Logo
শিরোনাম

ফের সংসার ভাঙছে মিথিলার !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির দাম্পত্য জীবন নিয়ে ফের বিচ্ছেদের ইঙ্গিত শোনা যাচ্ছে। সৃজিত ও মিথিলা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এক ছাদের নিচে তাদের থাকা হয় খুব কম। কাজ নিয়ে দুজনেই ব্যস্ত। চলতি মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল সৃজিতের জন্মদিন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রমতে, ওই দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাজনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন সৃজিত। তবে সৃজিতের উদ্দেশে মিথিলার কোনো শুভেচ্ছাবার্তা দেখতে পাওয়া যায়নি। আর তাতেই ছড়িয়েছে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। এ নিয়ে তাদের ভক্তদের মনে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে

বিয়ের পর মিথিলা তার মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতায় থাকতেন। বছরখানেক পর মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরেন মিথিলা। বাংলাদেশে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। কাজের সুবাদে মিথিলা কখনো আফ্রিকার তানজানিয়ায় আবার কখনো ইউরোপে থাকেন। সময় পেলেই অল্প দিনের জন্য কলকাতায় ফেরেন। তাদের মধ্যে এ দূরত্বের কারণেই গুঞ্জন বেশি

মাঝেমধ্যেই শোনা যায় বিচ্ছেদের পথে তারা। তবে উভয় পক্ষই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দুজনেই লং ডিসট্যান্স বিয়েটা বাঁচাতে চান। বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে সৃজিত বা মিথিলা কেউই মন্তব্য করেননি

মিথিলা-সৃজিতের পরিচয় হয় সংগীতশিল্পী অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের মাধ্যমে। এরপর আসে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সৃজিতের সঙ্গে বিয়ের আগে ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানকে বিয়ে করেন মিথিলা। জুলাই ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়


আরও খবর



টেংগারচর ইউনিয়ন উম্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

"হোক না আমার কুঁড়ে ঘর আমিও দিব নির্ধারিত কর" এই স্লোগানে টেংগারচর  ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা -২০২৫-২০২৬ইং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার অর্থ বছরের খসড়া বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ১,৩৬,৪০,৯৩১/- ( এক কোটি ছত্রিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার নয়শত একত্রিশ ) টাকার টেংগারচর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান 

মোঃ কামরুল হাছান ফরাজী এর সভাপতিত্বে খসড়া বাজেট হালনাগাদ করে চুড়ান্ত বাজেট তৈরির লক্ষ্যে উন্মুক্ত বাজেট সভার কাযক্রম শুরু করা হয়।

এসময়  খসড়া বাজেট ঘোষণা করেন

ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকতা জনাব রহিমা দেওয়ান।

 দীর্ঘ সময় বাজেটের উপর শুনানি শেষে চুড়ান্ত বাজেট প্রনয়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন সভাপতি  এবং ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহোদয়কে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নিদের্শনা প্রদান করেন ।উক্ত বাজেট সভায়, ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকতা কর্মচারী, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন কমিটির সদস্য ও   গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, এক বন্ধু আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর নজিপুর  থেকে মোটরসাইকেলের যোগে নিজ বাসায় ফেরার পথে দূর্ঘটনায় সুনিবর আশরাফ (১৭) ও হৃদয় (১৭) নামে দু'জন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন বন্ধু। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধার পূর্ব মহূর্তে নওগাঁ টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পত্নীতলা উপজেলার পার্বতীপুর মোড় নামক স্থানে।।

নিহত সুনিবর আশরাফ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাস্টার পাড়া এলাকার বেথুল আশরাফ ওরফে বাবু'র ছেলে এবং হৃদয় আখতারুজ্জামানের ছেলে। আর আহত বন্ধু হলেন, একই এলাকার শাহাজান আলীর ছেলে সাদনান সাকিব (১৭)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ও আহতরা ৩ জন বন্ধু। তারা বাড়ি থেকে নজিপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে পার্বতীপুর মোড় এলাকায় পৌছার পরই তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে রাখা একটি বাসের পেছনে ধাক্কা লেগে

