Logo
শিরোনাম

ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

গোলাম মোস্তফা :

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বেশ কিছু ধাপ ও ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজন হয়। ফ্রান্সের ভিজিট ভিসা (শেঞ্জেন ভিসা) ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য হয়। নিচে বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো:


ধাপ ১: ভিসার ধরন নির্ধারণ

আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সময়কাল অনুযায়ী, আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা নির্ধারণ করুন। সাধারণত, ফ্রান্সের জন্য শেঞ্জেন ভিজিট ভিসা (শর্ট স্টে) পর্যটন, ব্যবসা, বা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য হয়ে থাকে।


ধাপ ২: আবেদন ফর্ম পূরণ

ফ্রান্সের শেঞ্জেন ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।


 ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ

নিম্নলিখিত ডকুমেন্টসগুলি সাধারণত ফ্রান্সের ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়:


1. পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্টটি ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে কমপক্ষে তিন মাস পর পর্যন্ত বৈধ হতে হবে এবং এতে অন্তত দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

   

2. আবেদন ফর্ম: সম্পূর্ণ পূরণ করা এবং স্বাক্ষর করা শেঞ্জেন ভিসা আবেদন ফর্ম।

   

3. ফটো: সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি (বায়োমেট্রিক ফটো)।

   

4. ফ্লাইট বুকিং: ফ্রান্সে আসা-যাওয়ার নিশ্চিত ফ্লাইট টিকেট।

   

5. হোটেল রিজার্ভেশন: ফ্রান্সে থাকার সময়কালীন হোটেল বুকিং বা থাকার ব্যবস্থা।

   

6. বীমা: ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা, যা শেঞ্জেন অঞ্চলে আপনার পুরো থাকার সময়কালের জন্য অন্তত ৩০,০০০ ইউরো পর্যন্ত কভার করবে।

   

7. আর্থিক ক্ষমতার প্রমাণ: আপনার ভ্রমণ এবং ফ্রান্সে থাকার সময়কালের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ। এটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরির সার্টিফিকেট, বা স্পনসরশিপ লেটার হতে পারে।

   

8. কাভার লেটার: আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং বিস্তারিত বিবরণ সহ একটি চিঠি।

   

9. ভিসা ফি: নির্ধারিত ভিসা ফি জমা দেওয়া।


ধাপ ৪: ভিসা আবেদন জমা

ফ্রান্সের ভিসা আবেদন গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS Global) বা ফ্রান্সের দূতাবাসে ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে। VFS Global বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।


ধাপ ৫: বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান

ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময়, আপনাকে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি) প্রদান করতে হবে।


ধাপ ৬: সাক্ষাৎকার

কিছু ক্ষেত্রে, ভিসা অফিসার সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ডাকতে পারেন। এই সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে।


ধাপ ৭: ভিসা প্রসেসিং সময়

ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফলাফল জানা যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।


ধাপ ৮: পাসপোর্ট সংগ্রহ

ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনাকে ভিসা স্ট্যাম্প করা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। আপনি VFS Global বা দূতাবাস থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারেন।


 ফ্রান্সের ভিজিট ভিসা করার যাবতীয় সহযোগিতার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে সাজানো নাটক চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বললেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, নাসির উদ্দিন পিন্টুকে আজ যেভাবে স্মরণ করা হচ্ছে, এই নাসির উদ্দিনদের মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের এই বিএনপি।

এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলনকে নাটক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে।

তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনো আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে; এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অথচ সরকার কিছু জানে না; তারা কী জানে?

