Logo
শিরোনাম

গাজায় এক দিনে নিহত ৭৭, মোট নিহত ৪২ হাজার

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরও ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছুঁইছুঁই করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিরলস হামলায় আরও অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও দুই নারী। হামলার পর অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন, কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৬৫ জনে। আর আহতের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৫৯০ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার মধ্য দিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল। এরপর থেকে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সংঘাতের ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার মানুষ।

ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। আজ হামলার বছরপূর্তি হলেও এখনো যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো প্রতিদিন শোনা গেছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও মৃত্যুর খবর। জাতিসংঘের হিসাবমতে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ চার কোটি ২০ লাখ টনেরও বেশি হবে। এসব ধ্বংসস্তূপ ২০০৮ থেকে গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে সঞ্চিত আবর্জনার ১৪ গুণ এবং ২০১৬-১৭ সালে ইরাকের মসুলে হওয়া যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের পাঁচ গুণের বেশি।

এক বছর ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১১ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখার উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নখ আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে একটি, যা আমাদের ব্যক্তিত্বেরও অংশ হয়ে ওঠে। সুন্দর এবং মজবুত নখ আমাদের স্বাস্থ্য এবং যত্নের পরিচায়ক। যদিও বাজারে নখের যত্নের জন্য নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, প্রাকৃতিক উপায়ে নখকে মজবুত এবং আকর্ষণীয় রাখা আরও স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকর হতে পারে। এই ফিচারে, নখের যত্নের প্রাকৃতিক উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করুন নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন বি, সি, ই এবং জিঙ্ক, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, বাদাম, শাকসবজি, এবং মাছ নখকে মজবুত রাখে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও নখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২. লেবু এবং অলিভ অয়েল ম্যাসাজ লেবু নখের দাগ দূর করতে এবং সাদা ভাব বাড়াতে সাহায্য করে। এক টুকরো লেবু দিয়ে প্রতিদিন নখে ঘষুন এবং পরে অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি নখের শুষ্কতা কমিয়ে নখকে মজবুত করে।

৩. নারকেল তেল ব্যবহার করুন নারকেল তেল নখ এবং নখের চারপাশের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। প্রতিদিন রাতে নারকেল তেল দিয়ে নখ ম্যাসাজ করলে নখের শুষ্কতা এবং ভঙ্গুরতা কমে। নারকেল তেলের অ্যান্টি-ফাংগাল বৈশিষ্ট্য নখকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।

৪. নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করা নখ এবং হাতের ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। নখের চারপাশের কিউটিকলও ময়েশ্চারাইজ করতে হবে, কারণ এটি নখের শুষ্কতা কমায় এবং ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৫. হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন গৃহস্থালির কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন। বিশেষত বাসন ধোয়া বা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারের সময় গ্লাভস পরলে নখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচে। এটি নখের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক।

৬. অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন অ্যাপল সিডার ভিনেগার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, যা নখকে সংক্রমণ মুক্ত রাখে। ভিনেগার এবং পানি মিশিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ নখ ডুবিয়ে রাখলে এটি নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৭. নিয়মিত নখ ছাঁটা নিয়মিত নখ ছাঁটা নখের ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি নখ ফাইলিংও জরুরি। নখ খুব ছোট বা বড় না করে মাঝারি দৈর্ঘ্যে রাখুন, যাতে এটি মজবুত থাকে।

৮. পেট্রোলিয়াম জেলি প্রয়োগ নখের শুষ্কতা রোধ করতে এবং নখকে নরম রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। এটি নখে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৯. ডিটক্স পানীয় গ্রহণ প্রতিদিন সকালে ডিটক্স পানীয় গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায় এবং নখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। লেবু পানি, মধু ও আদার ডিটক্স পানীয় এই ক্ষেত্রে কার্যকর।

১০. কিউটিকল তোলা এড়িয়ে চলুন অনেকেই নখের কিউটিকল (নখের গোড়ার দিকে অবস্থিত একটি স্বচ্ছ, পাতলা চামড়ার আবরণ) তোলার অভ্যাস করেন, যা নখকে দুর্বল করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রাকৃতিকভাবে কিউটিকলকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কিউটিকল অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

সুন্দর ও মজবুত নখ ধরে রাখা শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, এটি শরীরের স্বাস্থ্যেরও প্রতিফলন। প্রাকৃতিক উপায়ে নখের যত্ন নিলে দীর্ঘমেয়াদে নখ মজবুত থাকবে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকবে না। তাই প্রাকৃতিক যত্নের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং নখকে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর রাখুন।


