Logo
শিরোনাম

গোপন রোগের কারণে যদি চুলকানি হয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ডা. দিদারুল আহসান: কিছু সংক্রামক অসুখ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করতে পারে কিছু মারাত্মক যৌনরোগ। এমন রোগগুলো একসঙ্গে এসটিডি (ঝঞউ) নামে পরিচিত। উল্লেখযোগ্য কিছু যৌনবাহিত রোগ হলো সিফিলিস বা ফিরিঙ্গি রোগ, গনোরিয়া বা বিষমেহ, ক্ল্যামাইডিয়া, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস, হেপাটাইটিস বি এবং সি, এইডস (এইচআইভির জীবাণু), চ্যানক্রয়েড, গ্রানুলোমা ইনগুইনাল, লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম ইত্যাদি। এসব রোগের কিছুসংখ্যক অন্যান্য প্রক্রিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ে (যেমন এইচআইভি)।

চুলকানি হওয়ার কারণ : পুরুষের নিম্নাঙ্গের নানাস্থানে অনেক সময় তীব্র চুলকানি দেখা দেয়। এর পেছনে ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও আরও যেসব কারণ দায়ী তা হলো ছত্রাকের আক্রমণ, ট্রাইকোমোনিয়াসিস প্যারাসাইটের আক্রমণ ছাড়াও যৌনাঙ্গে উঁকুন, খোসপাঁচড়া, মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়ামের সংক্রমণ। এসবের কারণে নিম্নাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। কিছু যৌনরোগ, যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদি কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ, যেমন কোনো কোনো ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙওয়ালা টিস্যু পেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ইত্যাদি ব্যবহারেও চুলকানি হতে পারে। ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, অ্যাকজিমা ও রক্তে কোনো সমস্যা ও অন্য কোনো রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গ চুলকায়। আঁটো পোশাক, যৌনাঙ্গ আর্দ্র হয়ে থাকলে, অপরিষ্কার থাকলেও চুলকানি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

প্রতিকার : ছত্রাকের বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যেন তা আর না হয়।

প্রতিরোধের উপায় : সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না। ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নেবেন। দই খান। এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস পরুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন কমান। নিয়মিত গোসল করুন। অন্তর্বাস নিয়মিত রোদে শুকাতে দিন, যাতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। যারা এ সমস্যায় প্রতিনিয়ত ভুগে থাকেন, তাদের অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে রোগটি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কনসালট্যান্ট, গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

রুম-৪৩২ (৪ তলা) গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা

০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৭৩৩৭১৭৮৯৪


আরও খবর



ঘুরে আসতে পারেন ‘প্রকৃতির কন্যা’ হিসেবে খ্যাত জাফলং

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল জাফলং। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায়, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অপূর্ব স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ।

সিলেট শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাফলংয়ে পাহাড় আর স্বচ্ছ নদীর অসাধারণ সম্মিলন পর্যটকদের মোহিত করে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ পিয়াইন নদী, যা ভারতের ডাউকি থেকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

স্বচ্ছ পানির এই নদীতে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় অভিজ্ঞতা। জাফলংয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এখান থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু পাহাড়গুলো চোখে পড়ে। বর্ষাকালে এসব পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার জলরাশি নদী হয়ে প্রবাহিত হয়ে যায়। সেই দৃশ্য অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর।

এছাড়া ডাউকি নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে।

 

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এক সময় জাফলং ছিল খাসিয়া-জৈন্তা রাজার রাজত্বাধীন বনভূমি। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর বহু বছর এই এলাকা পতিত ছিল। পরবর্তীতে পাথরের জন্য খ্যাতি লাভ করে, এবং পাথর ব্যবসার মাধ্যমে এখানে গড়ে ওঠে নতুন জনবসতি।

জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ
জাফলং অঞ্চলে সুপারি, নারিকেল গাছে বসবাসকারী বাদুড়ের দেখা মেলে, যদিও বৃক্ষনিধনের কারণে এখন সেই সংখ্যায় হ্রাস ঘটেছে। এখানকার নদীতে পাওয়া যায় কঠিন শিলার নুড়ি এবং বর্ষায় পাহাড় থেকে ভেসে আসে বড় বড় পাথর।

ভ্রমণের সেরা সময়
জাফলং ভ্রমণের জন্য বর্ষাকালকে আদর্শ সময় বলা হয়। তখন পাহাড়ি ঝর্ণা ও নদীর স্রোত থাকে প্রাণবন্ত। শীতকালেও এখানকার মেঘে ঢাকা পাহাড় ও শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

