Logo
শিরোনাম

গান শুনিয়ে চলে ভুট্টুর সংসার, স্বপ্ন ইত্যাদিতে গান গাওয়ার

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image
গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ছোট বেলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে জর্দার ছোট কৌটোর ভেতরে সাইকেলের চাকার বল ঢুকিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন  এলাকায় বাজনা বাজিয়ে গান শোনান ভুট্টু মিয়া।আর এতে যা পান তা দিয়ে চলে তার সংসার। মুলত খালি গলায় গান শুনান তিনি। টাকার অভাবে তবলা বা ঢোল ও একতারা কিনতে পারছেনা বলে জানান ভুট্টু মিয়া। তাঁর ইচ্ছে বিটিভিতে প্রচারিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গাওয়ার।  

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া চাপাতি গ্রামে ভুট্টু মিয়ার বাড়ী। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান তিনি। তারপর থেকে কাজ করে খেতেন তিনি। কাজ করতে করতে দুর্ঘটনায় ডান হাতের হাড় ভেঙে যায় তার। বর্তমানে হাড় জোড়া থাকলেও ওই হাত দিয়ে ভারি কোনো কাজ করতে পারেন না। তাই গানকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের তিতুমীর সড়কের পাশে ইউসিবি ব্যাংকের নিচে ৪০ বছর বয়সী এ যুবককে গান গাইতে দেখা যায়।  

এসময় আব্দুর রহিম নামে এক দর্শক জানান, ভুট্টু মিয়াকে দেখেছি বিভিন্ন হাটবাজারে হাত দিয়ে কৌটা বাজিয়ে গান গাইতে। কিছুদিন আগে রোড বাজারে আমাদের দোকানের সামনেও গান করেছেন তিনি। কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই তার গলার সুর ও গান মুগ্ধ করে মানুষজনকে। তার এই প্রতিভাকে পুঁজি করেই তিনি সংসার চালাচ্ছেন। 

জুলফিকার নামে দর্শক বলেন আমি রাস্তা দিয়ে হাটে যাচ্ছিলাম। অনেক মানুষজনের সমাগম দেখে আমিও দাঁড়িয়ে গান শুনছিলাম তার। তার গান গাওয়ার প্রতিভা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ।   

জয়নাল নামে আরেক দর্শক বলেন, তার গান যে কোনো মানুষকে মুগ্ধ করে। তাই খুশি হয়ে মানুষ ১০-২০ টাকা দেন। এতে তার সংসার চলে। নওসেদ নামে আরেক দর্শক তার গান শুনে বলেন, মানুষটির প্রতিভা আছে। সহযোগিতা পেলে তিনি হয়তো ভালো কিছু করতে পারবেন। 

ভুট্টু মিয়া বলেন, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বতর্মানে সংসারে আমরা স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান। রাস্তা ঘাটে ও বিভিন্ন হাটবাজারে গান গেয়ে দৈনিক ৩ থেকে ৪শ টাকা আয় হয়। আমার স্ত্রী দিনমজুরি দিয়ে যা আয় করেন, তাতে করে কোনোমতে সংসার চলে। যদি সহযোগিতা পেতাম তাহলে অন্তত তবলা বা ঢোল ও একতারা কিনতে পারতাম। টাকার অভাবে এসব কিনতে পারছি না।  

ভবিষ্যৎ ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইত্যাদিতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার। আর ইত্যাদিতে যেতে পারলে সেখান থেকে হয়তো হানিফ সংকেত আমাকে কিছু না কিছু সহায়তা করবেন বলে আশা করছি।

আরও খবর

কি ভাবে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে ?

রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দাঁতের সমস্যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে

সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




শিশুদের হাতে কোরআন তুলে দিলেন, এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার-এ 'তাযীবুল বানাত্ (বালিকা) মাদরাসা'র শিশু শিক্ষার্থী (কোরআন এর পাখিদের) হাতে কোরআন তুলে দিলেন জননেতা ও জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের এমপি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি।

এউপলক্ষে মাদরাসা প্রাঙ্গনে আয়োজীত 'কোরআন সবক অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে' সভাপতিত্ব করেন, ভীমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। কোরআন সবক অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ২৬ জন শিক্ষার্থী (বালিকাদের) হাতে কোরআন তুলে দেন আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানিয় ইউপি সদস্য ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ রাশেদুজ্জামান চৌধুরী রাশেদ, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল রানা, সাবেক ইউপি মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, ভীমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান ও 'তাযীবুল বানাত্ (বালিকা) মাদরাসা' (লিল্লাহ্ বোডিং) এর পরিচালক হাফেজ মাওঃ নূরনবী হাবিবী (রাজু) প্রমুখ সহ সুধীজনরা উপস্থিত ছিলন। 


আরও খবর



নিষিদ্ধ হচ্ছে ইমরানের দল!

