Logo
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মে) দলটির সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিটি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে যাবে।

দলীয় সভাপতির পক্ষ থেকে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সহযোগিতার নামে ফটোসেশন করে বিএনপি। তারা মানবিক কোনো কাজ করে না। বিএনপির সঙ্গে নীতিগত অনেক পার্থক্য রয়েছে আওয়ামী লীগের।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি রোববার রাত ৮টার দিকে উপকূলে আঘাত করে।

এই ঝড়ের প্রভাবে গতকাল থেকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ভোলা, চট্টগ্রামে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বরিশালের রূপাতলীতে দেয়াল চাপায় মারা গেছেন দুজন।

সোমবার (২৭ মে) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা যান সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামের এক পথচারী।


আরও খবর



অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের শুল্ক জিরো করে দিয়েছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের ডিউটি (শুল্ক) জিরো করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়লেও জিনিসপত্রের দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। আপনি ছাড়টা দেখবেন। মূল্যস্ফীতির মূল ওয়েটের ইন্ডিকেটরগুলো হলো- চাল, ডাল এগুলো; সেটা আপনারা জানেন। আমরা যেসব জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছি এগুলো আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, তিন তারকার ওপরে যে রেস্টুরেন্টগুলো সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ভাতের রেস্টুরেন্ট বা অন্য রেস্টুরেন্ট থেকে তো যাবে না। থ্রেসহোল্ড আছে, যাদের টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার ওপরে, তাদের ক্ষেত্রে এটা আসবে। অন্য কোনো ব্যবসা তো এটার মধ্যে আসছে না।

বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে কী ভ্যাট বাড়ছে— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০০ টাকা ছিল সেটি এখন ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিমানে এখন লোকজন মোটামুটি চড়ে। তারা ২০০ টাকা বেশি দিতে পারবে না বলে মনে হয় না। এগুলো মার্জিনাল। পৃথিবীর যে কোনো দেশ যেমন নেপাল-ভুটান ধরেন, এত লো ট্যাক্স কোথাও নেই। সব জিনিসের দাম ওপরে। এসেন্সিয়াল জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় বলেছি, সেখানে আমরা প্রায় জিরো করে নিয়ে আসব। চূড়ান্তভাবে ভোক্তা ১৫ শতাংশ ট্যাক্সও দিচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঁচ মাস পরে এই সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছে— এ বিষয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা করার কারণটা হলো যে ছাড় দিয়েছি, সেটা হিসাব করে... কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের রাজস্ব গ্যাপ এত বেশি, আমি তো আর বড় করে ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে এগোতে পারব না।

আইএমএফের পরামর্শে এটি করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, সবদিক চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হয় না কষ্ট হবে। জনগণের স্বস্তি না পাওয়ার তো কোনো কথা না।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইটি খাতে আমরা বরাদ্দ কমাব না বরং বৃদ্ধি করব। কিন্তু আমাদেরকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। ধার করে বেশিদিন চলা যায় না।

ট্যাক্স এবং কাস্টমস ক্ষেত্রেও কি রাজস্ব বাড়তে পারে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলব না।

নতুন বছরে অর্থনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান— এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি মোটামুটি স্ট্রং তো হয়েছে, এখন দরকার স্থিতিশীলতা। আমি বলব না, সব ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করছে, কিছু দুর্বল ব্যাংককে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




ফের একসঙ্গে খেলবেন মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্লাব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ত্রয়ী– ‘এমএসএন’। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও লুইস সুয়ারেজের সেই আক্রমণত্রয়ী যেকোনো ক্লাবের জন্য ছিল আতঙ্কের নাম। নানা ঠিকানা বদলের পর মেসি ও সুয়ারেজ ফের একসঙ্গে খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। তবে এখনও বিচ্ছিন্ন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। পুরোনো দুই বন্ধুর সঙ্গে আবারও একত্রে খেলতে পারেন বলে তিনি নতুন করে আভাস দিয়েছেন!

গত বছর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল— সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ছেড়ে এই সেলেসাও তারকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবেন। মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে এমএলএসের ক্লাবটিতে তার পুনর্মিলন নিয়ে আগ্রহও দেখিয়েছেন ভক্তরা। তবে সেই আলোচনা চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি। আবারও সেই প্রসঙ্গ উঠেছে নেইমারের সামনে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন স্পোর্ট ফের ‘এমএসএন’-ত্রয়ী দেখা যাবে কি না সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল।

