Logo
শিরোনাম

গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ১০ দফা প্রস্তাবনা পেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা :

কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি রোধ, জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচনের প্রতিবাদ, কুমিল্লা বিভাগ ও কুমিল্লা বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা সহ ১০  দফা দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ব্যবস্থাপনায় শনিবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লার টাউন হল ময়দানে বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন। প্রধান বক্তা ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্ষমতায়  জন্য ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ অসুস্থ প্রতিযোগিতার বলী হয় সাধারণ জনগণ। গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ভুলন্ঠিত হচ্ছে বার বার। এ অবস্থা আর চলতে পারে না। আমরা চাই দেশে সুস্থধারার রাজনীতির বিকাশ হোক, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হোক। এ জন্য চাই স্বচ্ছ , অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য  নির্বাচন। আইন পাশ করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর স্বাধীন করতে হবে। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা এবং নিরপেক্ষ, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পাদনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি যে স্থায়ী সমাধান নয় তা  ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন দেশের অধিকাংশ মানুষ সূফিবাদী। অথচ সুফিবাদীরা দেশে সবচেয়ে অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। সুফিবাদী আলেম ও কর্মীদের কোন হত্যার বিচার হয় নি। বায়তুল মুকাররম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ কোথাও সুন্নি জনতার প্রতিনিধিত্ব নেই। দেশের উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণাধীন ৫৬০ টি মডেল মসজিদের অধিকাংশই আজ স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রবাদীদের দখলে। আমরা  সুফিবাদী জনতাকে তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত অর্থে প্রদানসহ অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচনের প্রতিবাদ জানিয়ে এম এ মতিন বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতি জাতিকে পঙ্গু করার নামান্তর। অবিলম্বে প্রত্যেক শ্রেণিতে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সাথে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন, সীমান্তহত্যা বন্ধ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের আকর্ষণ করেন। তিনি ঐতিহাসিক কুমিল্লার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে কুমিল্লা বিভাগ নামকরণের দাবি জানান। 

প্রধান বক্তা অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, বিদ্যুত-গ্যাসের একেরপর এক মূল্যবৃদ্ধি করে জনজীবনকে অসহনীয় করেছে, অন্যদিকে পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির কালোবাজারি অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও দ্রব্যসামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে আসছে। অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য লাগাম ধরুন। সাধারণ মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে সিয়াম-সাধনার সুযোগ করে দিন। তিনি পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের কর্তৃক মুসলমানদের গুলি বর্ষণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।


ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী আলকাদেরী , অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, এম.সোলায়মান ফরিদ, সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমদ মোজাদ্দেদী, যুগ্ম মহাসচিব মাসুম বিল্লাহ মিয়াজী, সাংগঠনিক সচিব এড. ইসলাম উদ্দিন দুলাল, দপ্তর সচিব আবদুল হাকিম, সহকারী দপ্তর সচিব মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম,  জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাওলানা মোঃ আব্দুল মান্নান, প্রচার সচিব মাষ্টার আবুল হোসাইন, প্রকাশনা সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, তথ্য ও প্রযুক্তি  সচিব মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইসলামিক স্কলার মাওলানা গোলাম কিবরিয়া আজহারী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন কাদেরী, মাওলানা আবদুল মোস্তফা রাহিম আযহারী, সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আযহারী, এড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মোখতার আহমদ ছিদ্দিকী ,  হাফেজ মাওলানাআমিনুল ইসলাম, মোঃ: তাবারুক হোসাইন,সাংবাদিক গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, হাজী মোহাম্মদ রুবেল,  মহিউদ্দিন মোল্লা, পীর মাওলানা মোঃ আবদুল জব্বার, মাওলানা মোঃ আবদুল জলিল রেজভী,  কাজী আবুল বাশার, তাজুল ইসলাম ভূইয়া, গোলাম মোস্তফা শাহ, হোসাইন মোঃ আলমগীর, জসিম উদ্দিন নূরী, পীরজাদা কাজী ওমর ফারুক, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, যুবনেতা অধ্যক্ষ ডা. এস এম সরওয়ার,  শাহিদুল ইসলাম মামুন,ছাত্রসেনার সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল জাবের ।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা, চেন্নাইয়ে নিহত বেড়ে ১৭

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চল। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতলা উপকূলে আঘাত হানে। এতে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে। এছাড়াও প্রবল এই ঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতল উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে তামিলনাড়ুর প্রাদেশিক রাজধানী চেন্নাই, কাঞ্চিপুরামসহ বিভিন্ন জেলা।

এছাড়াও ঘর-বাড়ির পাশাপাশি হাসপাতালে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রাণহানির সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে, বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে পানিবন্দীদের উদ্ধার করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দুর্গম এলাকাগুলোতে হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যাসহ বৃষ্টিপাতজনিত নানা কারণে ভারতের চেন্নাইয়ে ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

