Logo
শিরোনাম

গজারিয়ায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মানবতার সেবা নিয়ে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে "মানুষ মানুষের জন্যে ছোটদের ফাউন্ডেশন"। ২০২০ সাল থেকে পথচলা অরাজনৈতিক  এই সংগঠনটি অসহায় দুস্তদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে সবসময়। পাশাপাশি যুবকদেরকে মাদক ইভটিজিং ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দুরে রেখে কল্যানমুলক কাজ করতে উৎসাহিত করছে ছোটদের এই সংগঠনটি।মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি  ইউনিয়নে

 ছোটদের ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী ও শীতার্ত মানুষের মাঝে  (৩০০) তিনশত কম্বল বিতরন করা হয়েছে।  বুধবার সকাল ১১ টায় বোরহান উদ্দিনের বাসভবনে অসহায় মানুষের মাঝে এই কম্বল বিতরন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন ভূইয়া। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন ভূইয়া,নাসির উদ্দিন ভূইয়া জাহিদুজ্জামান জুয়েল, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও দেওয়ান মোঃ হারুন অর রশীদ, মোহাম্মদ জুবায়ের। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন  সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক-ইফরাত আলম রিমন, সভাপতি ফুহাদ রহমান জিসান, সাধারণ সম্পাদক মিম বায়েজিদ রাব্বি, সিনিয়র সভাপতি তানভীর আহমেদ, সহসভাপতি ফয়সাল দেওয়ান, কোষাধ্যক্ষ জুয়েল মিয়াসহ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইসলাম সাকিব। উল্লেখ্য, শীতবস্ত্র বিতরণের পূর্বে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সংগঠনের সকল সদস্যদের সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষে আলোচনা সভায় সকল বিত্তবানদের মানবিক কল্যানে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সংগঠনটির পাশে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান উপস্থিত সকলে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর



ঈদের পর রাজধানীতে আর রঙচটা বাস নয়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আগামী ৩১ মের পর রাজধানীতে কোনো রঙ উঠে যাওয়া বা রঙচটা বাস চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ ভবনে ফিটনেসবিহীন, বায়ু দূষণকারী ও রুটপারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধকরণসংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ ছাড়া সভায় ঢাকার সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিকে নিয়ে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তবে বাস মালিকরা কথা দিয়েছেন, এপ্রিলের মধ্যে ২০ শতাংশ বাস রঙ করা হবে। বাকিটা ধাপে ধাপে সম্পন্ন করবেন।

সভায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ঢাকার রাস্তায় আগামী ৩১ মের পর কোনো ধরনের রঙ ওঠা বাস চলতে দেওয়া হবে না। আমরা এর জন্য অভিযানে বের হবো। আশা করবো, মালিকরা নিজ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন বাস উপহার দেবেন। আমরা পুরো বিষয়টি মনিটর করবো।

সভায় বিআরটিএ থেকে জানানো হয়- রাজধানীতে ৩৯টি কোম্পানির ৫২৮টি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিল, এর মধ্যে ২৫৭টি ঠিক করা হয়েছে। তবে এ তালিকা পূর্ণাঙ্গ আকারে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার তাগিদ রয়েছে বিআরটিএর। আগামী ৩০ মের মধ্যে ঢাকার সড়কে চলাচলকারী সব বাস-মিনিবাসের তালিকা ও মালিকদের নাম বিআরটিএ-তে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রাস্তায় যেন রঙ ওঠা গাড়ি চলতে না পারে সে বিষয়ে ঈদুল ফিতরের পরে সমিতির জোনাল অফিসগুলো থেকে গাড়িগুলোর মনিটরিং বাড়ানো হবে। ভাঙাচোরা গাড়িগুলোর মালিকদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। তারপরেও কেউ সড়ক এসব বাস নামালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হবে।

তবে বাস মালিকদের দাবি, ঢাকার ৬০ শতাংশ বাস মালিকের আর্থিক সচ্ছলতা নেই যে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি ঠিক করে রাস্তায় নামাবে। কেননা এইসব মালিকদের অধিকাংশ একটা দুইটা পুরানো বাস কিনেই মালিক হয়েছেন। এদের কেউ কেউ গাড়ির মেকানিক থেকে, কেউ আবার বাসচালক থেকে বাস মালিক হয়েছেন।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির হিসাব দেখিয়ে তারা বলেন, ঢাকার সড়কে এখন সাড়ে ৩ হাজার বাস-মিনিবাস যাত্রী পরিবহন করছে যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এখন পুরোপুরি ফিটনেস ঠিক করা পর্যন্ত যদি ১ থেকে দেড় হাজার গাড়ি যদি বসিয়ে রাখা হয় তবে নগরে গণপরিবহন সংকট তীব্র হবে। মালিকদেরও ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হবে।

এর আগে, গত রোববার (৩১ মার্চ) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের কালো ধোঁয়া এবং উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী না রাখা এবং বায়োম্যাস বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, বায়ু দূষণ রোধে ২০ বছরের বেশি পুরানো বাস রাজধানীতে চলতে দেওয়া হবে না।

