Logo
শিরোনাম

একটানা বৃষ্টিতে নাকাল রাজধানীবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে এখন খুলনা ও কয়রার দিকে অবস্থান করছে। 


ঘূর্ণিঝড়টির পুরো প্রভাব শেষ হতে আরও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার মধ্যরাত থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে এমন বৃষ্টি আরও ভোগান্তিতে ফেলেছে নগরবাসীকে।


সোমবার (২৭ মে) বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে অফিসগামী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 


পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ফুটপাতের দোকানিরাও সমস্যায় পড়েছেন। তারপরও এক ধরনের যুদ্ধ করেই গন্তব্য যেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।


এর ওপর রাস্তায় স্বাভাবিকের তুলনায় যানবাহন অনেকটা বেশি দেখা গেছে। ফলে বৃষ্টির মধ্যেই অনেক জায়গায় আরেক ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট।



রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে। বাড্ডা, বিজয় সরণী, শেওড়াপাড়া, জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, তালতলা, মগবাজার ও খিলক্ষেতসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে অফিসগামী মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।


সড়কে চলাচলরত অনেকের ছাতা থাকলেও শরীরের নিচের ও পেছনের অংশ ভিজে একাকার হয়ে গেছে। কারও পুরো শরীর ভিজে একাকার। অনেকেই কাকভেজা শরীরেই চলছেন অফিস কিংবা গন্তব্যে।


এদিকে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যান যাত্রীরা। তবে সকাল ১০টা ৮ মিনিটে চলাচল ফের শুরু হয়েছে।


আরও খবর



অদৃশ্য মহামারি থ্যালাসেমিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বাংলাদেশে রেজিস্ট্রারভুক্ত থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা অনেকটা অদৃশ্য মহামারিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসা ব্যয়ের ভার এতটাই বেশি যে, সব রোগীর জন্য সেবা দিতে বছরে প্রয়োজন অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা। অথচ রোগটি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য— যদি সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

৭ মে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় প্রতি মাসে একজন রোগীর খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশে প্রায় এক লাখ রেজিস্ট্রারভুক্ত রোগী রয়েছে, যাদের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। আর প্রকৃত রোগী সংখ্যার ভিত্তিতে হিসাব করলে এই ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যার ব্যয়ে কোনো উদ্বৃত্ত নেই। এর চিকিৎসা ব্যয় শুধু বাড়তেই থাকে। সমস্যা আরও গভীর হয় যখন দুইজন বাহক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সন্তান জন্ম দেয়, যেটি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। একমাত্র সমাধান হলো সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা। আমি নিজে এই বিষয়ে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করব এবং আমার তিনটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি জায়গায় এই রোগ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করব।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক। তিনি বলেন, বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া বাহক শনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই রোগ থেকে রক্ষা পাবে।

শিশু হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এটি প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ, কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিনই নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত প্রয়োজন। তাই নিরাপদ রক্তের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাও জরুরি, যাতে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে নতুন কোনো রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।

সভায় আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. মো. সেলিমুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. মো. মাজির হোসেন এবং অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন। বক্তারা থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ের নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।


আরও খবর



২৯ এপ্রিল থেকে হজের ফ্লাইট শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

পবিত্র হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনে ঢাকা থেকে সৌদি আরব যাবেন।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ওইদিন রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রীর প্রথম দলটি সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে।

হজ ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে সরকারিভাবে ১১২ জন এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার ৭৪৩ জন গাইড হজযাত্রীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। এছাড়াও, ৭০ জন মোয়াল্লেম হজযাত্রীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।

হাজিদের পরিবহনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সাউদিয়া এবং নাস এয়ারলাইনস প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত হজের ফ্লাইট চলবে। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।

এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৮টি, সাউদিয়া ৮০টি এবং নাস এয়ারলাইনস ৩৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হলো আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা। আগামী ৯ জিলহজ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ৫ জুন) মসজিদে নামিরা থেকে এই খুতবা প্রদান করা হবে। বরাবরের মতো এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই খুতবা। বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে, খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হবে ২০টি বিভিন্ন ভাষায়, যার মধ্যে বাংলাও রয়েছে।

