Logo
শিরোনাম

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ফরিয়াদ রস তুজ বিন নেহী,

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

সুলতানে দ্বীন শাহে্ জমীন,

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

মাকছুদে তান মাতলুবে জান,

মাহকুম হায় তু সারা জাহান।

মুশকিল কোশা ইয়ে আজিজী, 

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

আসসালাম আয় আফেতাবে গাউছিয়ত, আসসালাম আয় মাহেতাবে কুতুবিয়ত। আসসালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া, আসসালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।


ফজলে কর ইয়া রব মুহাম্মদ মুস্তাফা কে ওয়াস্তে সাইয়্যেদে কাওনাইনে শাহে্ আম্বিয়া কে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহাল আলামীন ইয়ে র্আজ মেরী হো কবুল, ইসতাজেব হাজা দোয়ায়ি মুস্তাফা কে ওয়াস্তে।


দূর কর রঞ্জ দেলী হায় ছখত মুঝকো, বেকালী উছ শাহে্ সিদ্দিক্বে আকবর বাছাফা কে ওয়াস্তে।


ফজ্লকে হাতোঁছে মুঝ্কো মেওয়ায়ে মাক্সুদ্ খিলা, উছ ওমর ফারুকে আ-দিল বেরিয়া কে ওয়াস্তে।


দো-জাহাঁ মেঁ হযরতে উসমান-কে রোছে মুঝে, মাত্ খাজাল কিজিয়ো তু উছ ছাহেব হায়া কে ওয়াস্তে।


বারেগাহে আলী মে তেরে হায় ইয়ে মেরি ইলতিজা, হল্লে মুশকিল হো মেরি মুশকিল কোশা কে ওয়াস্তে।


বুলবুলে বাগে মদিনা কুররাতুল আইনে রাসূল, ইয়ানী বিবি ফাতেমা খায়রুন্নেছা কে ওয়াস্তে।


দে খুশী দিলকো মেরি ছর ছব্জ কর নখ্লে মুরাদ, উছ জিগর খাস্তা হাসান ছাহেব লেওয়াকে ওয়াস্তে।


হার তরফ ছে ফৌজ গমনে আকে ঘেরা হায় মুঝে, দে পানা ইয়া রব শহীদে কারবালা কে ওয়াস্তে।


কাওন তুজ বিন দাদ ইছ আছি কো দেবে ইয়া খোদা, জোদতর ফরিয়াদ রস যইনুল আবা কে ওয়াস্তে।


মাই বহুত হায়রান হোঁ কর রহম কি মুঝপর নজর, বাকের ও জাফর আলী ওয়া মুছা রেজা কি ওয়াস্তে।


মুছা ও কাজেম ত্বকী ও বানকী ও আস্করী, আওর ইমামে মাহদীয়ে পীরে হুদাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, গাউছুল আ’যম পীরানে-পীর দস্তগীর শেখ সৈয়দ আবু মীর মুহীউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানী রাদ্বিআল্লাহু তা’য়ালা আনহু রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মইনুদ্দীন চিশতী আজমীরি সাঞ্জীরি রহমাতুল্লাহি তা’য়ালা আলাইহি রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল আ’যম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল আ’যম গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছে জামান সৈয়দ আবুল বশর আল মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল ওয়ারা সৈয়দ মইনুদ্দীন  আহমদ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল আ'যম সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


তোমারি এস্কেতে, তোমার এস্কেতে রাখিও মোদের আবাদ, খুদীকে মিটায়ে যেন পাই খোদার স্বাদ। দুয়েরী পর্দা উঠায়ে দাও,দয়া করি দেখা দাও-ধরা দাও ওগো দয়াল নবীজি।


(এরপর ব্যক্তিগত ফরিয়াদ মাতৃভাষায়/আরবী/ফার্সীতে করা যাবে) আরবী মুনাজাত রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল্ আখেরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার,ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলা খায়রি খালক্বিহি ওয়া নূরে জাতিহী মুহাম্মাদীন ওয়াআলিহি ওয়া আছহাবিহি আজমাইন। বিজুদি কালেমায়ে তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম।


