Logo
শিরোনাম

গজারিয়ায় হোসেন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

শাহদাত হোসেন সায়মন :

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি এটা নিশ্চিত করতে হবে। 

খেলাধুলাসহ সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা সৃষ্টিশীল প্রজন্ম গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। খেলাধুলা মানসিক বিকাশ ও শরীর গঠনে সহায়তা করে। ক্রীড়ার মাধ্যমে খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব তৈরির দ্বার উন্মুক্ত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। 

গতকাল শনিরবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার   হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা  বলেন, মাদক সন্ত্রাস ইভটিজিং জঙ্গিবাদ থেকে নিজেদের সন্তান এবং নিজেদেরকে বাঁচিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুস্থ দেহের জীবন-যাপন করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিত। লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে মনযোগী হতে হবে।  নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় গজারিয়া উপজেলার  হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ  বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২৩ইং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার  সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী বিদ্যালয় মাঠে এই বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস ,উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা।

পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা আওয়ামীলীগে যুগ্মসম্পাদক, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যাপক ডাঃ মাজহারুল হক তপন,

 এর সভাপতিত্বে এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো খবিরুল আলম, এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি  গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ,  গজারিয়া থানা  ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি, জেলা পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান খান,হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু,বাউশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর প্রধান,টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ফরাজি,  , গুয়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন, ইমামপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু, বালুয়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল সরকার,সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন,  সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব হোসেন সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগন । ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ।

উপস্থিত সবাইকে  সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে চোরাই গরু উদ্ধার সহ চোর-চক্রের ৪ জন সদস্য আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় চোরাই ৪ টি গরু উদ্ধার সহ আন্তঃজেলা চোর-চক্রের সক্রিয় ৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ রাশিদুল হক মহোদয় এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাদেবপুর সার্কেল মহোদয় এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে নওগাঁর আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের নিকট থেকে ৪ টি চোরাই গরু উদ্ধার সহ চোরাই গরু পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করেন পুলিশের চৌকস অভিযানিক টিম।

বুধবার দিনগত রাতে নওগাঁ ও নওগাঁর পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই ৪ টি গরু উদ্ধার সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় ৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেন নওগাঁ পুলিশের চৌকস টিম। এসময় চোরাই কাজে ব্যবহারীত একটি পিকআপ জব্দ করেন পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত ৪ গরু চোরকে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ। 


গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংপুর গ্রামের গোলম মোস্তাফার ছেলে ইমরান হোসেন (২৯), নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার গোনা-উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত বাছেদ এর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) ও পাকুরিয়া-বড়পুকুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন এর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩২) এবং বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার পশ্চিম সিংড়া গ্রামের মৃত ছলিম মণ্ডল এর ছেলে চুরিকাজে ব্যবহারীত পিকআপ চালক হারুন অর রশিদ হারুন (২৮)।

সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁর আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে আত্রাই থানা এলাকার কাসুন্দা গ্রামের জাকির হোসেন এর ৫টি গরু এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি দাড়িয়াগাঁথী গ্রামের আব্দুর রহমান এর ৩টি গরু চুরি হয়। এ ঘটনায় আত্রাই থানায় চুরির মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর নওগাঁর সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় বুধবার দিনগত রাতে নওগাঁ ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ টি গরু উদ্ধার সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।



আরও খবর



সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

সোমবার ২০ মার্চ সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর আয়োজনে ও  সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম এর সার্বিক তত্তাবধানে সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দিন ব্যাপি 

ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এউপলক্ষে আয়োজীত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তরফদার। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান, মহাদেবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র ও মহাদেবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এর একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ ফরিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষা অফিসার (অবঃ)  এস এম আফাজ উদ্দিন, শিক্ষক (অবঃ) আব্দুস সামাদ তরফদার সহ সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সুধীজন সহ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।  

ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় (বিভিন্ন খেলায়) অংশ গ্রহনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিকেল ৩ টায় পরুস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এরপর সারে ৩ টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গান, নৃত্য, কৌতুক পরিবেশন করেন ঐ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিকেল সারে ৬টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক সহ এলাকার হাজারো নারী, পুরুষ ও শিশুরা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।


আরও খবর



কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের ইফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ২০জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরের রাজগঞ্জ ক্যাপসিকাম পার্টি সেন্টারে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি একাত্তর টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক ফারুক এর সভাপতিত্বে ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল আবু নাসের।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার,জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ,প্যানেল মেয়র হাবিবুল আল আমিন সাদী, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু,জেলা জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব ওবায়দুল হক মোহন ।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নিউজটোয়েন্টিফোর টিভির হুমায়ুন কবির জীবনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তৃতা করেন-কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শিরোনাম সম্পাদক নীতিশ সাহা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার গোলাম কিবরিয়া,সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান, পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম,ফটোসাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস,মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু,উদিচীর সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকীসহ আরো অনেকে।

 উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি সময় টিভির বাহার রায়হান,সাংগঠনিক সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জাহিদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ইনডিপেডেন্ট টেলিভিশনের তানভীর দিপু,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাই টিভির আবু মুছা, নির্বাহী সদস্য –এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান খালেদ সাইফুল্লাহ, ডিবিসির নাছির উদ্দিন চৌধুরী,আনন্দ টিভির সৈয়দ আহসান হাবীব পাখী, দেশটিভির সুমন কবির,এশিয়ার টিভির আজিজুল হক,এখন টিভির মাসুদ আলম,এসএ টিভির রফিকুল ইসলাম,বিজয় টিভির হুমায়ুন কবির মানিক,চ্যানেল এস টিভির রাজিব সাহাসহ আরো অনেকে।

পরে প্রয়াত সাংবাদিকদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কান্দিরপাড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারি মো: ইব্রাহিম ।

ইফতার ও দোয়ায় জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।


আরও খবর



বাগেরহাটে মানুষের সাথে বন্ধুত্ব কাক পাখির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: 

আধুনিক পৃথিবীতে আস্থা বা বিশ্বাসের জায়গা থেকে প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠা কঠিন। খুব সহজেই মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে তার প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু পশু পাখি একবার কাউকে বিশ্বাস করলে সহজে তাকে ছেড়ে যায়না। বাগেরহাটের মোংলায় এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়ে সাড়া ফেলেছে একটি কাক পাখি। তারেক বিন সুলতান নামে এক যুবক বছর খানেক আগে আহত অবস্থায় একটি কাক পাখিকে বাসায় নিয়ে আসেন। সুস্থ হওয়ার পর সেই কাক বন্ধু হয়ে তারেকের বাসায় থেকে যায়।

জানা যায়, কালো কাক পাখি আলাদা আলাদা মানুষের মুখের আকৃতি মনে রাখতে পারে। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের অনুকরণ করার পাশাপাশি কাক মানুষকে অনুকরণ করতেও পারে। কাক সাধারণত সারা জীবন একই সঙ্গীর সাথে থাকে। তবে খুব সহজে পোষ না মানা কাক পাখিই কিনা এবার মানুষের বন্ধু হয়ে গেলো।

মোংলা পৌর শহরের জয়বাংলা সড়কের বাসিন্দা মোঃ সুলতানের ছেলে তারেক বিন সুলতান প্রায় এক বছর আগে একটি কাকের বচ্চা পাখিকে তাদের গাছের নিচে দেখতে পান। সেটির কাছে গিয়ে তিনি দেখেন বাচ্চা কাক পাখিটি খুবই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর বাসায় নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন তিনি। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যে পাখিটি সুস্থ হয়ে ওঠে।

তবে তারেক ভেবেছিলেন সুস্থ হওয়ার পর পাখিটি তার আপন ঠিকানায় ফিরে যাবে। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। পাখিটির সঙ্গে তারেকের ভাল বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে কারণে প্রায় এক বছর হলেও কাক পাখিটি তারেককে ছেড়ে যায়নি।