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানে আর্থিক সংকটের সঙ্গে রাজনৈতিক সংকটও চরমে। ক্ষমতার লড়াইয়ে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। এরমধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার।

রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ তথ্য জানিয়েছে। আগেরদিন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে কোনো দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে আইনি দলের সাথে পরামর্শ করা হবে। মূলত লাহোরে ইমরানের বাসভবন থেকে অস্ত্র ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের দাবির পর একথা বলেন তিনি। এছাড়া, পিটিআইকে জঙ্গি সংগঠন বলেছেন পিএমএলএন-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ। তাতে একমত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফক। শাহবাজ বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যানের গত কয়েকদিনের কর্মকাণ্ড তার ফ্যাসিবাদী এবং জঙ্গি প্রবণতাকে প্রকাশ করেছে।


আরও খবর

পরিবহণ ধর্মঘটে অচল জার্মানি

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




স্বাধীনতা দিবসে কৃষকের যে উপহার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কৃষক মোঃ হাবিবুর রহমান বেগুনি (পার্পল লিফ রাইস) ও ফাতেমা এবং ন্যাশনাল ১ ধানের প্রজাতির ধান চারা দিয়ে ফসলের মাঠে এঁকেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ।


ঢাকার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রায় পাড়া গ্রামে মো.হাবিবুর রহমান তার নিজের ফসলের মাঠে সবুজ ও বেগুনি রঙের (পার্পল লিফ রাইস) ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আবহমানকাল থেকে সবুজ রঙের ধান গাছ দেখে এসেছে বাংলার কৃষক, কিন্তু সবুজ ও বেগুনি রঙের সংমিশ্রণে ব্যতিক্রমী এ ধান চাষ দেখতে ভিড় করছে মানুষ। প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে ধানের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন অনেকে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত মাঠজুড়ে সবুজ আর সবুজ। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় সবুজের মাঠে মাঝখানে বেগুনি রঙ। সবুজ ধানের বেষ্টুনির কাছে গেলে মনে হয় বেগুনি রঙের জায়গাটুকু কোনো আগাছা বা বালাই আক্রান্ত ধান। কিন্তু না, এটি এমন একটি ধানের জাত, যার পাতা ও কান্ডের রং বেগুনি। যেভাবে তৈরি করেছে দেখে নয়ন জুরায়ে যায় বাংলার স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা। আবার পাশের আরেকটি ক্ষেতে দেখা যায় সবুজ ধান ও বেগুনি ধানের মিশ্রনে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ।


কৃষক মো.হাবিবুর রহমান বলেন, বেগুনি রঙের ‘পার্পল লিফ রাইস’ নামের এ ধান চাষে তিনি আগ্রহী হয়ে এ ধানের বীজ সংগ্রহের অনেক চেষ্টার পর, স্থানীয় এক বীজের দোকানদারের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করেছেন।


তিনি আরো বলেন, ধানের ফলন কী রকম হবে, তা দেখার পর ভবিষ্যতে আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আর দেশের প্রতি ভালবাসা আর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কষ্ট হলেও এঁকেছি জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধান দিয়ে পতাকা আর স্মৃতিসৌধ অংকন করায় প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে আমার ক্ষেতে এসে। অনেক কৃষক এই ধান চাষ করতে বীজ চেয়েছে বলেও জানান তিনি।


চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে বেগুনি রঙের এই ধানগাছ দেখে থমকে যায় পথচারীরা। তারা জানার চেষ্টা করে এটি কোন জাতের ধান বা ধানের এমন অবস্থা কী করে হলো? অনেকেই এ সৌন্দর্যের ছবি তুলে। কেউ কেউ তুলে সেলফিও।