আরও খবর

এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মূল্য নিয়ন্ত্রণে ১৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে আরো ১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনা, ট্রাক চালক ও হেলপাড় সহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় খেড়বাহী ট্রাক উল্টে মহাসড়কের ধারে গর্তের পানিতে পড়ে ট্রাকের চালক সুমন হোসেন (৩৪) ও চালকের সহকারি (হেলপাড়) এর দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পিকআপের ধাক্কায় আবুল কাশেম (৭৪) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর সকাল ৫ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের খামারবাড়ি নামক স্থানে খেড়বাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের ধারে গর্তের পানিতে পড়ে। এসড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে ট্রাকের চালক ও চালকের সহযোগী হেলপাড় দু'জনের মৃতদেহ পানি থেকে উদ্ধার করেন। স্থানিয়রা জানান, ভোর সকালে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটলেও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ প্রায় দু'ঘন্টা পর দূর্ঘটনাস্থলে এসে পরবর্তীতে জেলা পুলিশের রেকার এনে গর্তেপড়া ট্রাকটি উদ্ধার করে সড়কের উপর তোলেন। অপরদিকে একই দিন


সকাল ৯ টারদিকে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় পিকআপের ধাক্কায় আবুল কাশেম নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবুল কাশেম হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীগাছী দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত কুদরত আলী প্রামাণিকের ছেলে এবং নিহত ট্রাক চালক সুমন মিয়া হলেন, গাইবান্ধা জেলা সদর উপজেলার পশ্চিম কামারনাই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তথ্য সংগ্রহকালে ট্রাক চালকের সহকারি নিহত (হেলপাড়) এর নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ট্রাক দূর্ঘটনায় চালক সহ দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, স্থানীয়রা সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ দেওয়ার পর দূর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য দূর্ঘটনাস্থল থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত দু'জনের মধ্যে এক জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেলেও অপর জনের নাম-পরিচয় এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিদের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ৩০ জন সদস্য ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা বৈঠকে অংশ নেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধি ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন প্রবাসীরা। লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য এবং দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন তারা।

এ সময় প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না, ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানব। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।

তিনি যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর



কোনও ব্যাংক বন্ধ হবে না, বললেন গভর্নর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশে কোনও দুর্ভিক্ষ হবে না। আমরা শ্রীলঙ্কা হয়ে যাইনি। আমাদের গ্রোথ কমেনি। বিনিয়োগ হার ও পরিবেশ ঠিক করছি। আমরা আশাবাদী, সামনে বিনিয়োগ আসবে, বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, যেকোনও পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করলেও মূল্যস্ফীতি এক বছরের আগে কোনও দেশেই কমে না। মাত্র ৪ মাস সময় পার করছি। আমাকে আরও ৮ মাস সময় দিতে হবে। আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা রয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে শুল্ক শিথিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেক্সিমকো কয়েক মাস ধরে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছিল না। সরকার অর্থ দিয়ে তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে। এখন গ্রুপটিতে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি (বেক্সিমকো) সচল করা যায়। কোনও বিজনেস (আর্থিক) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়নি। বেক্সিমকোয় রিসিভার দেওয়া মানে কোম্পানি বন্ধ নয়, বরং এটা সচল করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের ব্যাংক খাত। এখন যদি দ্রুত সংস্কার বা সমাধান চাওয়া হয়, আমার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার অ্যাসেট এক পরিবারের হাতে ছিল। তারা ২৩ হাজার কোটি নিয়েছে। আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে আমি বলতে পারি কোনও ব্যাংক বন্ধ হবে না। কারণ তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

অর্থপাচার নিয়ে তিনি বলেন, দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটা ফিরে পাওয়া কঠিন। তবে আমাদের জাল ফেলা হয়েছে। এখন গোটানো বাকি। এরইমধ্যে আমরা দেশ ও দেশের বাইরেও যোগাযোগ করেছি। আমাদের সহযোগিতার জন্য চলতি সপ্তাহে আমেরিকার প্রতিনিধি আসছেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি আসবেন, বিশ্বব্যাংক আসবে এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও কথা হবে। আমরা চাই না কোনও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বা শিল্প বন্ধ হয়ে যাক। কারণ, সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আবার কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবও জব্দ করা হয়নি, হবেও না। ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। ঢাকায় টোটাল ব্যাংকিংয়ের ৫৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৭ শতাংশ, বাকিটা অন্য জায়গা। আমরা এটাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের এজেন্ট ব্যাংক বড় কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে এমএফএস সেবা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

গভর্নর বলেন, কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। কিন্তু তাদের নগদ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে গত ৩ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে কোনও নগদ সহায়তা দেওয়া হয়নি। কারণ ম্যাক্রো ইকোনমি স্ট্যাবল রাখতে হবে। এটা স্ট্যাবল না হলে কোনও বিনিয়োগ হবে না। এজন্য ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য—যারা ব্যাংকের টাকা মেরেছে, তারা ব্যাংকের সঙ্গে থেকে যেন টাকা ফেরত দেয়। বাইরে যে টাকা চলে গেছে সেসব কীভাবে আইনগত প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ শর্টেজ এখন নেই। আমি মনে করি সাপ্লাই সাইডে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট নিয়ে আসতে চাইছি। ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর পাকিস্তানের থেকেও দুর্বল। এটা ঠিক হতে ২-৩ বছর সময় লাগবে।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ প্রায় চার শতাধিক অতিথি ।


আরও খবর