Logo
শিরোনাম

গজারিয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

জুয়েল দেওয়ান :- মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত উপজেলার বড় ভাটের চর ও মধ্য ভাটের চর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও ইট পোড়ানো লাইসেন্স না থাকা এবং জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ব্যতিত ইট তৈরির জন্য ইটভাটায় মাটি সংগ্রহ করায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস নামের ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন( নিয়ন্রন) আইন এর ২০১৩ এর ১৪ ও ১৫ ধারায় ৭ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের মোবাইল কোর্ট পরিচালিত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও একই অভিযানে মেসার্স এনএনএম ব্রিকস ফিলকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতীত ইট পোড়ানো দায়ে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইনের ২০১৩ এর ১৫(খ) ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করায় ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করেন পরিবেশের স্পেশাল মোবাইল কোর্ট পরিচালিত বিচারক।

এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটি জরিমানা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস এর ম্যানেজার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মেসার্স এনএন এম ব্রিকস ফিল্ড এর মালিক বেগম নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির করার নির্দেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশের অপর স্পেশাল ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান ও সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ সানোয়ার হোসেন এবং গজারিয়া থানা ও পুলিশ লাইনের দুটি পুলিশ দল।

এ ব্যাপারে পরিবেশের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি মোঃ জাকির হোসেন জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ইট পোড়ানোর দায়ে দুই ইট ভাটা কে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।


আরও খবর



নতুন পরিস্থিতির আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আজ থেকে নতুন পরিস্থিতি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেছেন, রাতেই (গতকাল) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমি ডেকেছি। আমরা বসে বিশেষ পরিকল্পনা নির্ধারণ করব।

রবিবার মধ্যরাত ৩টার দিকে রাজধানীর বারিধারার ডিওএইচএসে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশ থেকে স্থানান্তর হওয়া টাকা ফিরিয়ে এনে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। এদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি কাল (আজ) থেকে তারা টহল কার্যক্রম কঠোরভাবে জোরদার করবে। তারা যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাদের বিরুদ্ধেও আমি অ্যাকশন নেব। দেশবাসীকে আশ্বস্থ করতে চাই, আজ সকালে পরিস্থিতি দিনে দিনে আরো উন্নতি হবে। অবনতি হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলমান রয়েছে। একটি মোটরসাইকেলে যাতে দুজনের বেশি আরোহী চড়তে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, হেলমেট ছাড়া কাউকে মোটরসাইকেলে চলতে দেওয়া হবে না।

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির দায়ে তার পদত্যাগ করা উচিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপনারাই বলুন পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে কি না!

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে। শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাওয়ারই অবস্থা ছিল না। বর্তমানে পুলিশ বিজিবি-আনসার অনেক সক্রিয় ভূমিকা রাখছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




নিখোঁজ ৩৩০ জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গুমের শিকার হওয়ার পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩০। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী। রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জন ব্যক্তির অবস্থান বা ভাগ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

দেশ থেকে গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি ভারতের কারাগারে আছে কিনা তা অনুসন্ধান করে দেখবে গুম সংক্রান্ত কমিশন। ইতিমধ্যে ভারতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি বন্দিদের তালিকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত এক হাজার ৬৭ জনের বন্দির তালিকা দিয়েছে। সেই তালিকায় গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি আছে কিনা তা মিলিয়ে দেখছে কমিশন।

বিচারপতি (অব.) মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ভারত এক হাজার ৬৭ জনের একটি তালিকা দিয়েছে, সেটি গুম সংক্রান্ত কমিশন মিলিয়ে দেখছে, সেই তালিকায় গুম হওয়া কোনো ব্যক্তি আছে কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এই তালিকা ভারত আরও দেবে।

এর আগে তিনি বলেন, ধামরাই থেকে গুম হওয়া মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে গত ২২ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশন অনুসন্ধান করছে।

