Logo
শিরোনাম

ফুলবাড়িতে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ অ্যাম্বুলেন্স জব্দ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ফুলবাড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ একটি এম্বুলেন্স জব্দ করেছে পুলিশ।

জানাযায,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ এর নেতৃত্বে, থানা পুলিশের মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম ০৬(নভেম্বর) শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা সদরের চন্দ্রখানা ব্রাক মোড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সের গতিবিধি সন্ধেহ হলে পুলিশ থামানোর সংকেত দেয় এসময় ড্রাইভার তোয়াক্কা না করে দ্রুত ফুলবাড়ী বাজারে দিকে গাড়ি টান দিলে পিছনে পিছনে পুলিশের গাড়িও ধাওয়া করে ধাওয়া খেয়ে উপজেলা গেটের কাছাকাছি এসে রাস্তার উপর গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এম্বুলেন্সটি তল্লাশি করে সিটের উপরে চাদর দিয়ে মোড়ানো লাশের মতো করে রাখা ১৮কেজি গাঁজা ও ২৫০বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এসময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করে।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অজ্ঞাত এম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


আরও খবর



নওগাঁয় এক গৃহ-বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়ন এর তেজপাইন গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র সরকার (৩৩) এর স্ত্রী শিউলি রানী সরকার (২৭)।

স্থানিয় ইউপি সদস্য বিপুল কুমার সহ প্রতিবেশিরা জানান, পরিতোষ চন্দ্র সরকার ও শিউলি রানী সরকার দম্পতির ৭ বছর বয়সি এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তারা আরো জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর বিকেলে তেজপাইন গ্রামে নিজ শয়ন ঘরের ভেতর গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ শিউলি রানী সরকার কে দেখতে পেয়ে স্বজনরা হৈ চৈ করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং বেঁচে আছেন ভেবে স্বজন ও প্রতিবেশিরা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই জিয়াউর রহমান প্রতিবেদক কে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ টি উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। স্বজন ও স্থানিয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে মান-অভিমান থেকে গলায় ফাঁসদিয়ে আত্নহত্যা করেছেন, তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানাযাবে। এঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। 


আরও খবর



আ.লীগের প্রার্থী হচ্ছেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এখন দেশের অনেক তারকাই নাম লেখাচ্ছেন নির্বাচনে। পর্দার পাশাপাশি রাজনীতির মাঠও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারকারা। সামনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সম্প্রতি নিরবাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আসন্ন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বহু তারকার নাম উঠে এসেছে। চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়ক আলমগীর, অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের পাশাপাশি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসেরও শোনা যায়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা।

জানা গেছে, এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেও, তাকে আর প্রার্থী হতে দেখা যায়নি। তবে এবার নাকি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই ঢালিউড কুইন।

এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, নারীদের কাছে আলাদা একটি জায়গা রয়েছে আমার। বিশেষ করে ব্যক্তিত্ব, সন্তানের মা এবং একজন নারী হিসেবে। তাই প্রার্থী হওয়ার সেই সুযোগ যদি আমাকে করে দেয়, তাহলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করব।

চিত্রনায়িকা আরও বলেন, এবার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমার কাছে মনে হয় নারীদের তুলে ধরতে একজন নারীই প্রয়োজন। যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সবসময় নারী নেতৃত্বকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন।

অপু বিশ্বাস বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র হচ্ছে কর্মজীবী মানুষদের ঘিরে। কিন্তু সেখানে অস্থিরতা বিরাজ করলে আমাদের কাজের জায়গা একেবারেই সংকুচিত হয়ে যায়।

তাই আমি মনে-প্রাণে চাইব আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসুক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমাদের যে উন্নয়ন করেছে, এটার বিকল্প আর কিছু নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনি আসলেই মা। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসুক, এই কামনাই আমার থাকবে। কিছু দিন পরই তো জাতীয় নির্বাচন। এ জন্য অপেক্ষা করছি।

অনেক আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অপু বিশ্বাস। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচার অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন তিনি।


আরও খবর

সৈকতে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মিম !

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শিক্ষা সমাপনী উৎসব শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম ব্যাচ (সায়াহ্ন ১৬) এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা সমাপনী উৎসব আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ব্যাচই তাদের শিক্ষাজীবন শেষে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ তম ব্যাচও তিন দিনব্যাপী র‌্যাগ উৎসবের আয়োজন করছে।

‘শূণ্য থেকে শুরু এই অঙ্গনে, সকল গোধূলি মিশুক এই সায়াহ্নে’ এই স্লোগানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের (সায়াহ্ন'১৬) কেন্দ্রীয় শিক্ষা সমাপনী উৎসব উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সায়াহ্ন ১৬ এর আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান আহম্মেদ শান্ত। এ অনুষ্ঠানের প্রথমদিন সোমবার একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  প্রফেসর ড. মো: ফরহাদ হোসেন। এরপর শুরু হবে কেক কাটা, আনন্দর‍্যালি ও রঙ উৎসবের। আজ (সোমবার) বিকেল ৫ ঘটিকায় ক্যাম্পাসে ফটোসেশন, ফানুস উড়ানো ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে। আজ রাত ৮ ঘটিকায় সমাপনী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গ্র্যান্ড ডিনার ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করবে বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ২য় দিনের প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করবে সায়াহ্ন ১৬ ব্যাচটি। ওইদিন বিকেল ৫ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে আনপ্লাগড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে। শিক্ষা সমাপনী উৎসবের শেষদিন (বুধবার), বিকাল ৫ টা থেকে মুক্তমঞ্চ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যান্ড এমবিএমসি ও ঢাকা থেকে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীন অংশগ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন সায়াহ্ন ১৬ এর আহবায়ক রায়হান আহম্মেদ শান্ত।