সুনিবর আশরাফের দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা নিহত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে সুনিবর আশরাফ এর মৃতদেহ ও  আহত দুই জনকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক আহত দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহীতে নেওয়ার পথে হৃদয়ের মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুল বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধে মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে, যা এখনো ব্যবহার করিনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। যদিও দুদিন আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, বাস্তবে পরিস্থিতি সে দিকে না গড়িয়ে আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

মঙ্গলবার রাতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক হুঁশিয়ারিমূলক বার্তা সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করে। ওই বার্তায় তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

এরপর রাতেই ইরান আবারও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে। জেরুজালেম ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, সঙ্গে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বিমান সতর্কতা জারি করা হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সাতটি স্থানে আঘাত হেনেছে, এতে অন্তত ৬৫ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেয়ার শেভায় সোরোকা হাসপাতালে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি তেল আবিব, রামাত গ্যান এবং হোলোন শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবর মিলেছে।

ইসরায়েল বলছে, যতদিন প্রয়োজন ততদিন তারা অভিযান চালিয়ে যাবে এবং নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে যুদ্ধ বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিমাণ এখন আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।

ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের পশ্চিম সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো— ইলাম, কুর্দিস্তান, পূর্ব ও পশ্চিম আজারবাইজান এবং কেরমানশাহে অবস্থিত অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এতে ইরানের হামলার সক্ষমতা অন্তত ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

তবে ইরান পাল্টা দাবি করে জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র রয়েছে, যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি। বুধবার ইরান জানায়, তারা নতুন প্রজন্মের উচ্চগতিসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম। এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি উন্নত রাষ্ট্রেরই রয়েছে বলেও জানায় তেহরান। তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ইরনা নিউজ


আরও খবর



জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে বাজেটে

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ |

Image

চাপের মধ্য দিয়ে চলা ব্যবসা-বাণিজ্যের কাঁধে আরও চাপানো হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প-কারখানা; আরেকদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত কর। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক কাঠামোয় বড় ধরনের সংস্কার আনতে যাচ্ছে সরকার। এই সংস্কারের ফলে দেশীয় শিল্প অতিরিক্ত সুরক্ষা থেকে বের হয়ে আসবে। এতেই বাড়তি চাপে পড়বে স্থানীয় শিল্প। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে। ২ জুন সোমবার জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট।

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রেসক্রিপশনের পাশাপাশি আগের সরকারের মতোই কর বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আসন্ন বাজেটেও। তারই প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে আমদানিপণ্যের শুল্কস্তর পুনর্গঠন ও শুল্কহার বাড়ানো-কমানোর মধ্যে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৫০০ ধরনের পণ্যে ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আরোপিত সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক (আরডি) কমানো বা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হতে পারে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। এ ছাড়া স্থানীয় শিল্পকে দেওয়া প্রতিরক্ষণ সুবিধা তুলে নেওয়ার অংশ হিসেবে ১৪ ধরনের শিল্পের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক বাড়তে পারে দ্বিগুণ পর্যন্ত। কসমেটিক্স, ডোর লকসহ ২১ ধরনের পণ্যের ন্যূনতম মূল্য দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ন্যূনতম মূল্য হলো, আমদানিকারক যে দামেই কোনো পণ্য আমদানি করুক, সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মূল্যের নিচে ওই পণ্যের শুল্কায়ন হবে না।

