Logo
শিরোনাম

এসএসসি পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। আজ দুপুরে সারা দেশে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

রবিবার সকাল সোয়া ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।


আরও খবর



ফাইল আদান-প্রদানে উইন্ডোজের নতুন ফিচার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

আইফোন ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদান আরও সহজ হচ্ছে। মাইক্রোসফটের ‘ফোন লিংক’ অ্যাপ ও ‘লিংক টু উইন্ডোজ’ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আইফোন থেকে উইন্ডোজ ১১ বা ১০ কম্পিউটারে ফাইল শেয়ার করা সম্ভব হবে। তবে উইন্ডোজ ইনসাইডার্স ব্যবহারকারীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে নতুন এই ফিচার।

উইন্ডোজ ইনসাইডার্স হলো মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ও ফিচার পরীক্ষা করার একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। আইফোন ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল শেয়ারিং প্রক্রিয়াটি সব সময়ই কিছুটা জটিল ছিল। যারা স্মার্টফোন থেকে পিসিতে বা পিসি থেকে আইফোনে ফাইল পাঠাতে চাইতেন, তাদের নিজের ইমেইলে ফাইলটি পাঠাতে হতো বা ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মতো থার্ড পার্টি সার্ভিস ব্যবহার করতে হতো।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ডেস্কটপ অ্যাপ হিসেবে চালু হয় মাইক্রোসফটের ‘ফোন লিংক’ অ্যাপটি। সে সময় এটি শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের উইন্ডোজ পিসিতে ফাইল শেয়ার করার সুযোগ দিত।

গত বছর মাইক্রোসফট লিংক টু উইন্ডোজ নামে একটি স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য এই অ্যাপ চালু করেছিল। তবে ফোন লিংকের মাধ্যমে এখনো আইফোনের সঙ্গে ফাইল আদান-প্রদান করা যায় না। এটি আইফোন ব্যবহারকারীদের তাদের ফোনের ইনকামিং কল, মেসেজ এবং কনটাক্টগুলো কম্পিউটারে দেখার সুযোগ দেয়। তবে মাইক্রোসফটের এই ফিচার অ্যাপলের এয়ারড্রপ ফিচারের মতো কাজ করে। এটি কম্পিউটার স্ক্রিনের কোনায় একটি নোটিফিকেশন দেখাবে যে, পিসি কোনো ফাইল গ্রহণ করেছে।

গত অক্টোবর মাসে, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও একটি ফিচার চালু করে মাইক্রোসফট। তাই এখন উইন্ডোজ ১১-এর ‘ক্রস ডিভাইস এক্সপেরিয়েন্স হোস্ট’ ব্যবহার করে পিসি ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফাইল এক্সপ্লোরারে ব্রাউজ এবং ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন। এর জন্য কোনো ক্যাব?ল সংযোগের প্রয়োজন নেই। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অংশ নয় ফোন লিংক অ্যাপ।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, নতুন এই সুবিধা সব আইফোন মডেলে ব্যবহার করা যাবে না। শুধু আইওএস ১৬ বা তার পরবর্তী সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেমের আইফোন এবং উইন্ডোজ ১০ ও ১১ কম্পিউটারে এটি ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে ফোন লিংক এবং লিংক টু উইন্ডোজ অ্যাপ দুটি যথাক্রমে ১.২৪১১২. ৮৯.০ এবং ১.২৪১১২. ৭৩ সংস্করণে আপডেট করতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই সুবিধা আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, অ্যাপলের এয়ারড্রপ সুবিধা ব্যবহার করে আইফোন এবং ম্যাক কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। তবে যেসব আইফোন ব্যবহারকারী উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ফাইল শেয়ারিং প্রক্রিয়া বেশ জটিল হয়ে থাকে।


আরও খবর

দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫




জরিপে এগিয়ে বিএনপি, জামায়াতের পরে তরুণদের দল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

এখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি সর্বোচ্চ ৪১.৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের জরিপে উঠে এসেছে।

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, জরিপ কাজে সহযোগিতা করেছে ব্রেন (BRAIN) এবং মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফর্ম ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’। চলতি বছরে সারাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৯৬ জন এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, এখনই ভোট হলে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী পাবে ৩১.৬ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে আওয়ামী লীগ ১৩.৯ শতাংশ। আর ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ৫.১ শতাংশ ভোট।

এ ছাড়া, জরিপের ফল অনুযায়ী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২.৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১ শতাংশ, গণঅধিকার পরিষদ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, গণসংগতি আন্দোলন শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং অন্যান্য দল ৩.৩ শতাংশ ভোট পাবে।