যাতায়াত ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়া যায় বাস, ট্রেন ও বিমানে। বাস ভাড়া ৬৫০ থেকে ২০০০ টাকা, ট্রেন ভাড়া ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং বিমানের টিকিট ৩৫০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। সিলেট শহর থেকে জাফলং যেতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা। লোকাল বাস কিংবা রিজার্ভ গাড়িতে করে আপনি যেতে পারেন।

সিলেট শহরের জিন্দাবাজারে পানসী, পাঁচ ভাই ও পালকি রেস্টুরেন্টের খাবার ভীষণ জনপ্রিয়। থাকার জন্য সিলেট শহরের হোটেলগুলোই উপযুক্ত যেমন দরগা গেট ও কদমতলী এলাকার আবাসিক হোটেল। তবে জাফলংয়ে থাকতে চাইলে জাফলং ইর বা জাফলং গ্রিন রিসোর্টে থাকতে পারেন।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম রত্ন জাফলং, যেখানে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা ও ইতিহাসের অপূর্ব সম্মিলন। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা একান্তে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে জাফলং হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।


আরও খবর



ফের আলোচনায় পূজা, প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

টালিউডে ফের আলোচনায় অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি। কিছুদিন আগেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে টাকা-পয়সা খোয়া যাওয়ার হৃদয়বিদারক অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। সেই সময় তার আবেগঘন বক্তব্যে সহানুভূতির ঝড় উঠেছিল অনুরাগীদের হৃদয়ে। তবে এবার ঘটনার মোড় ঘুরল নাটকীয়ভাবে। ঘটনার তিন দিন না যেতেই পূজার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন সেই প্রযোজক বন্ধুর স্ত্রী মালবিকা দে।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালবিকা দে জানান, আজ একটি মর্মান্তিক ঘটনার কথা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। এমন ঘটনার সম্মুখীন যেন কোনো পরিবারকেই না হতে হয়।

তিনি জানান, একটি ব্যবসায়িক সফরে গোয়ায় থাকাকালীন শ্যামসুন্দরকে তার গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন পূজা ব্যানার্জি নিজে। শ্যাম বাবুকে একটি অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ভয় দেখানো হয়, মারধর করা হয় এবং বলা হয় যদি তিনি ৬৪ লাখ টাকা না দেন, তবে মাদক মামলায় তাকে ফাঁসানো হবে। এই চরম পরিস্থিতিতে শ্যাম বাবুকে ২৩ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।

মালবিকার দাবি, এই টাকা পূজার সহকারী মুনমুনের হাতে নগদ এবং পূজা ও কুণালের অ্যাকাউন্টে আরটিজিএস মারফত পাঠানো হয়। সব লেনদেনের যথাযথ ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও প্রমাণ সংরক্ষণও করা হয়েছে।

মালবিকা অভিযোগ করে আরও লিখেছেন, আমার স্বামীকে গোয়ায় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং প্রায় ৬৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে ওকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে শ্যাম ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পূজা এবং কুনালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে, তার সব রসিদ এবং লেনদেনের রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি আমি। পূজা এবং কোনাল শ্যামের মোবাইল কেড়ে নেয়, জোর করে ব্যক্তিগত তথ্য এবং পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। আমার স্বামীকে দিয়ে একাধিক ভিডিও রেকর্ড করা এবং তাকে ওদের কথা অনুযায়ী বক্তব্য বলতে বাধ্য করানো হয়। আপাতত উত্তর গোয়া এসপির নেতৃত্বে গোয়া পুলিশের সহযোগিতায় আমার স্বামী নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন।

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে এখনো তিনি কোনো কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, শিগগিরই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।


আরও খবর



নারী সংস্কার কমিশনের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের কয়েকটি বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৬ মে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিটটি খারিজ করে দেন।

গত সোমবার (১৯ মে) নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের কয়েকটি বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী বলেন, উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫-এর অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২-এ অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহ ইসলামী শরিয়তের বিধানসমূহের পরিপন্থি, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থি এবং বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায়, এই বিষয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট-২০২৫- এই রিপোর্টটি ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরিয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

প্রথমত, রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি।

দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ন করে।

তৃতীয়ত, মাই বডি মাই চয়েজ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরিয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।

চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরিয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বিবাদী করা হয়।


আরও খবর



গরু মাংসের কয়েকটি স্পেশাল রেসিপি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রেসিপি রিমিস ড্রিম: 

সারাদেশে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে উদযাপিত হচ্ছে কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদের মূল খাবারগুলো তৈরি হয় মাংস দিয়ে। ঈদে তৈরি করতে জেনে নিন সচরাচর করা হয় না, মাংসের এমন কয়েকটি স্পেশাল রেসিপি।

গরুর মাংসের শাহী রেজালা

উপকরণ: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, লবণ, কেওড়া জল, কিশমিশ, আলুবোখারা, টক দই, বাদাম বাটা, চিনি, কাঁচামরিচ বাটা, জায়ফল-জয়ত্রী-পোস্তদানা বাটা, গরম মসলা (এলাচ, দারচিনি), তেজপাতা, তেল।

রান্নার পদ্ধতি: মাংস ধুয়ে সব মসলা ও টক দই দিয়ে মেরিনেট করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর তেলে পেঁয়াজ, আদা-রসুন, বাকি মসলা দিয়ে মাংস কষান। সেদ্ধ হয়ে এলে কেওড়া জল, কিশমিশ, আলুবোখারা দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল ঘন হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

কড়াই গোস্ত

উপকরণ: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, মাংসের মসলা, দারচিনি, এলাচ, জায়ফল-জয়ত্রী বাটা, টক দই, টমেটো কিউব, তেজপাতা, রসুন, তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: মাংস সব মসলায় মেখে ২৫ মিনিট মেরিনেট করুন। প্যানে তেল গরম করে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে কষান। সেদ্ধ হয়ে গেলে অন্য কড়াইয়ে টমেটো, রসুন, পেঁয়াজ ভেজে কষানো মাংস দিন। ২-৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন।

গার্লিক বিফ

উপকরণ: ১ কেজি মাংস, পেঁয়াজ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা, রসুন কোয়া, ধনে-জিরা গুঁড়া, টেস্টিং সল্ট, টমেটো সস, টক দই, গরম মসলা, তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: সব উপকরণ মিশিয়ে মাংস মেরিনেট করে রাখুন। তেলে পেঁয়াজ ভেজে মাংস কষান। সেদ্ধ হয়ে গেলে টমেটো সস, রসুন কোয়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে কিছু সময় দমে রাখুন।

গরুর মাথার মাংস ভুনা

উপকরণ: গরুর মাথার মাংস, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা, ধনে-জিরা গুঁড়া, সরিষার তেল, গোলমরিচ, তেজপাতা, গরম মসলা।

রান্নার পদ্ধতি: তেলে পেঁয়াজ ভেজে সব মসলা দিয়ে কষান। মাংস দিয়ে গরম পানি দিয়ে দিন। ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না সেদ্ধ হয়। শেষে গরম মসলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

গরুর মাংসের কালা ভুনা

উপকরণ: ২ কেজি হাড় ছাড়া মাংস, বিভিন্ন গুঁড়া মসলা (হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনে), পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, গরম মসলা, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ, সরিষার তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: সব মসলা দিয়ে মাংস মেখে জ্বাল দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে অন্য কড়াইয়ে তেলে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ ভেজে মাংস কষান যতক্ষণ না কালো হয়ে আসে। খেয়াল রাখুন পুড়ে না যায়।

ঝুরা মাংস

উপকরণ: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, বাদাম, সরিষা বাটা, তেজপাতা, গরম মসলা, তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: তেলে পেঁয়াজ ভেজে মসলা দিয়ে কষান। মাংস দিয়ে সেদ্ধ করুন। পানি শুকিয়ে এলে ঝুরা করে অন্য কড়াইয়ে পেঁয়াজ ভেজে ভাজা মাংস দিন। গরম মসলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

গ্রিল বিফ 

উপকরণ 

মাংসের পাতলা টুকরো ৬ পিস, সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ২ টেবিল চামচ, লবণ ও গোলমরিচ পরিমাণ মতো, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ ও টকদই ২ টেবিল চামচ।  

রান্নার পদ্ধতি: হাড় ছাড়া মাংস টুকরো করে ধুয়ে নিন। তারপর সব উপকরণ দিয়ে মেখে রাখুন অন্তত চারঘণ্টা। এবার গ্রিলের ওপর দিয়ে দুই পাশই গ্রিল করতে হবে বাদামি রং না হওয়া পর্যন্ত। তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মেজবানি মাংস   

উপকরণ : গরুর মাংস, কলিজা ও হাড় মিলিয়ে ৫ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ৩ টেবিল-চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল-চামচ, লাল মরিচ বাটা ৩ টেবিল-চামচ, জিরা গুঁড়া দেড় টেবিল-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, হলুদ গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, সাদা তিল বাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, সরিষা তেল আড়াই কাপ, মিষ্টি জিরা বাটা ১ চা-চামচ, রাঁধুনি বাটা ১ চা-চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল-চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল-চামচ, তেজপাতা ৭-৮টি, এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ বাটা ১ টেবিল-চামচ, কাবাব চিনি বাটা ১ টেবিল-চামচ, জয়ফল-জয়ত্রি বাটা ১ চা-চামচ, গোলমরিচ বাটা ১ চা-চামচ, মেথি বাটা ১ চা-চামচ, পানি ৪-৫ কাপ ও লবণ স্বাদমতো।