আরও খবর



আইকনিক রেলস্টেশনের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শেষে শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেন। এরপরই মঞ্চে উঠে বসেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর রামু থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছে সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মহেশখালীর মাতারবাড়ি। নির্মাণাধীন ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটসহ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

সেখানে এ উপলক্ষ্যে জনসভারও আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীনরা। স্থানীয়দের তাই বহুমাত্রিক উচ্ছ্বাস দিনটিকে ঘিরে। রেলসেবা সম্প্রসারণ, বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ একগুচ্ছ কৌশলগত প্রকল্পের উদ্বোধনে পাল্টে যাবে পুরো এলাকার প্রতিচ্ছবি। প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

যা আছে আইকনিক রেলস্টেশনে : কক্সবাজার সৈকতের কাছে ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয়তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন। ২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

নতুন এই রেলস্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।

চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ; ছাদের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা ব্যবহার করতে হবে না বাড়তি আলো। আর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। একই সঙ্গে সুবিশাল চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। যার জন্য প্রস্তুত চারটি চলন্ত সিঁড়ি। স্টেশনের ভেতরেই রয়েছে সাতটি টিকিট কাউন্টার। আর চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এসি বার্থ শ্রেণির জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৬ টাকা। শোভন চেয়ারের জন্য ২০৫ টাকা, এসি চেয়ারের জন্য ৩৮৬ টাকা এবং এসি সিটের জন্য ৪৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লোকাল ট্রেনের জন্য (দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির আসন) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা। মেইল ট্রেনের জন্য ৭০ টাকা। এ ছাড়া কমিউটার ট্রেনে করে গেলে দিতে হবে ৮৫ টাকা।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫৫১ কিলোমিটার। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন-এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫১৫ ও এসি সিটে ৯৮৪ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১৩২ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ৩৬৩ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২ হাজার ৩৬ টাকা। কিন্তু এখনই এ পথের ভাড়া চূড়ান্ত করেনি রেলওয়ে।

১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট ও ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। আর লেভেল ক্রসিং করা হয়েছে ৯৬টি।

উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।

এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ঐতিহাসিক ১১ নং সেক্টরের ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

আজ ৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের কামালপুর রণাঙ্গন। পাক হানাদার বাহিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসর্মপণ করে। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সূচিত হয় জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল তথা ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ। 

জানা যায়,১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গন। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে । ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধীনে থাকা ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর রাজধানী ঢাকা দখলের সহজ ও একমাত্র পথ ছিল এটি। কামালপুর দখল হলেই ঢাকা দখল সহজ হয়ে যাবে এ কারনে পাক হানাদার বাহিনি ধানুয়া কামালপুরে শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলে ছিলো। পাকসেনাদের এই শক্তিশালী ঘাটির পতন ঘটানোর লক্ষ্যে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃতে ১২ জুন থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হানাদার পাকসেনাদের দফায় দফায় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। সব চেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয় ৩১ জুলাই রাতে। সম্মুখ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ ১৯৪ জন মুক্তিযুদ্ধা শহীদ ও শত্রু পক্ষের একজন মেজরসহ ৪শ ৯৭ জন নিহত হয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একটি মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হন এবং ১টি পা হারান। ৩ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনি হানাদার বাহিনির কামালপুর বিওপিতে আঘাত হানে। মাত্রাতিরিক্ত আর্টিলারি গোলা বর্ষণ করেও তেমন কোন ক্ষতি করা সম্ভব হয়নি। এর পর বিমান হামলার মাধ্যমে পাকিস্থান সেনা বাহিনির বিওপি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। শুরু হয় বিমান আক্রমণ। প্রতিটি মিশনের পর মেজর জেনারেল গিল পাক বিওপি কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান কে আত্বসর্মপণ করার জন্য একটি করে চিঠি পাঠান। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও ৪ ডিসেম্বর শত্রু সেনা বিওপিতে প্রথম চিঠি নিয়ে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর আহমদ বীর প্রতীক। চিঠিতে লেখা ছিল তোমাদের চারদিকে যৌথবাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। বাচঁতে চাইলে আত্মসর্মপণ কর, তা না হলে মৃত্যু অবধারিত। এই চিঠি পেয়ে অগ্নিমূর্তি ধারন করে পাকসেনা কমান্ডার আহসান মালিক। বশিরের ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় আরেকটি চিঠি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জুকে পাঠানো হয় পাকসেনা ক্যাম্পে। চিঠির জবাব না পাওয়ায় শুরু হয় চুড়ান্ত বিমান হামলা। অবস্থা বেগতিক দেখে অস্ত্রসহ পাক বাহিনির কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জনের একটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্বসমর্পন করতে বাধ্য হয়। হানাদার মুক্ত হয় কামালপুর রণাঙ্গণ। মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কামালপুর মাঠে। এরপর থেকেই ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর