Logo
শিরোনাম

গেইমিং পিসি বানাতে যা করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

হারুন অর রশিদ:

গেমিং পিসি এবং সাধারণ পিসির মধ‍্যে একটি বড় ধরনের পার্থক্য হচ্ছে হার্ডওয়‍্যারের প্যারফর্ম্যান্স। একটি সাধারণ পিসিতে যেসব হার্ডওয়‍্যার থাকে সেগুলো একটি গেমিং পিসিতেও থাকে। তবে এগুলো অনেক বেশি শক্তিশালী এবং কার্যক্ষম হয়ে থাকে। তবে যদি একটি ভালো মানের গেমিং পিসি কেনার ইচ্ছে থাকে তাহলে ডেস্কটপ পিসিতে ঠিক কি ধরনের হার্ডওয়‍্যার ব‍্যবহৃত হয় সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। গেমিং পিসিতে যেসব হার্ডওয়‍্যারগুলো ব‍্যবহৃত হয় সেগুলো জেনে নিলে সহজেই গেমিং পিসি নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।

গেমিং পিসি তৈরি করতে যেসব উপকরণ প্রয়োজন হবে :

গেমিং পিসি তৈরি করতে লিস্টে রাখুন নিচের এই হার্ডওয়‍্যার গুলো:

প্রসেসর :

বাজারে সাধারণত দুই ধরনের গেমিং প্রসেসর পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে ইন্টেল এবং অপরটি হচ্ছে এএমডি (এডভান্সড মাইক্রো ডিভাইস)। বর্তমানে বাংলাদেশে দুই ধরনের প্রসেসর ডেস্কটপ পিসি তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। তবে প্রসেসর কেনার আগে তার প্রসেসর এর ক্লক স্পিড, ইন্টারফেস, কোর, ক‍্যাশ, হাইপার থ্রেড ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে

মাদারবোর্ড :

মাদারবোর্ড বলতে মূলত একটি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডকে বোঝায় যেখানে প্রসেসর, মেমরি ও এক্সপানশন হার্ডওয়‍্যার সংযুক্ত করা হয়। এর সাথে এক্সটার্নাল ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করার জন্য বিভিন্নরকমের পোর্ট ও সকেট থাকে। ভালো মানের মাদারবোর্ড নির্বাচন করতে হবে যাতে পরবর্তিতে প্রসেসর আপগ্রেড করা যায়। অন্যথায় প্রসেসর আপগ্রেড করতে হলে মাদারবোর্ড আপগ্রেড করা সম্ভব হবে না। মাদারবোর্ডের সাথে সিপিইউ ইন্টারফেস বা সকেট, চিপসেট, বায়োস এগুলো ঠিকভাবে কাজ করে কিনা তা চেক করে দেখতে হবে

গ্রাফিক্স কার্ড :

কম্পিউটারকে শক্তিশালী ও জটিল কাজ করতে গ্রাফিক্স কার্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রাফিক্স কার্ডের প্রধান এবং অন‍্যতম কাজ হচ্ছে দ্রুত ইমেজ জেনারেট করা এবং তা ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্রাফিক্স কার্ড পাওয়া যায় এর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ব্র্যান্ড হচ্ছে এমএসআই, ইন্টেল, গিগাবাইট, এনভিডিয়া ও এটিআই। গ্রাফিক্স কার্ড নির্বাচন করার সময় এর চিপসেট, মেমরি টাইপ, মেমরির পরিমাণ, ক্লক স্পিড ও আউটপুট ফিচার দেখে নিতে হবে। মেমোরী

মেমরী প্রত্যেক কম্পিউটারের জন্য প্রাইমারী কম্পোনেন্ট হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত পিসিতে দুই ধরনের মেমরীর ব্যবহার হয়ে থাকে র‍্যাম ও হার্ডডিস্ক। তাই গেমিং পিসির জন্য এর বিকল্প নয় তবে এই ধরনের পিসির জন্য র‍্যাম ১৬ জিবি ও স্টোরেজ এর জন্য এসএসডি বা সাটা নির্বাচন করা। যদি ফাইলের পরিমান বেশি হয় তাহলে বেশি স্টোরেজ এর প্রয়োজন হবে এর জন্য আলাদাভাবে এক্সটার্নাল ড্রাইভ ব্যবহার করা ভালো

মনিটর :

ভালো মানের একটি পিসি তৈরিতে ভালো মানের একটি মনিটর নির্বাচন করা জরুরী। গেমিং পিসির ‍জন্য বিদ‍্যুৎশক্তি কম খরচ, পাতলা বা বেজেললেস, হাই রেজ্যুলিউশন এর মনিটর নির্বাচন করতে হবে। ফুল এইচডি বা ৪কে রেজ্যুলিউশন এর মনিটর ব্যবহার করলে চোখের উপরে প্রভাব কম পরে এবং ভিজ্যুয়াল বস্তুকে বাস্তব সম্মত দেখায়। ফলে এই ধরনের মনিটরগুলো গেমারদের জন‍্যে বেস্ট চয়েজ হতে পারে। অপটিক‍্যাল ড্রাইভ

অপটিক‍্যাল ড্রাইভ বলতে সিডি, ডিভিডি, ব্লু-রে এর ড্রাইভকে বোঝানো হয়। এই ড্রাইভগুলো সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে- ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল। গেইম ডিভিডি রাইট করে রাখার জন‍্যে গেমারদের জন‍্যে অবশ্যই ডিভিডি রাইট থাকা জরুরি। তবে ভবিষ্যতের কথা খেয়াল রেখে ব্লু-রে ড্রাইভ কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে

মাউস ও কীবোর্ড :

গেমিং কম্পিউটার বা পিসির জন‍্যে ভালো মানের মাউস এবং কী-বোর্ড কেনা জরুরি। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা গেমার মাউস এবং কীবোর্ড নিয়ে বেশি কাজ করেন তাই এই কম্পোনেন্টগুলো ভালো কোয়ালিটির হতে হয়। সাধারণ পিসির চেয়ে গেমিং পিসির মাউস ও কী-বোর্ড এর দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হয়

ক‍্যাসিং :

কেসিং এর কাজ হচ্ছে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশগুলোকে সুরক্ষা প্রদান করা। ক্যাসিংয়ের মধ্যে মাদারবোর্ড স্থাপন করে অন্যান্য হার্ডওয়্যারগুলকে সেট-আপ করতে হয়। ক্যাসিংয়ের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মাদারবোর্ড সাপোর্ট, সিপিইউ এর উচ্চতা, পূর্বে ইনস্টল করা পাখার সংখ্যা ও প্যানেল এর ব‍্যাপারে

মন্তব্য :

গেমিং পিসি দিয়ে শুধু গেমিং করার জন্য ব্যবহার করা হয় না বরং অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও ইডিটিং, এনিমেশন ভিডিও তৈরি, থ্রি-ডি আর্কিটেকচার এরমতো আরো অনেক কাজে ব্যবহার হয়। তাই সকল বিষয় মাথায় রেখে কাজের ভিত্তিতে ডেস্কটপ পিসি বিল্ড করতে হবে


আরও খবর

৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ইমো

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪

সফটওয়্যারের কৃত্রিম পরিবেশনা

সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪




সরকার কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি।‌

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে এটি জানানো হয়।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনারা জানেন ছাত্রলীগকে সরকার নিষিদ্ধ করেছে। তবে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আয়নাঘরের একটি প্রতিরূপ নির্মাণ করা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথমবারের মতো গণভবন পরিদর্শন করে এ অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, গণভবনকে জাদুঘর করার পাশাপাশি আয়নাঘরের একটা রেপ্লিকাও এখানে করা হবে।

শেখ হাসিনার অডিও রেকর্ড ফাঁস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অডিও রেকর্ড না শুনে বলতে পারব না। ডিপ ফেকের মাধ্যমে অনেক সময় কণ্ঠ নকল করা যায়।

রাষ্ট্রপতি অপসারণ প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি ইস্যু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে।

প্রসঙ্গত, আজ‌ উচ্চ আদালতে আওয়ামী লীগকে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম এ‌ রিট দায়ের করেন।


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




কদমতলী ষ্টিল মার্কেট ব্যবস্যায়ীদের উপর হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

কদমতলী জালালাবাদ আয়রন ষ্টীল এন্ড মেশিনারিজ মার্কেট ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও দোকানে লুটপাটের  প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ীরা।  রোববার সকালে মার্কেট প্রাঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জালালাবাদ আয়রন ষ্টীল এন্ড মেশিনারীজ মার্কেট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মার্কেট কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মোঃ শাহ্ আলম বলেন, ভূমিদস্যু ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মতিন, জুয়েল, গোলাম সরোয়ার মামুন এর নেতৃত্বে আক্তার মেম্বার জসিম চেয়ারম্যান, মাসুদ ডাবলুসহ ১০/১৫জন সন্ত্রাসী নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় মার্কেটে প্রবেশ করে মার্কেটের মালামাল লুট মার্কেটের দেয়াল ভাঙচুর করে জায়গা দখল করার চেষ্টা করে।

এসময় তাদেরকে বাঁধা দিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে এলোপাতারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে মার্কেট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান মার্কেট কমিটির প্রধান সমš^য় মোঃ শাহ্ আলম, ইউসুফ, আল আমিন, জামাল হোসেন, হযরত মেম্বারসহ ১০/১২ জন আহত হয়। এসময় ব্যবসায়ীদের দোকান থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন- বিগত ১৭ বছর যাবৎ এ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি ও লুটপাট করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরও লুটপাটের লোভ সামাল দিতে না পেরে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিলম্ভে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। 


এসময় বক্তব্য রাখেন মার্কেট সমš^য় কমিটির উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিন্টু, মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, ফয়সাল আহমেদ তুহিন, মোঃ মজিবুর রহমান,মোঃ ফারুক প্রমুখ। পরে ব্যবসায়ীরা মার্কেটে বিক্ষোভ মিছিল করেন।


কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান বলেন, জালালাবাদ আয়রন ষ্টীল এন্ড মেশিনারিজ মার্কেট ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও দোকানে লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অচিরেই আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁর রাণীনগরে মুক্তা উৎপাদনে মাঠ দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্বাদু পানিতে ঝিনুকের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন প্রদর্শনী প্লটের ফলাফল প্রদর্শনের জন্য মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নওগঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা স্লুইচ গেট স্থানে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমীর বাস্তবায়নে জেলা সদর, রাণীনগর, আত্রাই ও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ''নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ (আরএমটিপি)'' শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় এই ঝিনুক চাষের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মাঠ দিবসে উন্মুক্ত ২০০০ হাজার ঝিনুক থেকে মুক্তা আহরণ করা হয়। আগ্রহী ঝিনুক চাষীদের মৌসুমী আরএমটিপি প্রকল্প থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠ দিবসে পিকেএসএফ-এর আরএমটিপি প্রকল্পের সমন্বয়কারী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরএমটিপি প্রকল্পের সহকারী মহাব্যস্থাপক (কার্যক্রম) মোহাম্মদ আবু আল বাতেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ, উপ-নির্বাহী পরিচালক এরফান আলী, উপ-সহকারী পরিচালক (কর্মসূচি) লিয়াকত আলী, মৌসুমী আরএমটিপি প্রকল্পের ভিসিএফ ফিরোজ হোসেন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন অফিসার আব্দুর রউফ পাভেল, ঝিনুক চাষি মোজাক্কির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, মুক্তা চাষী, আগ্রহী সদস্যরা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা মুক্তা উৎপাদন একটি সম্ভাবনাময় একটি খাত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি খুব সহজেই ঝিনুকের মাধ্যমে মুক্তা চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। দিন দিন দেশসহ বিদেশে মুক্তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উদ্যোক্তা হয়ে মুক্তা উৎপাদন করে নিজে যেমন লাভবান হওয়া সম্ভব তেমনি ভাবে এই মূল্যবান উপকরনটি বিদেশেও রপ্তানী করে অনেক বৈদেশিক মুক্তাও অর্জন করা সম্ভব। তাই শুধু পুকুরেই নয় চাষের ঝিনুক চাষের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে বাড়ির পাশে থাকা যে কোন ডোবা কিংবা খালেও মুক্তা উৎপাদন করে লাভবান হওয়া সম্ভব।


আরও খবর



শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ঘৃণা করতেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির :

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহ্বায়ক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ঘৃণা করতেন। সে কারণে মানুষের মনেও তার জন্য এতো ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, যার ডাকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার মেয়ে পালিয়ে গেছে। কেন পালিয়ে গেছে? সে যা করেছে না পালালে তাকে ধরে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে তারপর ওই ছাই বিক্রি হতো। এক চিমটি ছাই কেনা হতো লাখ লাখ টাকা দিয়ে। শেখ হাসিনার মৃত্যুর ছাই স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতো সবাই। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে রোজ গার্ডেন চাইনিজ রেস্তোরাঁয় জেলা যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ বছর দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছিল। গুম খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এজন্য বাংলার বীর জনতা তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এই লুটপাট আর গুম খুনের  রাজত্ব চিরদিনের জন্য বন্ধ করে জনগনের জন্য কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবিপার্টি। ওইদিন জেলা সদস্য সচিব চৌধুরী এম এ সাকিব এর সঞ্চালনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে এবি পার্টিতে জেলায় বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার  শতাধিক লোকের এবিপার্টিতে যোগদান করেন। এ সময়  বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, জেলা যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: ইমরান হোসেন রাকিব, রামগতি উপজেলা সমন্বয়ক মাওলানা সোহেল। সদর উপজেলা সিনিয়র নেতা মো: জাহিদ হাসান।


আরও খবর



রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত রোহিঙ্গা সংকটকে একটি তাজা টাইম বোমা হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীর একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে ড. ইউনূস বলেন, পুরো বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো, এই তাজা টাইম বোমা, এটি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে

যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের হাতে নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিষয়টি উত্থাপন করতে থাকব। মালয়েশিয়া আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন এক বিষয় যা আমাদের যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি মালয়েশিয়ার জন্যও একটি সমস্যা। সেখানে অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা রয়েছে

ড. ইউনূস বলেন, এটি বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, মালয়েশিয়ারও সমস্যা। আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং আমরা আসিয়ান, মালয়েশিয়ার সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করব

রোহিঙ্গা সংকটের দুটি দিক তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, গত ৭ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বছরে গড়ে ৩২ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজারে অবস্থিত আশ্রয় শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা তরুণদের একটি পুরো নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। এটি ক্ষুব্ধ তরুণদের একটি প্রজন্ম। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমি এই উদ্বেগের কথা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একটি আন্তর্জাতিক সমাধান খুঁজতে আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে মালয়েশিয়া

সূত্র: বাসস


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