Logo
শিরোনাম

এনসিপি নেতা তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিসও জারি করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে তানভীরের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা জমা দিতে তানভীরকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, পূর্বের মৌখিক সতর্কতা উপেক্ষা করায় এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তানভীরকে দলের সব দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চিঠির অনুলিপি এনসিপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত ছিলেন। গত শনিবার এনসিপির সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে অন্য নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে।


আরও খবর



ইরানে বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান প্রবাসীদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। রবিবার (১৫ জুন) তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞ‌প্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে।

ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর: + ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




প্রথমবারের মতো মাথাপিছু আয় ২৮২০ ডলার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাথাপিছু আয় ২৮২০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২৭ মে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৩৮ ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৮২ ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৯৩ ডলার, যা এবার অতিক্রম করেছে।

বিবিএস জানায়, মাথাপিছু আয়ের এই হিসাব ব্যক্তি বিশেষের একক আয়ের প্রতিফলন নয়, বরং দেশের মোট জাতীয় আয়—যার মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও প্রবাসী আয়, তা জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে এই হিসাব নির্ধারণ করা হয়।

চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে বাড়ার পেছনে রয়েছে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব। এবার প্রতি ডলারের গড় বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১২০ টাকা ২৯ পয়সা, যা গত অর্থবছরের ১১১ টাকা ৬ পয়সার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

টাকার অঙ্কে চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২২১ টাকা। আগের বছর এই আয় ছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ১০২ টাকা।

অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির ছাপ অনেকের জীবনমান উন্নয়নে দেখা গেলেও আয় বৈষম্য ও মুদ্রাস্ফীতির চাপে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনও সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিপূরণমূলক পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষ, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ‘টার্গেটেড ক্যাশ ট্রান্সফার’, খাদ্য সহায়তা ও নগদ ভর্তুকির পরিকল্পনা রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন করে একটি ‘আয়ের সমতা আনতে বিশেষ তহবিল’ গঠনের কথাও ভাবছে সরকার।

সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে—কোন শ্রেণি বা পেশাজীবীদের জন্য কী ধরনের আর্থিক সহায়তা কার্যকর হতে পারে। আগামী বাজেটে এসব পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখা যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

মাথাপিছু আয়ের এই ইতিবাচক অগ্রগতি অর্থনীতির একটি শক্তিশালী দিক নির্দেশ করে। তবে আয়ের ভারসাম্য ও জীবনমান উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। সরকারের পরিকল্পিত পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল আরও সমানভাবে বিতরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




টাকা পাচারকারীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বললেন, যারা টাকা পাচার করেন তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক। তিনি বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ না। পাচারের টাকা ফেরত পেলে বাজেট সাপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যেতে হতো না। পাচারের টাকা ফেরত আনতে সময় লাগবে। আমরা বলেছি, এক-আধ বছর লাগতে পারে, সেই প্রসেস শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া কালো টাকা দেশে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেছেন ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করে দেওয়া হয়। কালো টাকা কিন্তু ঠিক কালো টাকা না, আমরা বলছি অপ্রদর্শিত আয়। অপ্রদর্শিত আয় যদি থাকে শুধু ফ্ল্যাটের ব্যাপারে একটা বিধান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা কালো টাকা না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেটে বৈষম্যবিরোধী পদক্ষেপ একেবারে নেই তা কিন্তু না। বাজেটে নারীদের জন্য ফান্ড আছে, স্টার্টআপের জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে, যুবকদের জন্য টাকা দিচ্ছি। বাকি অনেক খাতের জন্যও আছে। তবে একেবারে বৈষম্যবিরোধী, কর্মসংস্থানের জন্য নেই সেটা কিন্তু না। ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক কিছুর ট্যারিফ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট গত বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন খুব বেশি কঠিন না। বাজেট ৬ মাসের জন্য না, তিন মাস বা ছয় মাসে বাজেট করা যায় না। বাজেট করতে হয় এক বছরের জন্য। মুদ্রানীতি করতে পারে ৬ মাসে। কিন্তু আমরা বাজেট ৯ মাস ৬ মাসে করতে পারবো না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার জন্য আগের মতো কোনও বিশেষ সুযোগ নেই। তবে দুটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করে ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এর একটি হলো— কেউ নিজের জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে যদি বাড়ি তৈরি করেন, তাহলে দ্বিগুণ কর দিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনও সংস্থা প্রশ্ন করতে পারবে না, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। অন্যান্য সংস্থার প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে।

দ্বিতীয় সুযোগটি হলো— ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে আমরা কর পাঁচগুণ করে দিয়েছি। এটা খুব ব্যয়বহুল হয়েছে। তারপরও অনেকেই যেহেতু এটা নিয়ে কথা বলতেছে, আমার মনে হয় স্যার (অর্থ উপদেষ্টা) সবাই আলোচনা করে চিন্তা করতে পারেন, কী করবেন।