এছাড়াও মিগজাউমের প্রভাবে চেন্নাই এয়ারপোর্টের বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী।

এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার কারণে চেন্নাইয়ে আইফোন উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে তাইওয়ানের ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান ফক্সকন।

 


আরও খবর

গাজায় গণহত্যা অব্যাহত

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বাদ পড়লেন আ.লীগের শতাধিক এমপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দলের বর্তমান সংসদ সদস্যদের (এমপি) মধ্যে অনেকেই বাদ পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার ফলে কিছু আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের বাদ পড়তে হবে।

২৩ নভেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়েছে। সংসদীয় বোর্ডের এই সভায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, দলের মধ্যে এমন আলোচনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না দলের নেতাদের অনেকেই।

তাদের মতে, আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়নে একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা ছিল। বিএনপির নির্বাচনে আাসার সম্ভাবনা এখন আর নেই। কিন্তু তারপরও যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে, সে সব দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার একটা বিষয় রয়েছে। এর পাশাপাশি অতি বিতর্কিত কিছু এমপি বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপিসহ কিছু দল নির্বাচনে না আসায় ২০১৮ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জোট বা জোটের বাইরে থাকা দলগুলোর জন্য একটু বেশি আসন ছাড় দিতে হবে। কারণ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে কিছু দল ও জোটকে নির্বাচনে আনার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এই দলগুলোকে কিছু আসন ছাড় দিতে হবে। এই সব দলের সাংগঠনিক অবস্থা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থীর সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

আর তাছাড়া আসন সমঝোতার নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই এই দলগুলো নির্বাচনে আসবে। এতে এমন কিছু আসনে ছাড় দিতে হবে, যেখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি আছেন। বর্তমানে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির যে আসনগুলোতে এমপি রয়েছে, গত নির্বাচনের মতো এবারও ওই আসনগুলোতে ছাড় দিতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু আসন তারা দাবি করতে পারে। অর্থাৎ নতুন করে জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোকে যে সব আসন ছাড়তে হবে সেগুলোতে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি রয়েছেন। এর ফলে দলের কিছু এমপি মনোনয়ন থেকে বাদ পড়বেন।

এছাড়া কিছু আসনে এমনিতেই দলীয় প্রর্থীর পরিবর্তন আসতে পারে। গত ৫ বছরে যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন, যা দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন, জনপ্রিয়তা হারিয়েছেনএরকম কিছু এমপি এবার মনোনয়ন পাবেন না। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০টির মতো আসন হতে পারে, যেখান থেকে বর্তমান এমপিরা বাদ পড়বেন। তবে দলীয় মনোনয়ন ৩০০ আসনেই চূড়ান্ত করা হবে। এর পর জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দলের প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হবে যাতে সমঝোতা হলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩৩৬২টি। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে প্রতিটিতে গড়ে ১১ জন করে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে দলীয় প্রার্থী মনোয়নের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট্ট ৭২টি আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর ৩০০ আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর তালিকা ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান।

তবে বাদ পড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিলেও কত জন বাদ পড়েছেন, সেটা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, কয়জন বাদ পড়ছেন এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়েছেন।

এ অবস্থায় কত আসনে পরিবর্তন এসেছে, কারা বাদ পড়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংসদীয় বোর্ডের একজন সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা বলতে চাননি। তিনি বলেন, আমাদের এ বিষয়ে কথা বলা নিষেধ। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে বৃত্তি পাচ্ছেন ৬৩১ জন শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) তে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সর্বমোট ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকার বৃত্তি (এককালীন) প্রদান করা হচ্ছে। এবছর দুইটি ক্যাটাগরিতে মোট ৬৩১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ক্যাটাগরি দুইটির মধ্যে রয়েছে মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি / দরিদ্র বৃত্তি। 


মেধাবৃত্তির আওতায় আসছেন ৬ টি অনুষদের প্রত্যেক বিভাগে প্রতিবর্ষে ফলাফলের দিক থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানকারী শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি পাবেন। এ বছর ২৬০ জন শিক্ষার্থী মোট ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকার মেধাবৃত্তি পাচ্ছেন । প্রতিবিভাগের ১ম স্থানকারী শিক্ষার্থী  পাবেন ৮০০০ টাকা, ২য় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী পাবেন ৭০০০ টাকা ও ৩য় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী  পাবেন ৬০০০ টাকা। 


অপরদিকে উপবৃত্তি / দরিদ্র বৃত্তি পাচ্ছেন ৩৭১ জন শিক্ষার্থী মোট পাচ্ছেন ১১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে ৩০০০ টাকা করে পাবেন। স্নাতক পর্যায়ে ফার্মেসী বিভাগের ৫ ম বর্ষের শিক্ষার্থী ৫ জন, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ৭৪ জন, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ৭২ জন, ২য় বর্ষের ৭৭ জন, ১ম বর্ষের ১৪৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই। মেধাবৃত্তি ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হবে। যেসকল শিক্ষার্থী তুলনামূলক ভাবে অসচ্ছল, তারা উপবৃত্তির ফলে আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে। ভবিষ্যতে দরিদ্র বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর চেস্টা করবো।


