Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

এক নজরে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ঃ

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি আজ থেকে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের জন্য নির্বাচন কমিশনের ৯দফা নির্দেশনা।

সকাল থেকে ৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নগরের প্রধান সড়কে মাইকযোগে নির্বাচন কমিশনের ৯নির্দেশনা প্রচার করা হচ্ছে। নগরের বিলবোর্ড,ফেস্টুন সরানো হচ্ছে। 

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বর্তমান মেয়র বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু,স্বেচ্ছাসেবকদলের নিজাম উদ্দিন কায়সারসহ মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫জন। সাধারন কাউন্সিলর  ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে এ পযন্ত ১৮৯জন মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

আগামী ১৭ মে পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবেন। ১৯ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই এবং ২৭ মে একই স্থানে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০জন। কুমিল্লা সিটিকপোরেশন নির্বাচনে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০৫টি কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ই জুন ।

এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে-কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। 

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী। 

স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জানানো হয়। নির্দেশনাগুলো হলো:

 ১। মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোন প্রকার মিছিল বা শো-ডাউন করা যাবে না;

 ২। প্রার্থী ৫(পাঁচ) জনের অধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না;

৩। প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনি প্রচার শুরু করিতে পারবেন না;

৪। প্রচারকালে পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোন জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না;

 ৫। প্রচারের জন্য নির্ধারিত পোস্টার সাদা-কালো রঙের হতে হবে এবং এর আয়তন ৬০ (ষাট) সেন্টিমিটার, ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) সেন্টিমিটারের বেশি হতে পারবে না;

৬। নির্বাচনি প্রচারণায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পোস্টার বা লিফলেটে নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারো নাম, ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারবেনা। তবে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার বা লিফলেটে ছাপাইতে পারবেন;

 ৭। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রত্যেক থানাধীন এলাকায় ০১ (এক) টি করিয়া সর্বোচ্চ ০২ (দুই) টির অধিক নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না এবং কাউন্সিলর প্রার্থীগণ ০১ (এক) এর অধিক নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না;

৮। নির্বাচনি প্রচারণায় কোন প্রকার গেইট, তোরণ, আলোকসজ্জা করতে পারবেন না;

৯ ।এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর অন্যান্য বিধি-বিধান অনুসরণ পূর্বক নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে চুড়ান্ত ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন । এর মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন। দুই জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোটার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৬ হাজার ৪৭৪ জন এবং সর্বনিম্ন ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮৯৪ জন। রিটার্নিং অফিস থেকে আরো জানানো হয়, নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৫ াট এবং মোট কক্ষের সংখ্যা ৬৪০ টি।  

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৭১৮০ জন ভোটার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৪৮১ জন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৬৪৭৪ জন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৮৭৪ জন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৭৮২ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৯৬৩ জন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৫৭৮ জন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৯১২৬ জন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৯৮৭ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১০৭৫০ জন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৪২৫ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৭১৭১ জন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১২২৯৬ জন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৬১৯ জন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৭১০৬ জন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৯১৯৮ জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১০৭৮৬ জন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১০৫০৪ জন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৫১১ জন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৯৯৯ জন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ১২৩৪৭ জন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ১০২১৯ জন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৮০৪ জন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৯১৮৭ জন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৮৯৪ জন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫২৮৯ জন এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৩৭৭ জন।


আরও খবর



রাণীনগরে সাবেক এমপি‘র বাগানের কলা গাছ কাটলো দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন হেলালের গড়ে তোলা বাগানের প্রায় ৯৫টি কলা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাণীনগর উপজেলার পশ্চিম বালুভরা এলাকায় রাণীনগর-নওগাঁ সড়কের পাশে গড়ে তোলা বাগানে গাছগুলো কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে থানাপুলিশ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। 

এমপি পুত্র রাহিদ সরদার জানান, উপজেলা সদরের পশ্চিম বালুভরা এলাকায় তার বাবা সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল প্রায় এক বিঘা জায়গা ক্রয় করেন। মেখানে মাটি ভরাট করে গত ৭/৮মাস আগে দুই শতাধিক কলা গাছ রোপণ করেন।এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কে বা কাহারা পূর্বশত্রুতার জ্বের ধরে প্রায় ৯৫টির মতো কলা গাছ কেটে ফেলেছে।এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সু-বিচারের দাবি জানান রাহিদ সরদার।

 রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বলেন,খবর পেয়ে শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,রামগড় :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সূর্যদয়ের সাথে সাথে উপজেলা বিজয় ভাস্কর্য প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষথেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রামগড় হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন এবং পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় পৌরসভার মেয়র মো.রফিকুল আলম কামাল, রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ, রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো.মফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম প্রমূখ।