জরিপের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেনারেশন এক্স ও বুমার প্রজন্মের ৪৭ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ৩৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দলটি জেনারেশন জি-এর ৩৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল দল হিসেবে পরিচিত হলেও জামায়াত তরুণদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জরিপ থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, গ্রাম ও শহরের ভোটারদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের জনপ্রিয়তায় কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপি গ্রামাঞ্চলে ৪২ শতাংশ এবং শহরে ৪০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। অন্যদিকে, জামায়াত গ্রামে ৩২ শতাংশ ও শহরে ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির সমর্থন পুরুষ ও নারীদের মধ্যে প্রায় সমান। দলটি পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ এবং নারী ভোটারদের মধ্যে ৪১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। তবে, জামায়াতে ইসলামী পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয়, যেখানে দলটি ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ নারী ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

জরিপের অংশ নেওয়া ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোটার ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চান। তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার জুনের মধ্যে এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে। ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আর ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

কাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি যে তারা কাকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বলছেন যে তারা প্রার্থী সম্পর্কে জানার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এক্ষেত্রে নারী ভোটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বেশি (৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ স্পিকসর প্রধান মো. রুবাইয়াৎ সারওয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনোভিশন কনসালটিং বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী শাহেদ এইচ ফেরদৌস, ইনোভিশনের প্র্যাকটিস এরিয়া লিড আবদুর রব ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর।


আরও খবর



ভারত সীমান্তে ওড়ছে তুরস্কের তৈরি বাংলাদেশি নজরদারি ড্রোন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে নজরদারি ড্রোন ওড়াচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে  এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

তুরস্কের তৈরি এসব ড্রোন ভারত সীমান্তের খুব কাছাকাছি অঞ্চলে পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এএনআই বলেছে, বাংলাদেশ তুরস্কের তৈরি টিবি-টু বায়রাক্টার ড্রোনগুলো হাতে পেয়েছে এবং নজরদারি কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি সেগুলো পরিচালনা করছে।

বার্তাসংস্থাটির দাবি, ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো এএনআইকে জানিয়েছে— ভারতীয় সংস্থাগুলো এসব ড্রোন উড্ডয়ন করতে দেখেছে এবং সেগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সূত্র জানিয়েছে, এসব ড্রোনকে গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে এবং ভারতের সীমান্ত বরাবর তাদের (বাংলাদেশের) নিজস্ব অঞ্চলের ভেতরে উড়ছে।

আর তাই ভারত এই এলাকায় তাদের কার্যকলাপের ওপর নিবিড় নজর রাখার জন্য রাডার স্থাপনসহ অন্যান্য সকল ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এমনকি মাঝে মাঝে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর টিবি-২ ড্রোনগুলো নজরদারি মিশনে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উড়েছে বলেও সূত্রগুলো দাবি করেছে।

বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনগুলো খুবই অত্যাধুনিক এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য। মনুষ্যবিহীন এই আকাশযানটি আকাশ থেকে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন যুদ্ধ ও সংঘাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

মূলত তুরস্কের বাইকার টেকনোলজি কোম্পানি ২০১৪ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন উৎপাদন ও বিক্রি করতে শুরু করলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে এই ড্রোন বিশেষ নজর কেড়েছে।

বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন হচ্ছে এমন এক ধরনের যুদ্ধাস্ত্র যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নজরদারি এবং হামলা চালানোতেও অংশ নিতে পারে। এই ড্রোনে একটি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা আছে। তার সাথে আছে ডাটা-লিংক সিস্টেম এবং দুই থেকে চারটি পর্যন্ত বিস্ফোরক— যা প্রিসিশন-গাইডেড অর্থাৎ উড়ে গিয়ে নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।

এর ফলে এটা দিয়ে আগে থেকে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা যায় এবং তারপর দিক-নির্ণয় করে চলতে সক্ষম বোমা দিয়ে তাদের ওপর আঘাত হানা যায়।

এটি জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি কারণ হলো— মূল কমান্ড সেন্টার থেকে দূরে কোথাও একটি কন্টেইনার বা ট্রাকে মোবাইল বেজ স্থাপন করে সহজে ড্রোনটি পরিচালনা করা যায়। ফলে মিশনের প্রয়োজনে যেকোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে ড্রোন উড্ডয়ন বা হামলা চালানো যায়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনে চারটি লেজার গাইডেড স্মার্ট রকেট সংযুক্ত করা যায়, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে। ড্রোনটি ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে।

এছাড়া বেজ স্টেশন থেকে তিনশ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়। এর ভেতরে একমন কিছু সেন্সর রয়েছে, যার ফলে জিপিএসের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে ন্যাভিগেশন করতে পারে। সর্বোচ্চ ৭০০ কেজি ওজন নিয়ে ড্রোনটি উড়তে পারে। মোট জ্বালানি ধরে ৩০০ লিটার।

