Logo
শিরোনাম

এমপি আনার হত্যার সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন শিলাস্তিও, আসামিদের লোমহর্ষক বর্ণনা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের জট এখনও খোলাসা না হলেও দেশে গ্রেপ্তার তিন আসামি— শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি ডিবির। 


এরই মধ্যে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এমপি আনারকে রিসিভ করার পর হত্যাকাণ্ডের সময় কলকাতার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন শিলাস্তি রহমান। এমনকি ঝিনাইদহ-৪ আসনের এ সংসদ সদস্যকে হত্যার পর নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে সব কাজ করেছেন হত্যাকারীরা।


শুক্রবার (৩১ মে) শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। কিন্তু আদালত এ তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এই তিন আসামির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, এমপি আনারকে হত্যা করার আগে কলকাতার সেই ফ্ল্যাটে ওঠেন শিলাস্তি রহমান। হত্যা করার সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন তিনি। তার দায়িত্ব ছিল এমপি আনার যখন ফ্ল্যাটটিতে যাবেন তাকে রিসিভ করা। 


সেই অনুযায়ী শিলাস্তি রহমান ওই ফ্ল্যাটটিতে এমপি আনারকে রিসিভ করেন। এরপর থেকে আর এমপি আনারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।


রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া (৫৬) জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে জানায়, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) শীর্ষস্থানীয় নেতা। খুলনা, জিনাইদহ, যশোরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তথা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তাদের নিষিদ্ধ দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।


 শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে এমপি আনারের আদর্শের বিরোধ ছিল। এছাড়া ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিনের সঙ্গেও সংসদ সদস্যের বিরোধ ছিল। এই দুই বিরোধকে কেন্দ্র করে শাহিন ও শিমুল ভূঁইয়া আনারকে হত্যা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করছিলেন।


এমপি আনার হত্যাকাণ্ড / এবার নেপাল যাচ্ছে ডিবি

গত জানুয়ারি ও মার্চ মাসে দুবার তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হন তারা। পরবর্তীতে শাহিন ভারতের কলকাতার নিউটাউন অভিজাত এলাকায় চলতি মাসের এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। 


পরিকল্পনায় শামিল করা হয় শিলাস্তি রহমানকে। পরে তাদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিং করে শাহিন গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশে চলে আসেন।


ডিবির রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পরবর্তীতে শিমুল ভূঁইয়া ও শাহিনের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা ভুক্তভোগীকে কৌশলে ব্যবসার কথা বলে কলকাতার ওই ফ্লাটে নিয়ে যান। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুল ভুঁইয়া অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় আনারকে হত্যা করেন। 


হত্যার পর তার মরদেহের হাড়-মাংস আলাদা করে মাংসের ছোট ছোট টুকরো করা হয়। পরে সেগুলো ফ্ল্যাটের টয়লেটের কমোডে ফেলে ফ্লাশ করা হয়। এছাড়া হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অংশ ট্রলিব্যাগে করে কলকাতার নিউটাউন থেকে দূরে একটি খালে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।


রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, শাহিন ভুঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য কলকাতার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি পুলিশকে জানানো হয়। পরবর্তীতে কলকাতার সিআইডি পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংকে তালাশ করে মানুষের মাংস সদৃশ কিছু উদ্ধার করে। যা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম আনারের কি না নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে কলকাতার সিআইডি পুলিশের মাধ্যমে মৌখিকভাবে জানানো হয়। 


এই আলামত উদ্ধারের সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।


ডিবিকে গ্রেপ্তার শিমুল ভুঁইয়া আরও জানান, আনারকে হত্যা করা ও লাশ থেকে হাড় মাংস আলাদা করার কাজে আসামি ফয়সাল, মোস্তাফিজ ও জিহাদ সরাসরি জড়িত ছিলেন। হাড় ও শরীরের অন্যান্য অংশ দূরে ফেলে দেওয়ার কাজে সিয়ামসহ অজ্ঞাতনামা দু-একজন সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।


আসামি জিহাদকে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আসামি তানভীর ভূঁইয়া (৩০) ঘটনার সময় শাহিন ভুঁইয়ার সঙ্গে কলকাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি হত্যাকাণ্ডে শাহিন ভুঁইয়াকে সহযোগিতা করেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। 


পরে তানভীর ভূঁইয়ার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তার বাড়ি থেকে তিনটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। আনারকে হত্যার সময় শিলাস্তি রহমান কলকাতায় ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন। হত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিলাস্তির দায়িত্ব ছিল এমপি আনারকে রিসিভ করা।


 ঘটনায় জড়িত পলাতক মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিন, সিয়াম ও মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামিদের সঠিক নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। 


বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার রহস্য জানতে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসমিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়।


এর আগে গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরদিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। 


সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি। চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আনারের মোবাইল নম্বর থেকে তার বন্ধু গোপালের কাছে ম্যাসেজ আসে যে, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন।


পরে ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় এমপি আনার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহকারী রউফের কাছেও।


১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে আর এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।


২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারেন, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়।


 এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে। পরে বুধবার (২২ মে) ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্লাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে।



আরও খবর



শর্তজুড়ে ভোজ্যতেল বিক্রি করলে কঠোর শাস্তি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বললেন, ভোজ্যতেল বিক্রিতে শর্তজুড়ে দিলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

তিনি বলেন, বাজারে তেলের সঙ্গে চাল, আটা ও চা পাতাসহ নানা ধরনের পণ্য কিনতে ভোক্তাদের শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। বাজারে এসবের প্রমাণ মিলেছে কিন্তু তেল রিফাইনারিকারী কোম্পানিগুলো তা অস্বীকার করছে। আমরা বাজারে কোথাও এ অবস্থা দেখতে পেলে কোম্পানি ও ডিলারদের জরিমানা করবো।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেলের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবহিত, মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ভোক্তার পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ভোজ্যতেল মিল মালিক, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা।

এ সময় ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা রাজধানীর ৪টি বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি খুচরা দোকানে তেল কম, ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তেলের সঙ্গে শর্তজুড়ে দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে রশিদ দেখাতে পারছে না। এসও করে নির্দিষ্ট সময়ে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া খোলা ভোজ্যতেলের দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বোতলজাত তেলের চেয়ে বেশি।

মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, বাজারে পাম তেল সরকারি দরের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে সয়াবিন তেল নিয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। তেলের ক্ষেত্রে আমরা ৬টি রিফাইন প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। গত ৩-৪ মাস যাবত তেল নিয়ে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, পরস্পরের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিতে হবে। কোম্পানিগুলো তেল এনে রিফাইন করে, আর আমরা তা বিক্রি করি। কয়েক বছর ধরে ট্যারিফ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিলে দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

তিনি কোম্পানিগুলোকে বলেন, দরকার পড়লে আবার দাম ঠিক করে নেন, তারপরও বাজার ঠিক রাখেন। ভোক্তাদের হয়রানি করবেন না। আমরা এবারের রমজানটা হালালভাবে ব্যবসা করতে পারি সেই কথা দিতে হবে কোম্পানিগুলোকে। তিনি সামান্য ব্যত্যয়ের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জরিমানা না করার আহ্বান জানান।

ভোক্তার তদন্ত সম্পর্কে নিউ মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, বাজারে ৫ লিটারের তেল নেই, আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। ডিলাররা জানাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে কোম্পানির আলোচনা হচ্ছে, দাম বাড়ালে তেল বাজারে চলে আসবে। কেননা কোম্পানির কাছে পর্যাপ্ত তেল আছে। বর্তমানে বাজারে তেলটাই বড় সমস্যা।

তিনি বলেন, এখন ৫ কার্টন চাইলে ১ কার্টন দেওয়া হয়। তেল দিলে পোলাওয়ের চাল, আটা, লবণ, চা পাতাসহ অন্যান্য পণ্য কেনার শর্তজুড়ে দেয়। তেলের অর্ডার নিয়ে না জানিয়ে এসব পণ্য দিয়ে যায়।

এ পর্যায়ে ডিজি বলেন, প্রতিদিন তেলের উৎপাদন কত কোম্পানিগুলোকে তা দৈনিক ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। এ জন্য সফটওয়ার তৈরির দায়িত্ব দেন কোম্পানিগুলোকে।

এ পর্যায়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, এসওতে হাতবদলে দাম বেড়ে যায়। আমাদের অর্ডার নিয়ে ১৫-২০ দিন ধরে ট্রাক বসিয়ে রাখা হয়। ময়দার বস্তায়একটি কোম্পানি ২০০ টাকা বাড়িয়েছে। তারা মাল দিচ্ছে না।

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার বলেন, ৫ তারিখে ৭ কার্টন মাল পেয়েছি, তখন ৪০ কেজি পোলাওয়ের চাল দিয়েছে। রুপচাঁদা ২০ কার্টন তেলে ১ বস্তা পোলাওয়ের চাল ও ১ কার্টন সরিষার তেল দিয়েছে। এজন্য কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করার আহ্বান জানান।

এ সময় ভোক্তার ডিজি বলেন, শর্তযুক্ত বিক্রি নিন্দনীয়। এ অবস্থা করলে শাস্তি দেওয়া হবে। বর্তমানে যে পরিমাণ রিফাইন হচ্ছে তা দ্বিগুণ করতে হবে।

