Logo
শিরোনাম

গজারিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার,আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় অভিযান চালিয়ে পিস্তলের গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী । এ সময় তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার (১৩ মে)  ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

আটকৃতরা হলো, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের মৃত আমজাদের ছেলে সৈয়দ আলী (৬৫), মৃত কয়মের ছেলে ইমান (৬০) ও আলমের ছেলে মনির হোসেন (২৯)।


খবর নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কৌশলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের ধরতে মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‍্যাব ও নৌ পুলিশের কয়েক' শো সদস্য অংশগ্রহণ করে।

পুলিশ জানায়, অভিযানে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোশারফের ঘর তল্লাশি করে ২টি খালি ম্যাগাজিন, বিভিন্ন ধরনের ৫১টি তাঁজা গুলি, ২টি পিস্তলের কভার, ১টি কুড়াল, ১টি টেটা, ১টি এমোনেশন বক্স, ১টি গুলতি, ১টি ট্রলারের পাখা উদ্ধার করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হবার পূর্বেই কৌশলে পালিয়ে যায় সে।

এদিকে কুখ্যাত নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াসের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে তাদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এসময় তাদের ঘর-বাড়ি তল্লাশি করে ১টি বড় রামদা, ১১টি ছুরি, ২টি বাইনোকুলার, সেনাবাহিনীর পোশাক সদৃশ কাপড় ও নগদ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মামুন শরীফ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ, গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী কৌশলে পালিয়ে গেলেও আমরা তিনজনকে আটক করতে পেরেছি। অভিযানে পিস্তলের গুলি, রামদা,চাকুর সহ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।


আরও খবর



খুশির ঈদ যাত্রায় উচ্ছ্বসিত ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার আজ (শনিবার) প্রথম দিন। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট বিলম্বে ছাড়ে।

সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই হাজারো যাত্রী স্টেশনে আসছেন। ঈদ উদ্‌যাপন করতে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে মুখিয়ে থাকা মানুষের পদচারণায় স্টেশন চত্বর মুখরিত।

যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্টেশনে তিন স্তরের চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিকিটবিহীন কেউ যেন স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেল পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্টেশনে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশই শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী পরিবারের সদস্য, যারা ঈদের ছুটি কাটাতে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী দীনি ইসলাম বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে আমি বাড়ি যাচ্ছি। গতকাল থেকে ছুটি শুরু হলেও গতকালের টিকিট পাইনি, ফলে আজ বাড়ি যাচ্ছি। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ঈদে ঠিক কাছাকাছি সময়ে রংপুর যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে ওঠে। ফলে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছার জন্য পরিবারের সদস্যদের আজই বাড়ি পাঠাচ্ছি। আগে থেকে টিকিট কাটা হয়েছিল। আমার ঈদের ছুটি শুরু হতে আরও ৫ দিন লাগবে।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আফসানা বেগম বলেন, ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, আর তাই অনেক কষ্ট করেও টিকিট সংগ্রহ করেছি। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময় চেকিংয়ে টিটিইরা টিকিট চেক করেছে। কিছুটা ভিড় থাকলেও সবাই শৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে, এটা প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সকল চেষ্টাই আমরা করেছি। প্রত্যেকটি ট্রেন ঢাকায় আনা হয়েছে গত রাতের মধ্যে। এখন ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ঈদের আগে যত প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি এবং অন্যান্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করবেন এই উৎসব। ঈদ মানেই ব্যাস্ততা। ঈদের নামাজের পর পর পশু জবাই, মাংস বণ্টন, মজার সব রান্না করা, অতিথিদের আপ্যায়ন এবং নিজেকে সাজানো কতশত কাজ। এতোকিছু সামলাতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলাটা অস্বাভাবিক নয়। কিছু প্রস্তুতি আগে নিয়ে রাখলে সহজেই ঝামেলাগুলো থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ঈদের পোশাক প্রস্তুতি

ঈদের দিন সকালে গোসল করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন, উত্তম জামাকাপড় পরা সুন্নত। তবে কোরবানি ঈদে নতুন পোশাকের আয়োজন রোজার ঈদের মতো হয় না। তারপরও নিজের এবং পরিবারের অন্যদের জন্য একটি-দুটি নতুন পোশাক রাখতে চান অনেকে। যেহেতু কোরবানির ঈদে কাজের ব্যস্ততা বেশি তাই সেসব মাথায় রেখে আরামদায়ক সুতির পোশাক নিতে পারেন। ঈদের দিন নতুন পোশাকে শিশুদের আনন্দই এনে দেয় ঈদের খুশিতে পূর্ণতা। শিশুদের জন্য বর্ষা ঋতুকে মাথায় রেখে ফ্রক, লেহেঙ্গা, শারারা সেটসহ ছেলেশিশুদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া নিতে পারেন। ছেলেদের জন্য আরামদায়ক পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট রাখতে পারেন। তবে এই ঈদে পরিবারের সবাই একইরকম পোশাকও বাছাই করতে পারেন। তাই ঈদের আগেই সবার পোশাক কিনে এনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিন যেন ঈদের দিন সকালেই হাতের কাছে পেয়ে যান।

