Logo
শিরোনাম

ফুলবাড়ি সিমান্তে ১৪টি স্বর্নের বার সহ-এক চোরাচালানকারী আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ১৪টি স্বর্নের বার সহ-এক পাচারকারী যুবককে কে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবির) টহল দল।

বর্ডার গার্ড বিজিবি ও সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ১২(মে) দুপুরের দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ধর্মপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলিয়ার নং ৯৪৩ এর পাশ থেকে কাশিপুর ক্যাম্পের টহলরত বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১৪টি স্বর্ণের বাস সহ এক পাছারকারী যুবককে হাতেনাতে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে।

আটক পাচারকারী যুবক হলেন কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২)

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আখন্দ ১৪টি স্বর্ণের বার সহ এক পাচারকারী যুবকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



আরও খবর



আর্জেন্টাইন তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে ত্রিমুখী শিরোপা লড়াইয়ে মেতে আছে লিভারপুল-আর্সেনাল-ম্যানচেস্টার সিটি। শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে গতকাল শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে গতকাল মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। এ ম্যাচে কনর ব্র্যাডলির আত্মঘাতী গোলে ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায় ছিল অল রেডরা। তবে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন তারকার গোলেই জয়ের পথ রচনা করে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

অ্যানফিল্ডে শেফিল্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এদিন শুরুতেই লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডারউইন নুনিয়েজ। এরপর প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি অল রেডরা। এদিকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৫৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়ান ব্র্যাডলি।

আত্মঘাতী গোলে শেফিল্ড সমতায় ফেরার পর ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা জেগেছিল ক্লপের দলে। তবে এমন সময়ে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সাবেক লিভারপুল কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ডকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গটির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিড নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের শেষ কিনিটে আরও এক গোল করেন কোডী গ্যাকপো। এই গলেই ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা, সেই সঙ্গে শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে ক্লপের দল।

এদিকে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত গোল করা ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিয়ে ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন অল রেডদের কোচ ক্লপ। তিনি বলেন, তার রক্ষণাত্মক কাজও সত্যিই ভাল ছিল যেখানে লোকেরা সন্দেহ করেছিল যে সে রক্ষণাত্মক হতে পারে কিনা, তবে আমি তাকে আটে (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার) পছন্দ করি।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত কিছু গোল করেছেন জানিয়ে ক্লপ আরও বলেন, সে সত্যিই একজন ভাল খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে সে ছয়ে খেলছিল, কিন্তু আমরা জানতাম যে আমরা তাকে কিছুটা উপরে নিয়ে যেতে পারব। তারপর সে এই ধরনের গোল করে, মৌসুমের সবচেয়ে বড় দুটি স্ক্রিমার ওর কাছ থেকে এসেছে। তারপর ফ্রি কিক থেকে সরাসরি (গোল) - একেবারে পাগলাটে, কি দারুণ একজন খেলোয়াড়।


আরও খবর



ভুলভাবে রাঁধা ভাতে হতে পারে ক্যান্সার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষেরই প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু এই ভাতও ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের বিপদ। রান্নার পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। তেমনই বলছে হালের গবেষণা।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক সারা পৃথিবীর নানা প্রান্তের চালের নমুনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা গেছে, মোটামুটি বেশির ভাগ জায়গার চালেই নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আর্সেনিক জাতীয় এই কীটনাশক শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই রাসায়নিক শরীরে গেলে কী হতে পারে?

গবেষকরা দেখিয়েছেন, আর্সেনিক জাতীয় এই রাসায়নিক শরীরে গেলে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে খুব অল্প পরিমাণে গেলে, তা সহজে টের পাওয়া যায় না। বহু দিন পরে তার প্রভাব বোঝা যায়। টানা বহু বছর ভাতের মাধ্যমে এই রাসায়নিক শরীরে গেলে তা ক্যান্সারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।

কী পদ্ধতিতে রান্না করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?