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগের মতোই মানুষের ওপর করের হার বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা করছে। এর বাইরে আইএমএফেরও রাজস্ব বাড়ানোর দিকে একটা চাপ ছিল। সব মিলিয়ে সরকার আগের ধারাই অনুসরণ করছে। এতে চাপে পড়বে স্থানীয় শিল্প। ফলে রাজস্ব আহরণ, কর্মসংস্থানের ওপরও প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করেছিলাম, অন্তর্বর্র্তী সরকার স্বতন্ত্রভাবে কিছু একটা করবে। মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে না। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি, মানুষ হতাশ। আমরা দেখছি বিভিন্নভাবে করের বোঝা বাড়ানো হচ্ছে। মানুষের আয় বাড়েনি, খরচের পাল্লা বাড়ছে। মানুষ আর নিতে পারছে না। কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। বিপুল পরিমাণ বেকার। একদিকে বেকারত্ব বাড়ছে, অন্যদিকে খরচ বাড়ছে।

স্থানীয় ১৪টি উৎপাদন খাত যেমন বেভারেজ বা পানীয়, এলইডি বাল্ব, ওয়াটার পিউরিফায়ার, ফ্যান, সিগারেটের কাগজ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কাঁচামালে শুল্ক তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রভাবিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য ব্যবহৃত মল্ট এক্সট্র্যাক্ট ও আটাভিত্তিক খাদ্যপণ্য, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের পুষ্টি উপাদান বা সাপ্লিমেন্ট।

বেভারেজ কনসেন্ট্রেট আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। সয়া প্রোটিন-ভিত্তিক খাবার ও তামাকশিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হতে পারে। স্যাটিন ফিতা তৈরিতে ব্যবহৃত ওভেন কাপড়ের ওপরও একই ধরনের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। তা ছাড়া, ফ্যান উৎপাদনে ব্যবহৃত নন-অ্যালয়ড

অ্যালুমিনিয়াম শিট, ওয়াটার পিউরিফায়ারের যন্ত্রাংশ এবং টেলিভিশন তৈরির জন্য ব্যবহৃত এলইডি বাল্ব ও ওপেন-সেল প্যানেলের ওপরও শুল্ক বাড়তে পারে। এলইডি ল্যাম্পের ওপর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে আমদানিকৃত সিগারেট পেপারের ওপর শুল্ক হতে পারে ৩৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

সরকার লিপস্টিক, আই মেকআপ, ম্যানিকিউর পণ্য, ফেস পাউডার, কসমেটিকস, ফেসওয়াশ, খেলনা এবং বিভিন্ন ধরনের তালাসহ এসব পণ্যের ন্যূনতম কাস্টমস মূল্যও বাড়াতে পারে, যার ফলে ঘোষিত মূল্যের ওপর ভিত্তি না করে নির্ধারিত মূল্যের ওপর কর পরিশোধ করতে হবে আমদানিকারকদের।

আরও যেসব পণ্যের ওপর নতুন বা বাড়তি শুল্ক আসতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে তামাক বীজ (২৫ শতাংশ), সয়াবিন মিল (৫ শতাংশ) এবং কাগজ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাওলিন ক্লে। গ্রানাইট ও মার্বেলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হতে পারে। সিমেন্ট শিল্পে ক্লিংকার আমদানির ওপর নির্ধারিত শুল্ক বাতিল করে ২৫ শতাংশ অ্যাড ভ্যালোরেম শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রয়েছে, যা রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

রেফারেল হাসপাতালের জন্য আমদানিকৃত চিকিৎসা সরঞ্জামের শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। কম্পিউটার অ্যাক্সেসরিজ আমদানির ওপর চলমান কর রেয়াত বাতিলের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে, যার ফলে প্রযুক্তি খাতে খরচ বাড়তে পারে। এসব পরিবর্তনের লক্ষ্য মূলত বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণকে সামনে রেখে শুল্ক কাঠামোর যৌক্তিকীকরণের অংশ, যার লক্ষ্য স্থানীয় শিল্পকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বাণিজ্যে বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন করা।

