Logo
শিরোনাম

গাজার হাসপাতালে শুধুই লাশের গন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে ইসরাইলের আগ্রাসন। শোচনীয় পরিস্থিতিতে ভুগছে পুরো গাজা। চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মরদেহ। দাফনের জায়গা নেই। কুকুরের খাবার হয়ে উঠেছে লাশগুলো। বাধ্য হয়ে আল-শিফা হাসপাতালে শিশুসহ ১৭৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালটির পরিচালক আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনালকে এ খবর জানিয়েছেন। গত শনিবার জ্বালানি সরবরাহ শেষ হয়ে গেলে এই হাসপাতালেই ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটেছিল।

হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ জাকাউত জানিয়েছেন, আশপাশে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান করায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে গণকবরের খনন শুরু হয়। তবে কবরটি খননের জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে উপযুক্ত কোনো সরঞ্জাম না থাকায় তারা অনেক কসরত করে কবর খনন করছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুনির আল-বুর্শ সোমবার সকালে আলজাজিরাকে বলেছেন, রাস্তার কুকুররা আল-শিফা হাসপাতালের উঠোনে বেসামরিক লোকদের মৃতদেহ খাচ্ছে। কারণ বোমা হামলার মধ্যে মৃতদের কবর দেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, জায়গা অথবা সুযোগের অভাবে মৃতদের দাফন করতে না পারায়, সেগুলোতে পচন ধরছে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও জ্বালানির সংকটে পড়া হাসপাতালটি প্রায় একটি কবরস্থান হয়ে উঠেছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিশুরাও।

দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় গাজা থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিশরে পা রাখেন আল-শিফা হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জন মোহাম্মদ জাকাউত। দ্য ন্যাশনালকে তিনি জানান, মৃতদেহের দুর্গন্ধ এখন পুরো হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এই হাসপাতালে রোগীদের কোনো চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চিকিৎসক হয়েও কাউকে সাহায্য করা যাচ্ছে না। আমরা যা-ই করি না কেন, রোগীরা মারা যাচ্ছে। প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হলেও কাউকে রক্ত দেওয়াও যাচ্ছে না। এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি বসে বসে আমার রোগীদের মৃত্যু দেখতে পারি না।

চিকিৎসক জানান, আল-শিফা হাসপাতালে ইনকিউবেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আরও ৩৬ শিশুকে যেভাবে রাখা হয়েছে তা অস্বাভাবিক।

গাজার ৩৪টি হাসপাতালের মধ্যে প্রায় ২৫টিতে এখন আর কোনো পরিষেবা নেই। নেই কোনো অ্যাম্বুলেন্সও। কারণ অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তাদের ১৮টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র ৫টি।

হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে এখান থেকে পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেও অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ইসরায়েলি স্নাইপারদের গুলির ভয়ে হাসপাতালে অবস্থান করা মানুষেরা জানালার কাছেও যাচ্ছেন না।


আরও খবর



ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ফলে অনেক ব্যাংককে এখন ধার করে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই চড়ছে আন্তঃব্যাংক কলমানির সুদহার। গতকাল কলমানির সর্বোচ্চ সুদ উঠেছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কলমানির পাশাপাশি শর্ট নোটিশে অর্থ ধার নেওয়ার সুদের হারও বাড়ছে। এদিকে আন্তঃব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও নিয়মিত ধার করে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা জানান, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত সংগ্রহ না হওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি এবং সরকারকে ঋণ দেওয়ার কারণে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট বেড়েছে। ফলে আন্তঃব্যাংক কলমানি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়মিত ধার করে চলতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে।

সংকটের সময় এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে, আবার ব্যাংক থেকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য টাকা ধার নেয়। সাধারণত একদিনের জন্য এই ধার নেওয়া হয়। এই ধার দেওয়া-নেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় যে ব্যবস্থায় তা আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নিতে থাকেন গ্রাহকরা। আবার সেই সময় ব্যাংকগুলোতে নতুন আমানত আসাও কমে যায়। এতে ওই ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়, যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

 এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। কিন্তু একই সময় মানুষের আয় খুব একটা বাড়েনি। আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার যেভাবে বাড়ার কথা, সেভাবে বাড়েনি। এতে ব্যাংকগুলো প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত পাচ্ছে না। আবার আগের বিতরণ হওয়া ঋণ সময়মতো ফেরত আসছে না। এর মধ্যেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া বাড়িয়েছে সরকার। ফলে চলমান নগদ টাকার সংকট আরও বেড়েছে। আর এই সংকট সামাল দিতে আন্তঃব্যাংক কলমানির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গতকাল আন্তঃব্যাংক কলমানিতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে গড় সুদের হার উঠে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। আর ওই দিন গড় সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আন্তঃব্যাংক কলমানির সঙ্গে শর্ট নোটিশে ধারের সুদের হারও বাড়ছে।

গতকাল ৫ থেকে ১৪ দিন মেয়াদি ধারের সুদের হার ছিল ৯ থেকে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অব্যাহত ডলার বিক্রি, আমানতের প্রবাহ কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট বেড়েছে। এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে সংকোচন নীতি থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। তাই তারল্য সংকট কাটাতে ডলার বাজার ও ব্যাংকের সুশাসনের দিকে নজর দেওয়ার বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ডলার বাজারকে স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নতুন করে যাতে ব্যাংকে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে বেশি সুদেও চাহিদামতো নগদ টাকার সংস্থান করতে না পেরে গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের স্বল্পমেয়াদি ধার করেছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক। রেপো, তারল্য সহায়তা ও স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি উপকরণের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের দিন এই ধারের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বিল ও বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে সরকারকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার ডলার বিক্রির বিপরীত টাকা উঠে আসছে। এখন যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার না দেওয়া হয়, তা হলে সংকট বাড়বে। তা ছাড়া একবারে সব দিক দিয়ে সংকোচন করা যায় না। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