এদিকে সকাল ১০টায় উপজেলা টাউন হলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা দেওয়া হয়।


আরও খবর



বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

বায়ুদূষণ সারা বিশ্বে বেড়েই চলছে। রাজধানী ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। আজ রবিবারও শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

এদিন সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৬২। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদ শহরের স্কোর ১৬০,

চতুর্থ অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৫৯ এবং সমান স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে চীনের ছেংদু শহর।


আরও খবর



দূষণের কবলে রাজধানীবাসী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

সপ্তাহের শুরুতেই দূষণের কবলে পড়েছে রাজধানীর বাসিন্দারা। আজ শনিবার ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ১৮৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে শহরটি।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ২১২, ১৮১ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

সূত্র : ইউএনবি


আরও খবর



চার মাসে মশার ঘনত্ব দ্বিগুণ হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে চলতি অর্থবছরে মশা মারার বাজেট ১৫৩ কোটি টাকা। আর মশা মারতে ড্রোনের ব্যবহারও করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। তারা সিঙ্গাপুর থেকে বিটিআই নামের এক ধনের ব্যাকটেরিয়াও আমদানি করেছে। তারপরও মশার দাপট কমছে না।

এডিস মশার পর মার্চের শুরু থেকেই কিউলেক্স মশার কামড়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে রাতে এখন সব সময়ই মশার কামড়।

ঢাকার অন্যান্য এলাকারও একই অবস্থা। তবে যেসব এলাকায় ডোবা, নালা বা খাল বেশি সেখানে মশাও বেশি।

অবশ্য দুই সিটি কর্পোরেশনই দাবি করছে, তারা মশা নিধনে ব্যাপক কাজ করছে এবং মশা আগের চেয়ে কম।

মশার ঘনত্ব দুই গুণ হয়েছে


গবেষণা বলছে, এখন ঢাকায় কিউলেক্স মশার ঘনত্ব ৯৯ ভাগ। এর মানে হলো এক শ
টি মশার মধ্যে ৯৯টি কিউলেক্স মশা। আর গত চার মাসে এই ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণ। কিউলেক্স মশা ড্রেন, নর্দমা, ডোবা ও ময়লা পানিতে বংশ বিস্তার করে। এই মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া রোগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।

 

অধ্যাপক কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক ঢাকার ছয়টি স্পটে ১২টি ফাঁদের মাধ্যমে মশা সংগ্রহ করছে। নভেম্বরে গড়ে প্রতিটি ফাঁদে দুই শ করে মশা ধরা পড়েছে। ডিসেম্বরেও গড় সংখ্যা মোটামুটি একই ছিল। তবে জানুয়ারি থেকে এ সংখ্যা তিন শ হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৮ ও চলতি মার্চে এই সংখ্যা ৪২০টিতে ঠেকেছে। ঘরের ভেতর ও বাইরে আলাদা দুটি ফাঁদে সপ্তাহে একবার করে মাসে চারবার মশা সংগ্রহ করে হিসাব করে গড় বের করা হয়। গবেষণায় গড়ে প্রতি ফাঁদে মিলছে ৪২০টি মশা। সবচেয়ে বেশি উত্তরা ও দক্ষিণখান এলাকায় গড়ে পাঁচ শ মশা ধরা পড়েছে।

কবিরুল বাশার বলেন, গত বছরের তুলনায় এই সময়ে মশা বেড়েছে কী না তা তুলনা করার জন্য কোনো পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ২০ ভাগ মশা বেড়েছে। আর সাধারণভাবে নাগরিকেরা মশা বাড়ার কথা বলছেন।

 

তার কথা, ঢাকার ড্রেন ও নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে মশা বেড়েছে। আর মশা ও মশার লার্ভা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

দক্ষিণ সিটি যা বলছে


কিন্তু এই গবেষণার সাথে একমত নন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির। তিনি বলেন,
গবেষণায় কী পাওয়া গেছে তা গবেষকের ব্যাপার। তার গবেষণার সাথে আমি একমত নই। মার্চ মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় মশক পরিস্থিতি যেকোনো বছরের তুলনায় ভালো এবং পরিস্থিতি আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বিচ্ছিন্নভাবে আমরা দুই-একটি এলাকা থেকে অভিযোগ পাচ্ছি। সেখানে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আর আমরা কিউলেক্স মশার প্রজনন ক্ষেত্র ড্রেন, নর্দমা, ডোবা, খাল নিয়মিত পরিষ্কার রাখছি। এছাড়া সকালে মশার লার্ভা নিধনের জন্য লার্ভিসাইট, বিকেল বেলা উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য নিয়মিত ফগিং করছি, বলেন এই কর্মকর্তা।

আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, কবিরুল বাশার ছাড়া আর কেউ তো মশা নিয়ে গবেষণা করেন না। ফলে তার গবেষণা তো আমাদের তুলনা করার সুযোগ নাই যে মশা বেড়েছে না কমেছে। তবে সাধারণভাবে দেখলে এটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই যে মশা বেড়েছে।

তার কথা, মশা নিধনে আমাদের নানা ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে এর সাথে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও খাল বিলের সম্পর্ক আছে। আমাদের উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তিন হাজার বিঘার মতো জলাশয় আছে। এগুলোর অধিকাংশ রাজউক, পিডিবিসহ আরো কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের। যেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা তাদের দায়িত্ব।

খরচ বাড়ে, মশাও বাড়ে


ঢাকার দুই সিটির চলতি অর্থ বছরে মশা মারার বাজেট ১৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে উত্তরের ১২১ কোটি ৮৪ লাখ আর দক্ষিণের ৩১ কোটি এক লাখ টাকা। আর গত ১২ বছরে ঢাকার মশা মারার আয়োজনে খরচ হয়েছে এক হাজার দুই শ
কোটি টাকা। এই বাজেটের টাকা মশা নিবারণের নানা যন্ত্রপাতি, কীটনাশসহ আরো অনেক কাজে ব্যয় হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) ১০টি অঞ্চলে ৭৫টি ওয়ার্ড। মশানিধনে ১৫০ জন মশক সুপারভাইজারসহ এক হাজার ৫০ জনবল কাজ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলে মোট ৫৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ৭৫ জন মশক সুপারভাইজারসহ প্রায় ছয় শ জনবল আছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, কার্যকর মশা নিধনের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি কর্পেরেশনের। তারা যদি যৌথ এবং সমন্বিতভাবে এ কাজটি করতো তাহলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যেত। তাদের কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। পাশাপাশি দরকার নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করা।

তার কথা, ঢাকার জলশয়, খাল ময়লা দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে। ড্রেন, নর্দমা অপরিষ্কার। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। পানির চলাচল রাখতে হবে। আর মশা নিধনে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা ল্যাবরেটরিতে এবং ফিল্ড লেভেলে পরীক্ষা করে ব্যবহার করা দরকার।

অধ্যাপক কবিরুল বাশারের কথা হলো, ড্রেন ও নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে মশা বেড়েছে। অনেক জলাশয়ে প্রচুর কচুরিপানা। এসব কচুরিপানায় মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের উচিত এখনই ড্রেন ও খালের লার্ভা ধ্বংস করতে গাপ্পি মাছ ছেড়ে দেয়া। গাপ্পি মাছ ময়লা পানিতেও ভালো থাকে এবং মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে।

দরকার আগাম প্রস্তুতি


মশার প্রাদুর্ভাব শুরু হলেই সিটি কর্পোরেশনের হাঁকডাক শুরু হয়ে যায়। তারা নানা কথা বলে, পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে। মশা মারতে ড্রোন, রোড শো, পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মীদের শরীরে অত্যাধুনিক বডি ক্যামেরার সংযোজন, হাঁস, পাখি, গাছ ও মাছের ব্যবহার করে চমক দেখায়, কিন্তু মশা কমে না। এখন কিউলেক্স-এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন,
মশার কারণে এখন সারা বছরই ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। তাই মশা নিধনের কাজ সারা বছরই করতে হবে। আমরা কাজ ছাড়া আর কোনো কথা শুনতে চাই না।

তার কথা, মশা নিধনের তিনটি উপায়। পরিবেশগত, রাসায়নিক এবং বায়োলজিক্যাল। এই তিনটি প্রক্রিয়া সব সময় কাজে লাগাতে হবে। আমরা দেখছি, মশা মারার ওষুধে মশা মরে না। তাই ল্যাবরেটরিতে যে রাসায়নিকে মশা মরছে সেটা বাস্তবে ব্যবহার করা হয় কী না তা দেখা দরকার।

এই কিউলেক্স মৌসুম শেষ হলে আবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৷ এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যার মধ্যে ৯৮০ জনই ঢাকায় মারা গেছেন।

ঢাকার দুই সিটির মধ্যে উত্তর সিটিতে সম্প্রতি একজন কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি অবশ্য এখনো মশার ব্যাপারে কিছু জানেন না। সোমবার তার কাছে মশার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানেন। আর দক্ষিণে কোনো কীটতত্ত্ববিদ নাই।

কবিরুল বাশার মনে করেন, তাদের কীটতত্ত্ববিদ থাকা দরকার এবং মশা নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত বলেন, সিটি কর্পোরেশন মাঝে মাঝে সহায়তা চায়। আমরা তখন আমাদের এক্সপার্টদের পাঠাই। তবে মশার ব্যাপারে আমাদের ভালো এক্সপার্ট নেই।


আরও খবর