অনুবাদ করা ভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - বাংলা, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফারসি, চীনা, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, ইংরেজি, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো এবং জার্মান।

উল্লেখ্য, ১৪৪৬ হিজরির ৯ জিলহজ, যা ২০২৫ সালের ৫ জুন (চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল) তারিখে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বিআরটিএতে এখনো বহাল দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড শহীদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি না করাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তেমনি একটি বড় চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী মো. শহীদুল্লাহ। স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে চেয়ার ধরে রেখেছেন এসব আমলারা। পলাতক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে এই শহীদুল্লাহর নাম।  

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি থেকে ঘুষ ও চাঁদা তুলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত নির্বাচনী তহবিল গঠনে বড় ভূমিকা রাখতেন শহীদুল্লাহ। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ছানাউল হক, মোরছালিন ও রফিকুল ইসলাম। এদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। চট্টগ্রামে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনে প্রতি ইউনিটে ২ লাখ টাকা ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আর তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন উত্তরা মোটরসের সাতজন ডিলার। এই হিসাবে, শুধু এ প্রকল্প থেকেই ২৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা আদায় হয়।

এ ছাড়া, ভারতে তৈরি চার আসনের ২ হাজার ম্যাগজিমা অটোরিকশাকে বেআইনিভাবে ৭ আসনের অটো-টেম্পু হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে গাড়িপ্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ৪০ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামের ২০ হাজার গ্রামবাংলা সিএনজি অটোরিকশা থেকে গাড়িপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ কোটি টাকা গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহ ও তার সিন্ডিকেট ৩৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই সময় তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন চট্ট মেট্রো-১ এর এডি তৌহিদ হোসেন। বর্তমানে তিনি পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। তৌহিদ হোসেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের এলাকা নোয়াখালীর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএকে উৎকোচ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। 

একপর্যায়ে সমালোচনার শুরু হলে শহীদুল্লাহকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক করে ২০২২ সালে ঢাকায় নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের, সচিব আমিন উল্লাহ নুরী ও চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এখানে এসেও দুর্নীতির ধারা অব্যাহত থাকে।

ঢাকায় দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতিতে ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পান ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি. মোশারফ হোসেনের কথিত ভাতিজা ও ফরিদপুর-৪ এর সাবেক সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে। যাকে সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

বিআরটিএতে দালাল সিন্ডিকেট শক্তিশালী করার মূল কারিগরই ছিলেন এই শহীদুল্লাহ ও রফিকুল। এই দুই কর্মকর্তার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দালাল ছাড়া কোনো কাজই হতো না। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ করলেই মিলত মোটা দাগের উৎকোচ।

অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা মেট্রো সার্কেল ১, ২, ৩ ও ৪-এ লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়যা শহীদুল্লাহ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ভাগ করে নিতেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, মাসে প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় এসব সার্কেলে। ফলে মাসে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং তিন বছরে মোট ১২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছেযার একটি অংশ সরাসরি যেত সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে।

শুধু তাই নয়, জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিএস ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পালের সঙ্গে শহীদুল্লাহর ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলন নস্যাতের ষড়যন্ত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও শহীদুল্লাহর নামে-বেনামে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি। মোহাম্মদপুর বাবর রোডে একটি ডুপ্লেক্স, শ্যামলীতে মার্বেল খচিত বহুতল ভবন এবং গাজীপুরে দুটি বাড়ির কথা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা এক জায়গায় তিন বছরের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারেন না। অথচ শহীদুল্লাহ গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একই পদে বহাল। বিআরটিএ সদর দপ্তর থেকে তাকে সংযুক্ত করার আদেশ থাকলেও এখনো তিনি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা একে সরকারি আদেশ অমান্য বলে আখ্যা দিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে শহীদুল্লাহ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব চরম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আদেশ হলে না যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আদেশে আমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন কাউকে দায়িত্ব দিলে আমি সেখানে যোগ দেব।

