Logo
শিরোনাম

এমপিওভুক্তির দাবিতে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান :

এমপিওভুক্তির দাবিতে অনার্স-মাস্টার্সের

বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া সাড়ে তিন হাজার শিক্ষকের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা।

দ্বিতীয় দিনের মত

বুধবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সামনে সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এই দাবি জানান তারা।

গতকাল মানববন্ধন ও

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষক নেতাদেরকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে এমপিওভুক্তির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ পাওয়ার পর বিগত ৩২ বছরে এমপিওভুক্ত হতে বঞ্চিত শিক্ষকদের এই প্রথমবার সরাসরি এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেওয়া হলো মন্ত্রণালয় থেকে। শিক্ষকরা জানান, তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান।এরপর মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষে অতিরিক্ত সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে ডেকে এনে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত সচিব। বুধবারের বৈঠকে শিক্ষক নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স ফেডারেশনের সভাপতি নেকবর হোসেন জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিওনীতিমালা-২০২১ এ জনবল অন্তর্ভুক্ত করেনি বা কোনও নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। ফলে শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক। শিক্ষকরা বিনা বেতনে ৩২বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ডিগ্রি (পাস) কোর্সের তৃতীয় পদের শিক্ষকরা প্রচলিত ‘জনবলকাঠামো ও এমপিওনীতিমালা-২০১৮’ তে না থাকলেও তারা ২০২১ সালের ‘জনবলকাঠামো ও এমপিওনীতিমালায়’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। শিক্ষকদের প্রশ্ন,তাহলে সম-যোগ্যতায় ও একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়া অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত কেন হচ্ছেন না? কেন এই বৈষম্য, এই বৈষম্যের অবসান চান তারা।

কর্মসূচি তে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের সরকারের জনবলকাঠামো ও এমপিওনীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একাধিকবার নির্দেশনা থাকলেও অদৃশ্য কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজও তা বাস্তবায়ন করেনি।

মাদ্রাসা কারিকুলামে কামিল শ্রেণি (যা মাস্টার্সের সমমান) এমপিওভুক্ত হলে জেনারেল শিক্ষায় বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি।

বিগত সরকারের আমলে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স সম্বলিত ৩০২টি ডিগ্রি কলেজ সরকারি করা হয়েছে, অথচ বেসরকারি অনার্স শিক্ষকরা এখনও সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা পান না।

শিক্ষকদের  দাবি

১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগ পাওয়া প্রতি বিভাগে অনার্স কোর্সে পাঁচ জন এবং মাস্টার্স কোর্সে সাত জন শিক্ষককে প্রচলিত ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিওনীতিমালা’ অনুযায়ী অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। এমপিও দিয়ে যোগদানের তারিখ থেকে অভিজ্ঞতা গণনা করতে হবে।

২. সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ও সাবজেক্ট দ্রুত অধিভূক্তকরন। এ সময় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি নেকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহরাব আলী, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির, মাসুমবিল্লাহসহ বিভাগীয় পর্যায়ে এবং জেলা পার্যায়ের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। আজ ১৬ ই সেপ্টেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে শিক্ষক ভবনের ১ম গেটে এক দফা দাবি আদায়ে (অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের) এমপিও দাবিতে।


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে, বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা, মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান, সহ প্রচার আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দৈনিক কালবেলা অনলাইনে গত  তারিখে প্রকাশিত "লেনদেন ছাড়া ফাইল পড়ে না পাসপোর্ট অফিসে" সংবাদটি ভিত্তিহীন ও সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাইবান্ধা  আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক প্রতিবাদী বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন প্রকৃতপক্ষে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সকল সরকারি নীতিমালা ও প্রতিটি সেক্টরের কাজ মনিটরিং করে সম্পূর্ণ করে থাকেন। পাসপোর্ট এর কোন কাজে কখনো অনিয়ম হয়নি অথচ সংবাদে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুনাম বিনষ্ট করা হয়েছে।

সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে যাদের বক্তব্য নিয়েছেন তারা কখনো কোন পাসপোর্ট করতে অফিসে আসেননি। 

গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পিকআপ চাপায় ২জন নিহত, আহত ৩জন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক দুটি স্থানে পিকআপ ও ইটবাহী ট্রলি এবং পিকআপ ও মোটরসাইকেল এর সংঘর্ষে ২ জনের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর টু বদলগাছী সড়কের সেনপাড়া হাজীরমোড় এলাকায় পিকআপ ও ইটবাহী ট্রলি মুখোমুখি সংঘর্ষে দূর্ঘটনাস্থলেই ইটবাহী ট্রলি চালকের সহকারী মুন্না (১৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনায় ট্রলির চালক ও চালকের অপর একজন সহকারি গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত মুন্না হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভোলার পালসা গ্রামের হেলাল হোসেন এর ছেলে তবে আহত ট্রলি চালক ও তার সহকারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজাহান আলী। অপরদিকে আজ সোমবার ৩০ শে ডিসেম্বর সন্ধার পূর্বে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কাঠালতলী মোড় এলাকায় পিকআপ ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে দূর্ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক পারভেজ হোসেন (২৮) নামে এক ব্যাক্তির মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে।

নিহত পারভেজ হোসেন হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার চন্ডিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আলম হোসেন এর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, পারভেজ হোসেন মোটরসাইকেল যোগে নওগাঁ থেকে রানীনগরে যাওয়ার সময় নওগাঁ টু রাণীনগর সড়কের

হিন্দুপাড়া এলাকায় পৌছালে এসময় মোটরসাইকেল ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে পিক আপের নিচে চাপা পরে পারভেজ হোসেন। স্থানিয়রা খবর দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছার পর ফায়ার সার্ভিস টিম পিকআপ এর নিচে চাপাপড়া পারভেজ হোসেন এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী এক জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিকআপ টি দূর্ঘটনাস্থলে রেখেই তার চালক পালিয়ে যাওয়ায় পিকআপটি থানা হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ,কুমিল্লা :

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও দেখে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

 মঙ্গলবার কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন—ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), ইলিয়াছ ভূইয়া (৫৮), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)।

গেল রোববার দুপুরে ওষুধ কিনতে বাড়ির কাছের বাজারে যাওয়ার পর স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে দেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত র‌য়ে‌ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল বলেন, 'ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের না করায় পুলিশ আটককৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে হাজির করা হ‌য়ে‌ছে। প‌রে এটি নিয়মিত মামলা করা হবে।

এ ঘটনায় আটককৃত‌দের চৌদ্দগ্রাম থানা পু‌লিশ গোপনীয়তার স‌হিত মি‌ডিয়ারকর্মী‌দের চোখ ফা‌কি দি‌য়ে বিকেলে ৫জনকে কু‌মিল্লার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 'ন‌্যায় বিচা‌রের আকু‌তি জা‌নি‌য়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু  বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নি‌শ্চিত করার আহবান জানান সরকারের কাছে  ।‌তি‌নি এখনও ফেনীতে তার মেয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন । সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তি‌নি নিজ বা‌ড়ি‌তে ফির‌তে চান।  

এদি‌কে কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।      সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।       

 উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের মজুমদার বাড়ীর আব্দুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই বাড়ীর মৃত সুলতান আহম্মেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), কুলিয়ারা ভূঁইয়া বাড়ীর মৃত এছাক ভূঁইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভূঁইয়া (৫৮), পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট থানাধিন রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের রায়কোট গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং কুলিয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও চাঁদপুর জেলার সদর থানার মইশাদী গ্রামের মো: জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ্ সাজ্জাদ (১৯)।                 মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার দুপুরের পর থেকে স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বিক্ষুব্ধ জনতা হেনস্থা করার ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনাটি জানতে পেরে বিশেষ গুরত্বারোপ করার পাশাপাশি ভুক্তভোগি মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলে উনাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেই। কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করায় বিষয়টি নিয়ে এগোতে পারিনি। তবে, ভাইরালকৃত ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতেই বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানু একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর নিজ এলাকার একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন ও স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। সে সময় তিনি এলাকার কয়েকজন সম্মানিত সামাজিক ব্যক্তিকে অপমান-অপদস্ত ও হয়রানি করেন বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, তথ্য প্রযুক্তি, মারামারি ও রাজনৈতিক মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার গ্রেফতার হন এবং জেল খাটেন। বহুদিন নিজ এলাকায় না এসে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্টের পর দেশের পটভূমি পাল্টে গেলেও তিনি নিজ এলাকায় আসেননি। রোববার দুপুরে স্থানীয়রা তাকে এলাকায় দেখতে পেয়ে পাতড্ডা বাজার থেকে টেনে-হিছড়ে পাশ্ববর্তী কুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়ে এসে গ্রাম ছাড়ার হুমকি ও সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে এ ঘটনার ধারণকৃত ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তোলেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয় এবং ভিডিও দেখে শনাক্ত করে অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