এরপর টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম বলেন, সরকার মূল্য কমিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল, এজন্য কিছু কমানো হয়। বিদেশ থেকে সয়াবিন আসতে ৫০-৬০ দিন ও পাম তেল ১০-১২ দিন সময় লাগে। বর্তমানে সবাই গতানুগতিক সরবরাহ করছে। এমনকি সরকারি দরের চেয়ে ১৫ টাকা কম দামে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে। রোজা উপলক্ষে টিকে দ্বিগুণ এলসি করেছে। সেপ্টেম্বরের এলসি অক্টোবরে করা হয়েছে। এসব ডিসেম্বরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ব্রাজিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা দেরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ তারিখে বড় ধরনের চালান আসবে ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পর তেলের সংকট হবে না।

এ সময় তিনি টিসিবি কেনো তেল আমদানি করে না বলেও প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, তারা কেনো প্রাইভেট কোম্পানি থেকে কিনবে? দেশে এক সময় ৪৮টি রিফাইনারি ছিল লোকসান দিতে দিতে তার মধ্যে ৮টি টিকে আছে।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা দাবি করেন, নিয়মিত ড্রাম ও বোতলে ডিলারদের কাছে তেল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমরা ইতিহাসের নায়কদের সম্মান দিতে জানি না। উল্টো ইতিহাস বিকৃত করি। কিন্তু ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না। তবে বিকৃতকারীরা সব সময়ই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান৷

‘৫২-এর ভাষাশহীদদের পরিবারকে পরিপূর্ণ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র’ বলে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভাষাশহীদদের নিয়ে রাজনীতি করা হলেও তাদের পরিবারকে মূল্যায়ন করা হয়নি। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল এ দায় তাদের।

জামায়াত আমির বলেন, ‘একাত্তরের শহীদদের জাতি মোটামুটি স্মরণ করে। তবে কতটা মর্যাদা দিতে পারে, তা আলোচনার বিষয়। অনুরূপভাবে যারা ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন অন্তত একুশে ফেব্রুয়ারি সেই দিনটির কথা স্মরণ করুন, তাদের পরিবারকে বুকে টানুন আর সম্মান জানান। তাহলে তারা কিছুটা হলেও প্রশান্তি পাবেন। আর বর্তমান প্রজন্ম এখান থেকে শিক্ষা নেবে।’

ডা. শফিকুর রহমান আফসোস করে বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের নায়কদের সম্মান দিতে জানি না। উল্টো ইতিহাস বিকৃত করি। কিন্তু ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না। তবে বিকৃতকারীরা সব সময়ই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসকে কেটে টুকরো টুকরো করেছে। সব জায়গায় অন্যায্যভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল। প্রত্যেক জাতির যুবসমাজ সাধারণত অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকে। আমাদের যুবকরাও সেই গৌরব ধারণ করে চলেছে।’

ভাষা আন্দোলনে তমুদ্দিন মজলিশ, অধ্যাপক গোলাম আযমসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবদান সরকারিভাবে সামনে আনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।


আরও খবর



ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যেও জিকার সংক্রমণ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ক্লাস্টার শনাক্ত করেছে। আইসিডিডিআর,বি’র বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি প্রচলিত জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য একটি ছোট আকারে স্ক্রিনিং করেছেন। তারা ২০২৩ সালে সংগৃহীত রোগীদের নমুনার মধ্যে পাঁচটি কেস শনাক্ত করেছেন, যা ঢাকায় জিকা সংক্রামিত রোগীদের একটি ক্লাস্টার হিসেবে প্রথমবারের মতো চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছিলেন।

সোমবার (৩ মার্চ) আইসিডিডিআরবি তাদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

জিকা ভাইরাসকে একটি প্রধান উদীয়মান রোগজীবাণু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হলেও পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এশিয়া ও আফ্রিকায় নীরবে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৭ সালে ফেডারেটেড স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়ার ইয়াপ দ্বীপে প্রথম বড় জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে, ব্রাজিলে একটি বড় প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল এবং পরবর্তীকালে দক্ষিণ আমেরিকার বাকি অংশ, ক্যারিবিয়ান এবং অবশেষে বিশ্বের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং ভারতে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) রেট্রোস্পেকটিভ সার্ভিল্যান্স স্টাডিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একজন জিকা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। ২০১৪ সালে বিদেশ ভ্রমণের পূর্ব ইতিহাস নেই এমন এক রোগীর কাছ থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে, ব্রাজিলে ২০১৫ সালের প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই বাংলাদেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল।

আইসিডিডিআরবি জানায়, এই গবেষণায় ২০২৩ সালে মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বি’র ডায়াগনস্টিক ফ্যাসিলিটিতে আসা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করেন এবং জ্বর ও জিকা ভাইরাসের অন্য কোনও লক্ষণ নিয়ে ১৫২ জন রোগীর নমুনায় জিকা ভাইরাসের জন্য পিসিআর পরীক্ষা করেন। এর মধ্যে পাঁচটি নমুনায় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশে রোগের প্রকৃত বোঝা পরিমাপের জন্য দেশব্যাপী আরও বড় পরীক্ষার প্রয়োজন। পাঁচ জন রোগীই একে অপরের থেকে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাস করতেন এবং গত দুই বছরে দেশের বাইরেও ভ্রমণ করেনি তারা। সব রোগীকে প্রায় এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা একই সংক্রমণের শৃঙ্খলের অংশ ছিল। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাঁচ জনের মধ্যে একজন ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন- বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সহ-সংক্রমণ শনাক্ত হলো বলে জানায় আইসিডিডিআরবি।