তারেক বিন সুলতান এসব কথা জানিয়ে এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, ‘মানবিক দায়িত্ব থেকে আহত কাক পাখিটিকে চিকিৎসা দেই। তবে বন্ধুত্বের ব্যাপারে ভাবিনি। কাক পাখিটি প্রায় এক বছর ধরে আমার সঙ্গেই আছে। আমি তাকে সিদ্ধ ডিম, মাছ ও মাংস খেতে দেই। সারাদিন আকাশে ঘুরে বেড়িয়ে ও আবার আমার বাসায় চলে আসে’।

কাক পাখির সঙ্গে তারেকের বন্ধুত্বের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায় তারেকের মুখে কোন খাবার নিয়ে কাকটিকে খেতে দিলে সে তার মুখ থেকে সেই খাবারও খাচ্ছে। এমনকি তারেকে কোথাও গেলে কাক পাখিটি তাকে অনুসরণ করে।

তারেক বলেন, তিনি পাখিটিকে আটকে রাখতে চাননা। বরং উড়ে যাওয়ার জন্য পাখিটিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি। সে বিশ্বাস করেন স্বাধীনতার মধ্যে এই প্রকৃত বন্ধুত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘যে কোন বন্যপ্রানীরা সবসময় তার নিরাপদ সেফটি এবং খাদ্য চায়। এটা যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে তারা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়’। এছাড়া কাক সবসময় পুরোপুরি বিশ^স্ত হয়না, তারা কখনও কখনও অন্যান্য মানুষের সাথে মিলিত হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন-কাক একটি স্মার্ট পাখি যা অন্য একটি কাক সেখানে মারা যাওয়ার পরে সম্ভ্যাব্য হুমকি খুঁজতে সেই অঞ্চল তদন্ত করতে থাকে। তারা অন্য কাকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে যদি তারা বুঝতে পারে যে কখনও নির্দিষ্ট মানুষ বিপদজ্জনক। 


আরও খবর



নওগাঁয় ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ, সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা..!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মোঃ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশের সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সাবেক অভিভাবক সদস্য মোঃ মাসুদ করিম সরদার বাদী হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন হইলে ১৯৮৭ সালে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে অন্যান্য নিয়োগ প্রার্থীদের সাথে তিনি নিয়োগের জন্য আবেদন করেন এবং নিয়োগ বোর্ডকে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অন্য নিয়োগ প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ৩ জানুয়ারি ১৯৮৭ সালে চকুিরিতে যোগদান করে সরকারী সকল ভাতা গ্রহন করেন।


অভিযোগে বাদী মাসুদ করিম সরদার আরও বলেন, তিনি ২০১৮ সালে ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য হয়ে ওই শিক্ষকের কাগজপত্রে অমিল দেখিতে পায়। তার জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ১৯৬৩ সালের ১ মার্চ। তিনি ১৯৭৫ সালে দাখিল পাশ করেন। তার জন্ম তারিখ থেকে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করেন। এরপর তিনি ১৯৭৮ সালে আলিম পাশ করেন। আলিম পাশের ১ বছর পর ১৯৭৯ সালে তিনি ফাযিল (ডিগ্রি) পাশ করেন এবং কামিল পাশ করেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু ওই পদে চাকুরির জন্য কামিল পাশের সার্টিফিকেট আবশ্যক ছিলো।


এবিষয়ে মাসুদ করিম সরদার বলেন, আমি ২০১৮ সালে অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেন। পরবর্তীতে এবছরের ৫ ফেব্রুয়ারী অন্যান্যদের সামনে তার কাগজ পত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন এবং এ কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে। এরপর ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে সাথে নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করলে আদালতে মামলা দায়ের করি। আমি ওই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

যেখানে ১০ বছর লেখাপড়া করার পর ১১ বছরে দাখিল পরীক্ষা হয় সেখানে আপনি কিভাবে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করলেন? সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তখন মাদ্রাসা লাইনে ১২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম ছিল। 


আরও খবর