Logo
শিরোনাম

ফুলছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের গণ-সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


ভারতে বিজেপি বিধায়ক কর্তৃক ইসলাম ও মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তির প্রতিবাদ, ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ফুলছড়িতে গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফুলছড়ি উপজেলা শাখার আয়োজনে গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ রবিবার বিকেলে থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 


মোঃ সায়েম সেক্রেটারি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার, সঞ্চালনায়:

হাফেজ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এম.এ (কামিল): সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ফুলছড়ি থানা শাখার সভাপতিত্বে :সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ সভাপতি,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে গাইবান্ধা জেলা শাখা, সমাবেশে প্রধান মেহমান:হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি আল আমিন বিন হুসাইন সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখা। 


সমাবেশে প্রধান বক্তা: হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ

সভাপতি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, গাইবান্ধা জেলা শাখা। 


উক্ত গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন:

হাফেজ মাওলানা শাহিন সরকার সভাপতি , ইসলামী যুব আন্দোলন

ফুলছড়ি উপজেলা শাখা, মেঃ হারুন-অর-রশিদ সেক্রেটারি  ইসলামী যুব আন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,হাফেজ বেলাল হোসাইন সভাপতি,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ফুলছড়ি  উপজেলা শাখা,

মো:মাহফুজ সরকার রাকিব সাধরণ-সম্পাদক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসাইন সভাপতি, মুজাহিদ কমিটি ফুলছড়ি উপজেলা শখা,হাফেজ মোঃ আবদুর রাজ্জাক সাধারণ-সম্পাদক মুজাহিদ কমিটি ফুলছড়ি উপজেলা শাখা।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের ফুলছড়ি উপজেলার সাত ইউনিয়নের সভাপতি সেক্রেটার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


উক্ত গণ-সমাবেশে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে ইসলামিক আন্দোলনের বক্তারা বলেন আপনারা দলে দলে যোগদান করে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন মুক্তির মূলমন্ত্র ইসলামী শাসনতন্ত্র, নেতা নয় নীতি চাই-পীর সাহেব চরমোনাই। সব মার্কা দেখা শেষ, হাত পাখার বাংলাদেশ। যোগ্য নেতা পাইছি ভাই-পীর সাহেব চরমোনাই। গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান (বিএসসি) সেক্রেটারী ইসলামী অন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা গাইবান্ধা।


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিল জামায়াত

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক মতবিনিময় সভায় তিনি কথা জানান। 

জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিহতদের পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। প্রতিশোধ নয় জামায়াতে ইসলামী সকল জুলুমের বিচার প্রচলিত আইনের মাধ্যমে চায়।

চীন মৈত্রী সম্মেলর কেন্দ্রে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বছরের আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ রোববার মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। 


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




শব্দ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এক কোটি মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

সারাদেশে বাড়ছে শব্দ দূষণ। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণে ভুক্তভোগী রাজধানীবাসী। গভীর রাতেও উচ্চ শব্দের আওয়াজ শোনা যায়। এতে  বিঘ্ন ঘটে ঘুমের। রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষই শব্দ দূষণের শিকার। ঢাকা শহর হলো- বিশ্বের সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ শহরের একটি। যেখানে গড় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল-এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবির্ভাব নাহা।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক চিকিৎসক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে প্রায় এক কোটি মানুষ শব্দ দূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে। অন্য এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রায় ৯১ শতাংশ মানুষ তাদের আশেপাশে শব্দ দূষণের সমস্যা অনুভব করেন। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে

অপ্রয়োজনীয় শব্দ মানুষের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে বিরক্তি ঘটানো এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করাই হচ্ছে- শব্দ দূষণ। যানজট, গাড়ির হর্ন, কলকারখানা, রাজনৈতিক সমাবেশ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে তীব্র শব্দ উৎপত্তি হয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় নিরাপদ শব্দসীমা ৫৫ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক ও যানজটপ্রবণ এলাকায় এই মাত্রা ৭০ ডেসিবেল। তবে বাস্তবতা হলো- হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এলাকাতেও শব্দের দূষণে টিকে থাকা দায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, শব্দ ৭৫ ডেসিবেল অতিক্রম করলে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। ১২০ ডেসিবলের উপরে বেদনাদায়ক হয়। দেশের শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুসারে, রাজধানীর মিশ্র (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) এলাকায় দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ৬০ ডেসিবল

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে বিশৃ্খলার কারণেই শব্দ দূষণ বেশি হচ্ছে। একই সড়কে চলছে বাস, জিপ, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা

