Logo
শিরোনাম

ফের উত্তপ্ত মিয়ানমার, সীমান্তে টহল জোরদার

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলমান যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এর ফলে বাংলাদেশ ঘেঁষা ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এখন তাদের দখলে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে। ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কায় সীমান্তে তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি নাফ নদে কড়া নজরদারি করছে কোস্টগার্ড। 

মিয়ানমারে চলমান এই অবস্থার মধ্যেই শুরু হয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে ট্রলার চলাচল। বৃহস্পতিবার দুপুরে জরুরি খাদ্যপণ্য সেন্টমার্টিনের কিছু বাসিন্দাকে নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় দুটি ট্রলার। এতে স্বস্তি ফিরেছে দ্বীপের বাসিন্দাদের মাঝে। স্বস্তি ফিরলেও মিয়ানমারের উত্তেজনা নিয়ে স্বস্তিতে নেই সীমান্তবাসী। নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশে আরো অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে কক্সবাজার-টেকনাফ বলে মনে করছে স্থানীয়রা। 

টেকনাফ সীমান্ত এলাকার স্থানীয়রা জানান, এমনিতেই লাখ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা মাথায় নিয়ে আমাদের দিন কাটাতে হয়। নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা আমরা এই দেশে চাই না। রোহিঙ্গারা নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত আছে। রোহিঙ্গারা খুন অপহরণ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। রোহিঙ্গাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে বলেও জানান তারা। 

তারা বলেন, সীমান্তে বিজিবিকে আরো কড়াকড়ি অবস্থানে থাকতে হবে। আমাদের সীমান্ত এলাকা এখনো অরক্ষিত। যেকোনো সময় রোহিঙ্গা ঢুকে যেতে পারে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন জানান, আগস্ট-সেপ্টেম্বর দুই মাসে হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। কিন্তু অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বড় ধরনের কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। নাফ নদীতে কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে। 


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সবজির দামে স্বস্তি ক্রেতাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ ফলে দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমে যাচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই মাস আগের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

আজকের বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, আর বিচিসহ শিম ৪০ টাকা, লম্বা আকৃতির ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, খিঁড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গাজর ৪০ টাকা, ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

নিহত ৬০৮ জনের মধ্যে নারী ৭২ জন ও শিশু ৮৪ জন। এ ছাড়া ২৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছ, যা মোট নিহতের ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬১ জন ঢাকা বিভাগের। সবচেয়ে কম ৩০ জন বরিশাল বিভাগে।

এ ছাড়া একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা জেলায় এবং সবচেয়ে কম অর্থাৎ পঞ্চগড় জেলায় কোনো মৃতু ঘটেনি।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ বেশি কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদনটি নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হবে না। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এরইমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ এ কথা জানান।

সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২. অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এবছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৩. শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।

৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জানা গেল তাহসানের ‘আলো’ গান কাকে নিয়ে লেখা!

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তুমি আর তো কারো নও শুধু আমার, যত দূরে সরে যাও রবে আমার, স্তব্ধ সময়টাকে ধরে রেখে, স্মৃতির পাতায় শুধু তুমি আমার, কেন আজ এত একা আমি, আলো হয়ে দূরে তুমি, আলো আলো আমি কখনো খুঁজে পাবনা, চাঁদের আলো তুমি কখনো আমার হবে না... এই গানের কথাগুলো এখনো সঙ্গীতপ্রেমীরা নিজের অজান্তে গেয়ে ওঠেন। আলো গানটি কাকে নিয়ে লেখা? সম্প্রতি এমন প্রশ্ন ঘুরছে চারপাশে। আসলেই তাহসান এই আলো গানটি কাকে নিয়ে লিখেছেন? এই গানের প্রেক্ষাপটই বা কী?

তাহসানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার বহুল আলোচিত এই গান সম্পর্কে। তাহসান বললেন, ‘আলো গানটি ২০০৬ সালে লেখা। তখন আমি বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে ফেলতাম। সেই অন্ধকারে জোছনা দেখতাম। তখন কবি কবি একটা ব্যাপার ছিল আর কি। তখন আমার মা মাঝে মধ্যে ঘরে ঢুকে বলতো তোর কী সমস্যা, সারাদিন চাঁদের দিকে তাকায়ে থাকিস কেন? চাঁদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আমার একটা টান ছিল, প্রত্যেকেরই থাকে প্রকৃতির সঙ্গে একটা যোগাযোগ তৈরি করার। আমিও প্রকৃতির সঙ্গে অর্থাৎ চাঁদের সঙ্গে স্থায়ীভাবে যোগাযোগ তৈরি করতাম। তখনই ইচ্ছে ছিল যে কিছু একটা লিখবো।’

ব্যক্তিগত ঘটনা থেকেই এই গানের উৎপত্তি জানিয়ে তাহসান বললেন, ‘এই গানটি যখন লেখা হয়, সেটা আমার একটা পারসোনাল স্টোরি। কাউকে কখনো বলিনি, হয়তো পুরোপুরি বলতেও পারবো না। তবে কাছাকাছি যাই, আমাদের জীবনে আমরা যখন কোনোকিছু পেয়ে যাই, তখন কিন্তু যে মর্মটা সেটা হারিয়ে ফেলি আস্তে আস্তে। আপনি হৃদয়ের গভীর থেকে যদি কোনো জিনিস চাচ্ছেন- এটা যদি দূর থেকে অ্যাপ্রেসিয়েট করেন আর ওটা যদি না পান তাহলে ঐ অনুভূতিটা সারাজীবন থেকে যায়। চাঁদের আলোটা রূপক অর্থে সেই অনুভূতি। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি, আর আমি তাকে পাবো না- এই অনুভূতিটা ধারণ করি বলেই প্রেমটা সারাজীবন থেকে যায়। আমাদের পছন্দের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটাও যদি পেয়ে যাই, তখন কিন্তু কদর করতে পারি না।’

জনপ্রিয় এই গায়ক উদাহরণ টেনে বললেন, ‘আমি সবসময় ভাবতাম আমার লিভিং রুমে যদি একটা পিয়ানো থাকতো তাহলে হয়তো প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা বাজাতাম। কিন্তু দেখেন আমার লিভিং রুমে পিয়ানো আছে। আমি কিন্তু প্রতিদিন বাজাই না। ঠিক ওই সেন্সটাই একটা স্পেসিফিক ঘটনা থেকে আমার মাথায় এসেছিল। সেটা হয়তো বলতে পারছি না। একটা জিনিসের ওপর আমার ইমোশন এসেছিল, যেহেতু আমি সেই ইমোশন এক্সপ্লোর করতে পারবো না, ওটাই আমার বুকের ভেতরে ধরে রেখেছিলাম। আমরা প্রতিটা মানুষই মনে হয় ওটা করি। সবাই হয়তো আমার সেই গানে জিনিসটা ফিল করতে পেরেছে, চাঁদকে আমরা দেখতে পাই কিন্তু কখনো নিজের হবে না।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ, প্রথম পর্ব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাবলিগ জামাতের সাথীরা। স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি মাগরিবের নামাজের পর এবং শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে স্থানীয় মুসল্লি ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠ তৈরির কাজে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। কেউ শামিয়ানা টানাচ্ছেন, কেউ বিদ্যুতের কাজ করছেন, কেউ বাথরুম পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার ময়দান পরিষ্কার করছেন। আল্লাহর মেহমানদের জন্য সবকিছু সুন্দরভাবে প্রস্তুত করতে এভাবেই দিনরাত কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমার ময়দানের ৯৪ শতাংশ প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দান প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। কোনো সমস্যা ছাড়াই এবার ইজতেমা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। এবারের ইজতেমায় দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আমাদের ধারণা।

তিনি আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বে আখেরি মোনাজাত হবে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা আব্দুর রকিব বলেন, আমরা ৭০ জনের একটি দল নিয়ে এখানে এসেছি। আল্লাহর মেহমানদের ইবাদতের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা মাঠের কাতার সোজা করার কাজ করছি। আল্লাহকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে আমরা এই কাজ করছি।

ময়দানের জিম্মায় থাকা সিহাব উদ্দিন জানান, আমি মূল মঞ্চের দায়িত্বে আছি। আমার সঙ্গে থাকা সাথীরা মাঠের বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করছেন। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কাজ করছি।

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় এনে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নজরদারি করা হবে। মুসল্লিদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।

অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইজতেমা আয়োজন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের ইজতেমা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করার একটি বার্তা পেয়েছি। বিষয়টি আমরা যাচাই করছি।

ধর্মীয় এই বিশাল সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যকার বিভাজন মিটিয়ে সমঝোতা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