দেখা গেছে, রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে আর্সেনিক আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে। বেশিরভাগ জায়গাতেই রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু গবেষকদের বক্তব্য, অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে চাল। তার কমে লাভ হবে না। ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আর্সেনিক চাল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারজাতীয় অসুখের আশঙ্কা কমবে।

 


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় এক নারী এনজিও কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় এক নারী এনজিও কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ২১ শে মার্চ দিনগত সন্ধারাতে নওগাঁ শহরের রজাকপুর মধ্যপাড়া এলাকার জৈনক লিয়াকত আলীর বাসা সাবিনা ইয়াসমিন (৩৯) নামে নারী এনজিও কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ। সাবিনা ইয়াসমিন (সম্পতি গ্রাহকদের রাখা আমানতের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়া) সুরমা মাল্টিপারপাস কো- অপারটিভ সোসাইটি লিঃ নামে এনজিও এর নওগাঁ জেলা প্রধান কার্যালয় এর সহকারী হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। নিহত সাবিনা ইয়াসমিন নওগাঁর মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়ন এর চকবালু এলাকার মৃত সৈয়দ পিয়াদার এর মেয়ে ও একই উপজেলার জোঁত-বাজার নুরুল্যাবাদ এলাকার প্রবাসী জৈনক হেলাল উদ্দীন এর স্ত্রী এমন পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহতের দুলাভাই হোসেন আলী। স্থানিয় সুত্র জানায়, সুরমা মাল্টিপারপাস কো- অপারটিভ সোসাইটি লিঃ নামে একটি এনজিও বেশ কিছুদিন আগে গ্রাহকদের রাখা আমানতের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এরপর থেকে ঐ এনজিও এর সকল শাখার কার্যক্রম হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। যে-সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সুরমা মাল্টিপারপাস কো- অপারটিভ সোসাইটি লিঃ নামক এনজিও টিতে কর্মরত ছিলেন তারা পড়ে যায় বিপদে। নিহত সাবিনাও চাকুরী করার সুবাদে এলাকার পরিচিত জনদের কাছ থেকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখে এই এনজিওতে। হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেও বিপদে পড়ে। আমানতকারীর চাপ সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। বাড়ির মালিক লিয়াকত আলী বলেন, সাবিনা গত বছর এর মার্চ মাসে তার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসায় ওঠেন। তার স্বামী দেশের বাহিরে থাকেন এবং তার কর্মরত অফিস সংলগ্ন বাসা হওয়ার কারনে সে দু' তালার একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে একা বসবাস থাকতেন।

এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আঃ গফুর জানান, স্থানিয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারন জানাযাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে তারপর মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ পক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় কোন ভাবেই থামছে না কৃষি জমির মাটি লোপাট করা। কতিপয় মাটি কারবারিবার তাদের কৌশল পাল্টিয়ে রাত নামতেই শুরু হচ্ছে মাটি কাটার মহোৎসব। একটি মেশিনের স্থানে একাধিক মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে সরকারি খাস জমির মাটি। এতে করে কৃষি জমি হারানোর পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পাকা সড়ক। পরিবেশ ও মানুষের জন্য হুমকি বন্ধ করতে দ্রুত প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দিনে ও রাতে গিয়ে দেখা যায়, মিরাট ইউনিয়নের ২নং সুইস গেট সংলগ্ন স্থানে আতাইকুলা মৌজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ সংলগ্ন স্থানে সরকারি খাস জমির সঙ্গে ব্যক্তি কিছু মালিকানা জমি বছরে ১৬ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে বন্ধক নিয়ে খনন করা হচ্ছে পুকুর। সম্প্রতি এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটি বহনের কারণে দু' জন ট্রাক্টর চালককে কারাদন্ড প্রদান করেন। এরপর সংবাদ পাওয়ার পর ঐ স্থানে গিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের লোকজন সরকারি খাস জমির একটি সাইনবোর্ড দিয়ে আসে এবং সরকারি জমি পরিমাপ করে লাল ফিতা দিয়ে চিহ্নিত করে আসেন। এর কয়েক দিন পরে উপজেলার কুজাইল এলাকার সর্বরামপুর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ম্যানেজের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে কৌশল পাল্টিয়ে রাতে মাটি কাটাছে। এরপর বিষয়টি প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় দেদারছে রাতে সরকারি খাস জমি সহ কৃষি জমি গর্ত করে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে আর বড় বড় ড্রাম ট্র্যাকের চাঁকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও প্রধান প্রধান পাঁকা সড়কগুলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতরা জানান, রাতে মাটি কাটার জন্য উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়। তা না হলে রাতে খবর পেয়ে পুলিশের লোকেরা দফায় দফায় ভেকু মেশিনের চাবি কেড়ে নিয়ে যায়। পরে সন্ধির মাধ্যমে চাবি ফিরিয়ে দেয়। এতো ঝাক্কি-ঝামেলা থেকে মুক্ত হতেই স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে উপজেলা ভুমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, ঐ স্থানে হয়তো কিছু খাস জমি আছে। তবে জমির মালিকরা আমার সঙ্গে চুক্তি করে মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি মাটির বিনিময়ে তাদের জমি খনন করে দিচ্ছি। অনুমতির বিষয়ে জমির মালিকগুলো জানেন তিনি কিছু জানেন না। দিনের বেলায় সাটি কাটলে প্রশাসন হানা দেয় তাই তিনি রাতে মাটি কাটছেন। 

মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, ওই জমি থেকে মাটি কাটা নিয়ে মামলা চলমান ছিল। এরপর আমার আর কিছু জানা নেই। তবে মাটি খেকোরা নিশ্চয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই হয়তো বা রাতে মাটি কাটছে। থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, পুলিশ শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করে। কোথায় কে মাটি কাটছে সেই বিষয়টি দেখবে উপজেলা প্রশাসন কিংবা ভূমি অফিস। যারা পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম জানান, বিষয়টি তিনি জানার পর স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে মাটি কাটা ব্যক্তিকে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপরও যদি সে মাটি কাটা বন্ধ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



সবজির কমলেও মাছ মাংসের দাম বাড়তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মাছ, মাংস, খেজুর এবং বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল গত শুক্রবার। এরপর এক সপ্তাহ পেরোলেও নতুন এ দাম বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে গতকাল দেখা গেছে, সবজি, ডিমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও বেড়েছে আলুসহ কয়েকটি পণ্যের। আবার মাছ ও মাংস বিক্রি হয়েছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০-২৫ শতাংশ বেশিতে।

বাজারে গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস গড়ে ৭৫০-৭৮০ টাকায়, খাসির মাংস প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি চাষের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায় ও কাতলা আকারভেদে ৩০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও গত শুক্রবার এসব পণ্যের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটির হিসাবে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ধরা হয় ১৪৬ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয় কেজিপ্রতি ১৭৫ টাকা।

 এছাড়া খুচরায় প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা, ছাগলের মাংসের (খাসি) কেজি ১ হাজার ৩ ও সোনালি মুরগির মূল্য ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি কেজি চাষের পাঙাশের উৎপাদন খরচ ধরা হয় ১১৫ টাকা। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে পাঙাশের যৌক্তিক মূল্য ১৮১ টাকা এবং কাতলা মাছের যৌক্তিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বাজারে মাছ ও মাংস নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০-২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

রাজধানীর শাহজাদপুরের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‌মুরগির মাংসের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কিন্তু এর চেয়ে কমবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ খামারিরা বলছেন তাদের উৎপাদন খরচ বেশি। আমরা কম দামে আনতে পারলে কম দামে বিক্রি করতে পারব।

এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৭০ টাকা, টমেটো ৫০, শিম ৫০-৬০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ ও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৩৮০-৪৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ ও দেশী রসুন ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০-৭০, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা ও দেশী রসুন ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি কেজি কাঁচা ও শুকনা মরিচের সর্বোচ্চ দাম যথাক্রমে ৬০ টাকা ও ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। অন্যদিকে সবজির মধ্যে খুচরা পর্যায়ে বাঁধাকপি প্রতি কেজি ২৮ টাকা, ফুলকপি ৩০, বেগুন ৪৮, শিম ৫০, টমেটো ৪০ ও মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে বেশি। তার তুলনায় চাহিদা কমেছে। এ কারণে দামও কম। বেশকিছু সবজির দাম অর্ধেকে নামলেও সবজি পুরোপুরি বিক্রি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘‌পেঁয়াজের দাম এখন কমতির দিকে। গত এক সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা কমেছে। কৃষকরা পেঁয়াজ তুলে ফেলছেন। অনেকে আমদানির খবর শুনে পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন। এ কারণে সরবরাহ বেশি। দামও অনেকটা কমেছে।

আলুর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যদিও সরকার নির্ধারিত মূল্য সাড়ে ২৮ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। আমদানীকৃত আদার দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাস্তবায়নকারী বা তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

এ বিষয়ে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় নেই। অতীতেও বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে পরবর্তী সময়ে আর বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। এবারো আমরা তা দেখছি না। প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে। তা না হলে এসব মূল্য নির্ধারণ করে সুফল আসবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংস্থা একযোগে সমন্বিতভাবে কাজ করলে নির্ধারিত মূল্য দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা আইনের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে দিতে পারি। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সিরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অংশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। এ মূল্য বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে।


আরও খবর