১৩ দিনে ঢাকায় ৬৪ গাড়িতে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে ৬৪টি গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে হাতেনাতে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে এসব নাশকতা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি।

অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) খ. মুহিদ উদ্দিন ১০ নভেম্বর রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগের সাথে যারা জড়িত ঘটনাস্থল থেকে আগুন দেওয়ার সময় তাদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে ৬৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৬৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবহনে আগুনের ঘটনায় একজন নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। গত ২৯ অক্টোবর ডেমরা পশ্চিম দেইলা এলাকায় অসীম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসের হেলপার ভেতরে ঘুমাচ্ছিল। ভোরের দিকে আগুন দেওয়ার কারণে সেই হেলপার নাঈম (২২) আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোকে কেন্দ্র করে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা হচ্ছে। যেকোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের বিষয়ে ডিএমপি ইতিবাচক, সংবেদনশীল এবং নিরাপত্তা প্রদানে বদ্ধপরিকর। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়‑ আমরা সবাই দেখেছি রাজনৈতিক কর্মসূচির মাঝখানে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত এবং অগ্রহণযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ঘটনায় যাত্রী বেশে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যায় তারা। গাড়ির পেছন দিকে আগুন দেওয়ায় সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যদি নাশকতা করে, অগ্নিসংযোগ করে, কাউকে পুড়িয়ে মারে‑ সে ক্ষেত্রে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আশা করি পরবর্তীতে যদি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে তা ধ্বংসাত্মক কোনও জায়গায় যেন না যায়। যারা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকে তাদের বলে দিতে চাই‑ তারা যেন এর পুনরাবৃত্তি না করেন। অবরোধকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ যেন কোনও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে না জাড়ায়, সতর্ক করেন ডিএমপির ওই কমিশনার।


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ধানবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অটো বাইক চালক নিহত, আহত ৩ ছাত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ধানবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অটো-বাইক চালক এর মৃত্যু হয়েছে এসময় অটো-বাইকের যাত্রী ৩ জন কলেজ ছাত্রী আহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ২টারদিকে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোডাউনপাড়া নিচ মোড় নামক স্থানে। 

নিহত অটো-বাইক চালক সিদ্দিক হোসেন (৪৪) হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আষ্টমাত্রা গ্রামের মৃত আঃ সামাদ এর ছেলে। বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

স্থানিয় সুত্র জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২ টারদিকে সাপাহার উপজেলা সদরের ওয়ালটন

মোড় থেকে মহিলা কলেজের কয়েকজন ছাত্রীকে নিয়ে অটো-বাইকটি বাকরইল এর পথে রওনা দেয়। দূর্ঘটনাস্থলে পৌছলে এসময় সামনে থেকে আসা ধান বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ২২-৪৬৭৭ এর) সাথে অটো-বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাপাহার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক অটো বাইক চালক সিদ্দিক কে মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনার পর স্থানিয়দের সহযোগীতায় ট্রাক চালক ও চালকের সহকারি হেলপাড় কে পুলিশ সাপাহার থানা হেফাজতে নেয়। সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত এব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ পক্রিয়াধীন (চলমান) রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।


আরও খবর



ডাক্তাররা ব্যবসা খুলে বসেছেন : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

চিকিৎসা সেবা বাদ দিয়ে ডাক্তাররা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ বার্তা জাতির কাছে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন আদালত। যাতে এ ধরনের ব্যবসা থেকে ভবিষ্যতে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।

ভিকটিমদের সেবার নামে সিন্ডিকেটের কবলে চিকিৎসা ব্যবস্থা বলেও মন্তব্য করেন আদালত। আদালত আরও বলেন, আগে দেখতাম পরিবারের কোনো সদস্য ডাক্তার হলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা ক্লিনিক খুলতেন। এখন ডাক্তারের পরিবার নয়, যে কেউ ক্লিনিকের ব্যবসা করছেন। তাছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালদের মাধ্যমে ক্লিনিকে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় হবিগঞ্জের দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের (ক্লিনিক) মালিক ও ডাক্তারসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন শুনানিতে ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এসময় জামিন না দিয়ে ডাক্তারসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি।


আরও খবর



নওগাঁ-২, আসনে দু'জন প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে নওগাঁ-২ 'পত্নীতলা-ধামইরহাট' আসন এর আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শহিদুজ্জামান সরকার ও একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাডঃ তোফাজ্জল হোসেন কে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। 

মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর বিকেলে দু' জনকে আলাদা পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৩০ নভেম্বর তারিখে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু'র উপস্থিতিতেই দলীয় নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করে। আর ৩ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী এ্যাডভোকেট তোফাজ্জাল হোসেনের লোকজন রঙ্গিন ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেন। তা বিভিন্ন গনমাধ্যম সহ বেশ কিছু যায়গায় উঠে আসে। যা নির্বাচনী আচরবিধিমালার ২০০৮ এর ৬ (ঘ) ও ১২ নং বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

তাই আগামী ১০ ডিসেম্বর দুপুরে অস্থায়ী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

শোকজ এর বিষয়ে জানতে, শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু'র মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ্যাডঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা মিছিল-মিটিং কিছুই করিনি। বরং অন্যরা আচরনবিধি ভঙ্গ করছেন। কেবল মাত্র নিজ আসনে একটি দলীয় অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোলাম মাওলা ঘটনার শোকজ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর