Logo
শিরোনাম

গাজীপুর মহানগর আ.লীগের কমিটিতে ঠাঁই হল না জাহাঙ্গীরের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টুডেস ডেস্ক থেকে সদরুল আইন :



বহুল আলোচিত গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম পরপর দুবার আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। দুবারই তিনি ক্ষমা পেয়েছিলেন। 




সবশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মা জায়েদা খাতুনের পক্ষে কাজ করে বহিষ্কার হন। কিন্তু গত বছর অক্টোবরে তাঁকে আবার ক্ষমা করা হয়। দলে ফেরার পর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ফিরবেন বলে আলোচনা ছিল।



 কিন্তু সদ্য ঘোষিত মহানগর শাখার ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কোথাও তাঁর ঠাঁই হয়নি।


আজমত উল্লাহ খানকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। 



একই সঙ্গে এ কমিটিতে ২৮ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আজমত উল্লাহ খান ও আতাউল্লাহ মণ্ডল

২০২১ সালে বহিষ্কার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রথম বহিষ্কার হন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। গত বছরের ২১ জানুয়ারিতে তাঁকে ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।



এর চার মাসের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে মা জায়েদা খাতুনকে বিদ্রোহী প্রার্থী করে পুনরায় বহিষ্কার হন।



 ওই নির্বাচনে আজমতকে হারিয়ে জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমা করা হয়। গত অক্টোবরে তাঁকে ক্ষমা করা হয় বলে জানান আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।


প্রথমবার ক্ষমা করার সময় বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমা পেলেন জাহাঙ্গীর আলম। এবারও একই কথা বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। 



এরপর জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের স্বপ্নও দেখেছিলেন।


বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলন ও আগামী নির্বাচন মাথায় রেখে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করা হয় বলে তখন দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন।



 ঢাকার অন্যতম প্রবেশমুখ গাজীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাহাঙ্গীরকে প্রয়োজন বলে দলের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে বুঝিয়েছিলেন।


দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বারবার ক্ষমা পাওয়ার পেছনে দুটি বড় কারণ আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমত, অঢেল টাকা থাকায় জাহাঙ্গীর আলম দলের নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ণ অংশের সঙ্গে টাকাপয়সা খরচ করে যোগাযোগ রাখেন। দ্বিতীয়ত, তাঁর নিজস্ব কর্মী ও সমর্থক বাহিনী আছে।


গত বছর মে মাসে বহিষ্কার হলেও গত জুলাইয়ে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ বিপুলসংখ্যক লোক নিয়ে এসেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির দিনও টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর এলাকায় জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের ব্যাপক তৎপরতা ছিল।



 ১৪ অক্টোবর ঢাকার কাওলায় সিভিল অ্যাভিয়েশন মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি বিরাট মিছিল নিয়ে আসেন।


জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে পরাজিত আজমত উল্লাকে গত ৪ জুন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বানিয়ে কিছুটা সান্ত্বনা দেয় আওয়ামী লীগ। এদিকে দলে ফেরার পর জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগরের পদ ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন।


গাজীপুর মহানগর কমিটির ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি:



কমিটির অন্য পদ পাওয়া নেতারা হলেন সহসভাপতি বেগম সামসুন নাহার ভূঁইয়া, মো. মতিউর রহমান মতি, আব্দুল হাদী শামীম, রেজাউল করিম ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন, ওসমান আলী, আসাদুর রহমান কিরণ, সফর উদ্দিন খান, শেখ মো. আসাদুল্লাহ, হেদায়েতুল ইসলাম ও মো. আব্দুল আলীম মোল্লা।


যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরা হলেন মো. আফজাল হোসেন সরকার রিপন, মো. কাজী ইলিয়াস আহমেদ ও এ বি এম নাসির উদ্দিন নাসির।


কমিটিতে আইনবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মো. খালেদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, দপ্তর সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান রাসেল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আক্তার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবদুল হালিম সরকার, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. সাইজ উদ্দিন মোল্লা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদ উল্লাহ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মোসা. হোসনে আরা জুলি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মো. খালেকুজ্জামান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. হীরা সরকার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বাছির উদ্দিন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. সোলায়মান মিয়া।


