Logo
শিরোনাম

ফুলবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক তিনদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলার ভাঙ্গা মোড়, শিমুলবাড়ি ও বড়ভিটা এই তিন ইউনিয়নের মোট ৩৬ জন ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ(তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। শনিবার ১৭ (মে) সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম। এসময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সোহেলী পারভীন, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সহ-বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের রাজার হাট (কুড়িগ্রাম) উপজেলার সমন্বয়কারী রুকুনুজ্জামান। আয়োজকরা জানান,স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা কার্যকর ভাবে বাস্তবায়নের জন্য ইউপি সদস্যদের দক্ষ করে করে তুলতেই এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর



ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বিদায় নিলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প; এ সময় মাস্কও উপস্থিত ছিলেন।

মাস্কের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ইলন এক কথায় দুর্দান্ত। তিনি প্রশাসনে আসার পর অক্লান্তভাবে কাজ করে গেছেন এবং তিনি ছিলেন বলেই আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনে ব্যাপক ও ফলপ্রসূ পরিবর্তন আনতে পেরেছি। তিনি না থাকলে হয়তো এই পরিবর্তন আনতে কয়েক প্রজন্ম লেগে যেতো।”

“আজ তিনি বিদায় নিচ্ছেন; কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে এটি সত্যিকারের বিদায় নয়। তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো না কোনোভাবে আমাদের সংস্পর্শে থাকবেন। এখনও তার অনেক কিছু করার আছে।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন মাস্ক। নির্বাচনে জয়ের পর মাস্ককে নিজের পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর মাস্ককে নবগঠিত সরকারি বিভাগ বা মন্ত্রণালয় ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ)-এর প্রধান করেন ট্রাম্প। এই বিভাগের প্রধান কাজ ছিল সরকারি ব্যয় সংকোচন এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি।

মাস্ক ডজের প্রধান নির্বাহী হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে সরকারি অর্থ অপচয় রোধের নামে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়, স্থগিত করা হয় প্রায় সব ধরনের বৈদেশি সহায়তা প্রদান, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থাতেও সরকারি ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এসব কারণে স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একাধিক আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চাকরিচ্যুত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ সহায়তা প্রদান স্থগিত করায় দেশের ভেতরেও সমালোচনায় বিদ্ধ হতে থাকে ট্রাম্প প্রশাসন।

মাস্কের নিয়োগ নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের এমপিদের একাংশ এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা-কর্মীদের একাংশ অসন্তুষ্ট ছিলেন। কংগ্রেস এখনও ডজকে সরকারি বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল মাস্কের। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বিল স্বাক্ষরকে ঘিরে নতুন তিক্ততা সৃষ্টির অবস্থা দেখা দেয়। মাস্ক প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেন।

নাগরিকদের কর মওকুফ এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত ওই বিলটি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যে তিনি একটি ‘বড় ও সুন্দর’ বিলে সাক্ষর করেছেন। কিন্তু এর পরের দিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক সেই বিলের সমালোচনা করে বলেন, “‘‘এটা একটা বিশাল খরচের বিল। আমরা সরকারের খরচ বাঁচাতে, অপ্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করতে এত দিন ধরে ডজ-এর আওতায় যা যা কাজ করলাম, এই বিল সেসব ব্যর্থ করে দেবে। আর আমার মনে হয়, একটা বিল হয় বড় হতে পারে, অথবা সুন্দর। দুটো একসঙ্গে হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।”

পরে পৃথক এক সাক্ষাৎকারে ওয়াশিংটন পোস্টকে মাস্ক বলেন, তিনি তার পুরোনো কাজে ফিরে যেতে চান এবং ব্যবসায় মন দিতে চান।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে মাস্ক বিশ্বের তিনটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির মালিক— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং নভোযান এবং মহাকাশ গবেষণা কাজে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি স্পেসএক্স।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক বলেন, “আমি মনে করি, ডজ টিম তার গত কয়েক মাসের কাজে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



বালুয়াকান্দীতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ওসাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন মাষ্টার,বিএনপি নেতা রেজাউল করিম সেলিম মাষ্টার,আব্দুস সামাদ,মিছির আলী মেম্বার,আবু ইউসুফ খোকন,জসিম উদ্দিন,জজ মিয়া,আবদুল ওয়াদুদ,উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনে সরকার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আলী আরশাদ,মিহিন উল্লাহ,ফুয়াদ মৃধা,কামরুল হাসান জিয়া,ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম,নোমান বিল্লাল,কামরুজ্জামান সানি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো:শফিকুল ইসলাম স্বপন।


আরও খবর



মনেপড়ে চরমোনাই এর পীর সাহেব (রহঃ) কে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিষ্ট :

