Logo
শিরোনাম

গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিজ আসনে চাপা পড়া চালককে উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকায় দুর্ঘটনায় পিকাপে আটকে পড়া চালককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একদল কর্মী। আজ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে। 

পরে তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঢাকাগামী একটি পিকাপ ভ্যান দ্রুতগতিতে  মহাসড়কের ভাটেরচর এলাকা অতিক্রমের সময়  চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অজ্ঞাত গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে পিকাপের সামনের অংশ দুমরে-মুচড়ে যায়। 

এ সময় পিকাপ চালক সানি মিয়া তার আসনে আটকা পড়ে। আহত চালক সানি মিয়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজীরচর গ্রামের আসু মিয়ার ছেলে।


আরও খবর



৫ শতাধিক ব্যক্তির রয়েছে একাধিক এনআইডি!

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সারাদেশে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক বেশি ব্যক্তির কাছে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সারাদেশে পাঁচশোর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পারবেন। ১৩ কোটির বেশি তথ্য একটা একটা করে খোঁজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তাহলে ব্যবস্থা নিই।

এনআইডির ডিজি বলেন, জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ে এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল সেটা জেলা কর্মকর্তাকেও দিচ্ছি। মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে যৌক্তিক আবেদনগুলো কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় মিলে মানুষেকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি সেজন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যেন সেবাদান সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনিটরিং করছি। অনেকেই হয়তো ক্যাটাগরি ঠিকমতো করছে, কেউ কেউ করছে না।

প্রবাসীদের এনআইডি প্রাপ্তির বিষয়ে এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রবাসী ভোটার আমরা অস্ট্রেলিয়ায় চালু করেছি। সেখানে নিয়মিত ভোটার হচ্ছে। এখন আটটটি দেশে চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ কানাডায় শুরু হবে। তখন নয়টি দেশ হবে। অন্য দেশগুলোতে চালু করার ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছে সেটা দূতাবাসে জায়গার অভাব।

তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করব। সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করে যেন ৪০টি দেশে কার্যক্রম (প্রবাসী ভোটার) এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাসে সাত-আটটি দেশে করতে পারলে ভালো হতো। এ মাসের শেষ নাগাদ আরেকটু অগ্রগতি হবে বলে আশা করি।


আরও খবর



মাটি খুঁড়তে গিয়ে অবিস্ফোরিত মার্টাল শেল উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

মুন্সিগঞ্জ (গজারিয়া) থেকে সৈয়দ মোঃ শাকিল:

মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের অর্ন্তগত আড়ালিয়া নামক গ্রামে মাটি খুঁড়তে গিয়ে মিলেছে এক অ-বিস্ফোরিত মর্টার শেল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল সোমবার সকালে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা হানিফ মিয়ার জমিতে আইল তৈরির জন্য মাটি কাটার সময় এ বিস্ফোরক দ্রব্যটি পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাটি কাটার সময় হঠাৎ করে মাটির নিচ থেকে মর্টার শেলটি বেরিয়ে আসে। তবে সেটিকে মর্টার শেল না ভেবে প্রথমে স্থানীয়রা এটিকে সোনার মূর্তি কিংবা প্রাচীন সীমানা পিলার বলে মনে করেন। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অনেকে সেটি দেখতে ভিড় করতে থাকেন। সারা দিন মর্টার শেলটি নিজেদের হেফাজতে রাখলেও, পরে যখন বুঝতে পারেন এটি পাকিস্তান আমলের অ-বিস্ফোরিত মর্টার শেল তখন বিষয়টি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উৎসুক জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়াতে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তুতি নেয়।

গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)শহিদুল ইসলাম জানান এই মর্টার শেলটি কামানের মর্টার শেল হবে। আমাদের এই বিষয়ে তেমন ধারণা নাই সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এটি পাকিস্তান আমলের পুরনো একটি মর্টার শেল বা এর আগের কোন যুদ্ধ সময়কার দাতব্য বস্তু বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করবে।


আরও খবর



কে এই মাসুদ আজহার? ভারতের কেন এত ভয়?