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষক আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষক আটক।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বাল্যবিবাহ করার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচাতে সারে ১৬ বছর বয়সী নিজ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করার পর বিয়ে অস্বীকার করলে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মান্দা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় র‍্যাব ও মান্দা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের বনপাড়ার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত প্রধান শিক্ষক আকরাম মন্ডল মান্দা উপজেলার হাজীগোবিন্দপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আফসার মন্ডলের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন একজন দুশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। তার পূর্বের ২টি স্ত্রী আছে। এরপরও ভিকটিম ছাত্রী স্কুলে অবস্থানকালে সে তাকে তার কক্ষে ডাকিয়া নিয়া বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিত। সে তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে তাকে পরীক্ষায় ফেল করানোসহ বিভিন্ন ধরনের ভঁয়ভীতি ও হুমকী দিত। এ গুলো ঘটনা পরিবারকে জানালে তার বাবা স্থানীয় লোকজনসহ তাকে একাধিকবার নিষেধ করেছে। কিন্তু সে নিষেধ না মেনে ঐ ছাত্রীকে আরো বেশি উত্যক্ত করতে থাকে। 

এরমধ্যে গত ২৬ মার্চ সকাল অনুমান সারে ৮ টারদিকে ভিকটিম ছাত্রী স্কুলের ২৬ শে মার্চ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। স্কুলে অবস্থানকালে সকাল অনুমান ১০ টারদিকে প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেদিন থেকে তাকে তার বাড়ীতে রেখে তাকে বিয়ের প্রলোভনে জোর করে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করলে সে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়া তার বাড়ীতে রেখে বার বার ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান সোয়া ৬ টারদিকে বিয়ের জন্য বললে সে বিয়ে করতে পারবে না বলে অস্বীকার করিয়া বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম ছাত্রীর বাবা এমদাদুল প্রতিবেদককে বলেন, আমি অশিক্ষিত মানুষ। আমাদের এলাকার মুনসুর কাজীর সহযোগী আলম এসে বিয়ে রেজিস্টারি করে আমাকে যেখানে স্বাক্ষর দিতে বলে সেখানে আমি স্বাক্ষর দিই। এরপর আমি কয়েক বার তার কাছে গিয়ে বিয়ের নকল চাইলে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করে আমাকে নকল দেননি। এরমধ্যে স্থানীয়দের করা অভিযোগের জন্য গতকাল আমাকে ডাকলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে আমার মেয়েকে বিয়ে দিইনি বলতে বাধ্য করে। আমার মেয়েকে যদি বিয়ে না করে তাহলে সে তাকে ধর্ষণ করেছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনসুর রহমান বলেন, মামলার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে নাটোরের বনপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে চরের বাদামসহ অন্যান্য ফসল। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অপরিপক্ক বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা চরের বাদাম চাষীরা পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছেন।

চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিস ও চাষীরা জানান, চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে নতুন করে জেগে ওঠা চরে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বাদাম চাষ করেছিল বহু কৃষক। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা, কোচগ্রাম, বসন্তপুর, মালিপাড়া, ছোট চৌহালী-বড় চৌহালী, তেঘুরি, স্থল চর, মিস্রিগাতি ও লাঙ্গলমুড়া, উমারপুর ইউনিয়নের দত্তকান্দি, ছোল, উমারপুর, খাষকাউলিয়া, ঘোড়জান, সদিয়া চাঁদপুর, স্থল ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমচর এলাকা প্রায় ২ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বাদাম ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল কৃষকদের। আকস্মিক জোয়ারে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু এলাকার বাদামেখেত তলিয়ে যায়। এতে দক্ষিন ও পশ্চিমাঞ্চলের তিন শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারনে ওই এলাকার শতাধিক কৃষকেরা বড় ধরণের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।