আরও খবর



‎মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আধিপত্য, চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ঈদের ছুটির ফাঁকা সময়ে বাড়ছে বহিরাগতদের আড্ডা, মাদকসেবন, নিয়ন্ত্রিত বাইক চালনা, ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপ এবং দৃষ্টিকটূ টিকটক ভিডিও তৈরি। এতে করে দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি, বাড়ছে চুরির শঙ্কা, বাড়ছে উদ্বেগ।

‎সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করছে বহিরাগতদের বাইক; ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রেস। এছাড়া হাতির কবর, বিজয় অঙ্গন, ধ্রুবতারা ক্লাব, সিডিসি ক্লাব, শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া, প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা, প্রথম একাডেমিক ভবনের রাস্তাসহ বিভিন্ন আনাচে-কানাচে চলছে অবৈধ কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ড ও মুক্তমঞ্চের পেছনে বেড়েছে প্রকাশ্যে মাদকসেবন। ছেলেদের আবাসিক হলের আশপাশে চলছে ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল টিকটক ভিডিও ধারণ।

‎এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল হাসান সোহাগ বলেন, "শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানেই জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসন একত্রে একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ গড়ে তোলে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্যাম্পাস ছুটির দিনে বা দীর্ঘ বন্ধের সময় ফাঁকা পড়ে থাকে, আর সেই সুযোগে সেখানে ঢুকে পড়ছে বহিরাগতরা। এই বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণহীন বিচরণ এখন এক ভয়াবহ সামাজিক সংকটে রূপ নিচ্ছে। ফাঁকা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনায় বাড়ছে অশ্লীলতা, মাদকসেবন, জুয়া কিংবা অবৈধ সমাবেশ। ক্যাম্পাসের গাছপালা, পেছনের মাঠ কিংবা নির্জন ভবন চত্বর ব্যবহার করা হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি নিরাপদ শিক্ষাব্যবস্থাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।"

‎পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন, "ক্যাম্পাস এখন এমন ফাঁকা, মনে হয় যেন ছাত্রদের নয়, বহিরাগতদের জন্যই বানানো হয়েছে! আর আমরা ভাবছি এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়, না যেন টিকটক স্টুডিও! অশ্লীলতার উৎসব চলতেছে, আর নিরাপত্তা? সেইটা তো গেটেই দাঁড়ায়নি এখনো। প্রশাসন আছেন ঠিকই, কিন্তু কাজকর্মে যেন ইনভিজিবল মোডে! এখনই যদি ক্যাম্পাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে 'প্রবেশ নিষেধ' সাইনটা ছাত্রদের জন্যই বসাতে হবে!”

‎টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, "ঈদের ছুটিতে যখন শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে পড়ে প্রায় জনশূন্য। এই সুযোগে বহিরাগতরা মোটরবাইক নিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে, উচ্চ শব্দে বাইক চালাচ্ছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘোরাফেরা করছে এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ছুটির সময় বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, সেখানে আমাদের প্রশাসনের নজরদারির অভাব স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব হলো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা। এই অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিকেও বড় হুমকি তৈরি করে।"

‎এফটিএনএস বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান বলেন, "ঈদের এই ছুটিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছে, ফাঁকা ক্যাম্পাসে যে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে, অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নিরাপত্তাহীন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেটে নিরাপত্তা কর্মী থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগতদের অবাধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা প্রশাসনের দুর্বলতা। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।"

‎ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন জানান, "আমরা দিনে কয়েকবার টহল দিচ্ছি। অপ্রীতিকর কোনো বিষয় আমাদের নজরে আসলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। শিক্ষার্থীদেরও এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে প্রশাসনকে।"

‎নিরাপত্তার ঘাটতি বা দায়িত্বে কোনো অবহেলা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, "আমাদের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা নেই। প্রথম গেট থেকে বাইকগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। আমাদের পর্যাপ্ত আনসার সদস্য না থাকায় আমরা কিছু জায়গায় তাদের নিয়োজিত করতে পারছি না। আমাদের ৮ জন আনসার সদস্য একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে সেন্ট্রাল ফিল্ডে একজনকে নিয়োজিত করতে পারবো। আর অসামাজিক কোনো কার্যকলাপ আমাদের চোখে পড়লে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।"

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক শ্রেণি ও সচেতন মহল।



আরও খবর



বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতা ও মুজিবনগর সরকারের অন্যদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়ে যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুসহ মুজিবনগর সরকারের অন্যদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়ে যা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এটা তো ঐতিহাসিক সত্য যে, এই সরকার পুরো যুদ্ধটা পরিচালনা করেছে। এটা কেমন করে ইতিহাস পরিবর্তন করা যায়? এটা একটা মিসলিডিং নিউজ হয়েছে। এটা সত্য হয়নি।


আরও খবর