আরও খবর



ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ফলে অনেক ব্যাংককে এখন ধার করে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই চড়ছে আন্তঃব্যাংক কলমানির সুদহার। গতকাল কলমানির সর্বোচ্চ সুদ উঠেছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কলমানির পাশাপাশি শর্ট নোটিশে অর্থ ধার নেওয়ার সুদের হারও বাড়ছে। এদিকে আন্তঃব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও নিয়মিত ধার করে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা জানান, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত সংগ্রহ না হওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি এবং সরকারকে ঋণ দেওয়ার কারণে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট বেড়েছে। ফলে আন্তঃব্যাংক কলমানি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়মিত ধার করে চলতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে।

সংকটের সময় এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে, আবার ব্যাংক থেকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য টাকা ধার নেয়। সাধারণত একদিনের জন্য এই ধার নেওয়া হয়। এই ধার দেওয়া-নেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় যে ব্যবস্থায় তা আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নিতে থাকেন গ্রাহকরা। আবার সেই সময় ব্যাংকগুলোতে নতুন আমানত আসাও কমে যায়। এতে ওই ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়, যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

 এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। কিন্তু একই সময় মানুষের আয় খুব একটা বাড়েনি। আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার যেভাবে বাড়ার কথা, সেভাবে বাড়েনি। এতে ব্যাংকগুলো প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত পাচ্ছে না। আবার আগের বিতরণ হওয়া ঋণ সময়মতো ফেরত আসছে না। এর মধ্যেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া বাড়িয়েছে সরকার। ফলে চলমান নগদ টাকার সংকট আরও বেড়েছে। আর এই সংকট সামাল দিতে আন্তঃব্যাংক কলমানির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গতকাল আন্তঃব্যাংক কলমানিতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে গড় সুদের হার উঠে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। আর ওই দিন গড় সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আন্তঃব্যাংক কলমানির সঙ্গে শর্ট নোটিশে ধারের সুদের হারও বাড়ছে।

গতকাল ৫ থেকে ১৪ দিন মেয়াদি ধারের সুদের হার ছিল ৯ থেকে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অব্যাহত ডলার বিক্রি, আমানতের প্রবাহ কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট বেড়েছে। এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে সংকোচন নীতি থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। তাই তারল্য সংকট কাটাতে ডলার বাজার ও ব্যাংকের সুশাসনের দিকে নজর দেওয়ার বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ডলার বাজারকে স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নতুন করে যাতে ব্যাংকে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে বেশি সুদেও চাহিদামতো নগদ টাকার সংস্থান করতে না পেরে গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের স্বল্পমেয়াদি ধার করেছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক। রেপো, তারল্য সহায়তা ও স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি উপকরণের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের দিন এই ধারের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বিল ও বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে সরকারকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার ডলার বিক্রির বিপরীত টাকা উঠে আসছে। এখন যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার না দেওয়া হয়, তা হলে সংকট বাড়বে। তা ছাড়া একবারে সব দিক দিয়ে সংকোচন করা যায় না। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




সৈকতে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মিম !

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহরের বাতাসে কমে গেছে আর্দ্রতা। প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। এর মাঝেই ভক্তদের মনে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সাহসী কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে অফ হোয়াইট শাড়িতে মিমকে দেখা গেছে মোহনীয় রূপে।

এমনিতেই বাঙালি এই অভিনেত্রীর নজরকাড়া লুক বরাবরই ঝড় তোলে ভক্তদের হৃদয়ে। এর মাঝে খোলামেলা শাড়িতে মিমের উপর থেকে নজর ফেরানোই যেন দায় ছিল নেটিজেনদের জন্য।

বিদ্যা সিনহা মিমের সেই ছবিগুলোতে মন্তব্য করেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। যার অধিকাংশই ছিল অভিনেত্রীর রূপের প্রশংসাসূচক। অনেকেই আবার বলেছেন, শীতের শুরুতেই যেন উষ্ণতা ছড়িয়ে গেলেন মিম।

এদিকে ২৪ নভেম্বর ভারতে মুক্তি পেয়েছে বিদ্যা সিনহা মিমের নতুন সিনেমা মানুষ। যেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ। ভারতে সিনেমা মুক্তি পেলেও দেশে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, মিমের টালিউডে যাত্রা শুরু ব্ল্যাক ছবি দিয়ে। এরপর ইয়েতি অভিযান, সুলতান দ্য স্যাভিয়ার থাই কারি নামের আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কলকাতায় মানুষ তার পঞ্চম সিনেমা।


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