ঢাকা শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে যেসব পুলিশ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন- এমন কয়েজন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, উচ্চ শব্দের কারণে তারা নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝঁকিতে পড়ছেন। প্রতিনিয়ত অতি মাত্রার শব্দের মধ্যে থাকায় তাদরে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

রমনা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট রাকিব বলেন, শব্দ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো আছেই। কানে সমস্যা হচ্ছে, হার্ডে সমস্যা হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ৪০ ঊর্ধ্ব অনেকেই কিডনি, ডায়াবেটিস, কানে কম শোনা রোগে ভুগেন। 

মগবাজার-বাংলামোটর, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট এলাকায় শব্দ দূষণ বেশি হয় কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজধানীর এইসব স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ওপরে ফ্লাইওভার। এখানে রিকশা, মোটর সাইকেলের প্রচুর গেদারিং। ফলে শব্দ প্রচুর ব্রাইভেশন হয়। যা অসহনীয় ও বিরক্তিকর

ট্রাফিক পুলিশেল সার্জেন্ট ওয়াদুজ্জামান বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা। দেখেন, গুরুত্বর্পণ কিছু কিছু সড়কে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরগাড়ি একই সঙ্গে চলে। ফলে বাস, সিএনজি, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ির চলাচলে গতি কমে যায়। তখনই চালক অযাচিত হর্ন দেয়। আমি মনে করি, চালকদের সচেতন হওয়া জরুরি।

বেপরোয়া হর্ন ব্যবহারের কারণ হিসেবে অসচেতনতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবকে দেখছেন চালক ও সাধারণ মানুষ। চালকদের মতে, হর্ন বাজালেও পথচারীরা শুনতে পায় না। তারা ইচ্ছা মতো রাস্তায় চলাচল করে। রিকশা ও বাইকচালকরাও সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী। তখন বাধ্য হয়ে হয়েই চালকরা হর্ন দেয়। শিগগিরই সড়কের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হবে

বেসরকারি চাকরিজীবী রণধীর বড়ুয়া নিয়মিত গাড়ি চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন। তিনি বলেন, যত্রতত্র হর্ন বাজার একটাই কারণ, আইনের প্রয়োগ নেই। রাতের বেলা আমি হর্ন দিই না। ইনডিকটর ব্যবহার করি। হর্ন রাস্তার বাঁকে ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। বিআরটির আইনেই আছে। আইনের সঠিক ব্যবহার থাকলে- এমনটা হতো না। 

চিকিৎসকরা বলেছেন, শব্দ দূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, টিন্নিটাস, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। এছাড়াও, অন্যান্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি হতে পারে। শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে- স্ট্রেস সম্পর্কিত অসুস্থতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত এবং উৎদনশীলতা হারাতে পারে।

প্রতিদিন কী পরিমাণ রোগী এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন- এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক-কান ও গলা বিভাগের  ডা: মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিদিষ্ট ভাবে কোন তথ্য উপাত্ত পাই নি। তবে দেশে শব্দ দূষণ থেকে উদ্ভূত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। 

চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, যাঁরা অতিরিক্ত শব্দ এলাকার মধ্যে বসবাস করেন, তাঁদের কানের নার্ভ ও রিসেপ্টর সেলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষ ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি হারাতে থাকে। মানুষ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবল শব্দে কথা বলে। ৭০ ডেসিবল পর্যন্ত মানুষের কান গ্রহণ করতে পারে। ৮০-এর ওপরে গেলেই ক্ষতি শুরু হয়। প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোনো ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে, তাহলে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। ১২০ ডেসিবল শব্দ সঙ্গে সঙ্গে কান নষ্ট করে দিতে পারে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবির্ভাব নাহা বলেন, উচ্চ শব্দের এক্সপোজার টিনিটাসের কারণ হতে পারে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো, মেজাজ খিটখিটে করা এবং জীবনের মানকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। শব্দ এক্সপোজারের কারণে মনোযোগ হ্রাস পেতে পারে। যা পেশাগত দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে। 

তিনি আরও জানিয়েছেন, শব্দ দূষণের কারণে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মধ্যে বিরক্তি আসে। যার কারণে মাথা ব্যথা হয়। যা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে দিন দিন মানুষের অসুস্থতা বাড়ছে


আরও খবর



নিরব ভূমিকায় স্থানীয় পৌর প্রশাসক ও নাভারণ হাইওয়ে থানা

ঝিকরগাছায় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে মহাসড়ক ও ফুটপাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় প্রভাবশালীদের দখলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ও ফুটপাত। পৌর সদেরর বাজার সংলগ্ন এই মহাসড়কের ওপর ও সড়কের দু'পাশ গড়ে উঠেছে অবৈধ কিছু স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট ও পাহাড় সমান উঁচু মালামাল নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ গাড়ি। রাস্তায় চলার কোনো অনুমতির নেই। প্রশিক্ষণবিহীন চালকদের অসাবধানতায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অভিভাবক হারিয়ে পথে বসছে একেকটি পরিবার। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটির ফুটপাত দখলে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাতে। এ বিষয়ে আইনগত ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও নিরব ভূমিকায় স্থানীয় পৌর প্রশাসন ও নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর লোক দেখানো এক-দুইদিন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে পৌর সদরের এই বাজারের কথা কর্তৃপক্ষের মনে থাকে না। কিন্তু স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদ না করায় কোন লাভ হচ্ছে না। তবে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশি কয়েকবার উচ্ছেদ করার কথা বলা হলেও পরিশেষে সেটা সফল করা হয়। ক্রমাগতই সাধারণ মানুষের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে থানা পুলিশের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝিকরগাছা পৌর সদরের কৃর্তিপুর থেকে শুরু করে হাজেরালী বালিখোলা পর্যন্ত যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে উপর ওয়ান্ডিংওয়ার্কশপ, গাড়ী ধৌত করার স্থান, ফার্ণিচারের মালামাল, স’মিলের বড় বড় কাঠ, ঢেউ টিনের দোকানের টিন, হোটেল-রেস্তরা-ফাস্ট ফুড, বিভিন্ন ফলের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান, চা-পানের দোকান, জুতা-কাপড়ের দোকান সহ প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করেছে। এছাড়াও আরও বড় সমস্যা হল যশোর-বেনাপোলের ভাড়া চালিত বাস মহাসড়কের মাঝে রেখে যানজট সৃষ্টি ও মহাসড়কের উপর অবৈধ যানবহন বা থ্রি-হুইলার সংক্রান্ত গাড়ির স্ট্যান্ড। আর দু'পাশে দোকানপাট ও থ্রি-হুইলার সংক্রান্ত গাড়ির স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক ও মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে সংশ্লিষ্টরা অবৈধভাবে টোল আদায় করছে। ব্যস্থতম এই সড়কে ক্রেতা-বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে ক্রয়-বিক্রি করছে বিভিন্ন পণ্য। গাড়ী আসলে অনেক সময় অসাবধনতাবসত তাড়াহুড়ো করে কেউ কেউ সরতেও পারেন না। যার ফলে ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। এত বিপদজনক হওয়া সত্যেও এসব দোকানের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে প্রশাসনের স্থায়ী নজরদারির অভাব রয়েছে।

নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রোকনুজ্জামান বলেন, আমি তো নতুন এসেছি। আমার একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব হবে না। আমি উপজেলা প্রশাসন ও আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি), এক্সক্লুসিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভার প্রশাসক নাভিদ সারওয়ার বলেন, আমি নুতন এসেছি। আমি আগে সেটাফ হয়েনি। তারপর এগুলোর বিষয়ের উপর বক্তব্য দেবো।


আরও খবর



বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিম তালিকায় ড. ইউনূস

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় শুরুর দিকেই রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম।

সম্প্রতি ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা আম্মানের দ্যা রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার প্রকাশ করে

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনা করে প্রকাশিত হয় দ্য মুসলিম ৫০০: দ্য ওয়ার্ল্ডস ৫০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস, যা ১৬ বছর আগে থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম ৫০ নম্বরে স্থান পেয়েছে

প্রতিবছর প্রকাশিত এই তালিকায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয়। এই ক্যাটাগরিগুলো হলো: ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেসব মুসলিম ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে অন্যতম মুখ

২০২৫ সালের প্রকাশিত তালিকার নারী বিভাগের Woman of the Year হয়েছেন জর্ডানের রানী রানিয়া আল-আবদুল্লাহ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করছেন

এই তালিকায় আরও অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যেমন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষস্থানীয় মুসলিম ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




সকালের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


বিডি টু ডে স ডেস্কঃ

সকালের মধ্যে দেশের ২ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই সঙ্গে এসব জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। 


বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।




আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেটের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


এদিকে আগামী দু‘দিন দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই সঙ্গে আগামী তিন দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আরও খবর