ফিলিস্তিনের মুসলমানদের যে অবস্হা, যেভাবে তাদের উপর  নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে তাতো গভীর উদ্বেগের বিষয়।  আমরাতো বাংলাদেশী। ছোট একটি দেশ  ।  অবশ্য আমাদের দেশের সরকার প্রধান ফিলিস্তিনের নির্যাতিত  মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সুচিকিৎসা এবং বিভিন্ন ভাবে সহযেগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতন- নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই আমাদের সরকারকে। তবে  যারা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র, যারা অনেক শক্তিশালী,  যারা এ সমস্ত বিষয়গুলো ফায়সালা করতে পারেন, তারা কিন্তু নিশ্চুপ। কোন আওয়াজ তাদের নেই।  যেভাবে নিরপরাধ মানুষগুলো মারা হল, কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই।

মানে যারা ভূত ছাড়াতে পারবেন, অলরেডি  তারা যেন ভূতের দ্বারা আক্রান্ত। কেউ মানবতার পক্ষে কথা বলছেন না। সবাই যেন তেলো মাথায় তেল দিচ্ছেন। অনেকেই ইসরাইলের পক্ষে।  তারা বিভিন্ন সময় অহেতুক কাজে তাদের  দ্বীল কেঁদে উঠলেও মুসলমান মারার সময় একটুও যেন তাদের মনটা কাঁদে না।

আমাদের জাতিসংঘ  এর ভুমিকা  থাকে একদম নিরব।   বিশেষ  করে মুসলমান মারার সময় তারা যেন ঘুমে বিভোর থাকেন।তাদের কাজ-কারবার  দেখে মনেহয়না বিশ্বে কিছু ঘটে যাচ্ছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।


এজন্য আমাদেরই একজন প্রাণপ্রিয় নেতা। যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার এবং রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন, তিনি চরমোনাই এর মরহুম পীর সাহেব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আপোষহীন সংগ্রামী নেতা সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি একবার বক্তৃতায়  বলেছিলেন, আমাদের মুসলিম জাতিসংঘের প্রয়োজন। যে সংঘটি  নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কথা বলতে পারে। মুসলিমদের সুবিধা- অসুবিধার কথা তুলে ধরতে পারে।

আজকের এই ক্রান্তিকালে সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, এর কথা বড্ড স্মরণ হয়। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে ভাবে জুলুম চলে আসছে, তাতে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন সময়ের দাবী। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঐ সকল জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।

সৈয়দ ফজলুল রহ, একজন মুখলিস পীর  এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। যিনি আমাদের দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে বহু চিন্তা করেছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাব  সেই সময়ে ব্যাপকভাবে সমর্থন পেয়েছিল।  তিনি যদিও আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর চিন্তা- চেতনা, তাঁর রাজনৈতিক দর্শনগুলো যেন অমর হয়ে রয়েছে। সত্যিকারার্থে  বর্তমান পরিস্হিতিতে সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি মজলুমদের পক্ষে কথা বলে, তাহলে জালিমেরা  এত্ত সাহস পায় না। কিছুটা হলেও তারা নমনীয় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে কোন তীব্র প্রতিবাদ  না আসায় তাদের আস্ফালন বেড়েই চলেছে।

এজন্য মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হয়ে ঐসকল জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নচেৎ মুসলমানদের উপর  থেকে নির্যাতনের খড়গ  নেমে যাবে না।

সাময়িক ভাবে হয়ত ইসরাইল পিছু হটেছে। যুদ্ধ বিরতী এখন। কিন্তু  ওদের তো ওয়াদা ঠিক থাকেনা। আবারও কখন ওরা মুসলিমদের উপর তেড়ে আসবে না এটার কোন গ্যারান্টি নেই। এজন্য বিশ্ব নেতাদের ঐকবদ্ধ হয়ে  একটা সুরাহা করা উচিত।

বিশ্ব মুসলিমের এই ক্রান্তিকালে তাইতো বড্ড স্মরণ হয় সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, ( পীর সাহেব চরমোনাই) এর কথা। বারবার মনেপড়ে।  তাঁর চিন্তা- চেতনা ছিল আসলেই প্রশংসনীয়। তিনি মুসলিমদের কথা ভেবে ছিলেন নিঃস্বার্থ ভাবে।  এজন্য তিনি যেন আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। 

সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, একজন আপোষহীন বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর রাজনীতি ছিল যেন বে- মেছাল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এদেশে রাজনীতি করেছেন।  যার কারণে তাঁর সুনাম - সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ থেকে দেশান্তরে। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রুপসা থেকে পাথুরিয়া  এক  নামে যিনি ছিলেন সবার প্রিয়। সেই মহান ব্যক্তি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের কথা ভেবেছেন। বিশ্ব মুসলিমের শান্তি- নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছেন সব সময়। 

তাঁর বড় এক   সুচিন্তা  ছিল মুসলিম জাতিসংঘ। মুসলিমগণ এক হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে  কোনদিন আর মুসলিমদের উপর এভাবে নির্যাতন নেমে আসবেনা।  বিশ্বে যত মুসলিম রাষ্ট্র আছে সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা সম্ভব। মুসলমানেরা একতাবদ্ধ না হয়ে কখনো এই ধরনের অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হবে না।

আল্লাহতায়ালা সেই মহান মনিষীকে ক্ষমা করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে সুউচ্চ মাকাম দান করেন। আমিন


আরও খবর



ফোনাশক্তি, মানসিক-স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে স্মার্টফোন বর্তমান শিশু–কিশোরদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক সব কাজের অন্যতম অনুষঙ্গ। মানুষের জীবনে প্রযুক্তি যেমনি সুফল বয়ে আনছে, তেমনি এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে বাড়ছে নানাবিধ সমস্যা। অতিমাত্রায় মোবাইল ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ। মোবাইলের গেম আশক্তিতে নষ্ট হচ্ছে অর্থ বিনষ্ট হচ্ছে লেখাপড়া। বড়দের পাশাপাশি দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলের পেছনে ব্যয় করছে শিশুরা। সারাদেশের ন্যায় এমন চিত্র শালিখাতেও। শিশুদের মোবাইল অশক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকসহ সচেতন মহল। মাঝেমধ্যে ফোন কিনে না দেওয়ায় গলায় ফাঁস দেওয়া ও বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে এখানে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব, গেমে আসক্ত হয়ে পড়াশোনাবিমুখ হচ্ছে শিশু–কিশোরেরা। একই সঙ্গে তাদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ডিভাইসগুলো। মোবাইলের অপব্যবহারে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতাও। স্কুল-কলেজে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না অনেকে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে তৈরি করছে টিকটক ও রিলস ভিডিও। অনলাইন থেকে পাওয়া অর্থের লোভে অধিকাংশ সময় মোবাইলের পেছনেই ব্যয় করছে কিশোরেরা।

এদিকে ফোন দিয়ে খাবার খাওয়ানো, ও শিশুর কান্না থামানো যেন এখনকার বাবা-মা’র আবশ্যকীয় কাজ। দুবছরের শিশু থেকে পঞ্চাশোর্ধ লোকেদের নিত্যসময়ের সঙ্গী এখন মোবাইল ফোন। শিশুদের মোবাইল অশক্তি দূর করতে শিশুদের পেছনে সময় দেওয়া, শিশুদের ভালো কাজের প্রশংসাপূর্বক পুরস্কৃত করা, শিশুদের সামনে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করা, সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত করা, সহনশীলতার সঙ্গে শিশুদের প্রতি সদাচার করা, খেলাধুলা সাথে সম্পৃক্ত করা, শিশুদেরকে অকারণে ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়াসহ নানাবিধ পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ছয়-সাত ইঞ্চির এই ডিভাইস যেন শিশু–কিশোরদের ধ্যানজ্ঞান। প্রতিদিন রাত জেগে স্মার্টফোনের গেমসে বুঁদ হয়ে থাকে এই শিশু–কিশোরেরা। সামনে বই, খাতা, কলম রাখা থাকলেও কিন্তু তা থেকে তার নজর কিছুতেই সরছে না। অনলাইনের যুগে শিশুদের ঘাড়ে যেন অভিশাপ হয়ে এসেছে স্ক্রিন আসক্তি। স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারেই তাদের রাত-দিন পার হচ্ছে। এমনকি খাবার টেবিলে বসেও চলে ফোন চাপাচাপি। মোবাইল অশক্তি যেন চিন্তার বড় কারণ হয়প দাড়িয়েছে। যে বয়সে শিশু-কিশোরদের বইয়ের পাতা উল্টে নতুন নতুন অধ্যায় ধরার কথা, সে বয়সে তারা ব্যস্ত গেমসের লেভেল পার হওয়াতেই। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।

সরকারি আইডিয়াল স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক জানান, স্কুল ফাঁকি দিয়ে ফোন নিয়ে পড়ে থাকে তাঁদের সন্তান। আবার ফোন কিনে না দিলেও স্কুল যাওয়া বা নাওয়া–খাওয়া বন্ধ করে তারা। এমনকি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আদায় করছে ফোন। অনেকটা নিরুপায় হয়ে ফোন কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকবৃন্দ।