অন্যদিকে স্টিলের কাঁচামালে বিদ্যমান কাস্টমস শুল্ক প্রত্যাহার করে, কৌশলে তার চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) মিলিয়ে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে প্রকৃত কর বাড়বে ৪০ শতাংশের বেশি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, আইএমএফের শর্তের জালে ১৭২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক কমানো হচ্ছে। এ ছাড়া রপ্তানির প্রধান গন্তব্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে তুষ্ট করতে ১৩৫টি পণ্যের কাস্টমস শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা সরকারের। এতে আমদানিনির্ভরতা বাড়বে। দেশীয় শিল্পের অসম প্রতিযোগিতায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, বড় আঘাত আসছে নির্মাণ উপকরণে। এই খাতের বেশকিছু দরকারি পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব থাকছে। যেমন- সিমেন্ট, রড, বার, অ্যাঙ্গল, টাইলস, স্ক্রু, নাট, বোল্ট ও নির্মাণসামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁতে পারে। সিমেন্ট তৈরির মূল উপকরণ ক্লিংকারের শুল্কায়ন হয় নির্ধারিত মূল্যে। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টনে ৭০০ থেকে ৯৫০ টাকা কাস্টমস শুল্ক আছে। তবে এখন বাজারমূল্যে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে শুল্ক ধরা হয়েছে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ। ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দর ও বাজারের ওঠানামায় ব্যয়বহুল হতে পারে সিমেন্ট।

রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামালের ওপর বসানো হয়েছে বাড়তি শুল্কের বোঝা। বিভিন্ন ধরনের স্ক্রু, নাট ও বোল্ট কিনতে গেলে এখন প্রায় তিনগুণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। এসব পণ্যে মোট করভার ৩৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮৯.৩২ শতাংশ করা হয়েছে। টাইলস ও নির্মাণসামগ্রীর মূল উপকরণ মার্বেল ও গ্রানাইট বোল্টারের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে এর মোট করভার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১২৭.৭২ শতাংশ।

স্থানীয় শিল্প অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে এই অজুহাতে জিপসাম বোর্ড ও শিট আমদানিতে দ্বিগুণ করা হয়েছে সম্পূরক শুল্ক। এখন শুল্কহার হবে ২০ শতাংশ। ঢাকা শহরের অন্যতম বিরক্তিকর পরিবহন ব্যাটারিচালিত রিকশার দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই রিকশার ১২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তামাকবীজে আগে শূন্য শতাংশ কাস্টমস শুল্ক থাকলেও এখন তা ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। সয়াবিন মিলের কাস্টমস শুল্ক শূন্য থেকে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এই পণ্যগুলোর দাম বাড়লে ব্যয় বাড়বে সাধারণ মানুষের। বাজেটে উড়োজাহাজের কাস্টমস শুল্ক শূন্য থেকে ১ শতাংশ এবং হেলিকপ্টারে মোট করভার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হচ্ছে।

বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ককর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন এসব পণ্যের বেশি আমদানি হলে স্থানীয় শিল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত এসব পণ্য আবার অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে পারে।

পিভিসি পাইপ, কপার ওয়্যার, মোটরশিল্প, ব্যাটারিশিল্প, লিফটম, এলইডি বাতি, রাইস ব্র্যান ওয়েল, টায়ার-টিউব দেশে উৎপাদন করা হয়। পিভিসি পাইপ দেশে উৎপাদন করা হলেও এর উপকরণ আমদানি করতে হয়। এবার উপকরণের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। একই পদক্ষেপ কপার ওয়্যারেও। এই পণ্যের উপকরণ আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া শুল্ক ফাঁকি রোধে কিছু পণ্যের শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ফাঁকি রোধ করা গেলেও ওইসব পণ্যের দামও বাড়বে স্থানীয় বাজারে। দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে কৃষিপ্রধান এলাকায় কোল্ড স্টোরেজ দরকার। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প না হওয়ায় রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করতে পারছেন না এ খাতের উদ্যোক্তারা। এবার কোল্ড স্টোরেজের যন্ত্রপাতি ১ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক দিয়েই আমদানি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৯

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত এটি একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ সময় নতুন করে আরও ১৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গুতে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। সবমিলিয়ে চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০৪ জন ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ১১ জন। চলতি বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


আরও খবর