তাছাড়া, প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।

সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে এনসিপি কেন কথা বলছে না— দলটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, বিশ্বের ডিকশনারিতে মানবিক করিডর বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারবো না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি মানবিক করিডর দেওয়া হবে, কেন কার স্বার্থের জন্য করিডোর, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।

এসময় মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ কথা বলছে না। জামায়াত, চরমোনাই কেউ কথা বলছে না। বিএনপিকে শেষ করতে পারলেই আওয়ামী লীগের মত দেশ লুটেপুটে খাওয়া যাবে।

নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।


আরও খবর



মাদ্রাসা পাস করে ডাক্তারি করতেন রেজাউল

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বরিশালে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন রেজাউল করিম। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

আজ উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামে রেজাউল করিমের মায়ের দোয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলাম খান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চিকিৎসক পরিচয়ে রেজাউল করিম জটিল সব রোগের চিকিৎসা দেন এবং সার্জারিও করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক রোগী ও নার্সকে যৌন হয়রানি, মারধর, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। রেজাউল করিম নিজেকে কখনো সাংবাদিক পরিচয়, আবার কখনও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, ঢাকা ও বরিশাল শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মালিক ও প্রকাশক হিসেবেও পরিচয় দিতেন। তিনি উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামে গড়ে তুলেন মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ওই সেন্টারে বসেই বছরের পর বছর গ্রামের রোগীদের অপচিকিৎসা করছেন। তার অপচিকিৎসায় বহু রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বরণের অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ওই ক্লিনিকে রোগীদের ভর্তির পরে চিকিৎসা প্রদান বা জটিল অপারেশন করার তথ্য ডায়েরি বা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন না রেজাউল করিম। এতে তার কাজের কোনো প্রমাণ থাকে না। রোগীদেরকেও কোনো প্রমাণপত্র দেওয়া হয় না। এ ছাড়া তার সনদপত্রে লেখা-চার্টার অব অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব ইন্দো অ্যালোপ্যাথি অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন। কিন্তু অনুসন্ধান করে এই নামে সনদপত্র প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম খান বলেন তিনি ভারতের একটি সনদপত্র দেখান। এটার কোনো বৈধতা নেই। তার যেহেতু এমবিবিএসের সনদ নেই, তাই তার দেখানো এসব ডিগ্রির কোনো দাম নেই। তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র একটি অভিযান পরিচালনা করেন রেজাউল করিমকে বিভিন্ন ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।


আরও খবর



পাকিস্তানি পণ্য নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত ভারতের

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। ঘটনার পর থেকে এরইমধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। বাণিজ্যিক সব চুক্তি স্থগিতের পাশাপাশি একে অন্যের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

এ অবস্থায় অন্য দেশ হয়ে প্রবেশ করা পাকিস্তানি পণ্যের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এক তিল পরিমাণ কোনও পাকিস্তানি পণ্যও যেন ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৩ মে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে তৈরি কোনো পণ্য সরাসরি বা ঘুরপথে আমদানি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা এবং সরকারি নীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এই নির্দেশিকার কোনও ব্যতিক্রমের জন্য অবশ্যই ভারত সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব বেশি পণ্য ভারতে আসে না। তবে ঘুরপথে দুবাই হয়ে কিছু পণ্য ভারতে আসত। বিশেষত, পোশাক, মসলা বা ছোট যন্ত্রাংশের মতো কিছু পণ্য ঘুরপথে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করত; তাও খুব বেশি নয়। ভারতীয় বাণিজ্যমহলের অনেকের মতে, ঘুরপথেও যাতে কোনও পাকিস্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই মূলত ভারত এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ক্রমশ অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। ওই সময়ে ফল, সিমেন্ট, পেট্রোপণ্য, আকরিকসহ পাকিস্তান থেকে আসা বেশ কিছু পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল ভারত। বাণিজ্যিকভাবে ভারতের অন্যতম পছন্দের দেশের তালিকা থেকেও পাকিস্তানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে গত কয়েক বছরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে।

গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ভারত। এক বছর আগেও যে পরিসংখ্যান ছিল, তার থেকে ২০ লাখ ডলারেরও কম মূল্যের আমদানি হয়েছিল ওই সময়ে।

এরই মধ্যে গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ভারত-পাকিস্তান চাপা বৈরিতা মুহূর্তেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিশ্ববাসীর সামনে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে কদর্য রূপ ধারণ করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

এদিকে পাকিস্তানি পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞাই শুধু নয়, পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। দেশটির ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ শিপিং’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও জাহাজই প্রবেশ করতে পারবে না ভারতীয় বন্দরে। একইভাবে কোনো ভারতীয় জাহাজও যাবে না পাকিস্তানের কোনো বন্দরে।