তিনি বলেন, দুদকে অভিযোগ দিলে কিন্তু তারা গ্রহণ করবে। এটা কোনো প্রশ্ন হলো না। দুর্নীতি করলে লুকানোর কিছু নেই। যারা করছে বা যদি করে থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এগুলো পেয়ে যাবে।  তিনি পুনরায় দাবি করে বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।

বিআরটিএর এমন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানেই একই চিত্র। হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চর্চার পরিবর্তন হয়নি। আর বিআরটিএর মতো সংস্থা তো আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। বিগত কর্তৃত্ববাদের সময় সেটা আরও বেশি। কাজেই বিভিন্নভাবে এটার সুযোগ-সুবিধা তারা নিয়েছে। সেটিই এখন প্রমাণিত হচ্ছে। দুদককে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা অন্য কারণে যারা এমন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ যাদের বিরুদ্ধে আছে তাদেরকে বহাল রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা অনৈতিক। কারণ যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে, সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেও তাদের কিন্তু সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা। অভিযোগ হয়ে থাকলে ও তদন্ত শুরু করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তদন্ত সংস্থাগুলোর উচিত হবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যথাযথ তদন্তের ভিত্তিতে প্রযোজ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএর বর্তমান প্রেক্ষিত তো বটেই এই সংস্থা সম্পর্কে সারাদেশের মানুষের যে ধারণা এই ধারণার যে অভিজ্ঞতা সেটার পরিবর্তন লাগবে। পরিবর্তনের সেই সুযোগটা এখনই। দুদকেরও এখনি সেই সুযোগটা নেওয়া উচিত। বিআরটিএর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষও এর দায় এড়াতে পারে না। কারণ বিআরটিএ যদি তাদের বহাল তবিয়তেই রাখে বা তাদেরকে সুরক্ষা দেয় তাহলে সেটাও কিন্তু দুর্নীতির সহায়ক। এ থেকে বিআরটিএকে সরে আসা উচিত।

এসব বিষয়ে বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার ফোনে কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। এক সপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেলেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডে বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর শেলটেক চন্দ্রমল্লিকায় তার রয়েছে আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট। এছাড়াও শ্যামলীর ২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ হোল্ডিংস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে দু'টি নজরকাড়া বাড়ি।

 

শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার কাচারিকান্দিতেও নামে বেনামে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বিলাস ভ্রমণের খবর সবারই জানা। সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ বিআরটিএর বিগত সময়ের সিএনজি রিপ্লেস ধান্ধার হোতা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ঘুষবাজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেক লম্বা হস্তের খুশি-খেয়াল মতো ধান্ধায় বেহুশ। তিনি সেই লম্বা হাত মানে-পরিচালক প্রশাসনর নির্দেশে যে কয়জন ওই আন্দোলন ভিন্নখাতে নেয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ইন্ধন যুগিয়েছেন-তাদের মধ্যে অন্যতম।

সূত্রটি জানায়, বরাবরই তিনি তার অদৃশ্য লম্বা হাতের ছোঁয়ায় অর্থাৎ পরিচালক প্রশাসনের ক্ষমতা বলে রক্ষাকবজরূপে সব সার্কেলের ঘুষবাজদের সক্রিয় রাখার বিনিময়ে পান মোটা উৎকোচ। এর আগেই ডিডি থাকা অবস্থায় সিএনজির রিপ্লেস ধান্ধাসহ মোটা দাগে লুটপাটের টাকায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিকানার সাথে মহাগুরু বনে যান। এরপর ওই তকমায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফিরে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর নিয়োগ বদলি বাণিজ্যে তো বরাবরই তার জুড়ি মেলা ভার।

সূত্র আরও জানায়, বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হয়েই অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় শহীদুল্লাহ বিআরটিএ ঘিরে অদৃশ্য শক্তির বলয় তৈরি করে রেখেছেন। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, সেটিও তার হাতের মুঠোয়। বিআরটিএর সব কূটকৌশলের মাস্টারমাইন্ড বলেও রয়েছে তার খ্যাতি। বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহর সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও তার অন্তরঙ্গ ওঠা বসা। এভাবেই নীতির ফেরিওয়ালার বেশে বিগত কয়েক বছরে চতুর শহীদুল্লাহ নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।  

