Logo
শিরোনাম

ফোন গরম হলে করণীয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

স্মার্টফোন মোটামুটি এখন সব বয়সী মানুষ ব্যবহার করেন। প্রয়োজনে এখন ছোটদের হাতেও ফোন তুলে দিতে বাধ্য হয়েছেন অভিভাবক। তবে ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় পড়েন অনেকে, সেটি হচ্ছে-অল্প ব্যবহারেই ফোন গরম হয়ে যাওয়া।

এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলবে। এজন্য মানতে হবে কয়েকটি টিপস। তাতে সারাক্ষণ ফোন ব্যবহার করলেও আর খুব বেশি গরম হবে না।

* ফোন কখনো পার্ক করা গাড়ির ভেতরে রাখবেন না। রোদে বাইরে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা একেবারেই উচিত না।বিশেষ করে আইফোন ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় রাখলে তাদের ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে।

* গাড়ি চালানোর সময় ফোন ড্যাশবোর্ডে রাখবেন না। তাতে ফোন খুব সহজেই গরম হয়ে যাবে। কারণ গ্লাস/উইন্ডশিল্ডে সূর্যের আলো খুব বেশি পড়ে। তাই সেখানে ফোনটিকে না রাখাই ভালো। অতিরিক্ত সূর্যালোকের কারণে স্মার্টফোন খুব দ্রুত গরম হয়ে যায়।

* স্মার্টফোনে ব্যাক-কভার ব্যবহার করা ভালো অভ্যাস। এতে হাত থেকে পড়ে গেলেও ফোনের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু যখনই দেখবেন ফোনটি গরম হয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যাক-কভারটি খুলে ফেলুন। পারলে গরমে ব্যাক-কভার ছাড়াই স্মার্টফোন ব্যবহার করুন।

* বেশি গেম খেলা থেকে বিরত থাকুন। ফোনের উপর বেশি লোড পড়ে এমন গেম খেলা থেকে বিরত থাকুন। ভারী গেম স্মার্টফোনের ব্যাটারিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে স্মার্টফোন গরম হয়ে যায়।

* ফোন চার্জে বসিয়ে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অনেকেই ফোন চার্জে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করেন কিংবা গেম খেলেন। এই অভ্যাস বদলে ফেলুন।


আরও খবর

জিমেইলে আসছে নীল টিক

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




সিরাজগঞ্জে ৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় লাইনচ্যুত হওয়া মালবাহী বগি দুটি উদ্ধারের পর আবারো ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার (৫ মে) রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে ঈশ্বরদী হয়ে উত্তরাঞ্চলের ও দক্ষিণাঞ্চলের রেলপথে ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়।

মোহনপুর রেলস্টেশন অপেক্ষায় থাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি উল্লাপাড়া রেল স্টেশনে রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে আসে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে লাইনচ্যুত মালবাহী বগি দুটি উদ্ধার করা শুরু হয়।

উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার গাজী মো. গোলাম ফেরদৌস রাত ৮টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, মালবাহী ট্রেন লাইন পরিবর্তন করার সময় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরে লাইনচ্যুত বগি দুটি উদ্ধারের জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে কাজ শুরু করে ।

এদিকে ঘটনা নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকতা মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



মেট্রোরেলে ঢিল, গ্রেপ্তার হয়নি একজনও

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়া ভবন চিহ্নিত হয়েছে। ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বাড়িটি থেকে অধিকাংশ মানুষ পালিয়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতকারীরা গ্রেপ্তার হয়নি। শনিবার (৬ মে) রাজধানীতে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার মাঝামাঝি পূর্ব অংশে চলাচলরত মেট্রোরেলকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়া হয়েছে। তার আশপাশে তিন থেকে চারটি ভবন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কোন ভবন থেকে ঢিল ছোড়া হয়েছে এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে মেট্রোরেল-২০১৫ আইনে। ঢিল ছোড়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাচ মেরামত করতে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় একটি বহুতল ভবন থেকে গত ৩০ এপ্রিল চলন্ত মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে মেট্রোরেলের কোনো যাত্রী আহত না হলেও কোচটির পূর্বপাশের জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শক্তিশালী লেমিনেটেড কাচ ব্যবহার করার কারণে জানালাটি পুরোপুরি ভেঙে যায়নি। ঘটনার পরপরই কাফরুল থানায় মামলা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের একটি বিশেষ টিমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে গত ১ মে ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল অ্যান্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনগামী একটি মেট্রোরেল কাজীপাড়া স্টেশনের ঢোকার মুখে একটি জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাটি কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনের ঠিক দক্ষিণ প্রান্তের ঘটনা। যখন ট্রেনটি স্টেশনের ঢুকতে যাচ্ছে, ঠিক এমন সময় বিকট আওয়াজে জানালার কাচটি ভেঙে যায়। ট্রেন ছিল পশ্চিম দিকের ট্র্যাকে, আর পূর্বদিক থেকে ঢিল আসে। ফলে ট্রেনের পূর্বদিকের একটি কাচ ভেঙে গেছে। যিনি এই রিপোর্ট (কাচ ভাঙার) করেছেন, তার ভাষ্যমতে এটি কাজীপাড়া স্টেশনে ঢোকার ঠিক একটু আগে ঘটে।

কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান (১ মে) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যখন ঢিল ছোড়া হয়, তখন ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়ার মাঝামাঝি কোনো স্থানে বহুতল ভবন থেকে ঢিল ছুড়ে ট্রেনের কাচ ভাঙা হয়েছে। তবে কোন ভবন থেকে ঢিল ছোড়া হয়েছে, সেটির তদন্ত চলছে। ডিএমটিসিএলের লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এটি এখন মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত চলবে। আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। অভিযুক্তরা শনাক্ত হলেই তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আপলিফট বাংলাদেশ নামে একটি ফেসবুক পেজে মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত জানালার ছবি পোস্ট করে লিখেছে, কোনো এক কিউট ব্যক্তি নাকি ঢিল ছুড়ে মেট্রোরেলের জানালার কাচ ভেঙেছে। এর সত্যতা জানি না। তবে এটি যদি সত্যি হয় তাহলে কথা হচ্ছে আমরা কি সভ্য হব না? আমরা যদি সভ্য না হই উন্নত সেবা পাওয়ার আশা রাখিই বা কীভাবে?

এই পোস্টে শতাধিক মানুষ মন্তব্য করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আবদুর রাকিব নামের একজন মন্তব্যে লিখেছেন, নিউজটা সত্য। চরম শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে আর কেউ এমন দুঃসাহস না দেখায়।

 


আরও খবর



সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি গণ বিরোধী সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে টানা ১০ মাস ধরে ভোজ্যতেলের দর কমলেও বাংলাদেশের বাজারে লিটারে ১২ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে জনগণের ভাগান্তি বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির। 

আজ ৫ মে, শুক্রবার, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ এর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। 

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যখন কঠিন হয়ে পড়েছে, ঠিক তখনই দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি জনগনকে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ফেলবে। 

তিনি আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে ভর্তুকি দিয়ে হলেও ভোজ্য তেলের মূল্য লিটারে ১৫০ টাকা করার দাবী জানান। 

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের অন্যতম নেতা আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ ইয়াসির আরাফাত প্রমূখ। 

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে।  অথচ সাধারণ খেটে-খাওয়া শ্রমজীবী মেনতি মানুষের  আয় বৃদ্ধিতে সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারনে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি না করে ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। 

তিনি বলেন, সরকার বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা ও দুর্নীতি বন্ধ না করে জনগনের উপর ভ্যাট এর বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গণ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  এই গণ বিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




আওয়ামী লীগ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে:প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

বিএনপি-জামায়াত চক্রকে ভোট চোর হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশবাসীকে তাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় রবিবার (৭ মে) বিকালের লন্ডনের হোটেল ম্যারিয়টে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে। তাই, সতর্ক থাকুন, যাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবার ক্ষমতায় না আসে।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে সবসময় জনগণের পাশে থাকায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হবে। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সকলকে (নেতা-কর্মী) আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে, কারণ, নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ জেনে গেছে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে তার দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

শেখ হাসিনা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা ডেল্টা ২১০০ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে আর কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ অন্নহীন মানুষ থাকবে না, বলেন তিনি।

বিএনপি ও এর নেতাদের ভোট চোর আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া ভোট চোর ছিলেন, তার মা ভোট চোর, আমাদের ভোট চোর বলার সাহস হয় কী করে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।

শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০-দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং পরে উপনির্বাচনে ১টিসহ মোট ৩০টি আসন জিতেছিল। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। আমরা বাকী সব আসন পেয়েছিলাম। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে ?