পথচারী যুবক বাবুল হোসেন বলেন, ‘এত সুন্দর করে ধানের আবাদ করায় এ কৃষককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরাও এ ধরনের চাষ করব। আমি ছবি তুলে রাখছি। একটি সেলফিও নিলাম।


স্থানীয় শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.বি.এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, ‘দেশের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এ কাজ কোনো ভাবেই করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ধানক্ষেতটি দেখলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়।


’সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করে কৃষক মো.হাবিবুর রহমান বেগুনি (পার্পল লিফ রাইস) জাতের ধান দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাল বৃত্ত এবং ন্যাশনাল ১ জাতের ধান দিয়ে পতাকার সবুজ অংশ অংকন করেন। পাশের আরও একটি ধান ক্ষেতে এই দুই জাতের ধান দিয়ে একেঁছেন জাতীয় সৃতিসৌধ। তার এই আবাদি জমিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সৃতিসৌধ অংকনে সাভার উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও তত্ত্বাবধান করে আসছে। এই ধানের পুষ্টিমান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ চালের ভাত খেতেও সুস্বাদু। এই ধান ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ উপকারী। ফলন ভালো হলে উৎপাদিত ধানগুলো বীজ আকারে রাখা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ধানের আবাদ বৃদ্ধির চিন্তা করা হচ্ছে।’


আরও খবর



সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়াদ্বীপের ভবিষ্যৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, যাকে ঘিরে রয়েছে অপার পর্যটন সম্ভাবনা। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ অবসর যাপনের জন্য ভিড় করে দেশের সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত এই নীল জলের দ্বীপে। সারি সারি নারিকেলগাছ আর কেয়াবনের সৌন্দর্য সেন্ট মার্টিনের গ্রহণযোগ্যতা আরও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপটি ঠিক কত আগে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছিল তার সঠিক দিন-তারিখ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরুতে এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামে ডাকা হতো। যা পরবর্তীতে নারিকেল জিঞ্জিরা, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, দারুচিনি দ্বীপ ইত্যাদি নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেন্ট মার্টিন নামকরণের দুই রকম ইতিহাস থাকলেও ধারণা করা হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মার্টিনের নামানুসারেই এর নাম সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়। ভৌগোলিকভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।

যার উত্তর অংশের ভাগকে বলা হয় উত্তর পাড়া বা নারিকেল জিঞ্জিরা। দক্ষিণ অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত লেজের মতো অংশটিকে ডাকা হয় গলাচিপা নামে। এই দ্বীপের দক্ষিণে ছোট আরেকটি দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেঁড়াদিয়া বা ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। জনশূন্য এই দ্বীপে ভাটার সময় হেটে যাওয়া গেলেও জোয়ারের সময় প্রয়োজন হয় নৌকা। তবে পর্যটকরা বেশিরভাগই ট্রলার, স্পিডবোট ইত্যাদিতে করে ছেঁড়াদ্বীপে যান। অনেকে আবার বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলও ব্যবহার করেন, যা এই দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় পাওয়া যায়। এত সুন্দর ভৌগোলিক পরিবেশে অবস্থিত এই দ্বীপের বর্তমানে বড়ই বেহাল দশা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ফলে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে প্রবালের পরিমাণ। কমছে গাছপালা আচ্ছাদিত অঞ্চলের পরিমাণ, নষ্ট করা হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ীঠা কেয়াবন। যেখানে ১৯৯৬-৯৭ সালে সেন্ট মার্টিনে বার্ষিক পর্যটকের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫০-২০০ জন সেখানে এখন প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করছেন এই দ্বীপে। একদিকে যেমন পর্যটন সম্ভাবনা বিকশিত হয়েছে অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়।

যে প্রবালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্বচ্ছ জলধারার এই দ্বীপ সেটিই এখন প্রবালশূন্য হওয়ার পথে। গত চার দশকে এই দ্বীপে প্রবালের পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। অথচ শুধু এই প্রবালের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এই দ্বীপ। প্রবাল কমে যাওয়ায় এই দ্বীপের আয়তনও কমা শুরু হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫-৫০ সালের মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ প্রবালশূন্য হয়ে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে। প্রবালকে আমরা সাধারণভাবে পাথর মনে করলেও এটি এক ধরনের অমেরুদন্ডী প্রাণী। এর বাইরের আবরণ শক্ত হওয়ায় আমরা একে পাথর ভেবে ভুল করে থাকি।

 সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা যায়, সেন্ট মার্টিনে হোটেল-মোটেল ও আবাসিক স্থাপনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামলাতে এই স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে এবং নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। প্রবাল পাথরগুলোকে ভেঙে হোটেল নির্মাতাদের কাছে বিক্রি করছেন স্থানীয় মানুষজন। যা সেন্ট মার্টিনের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। অল্প কিছু টাকার জন্য তারা নিজেদের আবাসস্থলকে ফেলছে অসম্ভব বড় ঝুঁকিতে। এই মানুষ হয়তো অজ্ঞতার ফলে বুঝতে পারছে না এই প্রবালের সঙ্গেই নির্ভর করছে তাদের টিকে থাকা, এই দ্বীপের টিকে থাকা।

ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই গবেষণা করছেন সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কিন্তু সবার গবেষণালব্ধ ফলাফলই আমাদের এই দ্বীপ সম্পর্কে অশনিসংকেত দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু সংগঠন ও পরিবেশবাদী লোকজন এই বিষয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা বা প্রতিবাদ করলেও হচ্ছে না কোনো প্রতিকার। তাদের ধারণা, কিছু প্রভাবশালী মহল সেন্ট মার্টিনে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতে গিয়ে চালাচ্ছেন এক ধ্বংসলীলা। সরেজমিনে গিয়েও আপনি একই চিত্র দেখতে পাবেন। যেখানে ২০১২ সালে সেন্ট মার্টিনে মাত্র ১৭-১৮টি হোটেল-রিসোর্ট ছিল এখন সেখানে হোটেল-রিসোর্টের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এসব হোটেল-রিসোর্টের সিংহভাগেরই মালিক বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। টাকার খেলায় যারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই কুচক্রী মহলের মানুষরূপী পরিবেশখেকোর দল।

সেন্ট মার্টিনে একসময় দেখা যেত বিরল প্রজাতির সব কাছিমসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের। অথচ এসব প্রাণী এখন চোখেই পড়ে না। সরকারিভাবে এসব প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে পরিবেশবিদদের ধারণা। কয়েক প্রজাতির কাছিমের অভয়ারণ্য ও প্রজননস্থান হিসেবে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বিচকে আলাদা করা হলেও এই বিচেও কমেছে কাছিমের আনাগোনা। স্বাভাবিক সময়ে এখন আর এখানে কাছিম দেখতে পাওয়া যায় না। তবে করোনাকালীন লকডাউনের সময় সেন্ট মার্টিন পর্যটকশূন্য থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে মা কাছিম এই সমুদ্রতটে এসে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে। এতে সহজেই অনুমান করতে পারি আমরা পর্যটকরা এই সামুদ্রিক প্রাণীদের স্বাভাবিক প্রজননের ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করছি।

সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ বিপর্যয় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত পর্যটক, পাথর তুলে ফেলা, প্রবাল উত্তোলন, আবাসিক হোটেলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটকদের ব্যবহৃত সামগ্রী সমুদ্রের পানিতে ফেলা ইত্যাদি বিশেষভাবে দায়ী। গবেষকদের মতে, সেন্ট মার্টিনে নতুন জন্ম নেওয়া প্রবালগুলো জেলেদের জালের টানে নষ্ট হওযার সম্ভাবনা থাকে কারণ জেলেরা দ্বীপের তীর উপকূলবর্তী এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরেন। যেখানে জন্মায় সবচেয়ে বেশি প্রবাল। ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক জলের রাসায়নিক পরিবর্তন যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ। সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ভারসাম্য রক্ষায় 'প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন' এলাকা ঘোষণা করে ভ্রমণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধগুলো আরোপিত হয়েছে। নিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বীপের সৈকতে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন না চালানো।