পহেলগাম হামলার পরদিনই বৈঠকে বসেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি। ওই বৈঠকের পরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করে মোদি সরকার, যার মধ্যে অন্যতম ছিল অটারী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া।

উল্লেখ্য, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দুদেশের মধ্যকার অন্যতম বাণিজ্যপথ ছিল। পরদিন পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে। ওই সময়ে ইসলামাবাদ জানিয়েছিল, ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এমনকি তৃতীয় কোনও দেশ ঘুরেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।


আরও খবর



আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে নই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সোমবার রাতে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির মৃত্যুর গুজব। এরপর রাতেই নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে জানান দেন বেঁচে আছেন তিনি। কেবল তাই নয়, মানুষের এমন উদ্ভট কর্মকাণ্ড নিয়ে দারুণ বিরক্ত এই নায়িকা।

ফেসবুক লাইভে পরীমনি বলেন, সারা দিন শুটিং করে যখন ফোন হাতে নিলাম, আমি শকড। ফোনকলের চেয়ে বেশি মেসেজ। ধরেন, আপনার কোনো আত্মীয়র মৃত্যুর খবর শুনলেন, আপনি সেই আত্মীয়কেই ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বেঁচে আছেন? যেকোনোভাবে গুজবটা ছড়িয়েছে, আমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার জন্য কতটা শকিং!

এই অভিনেত্রী বলেন, মৃত্যু তো আসলে আমার হাতে নেই। আপনি তো জানেন না, কখন চলে যাবেন। আল্লাহর কাছে স্বাভাবিক মৃত্যু চাই সব সময়।

‘পরীমণির যদি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়, তবে ধরে নিতে হবে তাকে কেউ খুন করেছে’,- ভক্তদের এ তথ্য জানিয়ে পরীমনি বলেন, এই যে আমার ঝুলন্ত মরদেহটা উদ্ধার করল, তারপরও লাইভে এসে কথা বলছি আপনাদের সঙ্গে। কোনো একটা ফোকাস সরানোর জন্য মানুষ পরীমনিকেই বেছে নেয়। আলুর দাম কমাতে পারছে না বলে পরীমনির বিয়ের খবর করে দাও। এখন বিয়ে দিতে পারছে না বলে একদম মেরে ফেলল।

‘পরীমণি আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না’, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। আমার জীবনে এখন সুইসাইড করার মতো কোনো ইস্যুই নাই। আমার দুইটা বাচ্চা নিয়ে, কাজ নিয়ে অনেক খুশি। এই খুশির মধ্যে আপনাদের জীবনযাপন ঢুকিয়ে দেবেন না। কিছু হইলে খালি পরীমনিকে নিয়ে টানাটানি কেন? আর কিছু খুঁজে পান না?


আরও খবর



৩৬ দিনে কোনো বিপ্লব হয় না

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

কোনো অভ্যুত্থান, কোনো বিপ্লব, কোনো পরিবর্তন বা কোনো যুদ্ধ ৩৬ দিন বা এক মাসে হয় না। বছরের পর বছর যুগের পর যুগ সময় লাগে; মানুষের আত্মত্যাগ, মানুষের সংগ্রাম, মানুষের রক্ত ভেসে যায় সেই সংগ্রাম আর বিপ্লবের পেছনে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

২২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আয়োজনে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন অল্প কয়েক দিনের আন্দোলনে হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। শেখ হাসিনার পালানো বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল। গণবিস্ফোরণে হাসিনা পালিয়ে গেছে।

তিনি আরোও বলেন, আওয়ামী লীগ ‘গত ১৫ বছরে যত পাপ করেছে তার বিচার আগামী ১০০ বছর চলতেই থাকবে। বিএনপি গত ১৫ বছর মাটি ছাড়ে নাই, সুতরাং আগামীতেও এক চুল মাটি ছাড়া হবে না।’

জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর, বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, জাতীয় নির্বাহী সদস্য ফজলুর রহমান খোকন।


আরও খবর