আইসিডিডিআর,বি’র জিনোম সেন্টারে গবেষকরা তিন জনের নমুনার পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেন। বিশ্বজুড়ে সংগৃহীত অন্যান্য জিকা ভাইরাসের ধরনের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণে তারা দেখেছেন যে বাংলাদেশি ধরনগুলো আফ্রিকান বংশের বিপরীতে জিকা ভাইরাসের এশীয় বংশের অন্তর্গত। ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া ও চীনের স্ট্রেইনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্ট্রেইনের সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে। জিকা-আক্রান্ত দেশগুলো থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য রুটিন জিকা ভাইরাস, পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও ডায়াগনস্টিক ক্ষমতা এবং পদ্ধতিগত নজরদারি ভবিষ্যতে বড় প্রাদুর্ভাবের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করে আইসিডিডিআর,বি।


আরও খবর



ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষে সম্ভব

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে এবং ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ জনগণ ও দেশ। তাই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষে সম্ভব। বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে দেশ পুনর্গঠন করবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগদান করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণের সমর্থন নেই এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ পুনর্গঠনে দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা বিগত ১৭টি বছর আন্দোলন করেছি, সেই স্বৈরাচার আজ পলাতক। তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বসে নেই। বিভিন্ন দাবিদাওয়ার উসিলায় বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই লক্ষ আমরা হাসিল করতে দিতে পারি না। দেশের মানুষকে যদি রক্ষা করতে হয়, সর্বোপরি বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে আমাদের সবাইকে যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। আমরা বসব, আলোচনা করব। এক আলোচনায় শেষ না হলে আবার আলোচনায় বসব। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধার খুঁজে বের করব। আমাদের অনেক কাজ। দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। দেশের সামনে আমরা রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছি। সেটির মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কীভাবে করব, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া আছে। এই দেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও কৃষির জন্য আমরা কী কী করতে চাই তার কথাও উল্লেখ করা আছে। সমগ্র দেশকে পুনর্গঠন করার জন্য আমরা কী করতে চাই, সেই কথাগুলো বলা আছে।

যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপি চেরায়পার্সনের উপদেষ্টা আমন উল্লাহ আমান।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, যশোর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।


আরও খবর



১ মার্চ প্রথম রোজা হলে

৩৩ বছর পর ঘটতে যাচ্ছে ‘বিরল’ ঘটনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যায় আকাশে নতুন চাঁদের দেখা মিললে পরের দিন শনিবার (১ মার্চ) সেসব দেশে পালিত হবে প্রথম রোজা।

আর এমনটি হলেই মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামিক বিশ্বের কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ করবেন- চন্দ্র ও সৌর মাস একসঙ্গে শুরু হওয়ার ‘বিরল’ ঘটনা। যেটি প্রতি ৩৩ বছর পর পর মাত্র একবার ঘটে থাকে। মানে এবার আরবি বর্ষপঞ্জিকার রমজান মাসের প্রথমদিন আর ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকার মার্চ মাসের প্রথমদিন একই দিনে হবে। অর্থাৎ দুটি পঞ্জিকার নতুন মাসের প্রথম দিনটি একসঙ্গে শুরু হবে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

সৌদির জেদ্দার জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মাজেদ আবু জাহরা বলেছেন, 'এটি এমন একটি ঘটনা যেটি প্রত্যেক ৩৩ বছর পর একবার হয়। এটি যে কোনো মাসেই হতে পারে।' তিনি আরও বলেছেন, 'সৌর ও চন্দ্রচক্রের মধ্যে যে জটিল পারস্পরিক ক্রিয়া রয়েছে এটি তারই একটি স্বাক্ষ্য।

সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘূর্ণনের হিসাব করে সৌর বর্ষপঞ্জিকার দিন গণনা করা হয়। এতে লিপ ইয়ারের (অধিবর্ষ) বছরটি হয় ৩৬৬ দিনের। আর সাধারণ বছরগুলো হয় ৩৬৫ দিনের। কিন্তু চন্দ্রবর্ষপঞ্জিকা গণনা করা হয় চাঁদের পর্যায় অথবা চন্দ্রচক্রের ভিত্তিতে। আর এ কারণে রমজান মাস প্রতি বছর ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকার ভিন্ন ভিন্ন দিন এবং মাসে শুরু হয়।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