অন্দরসজ্জা

পশু জবাই আর মাংস বণ্টন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ঈদ উৎসবে কিন্তু ঘরকে সুন্দর করে গোছাতে হবে। কারণ, অন্দরকে পরিপাটি করে সাজানোও উৎসবের অংশ। তাছাড়া ঈদের দিন বাড়িতে মেহমানের আনাগোনা তো থাকবেই। আর সে জন্য ঘরটাও একটু গোছানো থাকা চাই। ঘরের দেয়াল, কর্নার এবং আসবাবপত্রের ধুলা ঝাড়া মোছা করে নিন। অপরিষ্কার ঘর যত যত্ন করেই সাজানো হোক ভালো দেখাবে না। ঈদে উৎসবে ভালো চাদরটি বিছানায় বিছিয়ে দিয়ে ভালো পর্দাগুলো টাঙিয়ে দিন দরজা-জানালায়। যেন তাকালেই মন ভালো হয়ে যায়। ফুলদানিতে কিছু তাজা ফুল সাজিয়ে নিতে পারেন। দেখলেই মনটা সতেজ লাগবে।

রান্নাঘরের প্রস্তুতি  

কোরবানি ঈদে রান্নাঘরের ওপর থাকে ভীষণ চাপ। পশু জবাইয়ের পর বণ্টন ও সংরক্ষণের জন্য মাংস কাটা, প্যাকেট করাসহ রান্নার আয়োজন- সব কাজ প্রায় পুরোটাই হয় রান্নাঘরে। এ কারণে রান্নাঘর আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে যেন ঈদের দিন কাজ করার সময় কোনো ঝক্কি পোহাতে না হয়। সবকিছু এমনভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন কাজের সময় প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। মাংস সংরক্ষণের জন্য পলিব্যাগ, জিপলক ব্যাগ আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখুন। রাইস কুকার, প্রেশার কুকারসহ রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় হাঁড়িপাতিলগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে হাতের নাগালে রাখুন।

পশু কোরবানির প্রস্তুতি

কোরবানি ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পশু কোরবানি করা। তাই কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নিন। মাংস কাটার জন্য যেসব সরঞ্জাম ব্যবহৃত হবে যেমন- দা, বঁটি, ছুরি এসব পরিষ্কার করে রাখুন আগেই। এগুলোর ধার পরীক্ষা করে প্রয়োজনে নতুন করে ধার দিয়ে নিতে পারেন। তারপার এমন জায়গায় রাখুন যাতে চোখের সামনে থাকে কিন্তু শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে। ফ্রিজের দিকে খেয়াল করুন সবার আগে। ফ্রিজ ঈদের ১২ ঘন্টা আগে পরিষ্কার করে ভালোভাবে মুছে রেখে দিন যাতে মাংস ভালো ভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন।

মসলাপাতির প্রস্তুতি

কোরবানির ঈদে মাংসের বিভিন্ন পদ রান্না হয়ে থাকে। তাই আগে থেকেই মাংসে ব্যবহার করার জন্য মসলাগুলো তৈরি রাখলে ঈদের দিন রান্নার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাই বেশি করে পেঁয়াজ কেটে বায়ুরোধী বক্সে করে ফ্রিজে রেখে দিন। আদা-রসুন আগের দিনই বেশি করে বেটে বা ব্লেন্ড করে ফ্রিজে রেখে দিন। যেসব মসলার গুড়া ব্যবহার করবেন সেগুলো পর্যাপ্ত না থাকলে এখনই সংগ্রহ করে রাখুন।

রান্নাবান্না 

ঈদের দিন সকালে নিজেদের খাওয়ার জন্য বা অথিতি আপ্যায়নের জন্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা আগেই করে ফেলতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন আগের দিন রাতেই বানিয়ে রেখে দিন। যেসব খাবার ঈদের দিনই বানাবেন তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।

এছাড়া ঈদের দিন পশু জবাইয়ের কাজে ব্যবহারের সরঞ্জাম যেমন- চাটাই, রেক্সিন, ছুরি, দা, বঁটি প্রস্তুত রাখুন আগেই। ঈদের দিনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে রাখুন। 


আরও খবর



ভেনিসে মর্যাদাপূর্ণ প্রবাস জীবন শীর্ষক সেমিনার ৩১মে, শনিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

ইতালির ভেনিসে আগামী ৩১ মে, শনিবার বিকেলে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী ও গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার। 

"মর্যাদাপূর্ণ প্রবাস জীবন ও পরকালীন উন্নতি" শীর্ষক এ সেমিনারে উঠে আসবে প্রবাসীদের বাস্তবতা, দায়িত্ব ও সম্ভাবনার প্রয়োজনীয় দিক। প্রবাসীদের চিন্তা ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য এ সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ সজল তুলে ধরবেন- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের দায়িত্ব। হালাল উপার্জনের গুরুত্ব ও আত্মিক উন্নয়ন নিয়ে আলোকপাত করবেন মাওলানা আরিফ মাহমুদ। 

ইতালির স্বাস্থ্যসেবা ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন তরুণ চিকিৎসক তাহমিদ তিশাদ। ইতালীয় শিক্ষা ব্যবস্থার নানা দিক ব্যাখ্যা করবেন তরুণ গবেষক সম্রাট আব্দুল্লাহ। প্রবাসীদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ ও পন্থা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ কামরুল হাছান।

ভেনিসের মেসত্রের ভিয়া পিয়াভেস্থ মসজিদুল ইত্তেহাদে আয়োজিত এই জ্ঞানগর্ভ সেমিনারে সকল বাংলাদেশি অভিবাসীদের উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানানো হয়েছে।

যারা ইতালীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্ম, অর্থনৈতিক মুক্তি, ধর্ম পালন এবং জীবনমান সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই সেমিনার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।



আরও খবর



কুড়িগ্রা‌মে বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে নদ-নদীর পা‌নি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কুড়িগ্রাম  প্রতিনিধি :

ক‌য়েক‌দি‌ন ধ‌রে টানা বৃ‌ষ্টি আর উজা‌নের ঢ‌লে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পা‌নি বৃদ্ধি পে‌য়ে‌ছে। ফ‌লে দেখা দি‌য়ে‌ছে নদী ভাঙন। সেই স‌ঙ্গে ত‌লি‌য়ে গে‌ছে ফস‌লের ক্ষেত। এতে আতং‌কিত হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন, ক্ষ‌তিগ্রস্ত হ‌য়ে‌ছেন চরাঞ্চ‌লের চা‌ষিরা।

জানা গে‌ছে, তিস্তা নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধির ফ‌লে জেলার রাজারহাট উপ‌জেলার বিদ‌্যানন্দ ও ঘ‌ড়িয়ালডাঙা এবং  উলিপুর উপ‌জেলার দলদলিয়া, থেতরাই ও বজরা ইউনিয়‌নের চরাঞ্চল পা‌নি‌তে নিম‌জ্জিত হ‌য়ে‌ছে। ফ‌লে ত‌লি‌য়ে গে‌ছে বাদাম, মরিচ, পাটসহ রবি শষ্য।

কু‌ড়িগ্রাম পা‌নি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২৪সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সময় যতই যাচ্ছে তিস্তার পানি কমছে। ধরলা,দুধকুমোর ব্রক্ষপুত্র সহ অন্যান্য নদ-নদী গুলোর পানি বিপদনীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম ব‌লেন, চ‌রে দুই একর জমিতে বাদাম চাষ ক‌রে‌ছি। ক‌য়েক‌দিন আগেও নদীর পা‌নি বে‌ড়ে যায়। কিন্তু তেমন ক্ষ‌তি হয়‌নি। এবার পা‌নি বাড়ায় সেই ক্ষেত ত‌লি‌য়ে গে‌ছে।

উলিপুর উপ‌জেলার চর গোড়াইপিয়া‌রের কৃ‌ষক আব্দুস সালাম ব‌লেন, ধারদেনা ক‌রে এক একর জ‌মি‌তে বাদাম চাষ ক‌রে‌ছি। ক‌য়েকদি‌ন আগে কিছু অংশ পা‌নি‌তে ত‌লি‌য়ে  যাওয়ায় সেগু‌লো অপ‌রিপক্ক অবস্থায় তু‌লে নিই। এবার বা‌কি অংশ ত‌লি‌য়ে যাওয়ায় সে‌টি নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। এ প‌রি‌স্থি‌তি‌তে লোকসা‌নের মু‌খে পড়‌তে হ‌বে।

কু‌ড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রা‌কিবুল হাসান ব‌লেন, আগামী দুইদিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হা‌রে বৃদ্ধি পেতে পারে। ত‌বে আতং‌কিত হওয়ার কিছু নেই, পা‌নি ‌বিপৎসীমা অ‌তিক্রম কর‌বে না। এ ছাড়া পা‌নি বৃ‌দ্ধির ফ‌লে প্রায় ১৩‌টি জায়গায় ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে। এসব ভাঙন রো‌ধে কাজ করা হ‌চ্ছে।

                    


আরও খবর



এবারের বাজেট কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

এবারের বাজেট কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা বিগত বাজেটের চেয়ে ছোট আকারের বাজেট আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করছি বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা এ কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রবৃদ্ধি-কেন্দ্রিক ধারণা থেকে সরে এসে আমরা চেষ্টা করেছি সামগ্রিক উন্নয়নের ধারণায় জোর দিতে। তাই প্রথাগত ভৌত অবকাঠামো তৈরির খতিয়ান তুলে ধরার পরিবর্তে আমরা এবারের বাজেটে প্রাধান্য দিয়েছি মানুষকে।

তিনি বলেন, মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা, সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, জীবিকার নিরাপত্তা এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ—এ অত্যাবশ্যক উপাদানগুলো ছাড়া যে কোনো রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে পড়ে, দুর্বল হয় সমাজের ভিত। এবারের বাজেটে তাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমাগত যে সকল সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তার সুবিধা ভোগ এবং যে সকল চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে তা মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।

এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। প্রতি বছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার সংসদ না থাকায় তা ঘোষণা করা হচ্ছে বেতার-টেলিভিশনের মাধ্যমে। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।


আরও খবর