এ ছাড়া কমিটিতে সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. কামরুল আহসান সরকার রাসেলকে। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মো. মজিবুর রহমান, এস এম আলতাব হোসেন ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল। উপদপ্তর সম্পাদক হয়েছেন মো. তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ, উপপ্রচার সম্পাদক মোসা. সালমা বেগম। কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে।



কমিটির সদস্যরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, এম এ বারী, ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মো. আব্দুর রউফ নয়ন, এস এম মোকছেদ আলম, মো. আবু সাহিদ খান, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আজিজুর রহমান শিরিশ, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মো. আব্দুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ফজলু, মো. জাহিদ আল মামুন, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মীর আসাদুজ্জামান, মো. খলিলুর রহমান, মো. আদম আলী, আক্তার হোসেন, এস এম আকরাম হোসেন, নীলিমা আক্তার লিলি, মো. জালাল উদ্দিন, এস এম শামীম আহমেদ, মো. খোরশেদ আলম রানা, মতিউর রহমান, কামাল আহমেদ খান, মো. সেলিম মিয়া, মো. কবির হোসেন, মো. আব্দুর রউফ, এইচ এম শাহজাহান, অরুণ কুমার সাহা, কাজী মো. সেলিম ও মো. আলমগীর হোসেন খান।


আরও খবর



চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দরবার শরিফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকি। এ উপলক্ষে কুরবানির পশু ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলায়ও আজ সকালে ঈদ উদযাপন হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। তার অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রামে আজ ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। 


আরও খবর



প্রথমবারের মতো মাথাপিছু আয় ২৮২০ ডলার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাথাপিছু আয় ২৮২০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২৭ মে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৩৮ ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৮২ ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৯৩ ডলার, যা এবার অতিক্রম করেছে।

বিবিএস জানায়, মাথাপিছু আয়ের এই হিসাব ব্যক্তি বিশেষের একক আয়ের প্রতিফলন নয়, বরং দেশের মোট জাতীয় আয়—যার মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও প্রবাসী আয়, তা জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে এই হিসাব নির্ধারণ করা হয়।

চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে বাড়ার পেছনে রয়েছে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব। এবার প্রতি ডলারের গড় বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১২০ টাকা ২৯ পয়সা, যা গত অর্থবছরের ১১১ টাকা ৬ পয়সার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

টাকার অঙ্কে চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২২১ টাকা। আগের বছর এই আয় ছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ১০২ টাকা।

অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির ছাপ অনেকের জীবনমান উন্নয়নে দেখা গেলেও আয় বৈষম্য ও মুদ্রাস্ফীতির চাপে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনও সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিপূরণমূলক পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষ, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ‘টার্গেটেড ক্যাশ ট্রান্সফার’, খাদ্য সহায়তা ও নগদ ভর্তুকির পরিকল্পনা রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন করে একটি ‘আয়ের সমতা আনতে বিশেষ তহবিল’ গঠনের কথাও ভাবছে সরকার।

সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে—কোন শ্রেণি বা পেশাজীবীদের জন্য কী ধরনের আর্থিক সহায়তা কার্যকর হতে পারে। আগামী বাজেটে এসব পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখা যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

মাথাপিছু আয়ের এই ইতিবাচক অগ্রগতি অর্থনীতির একটি শক্তিশালী দিক নির্দেশ করে। তবে আয়ের ভারসাম্য ও জীবনমান উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। সরকারের পরিকল্পিত পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল আরও সমানভাবে বিতরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বললেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়সীমার বাইরে একদিনও যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছেন।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। কারণ বারবারই বলা হচ্ছে, একটা সময়সীমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের তিনটা মোটা দাগের দায়িত্ব- সংস্কার, বিচার ও ইলেকশন। তিনটিই কঠিন দায়িত্ব। ‌শুধু ইলেকশন করার জন্য আমরা দায়িত্বটা নিইনি।

দায়িত্ব পালন করতে পারছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা অনেক দূর এসেছি। সংস্কার কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। সে রিপোর্টের উপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে। আমরা একটা নির্বাচনের সময়সীমা বলে দিয়েছি। বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগে ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল, এখন দুইটি হয়েছে। আগামীকাল থেকে ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এই কাজগুলো আমরা সঠিক প্রক্রিয়ায় শেষ করতে চাই। এতে সবার সহযোগিতা চাই।