শ্রী ইন্দ্রনীল গবেষণা ইনিস্টিউটের প্রধান সংগঠক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, ‘দার্শনিক জালাল উদ্দীনের’ একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত যা তাহাই বিষ আর প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে পাশাপাশি সন্তানকে চার দেয়ালের বাইরে মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়াসহ নানা কর্মকাণ্ড হতে পারে আসক্তির প্রতিষেধক। তা না হলে স্ক্রিনের আলো শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারে। শিশু-কিশোরদেরকে কাউন্সিল করে এই মোবাইল আশক্তি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব বলেও মনে করেন এই গবেষক।

চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, অতিরিক্ত মুঠোফোন আসক্তির কারণে চোখ ও মস্তিষ্কের নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিশোর বয়সে যারা মুঠোফোন আসক্ত হয়, তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা হয়।পাশাপাশি মোবাইল আশক্তিতে মস্তিক থেকে ডেপামিন নিঃসরন হয়। যে কারণে তাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।


আরও খবর



রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার। তবে এসব ফলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। খুচরা থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান- সবখানেই রাজত্ব করছে আম, লিচু, তালের শাঁস, আনারস, জাম, লটকন, বেতফল, আতাফল, জামরুলের মতো নানা স্বাদের ফল। এমনকি অনলাইন প্লাটফর্মেও বিক্রি হচ্ছে ফল। কিন্তু অনেক ফলের দাম এখনও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

বাসাবো এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, আপেল, কমলা, মাল্টা, আনার- এগুলো এখন দামি ফল। জ্যৈষ্ঠ মাসে অপেক্ষা করি সামর্থ্যরে মধ্যে দেশি ফল খাওয়ার। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি লিচু, আম, জাম- সবকিছুর দাম অনেক বেশি। একই অভিজ্ঞতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ওয়াহেদ উজ জামানের। তিনি বলেন, ১০০ পিস ছোট আকারের লিচুর দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বড় আকারের রাজশাহীর লিচুর দাম আরও বেশি। জামের কেজি চাইছে ৪৫০-৫৫০ টাকা।

তবে তালের শাঁস ও আনারসের মতো কিছু ফল এখনও তুলনামূলক সস্তায় মিলছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ধারে। দিনের বেলায় গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পেতে পথচারীরা ভিড় করছেন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয়। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করছেন মো. হাসনাত রুবেল। তিনি জানান, তালশাঁসের সরবরাহ বেড়েছে, খুচরায় ১০ টাকা পিস বিক্রি করছি। আস্ত তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

এক ক্রেতা মো. নুরুল হক বলেন, এই গরমে পানিজাতীয় ফল খেতে ভালো লাগে। এক পিস ছোট ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা হলেও তালশাঁস মাত্র ১০ টাকায় পাচ্ছি। আনারসও ৩০-৫০ টাকায় মিলছে।

বিদেশি ফলের দাম বেড়ে অনেক আগেই নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খুচরা বাজারে আপেলের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে মাল্টা, কমলা, আনারসহ অন্যান্য বিদেশি ফলের দামেও আগুন জ্বলছে যেন। চড়া দামে এসব ফল কিনে খাওয়া অনেকের কাছে এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমনকি মধ্যবিত্তদেরও এগুলো কিনে খেতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে। তাই সামর্থ্যরে মধ্যে রসালো ফলের খোঁজে সবার নজর এখন জ্যৈষ্ঠের ফলের দিকে।

কারওয়ানবাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি ফলের সরবরাহ গত দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর থেকে আম আসছে। রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় আকারের লিচুর চালানও শিগগির বাড়বে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. আসফাক আলী ও সুরুজ মিয়া জানান, দিন যত এগোবে আমের সরবরাহ বাড়বে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় লিচুর সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কিছুটা কমে আসবে। অন্যদিকে গাজীপুর ও সাভারের পাকা কাঁঠাল রাজধানীর বাজারে পুরোপুরি উঠতে আর সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। জাম, লটকন, বেতফল, আতাফলসহ অন্যান্য দেশি ফলগুলোর সরবরাহ সন্তোষজনক রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ১০০-১৫০ টাকা, ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। কালোজামের কেজি ৪০০-৬০০ টাকা, আনারসের পিস ৩০-৫০ টাকা, তাল ৩০-৪০ টাকা, আর ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা।

তবে বাজারে এখনও সুলভ দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, ও মৌসুম শেষে থাকা তরমুজ। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশি ফলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই বাজারে ফিরবে স্বস্তি- এই প্রত্যাশাই এখন সাধারণ ক্রেতাদের।


আরও খবর