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও চার সহযোগী। একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় তারা প্রাণ হারান। প্রশ্ন উঠেছে কেন ভারত এই মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে হামলা চালালো। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার ও সহচরদের হত্যা করা। তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

কে এই মাসুদ আজহার? 

ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার পর বারবারই উঠে আসে মাওলানা মাসুদ আজহারের নাম। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে বেড়ে ওঠা মাসুদ আজহারের ভয় গত ৩৫ বছর ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভারতকে। নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে মুক্ত করতে ভারতীয় বিমান ছিনতাই করেন অনুসারীরা। যা সেসময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাকে দায়ী করে আসছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি পাকিস্তান মাসুদ আজহারকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। যদিও পাকিস্তান তা বরাবরই অস্বীকার করেছে।

অন্যদিকে দিল্লির পাল্টা দাবি, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ্য জনসভা করে বেড়ান আজহার। কিন্তু কীভাবে জইশ প্রধান হয়ে উঠলেন মাসুদ আজহার?

মাওলানা মাসুদের বেড়ে ওঠা

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ১৯৬৮ সালে জন্ম তার। বাবা আল্লা বক্স সাবির ছিলেন সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার। বাড়ির প্রত্যেকে যুক্ত ছিলেন ডেইরি ও পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে। ছোটবেলার স্কুল ছেড়ে জামিয়া উলুম-ই-ইসলামি স্কুলে ভর্তি হন মাসুদ। তখন থেকেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য মন কাঁদত তার। ভারতের নিপীড়নের ব্যাপারে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। পড়াশোনায় মেধাবী মাসুদ আজহার কুরআনের হাফেজ। পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েও।

নিজে স্কুলে পড়াতেন মাসুদ আর বাড়ির ব্যবসাও দেখতে। জিহাদ বিষয়ে লিখেছেন অসংখ্য বইও। পত্রিকার সম্পাদনা করার সূত্রেই অল্পবয়সীদের মধ্যে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

ভারতে গ্রেপ্তার ও বিমান ছিনতাইয়ে আলোচিত ঘটনা

১৯৯৪ সালে হরকত উল মুজাহিদিন নামে কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ভারতে গ্রেফতার হন মাসুদ। পরে তাকে মুক্ত করতে পরিকল্পনা ছক কষেন অনুসারীরা। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান আইসি ৮১৪ কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসছিল। বিমানটিকে ভারতের আকাশ থেকে ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যান মাওলানা মাসুদের অনুসারীরা। ১৫৪ জন যাত্রীর প্রাণের বিনিময়ে মাসুদ আজহার, মুস্তাক আহমেদ ‌জ়ারগর ও আহমেদ উমর সঈদ শেখের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন ভারতের অটলবিহারী সরকার, যাদের জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

জইশ-ই-মহম্মদ গঠন

মুক্তি পাওয়ার পর ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী গড়ে তোলা শুরু করেন মাসুদ। ভারতের অভিযোগ, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ সক্রিয় করা থেকে সংসদে হামলা, সবকিছুতেই প্রধান মাথা ছিলেন মাসুদ। ২০০২ সালে গৃহবন্দি দশা থেকে মাসুদকে পাকিস্তান মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তালিবান ও লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মাসুদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থার গোয়েন্দারা।

২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে শেখ আহমেদ সইদ ওমর নামে মাসউদ আজহার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেই। এর পরই আমেরিকা মাসুদ আজহারের নাগাল পেতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমেরিকা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে এও জানায়, কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় এক মার্কিন নাগরিকও সেই বিমানে ছিলেন। যদিও পাকিস্তান বলে আজহার হাইজ্যাকার নন।

এর পরই ভারতের গোয়েন্দাদের কাছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্ট’-এ চলে আসে মাসুদ আজহারের নাম। জাতিসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসী তালিকাতেও নাম উঠেছে তার। সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে গুলি করে ২৬ পর্যটক হত্যার ঘটনায় আবার ভারতীয় গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাসুদ আজহার। এই হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ভারতের অভিযোগ। এর প্রতিশোধ নিতেই ‍বুধবার গভীর রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। হামলায় পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাসুদ নিজেই।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলেছে, ভারত পাকিস্তানের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদ। এই মসজিদ ও সংশ্লিষ মাদ্রাসায় হামলায় মাওলানা মাসুদের পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু। হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা’ও নিহত হয়েছেন।

জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মৌলভি আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’

তিনি বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান।


আরও খবর



ভবিষ্যতের আবাসন ভাবনায় ভেনিস বিয়েন্নালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্কিটেকচার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ইতালির ভেনিসে। ভেনিস বিয়েন্নালে নামে পরিচিত এই প্রদর্শনী হয় প্রতি দু'বছরে একবার। এ বছরের প্রদর্শনীতে সরব উপস্থিতি দেখা যায় ভবিষ্যতের নির্মাণ ভাবনার।

বিয়েন্নালের দুই প্রধান ভেন্যু-জারদিনি ও আরসেনালেসহ গোটা শহর জুড়ে ছড়িয়ে আছে ৬৬টি দেশের প্যাভিলিয়ন। হাজারো দর্শকের ভিড়ে স্থান পেয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই বাসস্থান ও জলবায়ু সচেতন ডিজাইনের ধারণা।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে আমি ঘুরে দেখি- বৃটেন, ডেনমার্ক, স্পেন, হাঙ্গেরি, জাপান, ফিনল্যান্ড, ওম্যানসহ অনেকগুলো দেশের প্যাভিলিয়ন। প্রতিটি প্যাভিলিয়নে উঠে এসেছে জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে থাকার পরিকল্পনা। 

ভেনিসের খালের পানি পরিশোধন করে তা দিয়ে বানানো কফি পরিবেশন করা হয় আরসেনালের ভেন্যুতে। অনেকের সাথে আমিও এই অভিনব প্রযুক্তি দিয়ে বানানো কফি উপভোগ করি।

এ বছর স্থাপত্য বিয়েন্নালের একটি ব্যতিক্রমী দিক হলো- বাংলাদেশের প্রভাব। ইতালীয় অধ্যাপক এলিজা বেরতুচ্ছো- বাংলাদেশের প্রতি তার ভালোবাসা ও গবেষণার স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ইতালিতে এখন বহু প্রবাসী বাংলাদেশি কৃষিজমিতে লাউ, শিম, করলাসহ নানা দেশি সবজি চাষ করছেন, যা একসময় ছিল কেবল শখের ব্যাপার, এখন তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। এলিজার এই গবেষণাভিত্তিক প্রজেক্ট বিয়েন্নালে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আরসেনালের প্রধান ভেন্যুতে বাংলাদেশের স্থপতি মারিনা তাবাচ্চুমের একটি প্রজেক্ট সবার দৃষ্টি কেড়েছে। তার উপস্থাপনায় উঠে এসেছে জলবায়ুর বিপর্যয় মোকাবিলায় টেকসই, পরিবেশবান্ধব গৃহনির্মাণের সম্ভাবনা। বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলার বাস্তব অভিজ্ঞতা তার পরিকল্পনায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফরের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বন্দরের সক্ষমতা সম্পর্কে তার কাছে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। কিন্তু যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই একে বিশ্বমানের করতে হবে।

বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ সংস্থাগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই হৃৎপিণ্ডকে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হবো। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নিজের শৈশবস্মৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সফরের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দর আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি শৈশব থেকেই এর সঙ্গে পরিচিত। এটি অনেক বদলেছে, তবে দুঃখের বিষয় হলো পরিবর্তন ধীর গতির। আমি যখন সুযোগ পেলাম, তখন থেকেই ভেবেছি কী করা যায়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে, আর আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। কেউ গুরুত্ব দেয় না। এজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমি বলেছি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে। আশা করি সবাই একদিন বুঝবে।


আরও খবর