তারপর আর কিছু আপনার করা লাগবে না। সব হারাবেন। মেয়ে দিয়ে ব্লাক মেইল করবে।

৫। গাবতলি, সায়েদাবাদ, কিংবা সদরঘাট , মাওয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বসে আছেন, দেখলেন যে বাইরে তাস, লুডু ইত্যাদি খেলছে, কাছে গেলেন কি ফেঁসে গেলেন।

৬। যাত্রাপথে অপরিচিত লোক এর সাথে মতবিনিময় করবেন খুবই কম। আপনি যে স্থানে যাবেন সে স্থান যেন আপনার পরিচিত।

৭। রেলগাড়ির ছাঁদে চলাচল করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এক দল ছেলে পাওয়া যায়, যারা রেলের ছাদের উপর থেকে ছিনতাই করে ছাদ থাকে ফেলে দেয়।

৮। লঞ্চ এ কম যাত্রী থাকলে উঠবেন না।

৯। যারা দ্রুত যাতায়াত এর জন্য স্পীড বোট এ যাতায়াত করবেন তারা টাকা বা মুল্যবান কিছু সাথে নিবেন না। কারণ দেখা গিয়েছে যে, এক দল আছে যারা বোট ছাড়ার পর নির্জন স্থানে বোট ভিড়িয়ে ছিনতাই করে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে।

১০। হেঁটে যেতে হলে বিভিন্ন বাসের মাঝখান দিয়ে যাওয়া অনুচিত কারণ নেশাখোর ওঁত পেতে থাকে ছিনতাই এর জন্য।

এছাড়াও যাতায়াতের সময় এ জাতীয় অন্যান্য ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।।


আরও খবর

অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

শুক্রবার ২০ জুন ২০25