জবাবে নেইমার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই মেসি এবং সুয়ারেজের সঙ্গে একত্রে খেলতে পারা অবিশ্বাস্য কিছু। তারা আমার বন্ধু। আমরা এখনও পরস্পরের সঙ্গে কথা বলি। সেই ত্রয়ী-আক্রমণ (এমএসএন) আবারও পুনরিজ্জীবিত করা খুবই উপভোগ্য হবে। আমি আল-হিলালে খুশি, সৌদি আরবে ভালো আছি। তবে কে জানে, ফুটবল তো বিষ্ময় ও চমকে পরিপূর্ণ।’

পিএসজি ছেড়ে কেন সৌদি ক্লাবকে বেছে নিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান, ‘যখন আমার পিএসজি ছাড়ার খবর প্রকাশিত হয়, সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সফার (দলবদল) উইন্ডো বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমার হাতে কোনো বিকল্প সুযোগ ছিল না। পরে আমাকে তারা (সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল) যে প্রস্তাবনা দেয়, সেটি খুব ভালো ছিল। শুধুমাত্র আমার জন্য নয়, আমার পরিবারের জন্যও। তাই সৌদি আরবে যাওয়া ছিল সবচেয়ে ভালো বিকল্প।’

মেসি-সুয়ারেজের চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট নেইমার, তবে বেশ কয়েক বছর বার্সায় একত্রে তিনজনের আক্রমণ-ত্রয়ী অন্যরকম বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা গড়ে দিয়েছিল। তবে নেইমার আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার তাদের চেয়েও আরও দীর্ঘায়িত করার সুযোগ পাচ্ছেন। দুই ল্যাটিন আমেরিকান তারকা মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গেও এমএলএসের ক্লাব মায়ামির চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সাল (পুরো বছর) পর্যন্ত। অন্যদিকে, আল-হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে।

প্রসঙ্গত, বয়সে ছোট হলেও, নেইমারের ক্যারিয়ার ইনজুরিতে জরাজীর্ণ। এক বছরেরও বেশি সময় ইনজুরিতে কাটানোর পর গত অক্টোবরের শেষদিকে মাঠে ফিরেছিলেন আল-হিলালের এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে আবারও তিনি চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন। ফলে নতুন বছরের আগে তিনি আর ক্লাবটির জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি। সম্প্রতি আল-হিলালের হয়ে প্রীতি ম্যাচে নেমে অবশ্য গোল পেয়েছেন নেইমার। ক্লাবটিতে তিনি আর কতদিন থাকবেন কিংবা তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে সেটি সময়ই বলে দেবে!


আরও খবর



চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ সময় পর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সবশেষ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তিনি বিদেশ সফর করেছিলেন। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া চিকিৎসকের পরামর্শে আজ (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা করবেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বহন করার জন্য এরই মধ্যে কাতার আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো অত্যাধুনিক আইসিইউ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বহনকারী স্পেশাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিরতি শেষে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় যুক্তরাজ্যের হিতথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করবে। সেখানে তিনি ভিআইপি প্রটোকল পাবেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লন্ডন ক্লিনিক বলে একটা পুরোনো ঐতিহ্যবাহী হসপিটাল আছে। সেই হসপিটালে এটি এনএইচএস-এর অধীন একটি হসপিটাল। সেখানে তাকে (খালেদা জিয়া) ভর্তি করা হবে। হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উনাকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই হসপিটালে উনি চিকিৎসাধীন থাকবেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানান, ১০ জানুয়ারি রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হবেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।

খালেদার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। দলীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।


আরও খবর



ঢাবিতে থাকছে না মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনি কোটা

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা এবং খোলোয়াড় কোটা বাতিলের জন্য আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের ‘সন্তানদের’ জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) রেজিস্ট্রারকে -মেইলে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশ পাওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক কর্মকর্তারা সব গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।

নোটিশে আরও বলা হয়, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে হতে হবে এবং অন্য কোনো মানদণ্ডে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সাধারণত বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী এবং অযৌক্তিক। কোনো বৈধ রাষ্ট্রীয় উদ্দেশ্যের সঙ্গে এর কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।

মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি উল্লেখ করে এতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য সরকারি, আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে মাত্র শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এই রায় প্রয়োগ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটায় ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করা সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি।

পোষ্য কোটা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (০৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী বা শিশুদের অনুকূলে বা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের উন্নতির জন্য বিশেষ বিধান করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা সেই মানদণ্ড পূরণ করে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ড বা পোষ্য কোটায় শতাংশ সংরক্ষণ করা বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী অযৌক্তিক।

এছাড়া খেলোয়াড় কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, খেলোয়াড়দের কোটায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ বিভাগের অধীনে পড়ে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কোটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসচাপা : চালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের চার জনসহ মোট ছয় জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসচালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাস দুর্ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে সামনে থাকা গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় প্রাইভেটকারের ভেতরে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন একজন। বাকিদের ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যান।


আরও খবর