ড্রোনটি টেক-অফ, ল্যান্ডিংসহ পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হতে পারে। এর কম্পিউরাইজড সিস্টেমে তিনটি অটো পাইলট প্রোগ্রাম রয়েছে। বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনটি ১৮ হাজার ফিট উচ্চতায় থেকে কার্যক্রম চালাতে পারে। তবে আকাশে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ফিট পর্যন্ত উড়তে এবং সর্বোচ্চ ২৭ ঘণ্টা তিন মিনিট ওড়ার রেকর্ড রয়েছে।

ড্রোনে থাকা রিয়েল ইমাজেরি টাইম ট্রান্সমিশন সিস্টেমের ফলে একাধিক ব্যবহারকারী একইসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চমানের ভিডিও দেখতে পারেন। ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন হওয়ার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ট্যাবলেট বা মোবাইলেও নজরদারি করা সম্ভব।


আরও খবর



পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অডিও-ভিডিও কলিং পরিষেবা স্কাইপ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট জানিয়েছে, আগামী মে মাসে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করা স্কাইপ একসময় বিপ্লব ঘটিয়েছিল যোগাযোগের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে এটির প্রভাবে ল্যান্ডফোনের দুনিয়ায় ধস নামে। কম খরচে অডিও ও ভিডিও কল করার সুবিধার কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কাইপ এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে পরিণত হয়েছিল। কারণ এতে কম্পিউটরের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনো চার্জ ছাড়াই কথা বলতে পারতেন। তাই এটি অন্যান্য পরিষেবার তুলনায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ওই সময় স্কাইপের মতো আরও কিছু পরিষেবা ছিল।

মাইক্রোসফট এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, স্কাইপ ব্যবহারকারীরা মাইক্রোসফট টিমস-এ সাইন ইন করতে পারেন। এতে করে তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা অন্যদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন।

স্কাইপ ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও মাইক্রোসফট এটি কিনে নেয় ২০১১ সালে। ওই সময় মালিকানা পেতে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা। যা তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি দামে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কেনার ঘটনা ছিল।


আরও খবর

দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫




ইয়াশ-তটিনীর সঙ্গে তাহসিন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন লাক্স সুন্দরী সিফাত তাহসিন। দেশে ফিরেই অংশ নেন ঈদের নাটকে। অভিনয় করেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের অগ্নিশিখায়। এতে তাহসিনের দুই সহশিল্পী ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। গল্পের প্রধান তিনটি চরিত্রে থাকছেন তারা।

দীর্ঘ সাত বছর পর দেশের নাটকে কাজ করা প্রসঙ্গে সিফাত তাহসিন বলেন, আমাদের শুরুর সময় শুটিং হতো এক ভাবে। এখন কাজ করে মনে হলো পিকনিকে মেজাজে ছিলাম! পুরান ঢাকার মতো অতি জনাকীর্ণ জায়গায় কাজ করলেও সেই আবহ টের পাইনি! মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ইউনিটের সবকিছুই দারুণ গোছানো ছিল। তিনি প্রযোজক হিসেবে সবার যত্ন নেন। এতে আমি মুগ্ধ। পরিচালক রানা ফুরফুরে মানুষ। আর অগ্নিশিখা চমৎকার একটি গল্প। সব মিলিয়ে মনের মতো একটি কাজ করেছি।

২০০৯ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে বিনোদন অঙ্গনে পরিচিতি পান সিফাত তাহসিন। সেরা পাঁচে জায়গা করে নেন তিনি। একটা সময় অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি জমান তাহসিন। আর ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় তার সর্বশেষ নাটক।

সিফাত তাহসিন স্বামী ও চার বছর বয়সী কন্যাসন্তান নিয়ে কানাডার টরন্টোতে থাকেন। গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে একটি নাটকের শুটিং করেছেন তিনি। এবার দেশে এসে অভিনয় করলেন।

এদিকে, অগ্নিশিখা রচনা ও পরিচালনা করেছেন কেএম সোহাগ রানা। তাহসিনের অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিফাত তাহসিন মানুষ হিসেবে দারুণ। আমাদের মনেই হয়নি প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করছি। কানাডার ফ্লাইটে ওঠার আগের দুই দিন অগ্নিশিখার শুটিং করেছেন তিনি। শুটিংয়ের ফাঁকে তার মুখে ইউনিট নিয়ে প্রশংসা শুনেছি। এমনকি বিমানে উঠে মেসেজ দিয়ে নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইয়াশ-তটিনী ও তাহসিনের পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, ফখরুল বাশার, মিলি বাশার, বড়দা মিঠু, এমএনইউ রাজু। পুরান ঢাকার সূত্রাপুর ও বুড়িগঙ্গায় এর শুটিং হয়েছে। চিত্রগ্রহণে ফুয়াদ বিন আলমগীর। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাটকটি উন্মুক্ত হবে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে। 


আরও খবর