তবে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছ থেকে আগস্টের পর ভারত বাংলাদেশে পুশইন করা ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ হতে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে কোনো গুমের শিকার ব্যক্তির নাম এখনো পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, কমিশনে ১ হাজার ৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১০০০টি অভিযোগ ও তার সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রের যাচাই-বাছাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনে ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় পুলিশের অভিযানে ৩ জন ডাকাতসহ ৪ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক অভিযানে ৩ জন ডাকাতসহ মোট ৪ জনকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সোনাইচন্ডি হাটে মহিষ বিক্রি শেষে নয় জন ভটভটিযোগে ফেরার পথে নওগাঁ জেলার সাপাহার থানা মাইপুর খারী সংলগ্ন ব্রিজের পাশে রাস্তার উপর নয়-দশ জনের একটি ডাকাত দল তাদের পথ রোধ করে। এ সময় দুই তিনটি মাঝারি আম গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভটভটির যাত্রীদের নামিয়ে তাদের কাছে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে ভটভটির যাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা লুট করে নেয়। ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হলেও ডাকাতির পর থেকেই জেলার নিয়ামতপুর থানার পরানপুর বড়াইল গ্রামের বিদেশ পাহানের ছেলে বিকাশ পাহান ও দামপুরা রাজবংশী পাড়া গ্রামের ইন্দ্র বর্মনের ছেলে জয় কুমার পলাতক ছিল। পরবর্তীতে নিয়ামতপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতরাতে তাদের আটক করেন পুলিশ। অপর ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে আত্রাই থানার দাড়িয়াগাথী গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্রী নান্টু কুমার আত্রাই নতুন বাজারে অবস্থিত তার জুয়েলার্স থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে আহসানগঞ্জ হাটের দক্ষিণ পাশে মালাধর ব্রিজের উপর পৌছে। এ সময় পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে এসে ৫ জনের ডাকাত তার মাথায় আঘাত করে পথ রোধ করে তার হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সূত্র ধরে ডিবি পুলিশের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী আহসান রাজকে মান্দা থানার ফেরিঘাট থেকে গতকাল আটক করেন। পৃথক একটি অভিযানে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মান্দা থানার দেলুয়াবাড়ি বাজারে যোগী মন্ডবের সামনে হতে ২০ গ্রাম হিরোইনসহ দেলুয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মেহেদী হাসান পাইলট নামে এক জনকে আটক করেন।


আরও খবর



প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করে  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে বেড়েছে ধর্ষণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মানসম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বাদ পড়ছে না একরত্তি শিশুও।

সমাজের অস্থিরতার এই সময়ের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা -এ কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে পিটিয়ে আহত ও ধর্ষণ করা হয়। ওই নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর ওই নির্যাতন চালিয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেছেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে।

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃতিতে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক বিহব্বল পরিবার, নিকটজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর



রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিনের আমল (মাগফিরাতের ১০ দিন)

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

১. তওবা ও ইস্তিগফার বৃদ্ধি করা

রমজানের দ্বিতীয় দশক হলো মাগফিরাত বা আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিশেষ সময়। এই সময়ে আমাদের উচিত আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তাঁর দরবারে প্রার্থনা করা।

তওবা করার পদ্ধতি:

প্রথমে নিজের কৃত গুনাহ সম্পর্কে অনুতপ্ত হওয়া

সত্যিকারের মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

ভবিষ্যতে ওই গুনাহ পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা

যদি গুনাহের কারণে কারো প্রতি অন্যায় করা হয়ে থাকে, তবে তাকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া বা তার হক ফিরিয়ে দেওয়া

ইস্তিগফারের দোয়া-

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’আফু ‘আন্নি।

অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করো।


অন্য একটি ইস্তিগফারের দোয়া-

أستغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বত্র বিরাজমান। আমি তাঁর দিকে ফিরে আসছি।


২. তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা-

তাহাজ্জুদ নামাজ হলো রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ। এটি আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়। বিশেষত রমজানের দ্বিতীয় দশকে এই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কারণ এটি গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের অন্যতম মাধ্যম।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন— ‍‍`কে আছো আমাকে ডাকবে, আমি তার দোয়া কবুল করবো? কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো?’ (বুখারি, মুসলিম)


৩. কুরআন তিলাওয়াত বৃদ্ধি করা

রমজান হলো কুরআন নাজিলের মাস। তাই এই মাসে আমাদের বেশি বেশি কুরআন পড়া উচিত, অর্থ বুঝে পড়া উচিত এবং কুরআনের শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা উচিত।

কুরআন তিলাওয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক-

প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা বোঝার চেষ্টা করা

কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠনের চেষ্টা করা

তিলাওয়াতের পর কুরআনের দোয়া ও জিকির করা


উত্তম আমল-

প্রতিদিন অন্তত এক পারা কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের ছোট ছোট সূরা মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তোলা


৪. দোয়া ও জিকির করা-

রমজানের দ্বিতীয় দশক দোয়া ও জিকিরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এটি মাগফিরাতের সময়, তাই এই সময় বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিকির-

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

লা হাওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

৫. দান-সদকা বৃদ্ধি করা-

দান-সদকা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

দান-সদকা গুনাহগুলোকে এমনভাবে দূর করে দেয়, যেভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয়। (তিরমিজি)


৬. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা-

শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকলেই রোজা পূর্ণ হয় না। বরং চোখ, কান, মুখ, হাত-পা সবকিছুকে সংযত রাখতে হবে।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও সে অনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো দরকার নেই। (বুখারি)


৭. শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া-

রমজানের শেষ দশকের মধ্যে লাইলাতুল কদর (শবে কদর) রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। তাই দ্বিতীয় দশক থেকেই শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

রাতের ইবাদতের পরিমাণ বৃদ্ধি করা

আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আরও বেশি ইবাদত করা

শেষ দশকের জন্য একটি ইবাদতের রুটিন ঠিক করে রাখা

রমজানের দ্বিতীয় দশক আমাদের জন্য ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। এই সময়ে আমাদের উচিত গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশি করে দোয়া করা, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং দান-সদকা করা। আল্লাহ যেন আমাদের এই রমজান কবুল করেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন। আমিন!


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