সন্তোষা চরের আবুশামা, লোকমান হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, মোসছেদ আলী ও জয়নাল হোসেন জানান, অন্যান্য বছরে বাদামের বাম্পার ফলন দেখে এবার বেশি জমিতে চাষ করি। তবে আমাদের এলাকায় পানিতে তলিয়ে বহু জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারনে কোমর পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলতে হচ্ছে। এদিকে যমুনার পশ্চিম তীর এনায়েতপুরে দেখা যায়, পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদাম তুলে নদীর পাড়ে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম ছাড়াচ্ছেন। আবার কোথাও কোথাও তারা জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদাম রোদে শুকাচ্ছে। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্তোষা গ্রামের ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, কৃষকদের স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে গেছে, বাদামের জমি তলিয়ে যাওয়ায় বহু কৃষক এবছর লোকশানের মুখে পড়বে। সরকারী ভাবে তাদের সহায়তার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের উপহসকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুহুরাইয়া জানান, জানান, যমুনার চরাঞ্চলের বাদাম জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। অপরিপক্ক বাদাম তুলে বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে, সরকারী সহায়তা এলে দেয়া হবে। এছাড়া বিশেষ প্রণোদনার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, অসময়ে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী চর এলাকায় বাদামের জমি ডুবে গেছে। কৃষকেরা পানির মধ্যে নেমে ভেজা বাদাম সংগ্রহ করলেও সুফল পাবে না। অধিকাংশ বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদী এলাকায় প্লাবিত ধান, কাউন, তিল সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হবে তিনি উল্লেখ করেন।


আরও খবর



রাণীনগরে ২৯ হাজার কেজি চাল জব্দের ঘটনায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর এলাকার একটি গোডাউন থেকে ২৯টন সরকারি চাল জব্দ করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান জানান সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির চাল কয়েকজন ব্যবসায়ী কিনে উপজেলার আবাদপুকুর বাজারের কুতকুতিতলা এলাকার আমজাদ মন্ডলের মার্কেটের দুইটি ভাড়া করা গোডাউনে মজুদ করে রেখেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সহকারি কমিশনার (ভ’মি) শেখ নওশাদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওই দুই গোডাউন থেকে ৫০কেজির ৪৫৩বস্তা ও ৩০কেজির ২২২বস্তাসহ মোট ২৯টন ৩১০কেজি সরকারি চাল প্লাস্টিকের বস্তায় পাওয়া যায়। এ সময় গোডাউন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেশকিছু সরকারি বস্তাও পাওয়া যায়। অভিযানের সময় চাল ব্যবসায়ী ও গোডাউন মালিকরা পলাতক ছিলো। অভিযান শেষে শুক্রবার রাতে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে মজুদ করা হয়েছে। এই ঘটনায় গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলম বাবুকে প্রধান আসামী এবং আরো ৩/৪জনকে অজ্ঞাত করে উপজেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান আবাদপুকুর এলাকার কুতকুতিতলায় সরকারি বিতরণকৃত চাল ক্রয় করে মজুদ করা হয়েছে মর্মে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় উদ্ধারকৃত চাল জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন যেকোন ধরণের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সদাতৎপর রয়েছে। আগামীতেও অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



এদেশে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদ সেলিনা হায়াত আইভী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জ.ই. মামুন, সিনিয়র সাংবাদিক :

এদেশে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির (Clean image) রাজনীতিবিদ দলমত নির্বিশেষে হাতে গোনা কয়েক জন। তাদের মধ‍্যে সেলিনা হায়াত আইভী অন‍্যতম। তিনি নিজের দলের ভেতরের দানবদের সাথে যেমন লড়াই করেছেন তেমনি কাজ করেছেন সব দল মতের ভালো মানুষদের সাথে নিয়ে। দীর্ঘকাল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার পরেও তার সম্পর্কে দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির জোরালো অভিযোগ কখনো শুনিনি। সত‍্যি কথা বলতে এবং সঠিক কাজ করতে তাঁকে কখনো ভয় পেতে দেখিনি। তাঁর গ্রেপ্তারের খবর সুস্থ ধারার রাজনীতির জন‍্য অশণি সংকেত। এই যদি ভালো কাজের পরিণতি হয় তাহলে আগামীতে কেউ ভালো কাজ কেন করবেন! 

মানুষের মঙ্গলের জন‍্য কাজ করা, সততা স্বচ্ছতা এবং দেশপ্রেম বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করা এমন একজন মানুষকে মিথ‍্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। তবে আগের মতোই নারায়ণগঞ্জের নারী পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ কাল রাত থেকে তাঁর প্রতি যে সমর্থন ও ভালোবাসা দেখিয়েছে তাও অভূতপূর্ব। তাঁর বাড়ির সামনে কাল রাতে যত মানুষ জড়ো হয়েছিলো, টিভি টক শোতে গলা ফাঁটানো অনেক নেতার তথাকথিত অনকে রাজনৈতিক দল টাকা দিয়ে বা বিরিয়ানি খাইয়েও দেশের কোথাও এত লোকের একটা সমাবেশ করতে পারবে না। যে কোনো রাজনীতিবিদ আইভী আপাকে ঈর্ষা করতে পারেন। প্রতিকুল পরিবেশেও তাঁকে পালাতে হয় না, সরকার বা তার দোসরদের সাথে আঁতাত করতে হয় না, তিনি বীরের মতো বাঁচেন, জেলে গেলেও বীরের মতো যান।

সাংবাদিক হিসেবে আমি দীর্ঘদিন ধরে আইভী আপাকে দেখেছি, তাঁর কাজ দেখেছি, নারায়নগঞ্জের মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ দেখেছি। সব সময় আমার গভীর শ্রদ্ধা, সমবেদনা ও সহানুভূতি তাঁর জন‍্য। 


আরও খবর



ঝালকাঠিতে পুলিশ পরিচয়ে মারধর ও লুটের অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে বেঁধে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুটের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) ভোর রাত চারটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের  দক্ষিণ আনইলবুনিয়া গ্রামের বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও মালামাল লুট করা হয়।  এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান হারুন অর রশিদ (৬৫) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে বটতলা বাজারে ছয় শতাংশ জমি কিনে ছয়টি টিনের দোকানঘর তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন তিনি ও তার দুই ছেলে। এর পেছনেই বসতঘর তৈরি করে তারা বসবাস করছেন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই শ্যালক ফয়সাল ও একই গ্রামের ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এই লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ হারুনের। হারুন অর রশিদের ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, ভোরে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র হাতে বাড়িতে প্রবেশ করে অন্তত ১৫ জন দুর্বৃত্ত। প্রথমেই তারা পরিবারের সব সদস্যকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ঘরের মধ্যে থাকা ৫টি মুঠোফোন ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় বাইরে অবস্থান করা ৫০ জনের একটি দল তাদের ছয়টি দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে মালামাল, টিন ও কাঠ ট্রাক ভরে নিয়ে গেছে। ছয়টি দোকানের মধ্যে ছিল মুদির দোকান, চায়ের দোকান, কসমেটিকসের দোকান ও মুরগির দোকান।দুর্বৃত্তরা তাঁর ছোট দুই বোনকে ব্যাপক মারধর করেছে।

ঘটনার সময় ভোরের আলো ফোটেনি, কেবল ফজরের আজান হচ্ছিল। মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি ফয়সাল আহম্মেদ নামের একজনের কাছ থেকে বটতলা বাজারে ছয় শতাংশ জমি কেনেন নাসির খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী। গত ২২ এপ্রিল জমির দলিল করেই তাঁদের জমিকে নিজের কেনা সম্পত্তি দাবি করে উচ্ছেদের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন নাসির খান। মেহেদী হাসানের অভিযোগ নাসির খান তার ভাড়া করা লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।এ ব্যাপারে হারুন অর রশিদের শ্যালক ফয়সাল হোসেন বলেন, আমার পিতা আব্দুল গনি হাওলাদার আমাকে ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। আমি সবার ছোট হওয়ায় আমাকে লালন পালন করার জন্য আমার বোন রোজিনা বেগম ও তার স্বামী হারুন অর রশীদকেও ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। তিনি আমাকে লালন পালন তো করেননি বরং আমার ৬ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছেন। আমি বোন ভগ্নিপতির কাছে হাজার বার ধর্না দিয়েও জমি বুঝে পাইনি। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি এ জমি স্থানীয় নাসির উদ্দিনের নিকট বিক্রি করেছি। অভিযোগের বিষয়ে  নাসির খানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ৯৯৯–এ ফোন করা হলেও এক কিলোমিটার দূরের কাঁঠালিয়া থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে আড়াই ঘণ্টা পরে।

কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের বটতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির  সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) মো:সাইদুর রহমান জানান, বাজারের ব্যবসায়ী হারুন ও তার শ্যালকের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কে বা কারা ভাঙচুর করছে তা দেখেনি।

এই বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ওসি মং চেনলা বলেন, 'ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনবল কম থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হয়েছে।


আরও খবর