মন্ত্রী নির্দেশ দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী এরকম পুরনো বাসের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। আর পরিবহন মালিক সমিতি ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া পুরাতন যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করতে হবে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত হোঁচট খাচ্ছে তৃণমূলে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলোর মাঠে বাস্তবায়ন একেবারেই কম। 

বিশেষ করে মন্ত্রী এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল সেটি বাস্তবায়নের প্রবণতা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। 

প্রথম পর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ শেষ দিন ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, একমাত্র নাটোরের সিংড়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বজনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে ২৫ জনের মতো। এর মধ্যে ১৫ জন আছেন প্রথম পর্বে। বাকিরা অন্য পর্বে থাকবেন। আওয়ামী লীগের এই ১৫ জনের মধ্যে একমাত্র রুবেল ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূচকগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন এবং নানা রকম টালবাহানা করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল ধরবাড়ি উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তার খালাতো ভাই হারুনুর রশীদ হীরা। 

এখন বলা হচ্ছে যে, হিরা রাজনীতিতে ড. রাজ্জাকের চেয়ে প্রবীণ এবং তিনি ভাইয়ের পরিচয়ের রাজনীতি করেন না।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান সদর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন বলে কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। 

নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপু প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ উপজেলায়। সেখানেও তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না বলেই স্থানীয় এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন এবং তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলে দিয়েছিলেন যে, ছেলে সাবালক হলে কি করার আছে? তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও এমপির স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচনে উপজেলা প্রার্থী হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মোঃ সফিকুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রার্থী হয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনিও নির্বাচন থেকে সরে যাবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হতে প্রার্থি হয়েছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দূর্জয়।তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক।

এভাবে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন উপজেলায় যারা স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নানারকম টালবাহানা করছেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে আরেকটি বড় নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যেন একক প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়। মন্ত্রী- এমপিরা যেন তাদের নিজস্ব প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন না দেন। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। 

বরং অনেকেই বলছেন যে, এই ধরণের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতারাও প্রার্থী দিচ্ছেন এবং কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হচ্ছে। 

বরিশাল-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদীর আসনে ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এখানে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। 

ফলে সেখানে কোন ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিদের প্রভাবের কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হচ্ছেন।

কুমিল্লা সদর, চট্টগ্রামের রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া এই  ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এখানে বিনা ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

কোথাও কোথাও একক প্রার্থী দেওয়ার ফলে অন্য প্রার্থীরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা মাঠে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে।

 এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে।


আরও খবর



এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্স রচনা প্রতিযোগীতায় সেরা হলেন ফাহিম-মেহেদী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ এএমআর রেসপন্স অ্যালায়েন্স (বারা) এর উদ্যোগে 'সেনিটাইজেশন ওয়ার্কশপ অন এএমআর উইথ স্টুডেন্টস ফর্ম ভেটেরিনারি অ্যান্ড মেডিকেল ইনস্টিটিউশন' অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত কর্মশালায় রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে মানবদেহে ও প্রাণীদেহে অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। অনুষ্ঠানের পূর্বেই 'প্রিভেন্টিং  এন্ট্রিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্রান্ট টুগেদার ' রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এতে ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিযোগীতায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম প্রথম, মেহেদী হাসান দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তাদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ. এফ. এম নূরউল্লাহ। এই কর্মশালায় এএএমআরও এএমইউ এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয় এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বারা এবং এফএও সদস্যদের উপস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি হয়।


রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম বলেন, এএমআর একটি মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা যার জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়, তাই কর্মশালাটি ওয়ান হেলথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভবিষ্যতের প্রেসক্রাইবারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছিল। ভবিষ্যৎ প্রেসক্রাইবার যারা এখন শিক্ষার্থী,  তাদের এই কর্মশালার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। যেহেতু তারা বারা পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার্থী এবং অনুষদ সদস্যরা অ্যাক্সেস, ওয়াচ, রিজার্ভ শ্রেণীকরণ পোস্টার এবং ব্যানার বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবে।

প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করা মেহেদী হাসান বলেন, এই মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা এটা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়। মানবদেহে এন্টিবায়োটিক এর রেজিস্ট্রান্ট যে হারে বাড়ছে তা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে মৃত্যুর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

 ২০২২-২০২৩ সালে,  বাংলাদেশেই ২৫ হাজার মানুষ শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্ট এর কারনে মৃত্যুবরন করেছে। অর্থাৎ, এন্ট্রিবায়োটিকের মাত্রা এতো বেশী যে যখন এন্ট্রিবায়োটিক গ্রহন করলেও সেটা মানবদেহে কাজ করছে না। এসকল বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করার জন্য  আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। 

অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, মানুষ ও প্রানী কোনো ক্ষেত্রেই রেজিস্টার্ড ডাক্তারে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা এবং সেবন করা যাবে না।


আরও খবর



গরম নিয়ে দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কয়েক দিনের টানা গরমের দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন অধিকাংশ জায়গায় আবহাওয়া শীতল থাকার পর ফের উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের। কয়েক জেলায় তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারেও ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ দুঃসংবাদ জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এ সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সোমবার (৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময় সারা দেশেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া বুধবার (১০ এপ্রিল) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।ঐ দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