Logo
শিরোনাম
কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ এর স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ

একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে তিনি গোটা জীবন ব্যয় করেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ-এর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ৯ অক্টোবর ২০২৪ সিপিবি আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একটি বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে কমরেড ফরহাদ তাঁর গোটা জীবন ব্যয় করেছেন। আকন্ঠ বিপ্লব পিয়াসী কমরেড ফরহাদ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি আমলের স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম, মহান ভাষা আন্দোলন, ৫৮ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি এবং তার প্রিয় পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অবদান সেই বৈষম্য মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছে।

নিষিদ্ধ থাকা কমিউনিস্ট পার্টিকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পার্টি সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশে আমৃত্যু তিনি, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম এবং বৈষম্য মুক্ত সমাজ তথা সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে অগ্রসর করে নিয়ে গেছেন।

কমিউনিস্ট পার্টি ও তার কর্মকান্ড এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। দেশের বিভিন্ন সংকটে স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে, তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। এবছর আমরা এমন একটি পরিবেশে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলিত হয়েছি যে, অসংখ্য মানুষের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা হলো, সব মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ, সবার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা, সব কালাকানুন বাতিল ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

এই আন্দোলনের শক্তি ভারসাম্যের কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি অনেক কিছুতে ভর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য হলো এক স্বৈরাচারীর বদলে আরেক স্বৈরাচার যেন প্রতিষ্ঠা না হয়। আমাদের পার্টি দীর্ঘদিন ধরে যে সংগ্রাম করছে তার অন্যতম স্লোগান হলো, দুঃশাসন হটাও ব্যবস্থা বদলাও এবং এজন্যে নীতিনিষ্ট বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলো। এই গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের উপরে দাঁড়িয়ে এই সংগ্রাম অগ্রসর করে দেশকে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর বিভিন্ন সময় যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করা হয়েছে স্বৈরাচারী ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। আবার অনেকে সুযোগ বুঝে মুক্তিযুদ্ধকে পরিত্যাগ করতে নতুন নতুন বক্তব্য হাজির করছে।এই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে নীতিনীস্ঠ পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এটা মনে রাখা দরকার যে, দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বের বিভিন্ন অপশক্তি সবসময় তাদের স্বার্থ পূরণ করতে চাইবে। এসব বিষয় সতর্ক থেকে সচেতন ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

নেতৃবৃন্দ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনের শান্তি ফিরিয়ে আনা ছাড়া সংস্কারের কার্যক্রম এখনো যাবে না। নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কাজ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান।

বিকেল সাড়ে চারটায় সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স,মিহির ঘোষ, মাহবুবুর আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাসান তারিক চৌধুরী, বিমল মজুমদার, মোতালেব হোসেন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্রনেতা মাহির শাহরিয়ার রেজা। এছাড়া আজ সকালে ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রয়াত মোহাম্মদ ফরহাদ এর কবরস্থানে সিপিবি সহ বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ ফরহাদ এব জন্মস্থান পঞ্চগড়ের বোদা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্মরন সভা আলোচনা সডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




পীরগাছায় তরুণ সমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিনিধি:


রংপুরের পীরগাছায় স্বৈরাচারের দোসর নটাবাড়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকার তার শশুরবাড়ীর কয়েকজন আত্মীয়স্বজন দ্বারা এলাকার তরুণ সমাজের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। শুক্রবার বিকেলে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত নটাবাড়ী হাইস্কুল মাঠে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক রিনা পারভীন, সমাজসেবক জিয়াউর রহমান লিটন, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, ইমরান আলী, পল্লী চিকিৎসক 

শাহজাহান মিয়া, চাঁন মিয়া, শিক্ষার্থী মারুফ হাসান।

সহকারী শিক্ষক মশিয়ার রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকার তার শশুরবাড়ীর কয়েকজন আত্মীয়স্বজন নিয়ে এসে এলাকার তরুণ সমাজ ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও মানহানিকর যেসব বক্তব্য গত ৯ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছেন এবং আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। 

ভূক্তভোগী নৈশ প্রহরী নুরুল ইসলামের স্ত্রী মমেনা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, ৯ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা আরিফ আনজুম সাবুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন। তার ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং আমার স্বামী নৈশ প্রহরী নুরুল ইসলাম যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে এই স্কুলে কর্মরত ছিলেন তাকে চাকরিচ্যূত করেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির। প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকার তার দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ধামাচাপা দিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে উপস্থিত বক্তারা জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  নাজমুল হক সুমন জানান, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকারকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



অধিনায়কত্ব নিতে ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ তাইজুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তার অধীনেই আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার কথা ছিল টাইগারদের। তবে এর আগেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাড়াচ্ছেন শান্ত।

জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে চলমান সিরিজের পরই অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ টেস্টে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে দেখার কথা ছিল। সাধারণত অধিনায়ক বা প্রধান কোচই ম্যাচ শুরুর আগের দিন আসেন সংবাদ সম্মেলনে। তবে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল ইসলাম আসায় প্রশ্ন জেগেছেটাইগারদের লাল বলের ক্রিকেটের পরবর্তী অধিনায়ক কী তিনি হচ্ছেন। তাইজুলের ভাষ্যে, নেতৃত্ব নিতে প্রস্তত তিনি।