 


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




অননুমোদিত পরিবহন এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) । যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা , স্কুলভ্যান , ইজিবাইক , স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস - মিনিবাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ( এসকাপ ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন ( ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট ) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাব - রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন - এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান , এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের মোড শেয়ার ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার মোড শেয়ার ৫৪ শতাংশ। ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ( ৫০ শতাংশ ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা ( ৩৮ শতাংশ ), ভারতের সুরাট ( ৩০ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং ( ১৭ শতাংশ ), কম্বোডিয়ার নম পেন ( ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ( ১১ শতাংশ ) ও ভারতের জয়পুর ( ১১ শতাংশ ) ।ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ কোনো দেশের রাস্তায় কী ধরনের যানবাহন চলাচল করবে , সেসব যানবাহনের মডেল কী হবে এ ধরনের বিষয়গুলো ওই দেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। এটাকে আমরা টাইপ মডেল অনুমোদন বলি।

 এ টাইপ মডেলের অনুমোদন নিয়েই যানবাহন আমদানি বা উৎপাদন করে সেগুলো রাস্তায় চালানো হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এ ধরনের যানবাহনকে আমরা বলি ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট । যেহেতু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে না , সেহেতু এসব যানবাহনের কাঠামোগত দুর্বলতা , নিরাপত্তার ঘাটতির মতো বিষয়গুলো থেকেই যায়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ বর্তমানে ২০ ধরনের যানবাহনকে রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স , অটোরিকশা , অটো টেম্পো , বাস , কার্গো ভ্যান , কাভার্ড ভ্যান , ডেলিভারি ভ্যান , হিউম্যান হলার , জিপ , মাইক্রোবাস , মিনিবাস , মোটরসাইকেল , পিকআপ , প্রাইভেট কার , স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল , ট্যাংকার , ট্যাক্সিক্যাব , ট্রাক্টর , ট্রাক ও অন্যান্য। বিআরটিএর তথ্য বলছে , চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ ২০ ক্যাটাগরিতে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি।

 সড়ক পরিবহন আইন - ২০১৮ অনুযায়ী , এসব ক্যাটাগরির যানবাহন ছাড়া সড়ক - মহাসড়কে চলাচল করা সব ধরনের মোটরযানই অবৈধ। অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে থাকা খুলনা শহরজুড়ে রয়েছে ইজিবাইকের দাপট। এসব যানবাহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে খুলনা সিটি করপোরেশন ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ , অনুমতি পাওয়া ১০ হাজারের বাইরে আরো প্রায় ৪০ হাজার ইজিবাইক বর্তমানে এ শহরে চলাচল করছে। মূলত ইজিবাইকের কারণেই খুলনা অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। অন্যদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা , ব্যাটারি রিকশা , ইজিবাইক , বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার যানবাহনের আধিক্যের কারণে ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব যানবাহন কিন্তু লুকিয়ে চলে না।

 কর্তৃপক্ষের সামনে দিয়েই চলে। আবার ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের অননুমোদিত যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন বা আমদানি করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে এসব যানবাহনকে কেন্দ্র করে একটা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। যখন এসব যানবাহন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল , তখন কর্তৃপক্ষ অলস বসে থেকেছে ’ , বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন , ‘ এটা ঠিক যে অননুমোদিত যানবাহনগুলোয় নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। কাঠামোগত ত্রুটিসহ নানা ধরনের অসংগতি আছে। কিন্তু এসব যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া উচিত হবে না।

বরং অননুমোদিত যানবাহনগুলোর কাঠামোগত মানোন্নয়ন , নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে , এসব যানবাহন যেন কখনই শহরের মূল সড়ক ও মহাসড়কের গণপরিবহন না হয়। শুধু শহরের ফিডার রোড ও সরু সড়কগুলোতেই এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে অননুমোদিত পরিবহনের আধিক্যের বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলছেন , মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্বার্থে চাইলেও এসব অননুমোদিত যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ বাংলাদেশের শহরগুলোকে বলা হয় রিকশার শহর। সংস্কৃতিগতভাবেই কিন্তু এটা চলে আসছে।

 দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শহরে বসবাস করে। এসব মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য রিকশা , ইজিবাইকের মতো যানবাহন দরকার। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই যদি আমরা এসব যানবাহন বন্ধ করে দিই , তাহলে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকার কী হবে ? ’ ‘ এটা মানুষের বিহেভিয়ারেরও বিষয়। অনেক কিছু জোর করে পরিবর্তন করা যায় না। যখন বিকল্প আসবে , মানুষ সেটাকে বেছে নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , ‘ ঢাকার মতো জনবহুল একটা শহরে কিন্তু চাইলেই আমরা রিকশা তুলে দিতে পারি না। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ি ছিল। এখন কিন্তু তা উঠে গেছে। আমরা ঢাকার বেশ কয়েকটি শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি - হুইলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেশ থেকে সব ধরনের অননুমোদিত যানবাহন তুলে দেয়া হবে।


আরও খবর