সৈকত বা সমুদ্রে পস্নাস্টিক বা অন্য কোনো ধরনের বর্জ্য না ফেলা। দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ না করা। জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা না করা। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা না করা। সৈকতে মাইক না বাজানো, হইচই এবং উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা না করা। স্পিডবোট, ট্রলার কিংবা অন্যান্য উপায়ে ছেঁড়াদ্বীপে না যাওয়া। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কাছিম, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় না করা। সর্বোপরি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। সেন্ট মার্টিনের পরিবেশগত বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পস্নাস্টিক। সম্প্রতি এই দ্বীপের মাত্র দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ১২০ কেজি পস্নাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সংগৃহীত পস্নাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই ছিল একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ, পেস্নট, চিপসের খালি প্যাকেট প্রভৃতি। আমরা জেনে কিংবা অজান্তেই এসব পস্নাস্টিক এই দ্বীপে ফেলে আসি যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেহেতু খাবার এবং পানির জন্য প্যাকেটজাত ও বোতলজাত পণ্যের উপর নির্ভর করতে হয় তাই নূ্যনতম সচেতন না হলে এই মারাত্মক দূষণ ঠেকানো কঠিনসাধ্য হবে। এছাড়া সেন্ট মার্টিনকে পর্যটনবান্ধব করতে এবং এর পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যত্রতত্র হোটেল তৈরি না করে নিয়ন্ত্রিত ও মানসম্পন্ন স্বল্পসংখ্যক হোটেল তৈরি করা যেতে পারে।

আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি দ্বীপটিকে পর্যটকদের নিকট নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে যাতে সেই সুন্দর স্থানটিকে কেউ নষ্ট করতে উদ্যত না হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন, কোস্ট-গার্ড, নৌ-বাহিনীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যটক হিসেবে আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে। তবেই প্রিয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে আমরা সবাই মিলে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারব।

 


আরও খবর



নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বাবার প্রতীকেই নির্বাচনে ছেলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

রিফাত আহমেদ রাসেল, নিজস্ব প্রতিবেদক :

নির্বাচনে জয় লাভের পর মাত্র এক বছরের মাথায় শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বাবার। মৃত্যুর দেড় মাসে যেতে না যেতেই পদ শূন্য দেখিয়ে তফসিল ঘোষণাও করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে মধ্যে মনোনয়ন দাখিল যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের সময়সীমাও শেষ হয়েছে। তাই বাবার শেষ স্বপ্ন পূরণে বাবার প্রতীক নেই নির্বাচনে নেমেছেন ছেলে। 

নেত্রকোণার দুর্গাপুরের বাকজোড়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার। বাবা ইয়াকুব আলী তালুকদার ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে বাকলজোড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। গত ১০ জানুয়ারি শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয় তার। 

এই আসলেই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ মার্চ‌। মঙ্গলবার এ আসনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হয়ে। উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার পেয়েছেন বাবার প্রতীক মোটরসাইকেল। প্রতীক পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন প্রার্থীসহ কর্মী সমর্থকরাও। বাবার প্রতীককে শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিয়ে আজ থেকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন ইউসুফ তালুকদার। 

গত মঙ্গলবার দুপুরে (২৮ ফেব্রæয়ারী) উপজেলা নির্বাচন অফিসার তপন চন্দ্র শীল তিন জন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক তুলে দেন। 

এছাড়াও বাকি দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সফিকুল ইসলাম  (নৌকা) ও মো. সিরাজুল ইসলাম স্বতন্ত্র (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন। প্রতীক পেয়ে প্রার্থী ও কর্ম সমর্থকরা উল্লাসে মেতে উঠেন। কয়েক শতাধিক মোটরসাইকেলে শুভযাত্রা নিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান প্রার্থীরা। 

এর আগে গত (১৯ ফেব্রæয়ারী) উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন জমা দেন তিন প্রার্থী। যাচাই বাচাই শেষ ও প্রার্তীরা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলেও কেউ প্রত্যাহার করেনি। আগামী ১৬ মার্চ এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম ইউনিয়নে ২২ হাজার ১শ ৬৭ জন ভোটার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিবেন। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার জানান, আমার বাবা এই আসনে দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকার মানুষের সুখে দুখে তাদের পাশে থেকেছেন। এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও তিনি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। ২০২১ সালের তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ভাগ্যের নির্মাণ পরিহাস মাত্র এক বছরের মাথায় তিনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে পরকালে চলে গেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। 

তিনি আরো বলেন, এই ইউনিয়নবাসীর জন্য আমার বাবা যে স্বপ্ন দেখেছেন সেই স্বপ্ন পূরণেই আমি পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। এবং আমার বাবার মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকেও ভাগ্যবান মনে করছি। আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার মানুষের জীবন উন্নয়ন ও তাদের সুখে দুঃখে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।  


আরও খবর