চট্টগ্রাম টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে টেস্টের অধিনায়ক হতে চান কি না ভবিষ্যতে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি তার ১০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার বলেন, যেহেতু ১০ বছর খেলেছি, পুরোটাই তৈরি।

শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি এখনও শুনিনি, এটা আমার পার্টও না। এ বিষয়ে সঠিক জানি না। ক্যাপ্টেন কে হবেএ রকম টিম মিটিং কখনই হয়নি। আমি জানিই না ভাই এ বিষয়ে।

সিরিজের মাঝে অধিনায়ক ছাড়ার ইস্যু খেলার মধ্যে প্রভাব ফেলে নাকি। গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে ৩২ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার বলেন, এটা টিম গেম। টিম কী করে ভালো থাকবে এটাই ইম্পরট্যান্ট। প্রভাব হয়তো কেউ কেউ নিতে পারে, কেউ কেউ নির্ভার থেকে নিজের কাজ করে যেতে পারে। আমি সব সময় নির্ভার থেকে নিজের কাজ করার চেষ্টা করি।

দলে এসব যখন ঘটে জানি না কে কীভাবে নেয়, সবার মানসিকতা একরকম না। প্রশ্নটা গভীর, এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের মিটিংয়ে আমি বা খেলোয়াড়রা থাকে না। কোচ ক্যাপ্টেন কে হচ্ছেএটা আসলে আমাদের পার্ট না।

সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ১০ বছরের ক্রিকেটের জীবনের অভিজ্ঞতা দলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমার কাছ থেকে আপনি কতটা নিচ্ছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ। হোক টিমমেট বা দেশের জনগণ। মাঠে যখন বিভিন্ন পরিস্থিতি আসে, ফিল্ড পজিশন বা ব্যাটারকে সেটআপ এগুলো মাঝে মাঝে আমি বলে থাকি। ক্যাপ্টেনও জিজ্ঞেস করে। আমি চেষ্টা করি ভূমিকা রাখার।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে নিজেদের অবস্থানে অনড় বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে না বিএনপি। এই ইস্যুতে এরই মধ্যে সংবিধানের বাইরে না যাওয়ার যে দলীয় অবস্থান নিয়েছে, সেটাতেই বহাল রয়েছেন তারা। গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। 

বিএনপি বলছে, বিপ্লব বা অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সাংবিধানিক পথেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সেই সংবিধানকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যৌক্তিক হবে না। দলটি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংবিধানকে বাতিল ঘোষণা করা হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট বা রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। এমনটা হলে নির্বাচন আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারে দশটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। 

সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপও করে সরকার। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন তার পদত্যাগের দাবি তোলে। গত ২২ অক্টোবর বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও পালন করা হয়। এই পরিস্থিতিতে ২২ অক্টোবর রাতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে নেতারা অভিমত দেন, অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা ঠিক হবে না। এমনটা হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।

 এতে করে নির্বাচন আরও দীর্ঘায়িত হবে। দলীয় এমন সিদ্ধান্তের আলোকে পরদিন ২৩ অক্টোবর বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি নেতারা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে এই মুহূর্তে দেশে সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হোক, সেটা কাম্য নয় বিএনপির। বিএনপি চায় না দেশে নতুন করে কোনো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হোক

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ওইদিন বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির পদ একটা সাংবিধানিক পদ বা একটা প্রতিষ্ঠান, সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। এই পদে হঠাৎ করে পদত্যাগের মাধ্যমে শূন্যতা সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যদি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথটা বিলম্বিত, বাধাগ্রস্ত কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হয়, তা জাতির কাম্য নয়।

এরপর ২৩ অক্টোবর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতির অপসারণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি। রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে এখন সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই

বিএনপির এমন অবস্থানে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে ছাত্রনেতাদের দাবি কিছুটা থমকে যায়। এরপর এ ইস্যুতে ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। এর অংশ হিসেবে গত শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রনেতারা। সেখানে ছাত্রনেতাদের তরফ থেকে বিএনপিকে তাদের অবস্থান জানানো হয়, কেন তারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চান, সেটিও তুলে ধরেন। তবে বিএনপি তাদের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। দলটি তখন জানায়, এ ইস্যুতে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় প্রধান এজেন্ডা ছিল রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যু। জানা গেছে, সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আলোচনা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। এরপর নেতারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রে নতুন করে কোনো ধরনের সংকট বা জটিলতায় পড়ুক- এমন পরিস্থিতি সতর্কভাবে এড়িয়ে চলার অবস্থান প্রকাশ করেন। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ প্রশ্নে


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪ উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন

রোববার (৬ আগস্ট) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ উদ্বোধন করেন

প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন

আইএসপিআর জানায়, পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার প্রতি। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সব বীর সেনানীদের যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে

প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন

এছাড়া সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সব অফিসারদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন

তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে তিনি তার মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন

আইএসপিআর আরও জানায়, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার

নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিল জামায়াত

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক মতবিনিময় সভায় তিনি কথা জানান। 

জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিহতদের পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। প্রতিশোধ নয় জামায়াতে ইসলামী সকল জুলুমের বিচার প্রচলিত আইনের মাধ্যমে চায়।

চীন মৈত্রী সম্মেলর কেন্দ্রে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বছরের আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ রোববার মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। 


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