আপনারা কোন চাপে আছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা- আমাদের বিবেচনা ও বিবেকে ওইটাই একমাত্র চাপ। আপনি চাইলেই হঠাৎ করে সচিবালয় যেতে পারবেন না। অথচ এ রকম অনেক দাবি আছে, যেগুলো রাস্তা বন্ধ না করে আলাপ-আলোচনার মধ্যেই সমাধান করা যায়।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত দাবি আছে, তা নিয়ে রাস্তা আটকে দিচ্ছে। ঢাকা শহর অচল হয়ে যাচ্ছে। সেই অচল অবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা। আমরা ক্ষমতা নিইনি, জাতীয় দায়িত্ব পালন করছি। এই দায়িত্বটা তখনই পালন করতে পারব যখন সকলের সহযোগিতা পাব। আমরা চিন্তা করেছি, আসলেই আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারছি কিনা।

বড় দাগে তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য যে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, এই প্রতিবন্ধকতা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, আদৌ মোকাবিলা করতে পারবো কিনা, যদি মোকাবিলা করতে পারি- কীভাবে করব, যদি মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে- আমরা সকলে মিলে এটা চিন্তা করছি। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলে দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি না পারি, আমাদের নিজস্ব অনেক কাজ আছে, আমরা সেই কাজে ফিরে যাব। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্বে থাকাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকছে না।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




এক কাপ চায়ের দামে ছাগলের চামড়া

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোরবানির ঈদের পর চামড়ার বাজারে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোনো চামড়াই বিক্রি হচ্ছে না। গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়, আর ছাগলের চামড়ার দাম নেমে এসেছে মাত্র ১০ টাকায়, যা স্থানীয়ভাবে এক কাপ চায়ের দামের সমান।

এমন অবস্থায় অনেকে ছাগলের চামড়া নদীতে ফেলে দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চামড়ার এমন বেহাল বাজারে সাধারণ মানুষ, চামড়া সংগ্রহকারী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

আজ রবিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সরেজমিন ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে চামড়া বিক্রির ভিড়। আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে অনেকেই চামড়া নিয়ে এসেছেন। তবে সরকার নির্ধারিত দাম তো দূরের কথা, ন্যূনতম মূল্যও পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

এক বিক্রেতা আহসান হাবিব বলেন, সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেই দাম কেবল কাগজে কলমেই আছে। বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নেই। আমি একটি গরু ও একটি ছাগলের চামড়া এনেছিলাম। গরুর চামড়া ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু ছাগলের চামড়ার কোনো দাম না থাকায় নদীতে ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি।

একই অভিযোগ করেন আরেক বিক্রেতা মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চামড়ার কোনো ক্রেতা নেই। স্থানীয় মাদ্রাসার হুজুরকে ফোন দিয়েছি, তিনিও আসেননি। তাই চামড়ায় লবণ দিয়ে রেখে দিয়েছি। ইউটিউব দেখে চেষ্টা করব বাড়িতে বসেই কিছু তৈরি করতে পারি কিনা।

প্রসঙ্গত, সরকার ২০২৫ সালে ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে ৬০-৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০-২২ টাকা প্রতি বর্গফুট, আর খাসির জন্য ২২-২৭ টাকা। যদিও এই মূল্যতালিকা কোরবানি দাতাদের কিছুটা আশার আলো দেখালেও, বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

ফুলবাড়ীর স্থানীয় বাজারে কোনো ক্রেতাই ওই দামে চামড়া কিনছেন না। গরুর একটি চামড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক নিচে। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়তাও সবাই কিনতেও আগ্রহী নন।

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী কোরবান আলী বলেন, আমরা চামড়া কিনছি কম দামে, কারণ ট্যানারিরা সরকার নির্ধারিত দামে কিনছে না। তারাও বলছে, অতিরিক্ত চামড়া তাদের প্রয়োজন নেই, সংরক্ষণের সুবিধাও নেই। আমরা আকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং ছাগলের চামড়া মাত্র ১০ টাকায় নিচ্ছি।

তিনি বলেন, লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর প্রতি মণ লবণ ছিল ৪৭০ টাকা। এবার তা বেড়ে ৬৫০ টাকায় পৌঁছেছে।

গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতায় তিনি বলেন, গত বছর সরকারী দামে চামড়া কিনে অনেক লোকসান করেছি। অনেক চামড়া সংরক্ষণ করতে না পেরে ফেলে দিতে হয়েছে। তাই এবার সাবধানে মাত্র ২০০টি গরুর চামড়া কিনেছি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, সরকারকে চামড়ার বাজার ব্যবস্থাপনায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যকরভাবে মূল্য নির্ধারণ বাস্তবায়ন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা, লজিস্টিক সাপোর্ট এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোর মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার।

চামড়ার বাজারে এমন ধস কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণই নয়, ধর্মীয় দিক থেকেও অনেক মুসলমানের জন্য হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা চেয়েছিলেন কোরবানির চামড়া দান করে সওয়াব হাসিল করতে, কিন্তু মূল্য না পেয়ে কেউ ফেলে দিচ্ছেন, কেউবা অসহায়ের মতো অপেক্ষায় বসে আছেন। এ অবস্থায় সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখন সময়ের দাবি।


আরও খবর



নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর ৬টি উপজেলায় নেই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ভোগান্তিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা নওগাঁ। অন্যান্য জেলার চেয়ে নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেশি রয়েছে। বর্তমানে জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে ৬টি উপজেলায়। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছে জেলার ৮ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষার মানোন্নয়নে দ্রুততম সময়ে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে শুন্যপদ গুলো পূরণ করার দাবী জানান নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন।

জানা যায়, নওগাঁ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮ শতাধিক। প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত রয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। 

এ জেলায় মোট উপজেলা রয়েছে ১১টি। এরমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত আছে ৫ টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। আর বাকি ৬টি উপজেলায় শিক্ষা অফিসারের পদগুলো শুন্য রয়েছে। পদ শুন্য থাকা এই উপজেলা গুলোতে অন্যান্য উপজেলায় কর্মরত অফিসাররা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারাও হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চলতি বছরে কর্মরত দু'জন শিক্ষা অফিসার অবসরে যাবেন আর তাতে আরও সমস্যাই পরবেন এ জেলার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলায় দায়িত্বে আছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াসিউর রহমান। তিনি তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের। মান্দা উপজেলার শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নিয়ামতপুর শিক্ষা অফিসের। বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম তার নিজ উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন রাণীনগর উপজেলার। সাপাহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন পোরশা উপজেলা শিক্ষা অফিসের। ধামইহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন তার নিজ উপজেলার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের এবং বর্তমানে পত্নীতলা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন। মান্দা উপজেলার এসসি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামানসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বলেন, আগে প্রয়োজনে যেমন প্রতিদিন শিক্ষা অফিসার স্যারকে পাওয়া যেত এখন তেমন ভাবে আর পাওয়া যায় না। অনেক সময় অফিসে গিয়ে জানাতে পারি স্যার অন্য উপজেলায় আছেন। জরুরী প্রয়োজন থাকার পরও স্যার না থাকায় আমাদের ফেরত আসতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে জেলার প্রতিটি উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিয়োগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে মান্দা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলার অফিসিয়ালি কাজ, এমপিওভুক্তির ফাইল অগ্রহায়ণ করা, বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করতে আমাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার মতো সময় হয়ে উঠে না। শুধু একটি উপজেলার দায়িত্বে থাকলে এইসব কাজগুলো সুন্দরভাবে করা সম্ভব হয়। জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমার এই জেলায় বর্তমানে ৬ জন শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে। শুধু এই জেলায় নয় দেশের অধিকাংশ জেলার চিত্র একই। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এইসব পদ গুলো সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদায়ন দিয়ে পূরণ করলে শিক্ষার মান দ্রুত উন্নত হবে। কেননা একজন উপজেলা শিক্ষা অফিসার যদি দুই থেকে তিনটি উপজেলার দায়িত্বে থাকেন তাহলে তাঁর অফিসিয়াল কাজ করতেই সময় পার হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের তদারকি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে এই পদগুলো দ্রুত পূরণ করবেন বলে আমি আশা করছি।


আরও খবর