এছাড়া তিনি বিআরটিএর জমিদার বলে বেশ পরিচিত । তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে-শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। আর এসব সখ্যতা ও সুখ্যাতির অক্ষুণ্নতা রক্ষায়ই আলোচিত ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার অংশীদার হয়ে বিআরটিএর ধ্বংসযজ্ঞের একটি অংশে মূল কয়েক হোতাদের পরেই পরিচালক শহীদুল্লাহর নাম ছড়াচ্ছে। যা চলমান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সরাসরি বরাত না মিললেও সংশ্লিষ্ট দফতরেও নানা মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। সদ্য বিআরটিএর ওই লম্বা হস্তের সাথে এ শুভানুধ্যায়ীর বে-খবরটিও ঘুরপাকের আভাসে এ থেকে নিজেকে আড়াল করার নানা ফন্দিও তিনি ইতোমধ্যে এঁটে রেখেছেন। তার মানে-ওই সেই কথাঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না অর্থাৎ-তিনি ওই আন্দোলনের সময় দেশে ছিলেন না, বলে প্রচার শুরু করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিআরটিএ'র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



বেতন বাড়ল নারী ফুটবলারদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

অবশেষে বিদ্রোহ করা পুরো ১৮ নারী ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাফুফে। শুধু চুক্তিই করেনি, বিদ্রোহী মেয়েদের বেতনও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বাফুফের সঙ্গে চুক্তি হওয়া ফুটবলারের সংখ্যা ৫৩ জন।

মোট তিন ক্যাটেগরিতে বেতন পাবেন সাবিনারা। সিনিয়রদের বেতন পাঁচ হাজার বেড়ে হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। আর সর্বনিম্ন ২০ হাজার করে পাবেন জুনিয়ররা।

সামনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আছে। আগামী ৩১ মে তারা মুখোমুখি হবে জর্ডানের, ৩ জুন খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচের জন্য ভুটানে খেলতে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনকে জাতীয় দলে ডেকেছেন পিটার বাটলার। দ্রুতই পিটারের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা মনিকা, মারিয়া, রুপনা, শামসুন্নাহার ও ঋতুপর্ণার।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম,

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

নলছিটি উপজেলার পৌরসভা এলাকার সূর্যপাশা গ্রামে ধান কেনার নামে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীর তিন ছেলেকে ধারালো দা ও রড দিয়ে কুপিয়ে,পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৮৭ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।


ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সূর্যপাশা এলাকার মোনাই বাড়িতে।


এ বিষয়ে আহতদের পিতা বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।  এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সূর্যপাশার বাসিন্দা ও ধান ব্যবসায়ী মো. নুরে আলম হাওলাদারের তিন ছেলে তারেক, তুহিন ও তাহিন হাওলাদার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজে জড়িত। ঘটনার দিন আসামিরা তাদের মোনাই বাড়িতে ধান বিক্রির কথা বলে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে ধানগুলো কাঁচা ও ভিজা দেখে তারা না নিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।


পরে উত্তেজনার একপর্যায়ে আসামিরা তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন হিরন তালুকদার, হারুন তালুকদার, মজিবর তালুকদার, মাহফুজ তালুকদার, শরিফুল হাওলাদার ও রিয়াম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হিরন তালুকদার দা দিয়ে তারেক হাওলাদারের মাথায় পরপর দুটি কোপ মারে, হারুন তালুকদার লোহার রড দিয়ে তার ডান হাতে আঘাত করে। অন্য দুই ভাইকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।


হামলার সময় তারেক হাওলাদারের পকেটে থাকা ধান কেনার নগদ ৮৭ হাজার টাকা এবং একটি রেডমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পিতা মো. নূরে আলম হাওলাদার বলেন,আমার ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে ধান কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। সেদিন ধান দেখেই না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা মারার জন্যই কুপিয়েছে। এমনকি টাকাও নিয়ে গেছে। আমি থানায় মামলা করেছি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।


আরও খবর