রান্নার পদ্ধতি: তেলে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে গরম মসলা ছাড়া বাকি মসলা ও মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর ৪-৫ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংস।  

গরুর মাংসের স্টেক   

উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম, আদা পেস্ট আধা চা চামচ, হট টমেটো সস ১/২ কাপ, গোল মরিচ গুঁড়া সামান্য, রসুন পেস্ট আধা চা চামচ, জিরার গুঁড়া সামান্য স্টেক স্পাইস পরিমাণমতো, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, লবণ ও মরিচ-স্বাদমতো।

রান্নার পদ্ধতি: মাংস পছন্দমতো কেটে ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে সব উপকরণ নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার স্টেকগুলো মসলা মেখে মেরিনেট করে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। গ্রিলে স্টেক দিয়ে মাঝারি তাপমাত্রায় গ্রিল করুন। ওভেনেও গ্রিল করে নিতে পারেন।  

লক্ষ্য রাখবেন স্টেক যেন খুব শক্ত না হয়ে যায়। এরপর স্টেকের ওপর গ্রেভি দিয়ে আপনার পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার স্টেক।


আরও খবর

ভালো লিচু চিনবেন যেভাবে

শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে আটক-২৪ বাংলাদেশিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

ভারতের দিল্লিতে কাজের সন্ধানে গিয়ে ফিরে আসার সময় ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক হত্তয়া নারী-পুরুষ শিশু সহ-২৪ জন বাংলাদেশিকে ফিরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

শুক্রবার ২৩(মে)রাত দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী সীমান্তের ৯৩২ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ এর পক্ষে ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এসি,এসএইচ এল সিমতি এবং বিজিবির পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন নেতৃত্ব দেন। এসময় নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন,বালার হাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমান সহ- বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঘন্টাব্যাপী এ বৈঠক শেষে বিএসএফ আটক ২৪জন বাংলাদেশিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।পরে বিজিবি তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বালার হাট বিওপির প্রতিপক্ষ ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করলা ক্যাম্পে ভারতে অভিবাসনরত কিছু নাগরিক কে বাংলাদেশে পুশইন করার জন্য জড়ো করা হয়েছে মর্মে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে,কর্নেল মেহেদী ইমাম,পিএসসি জানতে পারেন। তখন অবৈধভাবে কোন নাগরিক কে বাংলাদেশে পুশইন না করার জন্য প্রতিপক্ষ ভারতীয় বিএসএফ কে কঠোর বার্তা প্রদান করা হয়। বার্তায় বিএসএফকে আরও জানানো হয় প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশি নাগরিক হলে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে গ্রহণ করা হবে। কিন্তূ কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশি নয় এমন কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকতে দেওয়া হবে না।এর প্রেক্ষিতে বিএসএফ প্রাথমিকভাবে ২৪ জনের (পুরুষ-১২জন শিশু ৪জন মহিলা- ১২জনের) নামের তালিকা লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে প্রদান করে। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রহণ করা হয় পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভারত থেকে ফেরত আসা ওই ২৪ জন হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাশিয়ারছড়া সমন্বয়পাড়া গ্রামের জসীমউদ্দীনের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম(১৯) মেয়ে তসলিমা খাতুন (৭)মা তানেকা বেগম (৪৭) বোন তাহেরা খাতুন (৭)একই এলাকার কামালপুর গ্রামের আছর আলীর ছেলে,মানব আলী(২৪) স্ত্রী রুমি বেগম (২০) নবীর হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৩১) স্ত্রী সাথী বেগম (২৮) ছেলে শহিদুল ইসলাম (৯) মেয়ে কাজলি (২) উপজেলার আরজি নেওয়াশি গ্রামের কাজী উদ্দীনের ছেলে জাহিদুল হক (৫৫) স্ত্রী আনজুমা বেগম (৩৩) ছেলে আশিক বাবু (১৪) মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৯) জামাতা রবিউল ইসলাম (২২)ও দশমাস বয়সের নাতি জুনায়েদ, ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে হাসেন আলী (৩৫) স্ত্রী আলমিনা বেগম (২৯) মেয়ে হাসিনা খাতুন (১৩) ছেলে আরিফ (৪) আরমান (২) এবং জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুর ছালাম (৫০)।

এবিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন জানান ,যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৪ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে ফেরত আনা হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর