Logo
শিরোনাম

গরমে পাউডার ব্যবহার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

গরমে অনেকেই ঘাম আটকাতে কিংবা খানিকটা স্বস্তি পেতে পাউডার ব্যবহার করেন। আপনার ব্যবহার করা এই ট্যালকম পাউডার কতটুকু ভালো?

যে উপাদান দিয়ে ট্যালকম পাউডার তৈরি হয়-

ট্যালকম পাউডার তৈরি হয় ট্যাল্ক নামক একটি পদার্থ থেকে। এটি মূলত ম্যাগনেশিয়ামসিলিকন  অক্সিজেন দ্বারা গঠিত একটি উপাদান। এটি আর্দ্রতা শোষণ করতে  ত্বককে ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। ফলে এই ধরনের পাউডারে যেমন এক দিকে ঘাম নিয়ন্ত্রিত হয়তেমনই কমে ঘাম  ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত তৈরির আশঙ্কা।

ট্যালকম পাউডার মাখার কী ঝুঁকি ?

১। কিছু কিছু ট্যালকম পাউডারে অ্যাসবেসটস নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদানটি শ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করলে ক্যানসারের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

২। আমেরিকার একটি গবেষণা বলছে যৌনাঙ্গ সংলগ্ন অঞ্চলে এই পাউডার বেশি ব্যবহার করা হলে আশঙ্কা থাকে ওভারিয়ান ক্যানসারের।

৩। শ্বাসের মধ্যে দিয়ে এই পাউডার দেহে প্রবেশ করলে হতে পারে হাঁচিকাশি  শ্বাসকষ্ট। এমনকি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে ফুসফুসের কোষ  কলার।

৪। শিশুদের জন্য যে পাউডার ব্যবহার করা হয় তাতে যদি এই পাউডার থাকেতবে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শিশুদের নাকে চলে গেলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫। কারও কারও মতে এই ধরনের পাউডার ঘর্মগ্রন্থির ক্ষরণের পথ রুদ্ধ করে। ফলেঘাম আটকাতে গিয়ে হতে পারে হিতে বিপরীত।


আরও খবর

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ‘ভুল’: বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া গাজায় এখন শুধু যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করারও আহ্বান জানান বাইডেন।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং গাজার অভ্যন্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এটি ছিল নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে বাইডেনের সবচেয়ে কড়া সমালোচনা। খবর এএফপির

নেতানিয়াহুর যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাইডেন ইউএস স্প্যানিশ ভাষার টিভি নেটওয়ার্ক ইউনিভিশনকে বলেন, আমি মনে করি তিনি যা করছেন তা ভুল। আমি তার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত নই।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক দাতব্য সংস্থায় গত সপ্তাহে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি ছিল একেবারে গর্হিত কাজ। এটা নিয়ে নেতানিয়াহুর সাথে বাইডেনের উত্তেজনাপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও সাহায্য সরবরাহের সুযোগ করে দিতে ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব, জর্ডান এবং মিসরের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে

বাইডেন বলেন, গাজার লোকদের চিকিৎসা ও খাদ্যের চাহিদা পূরণ না করার কোনো অজুহাত নেই। এটা এখনই করা উচিত।

গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাহায্য কর্মী ইসরায়েলের হামলায় নিহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পর বাইডেনের এমন সাক্ষাতকার তার ইসরায়েল নীতির নাটকীয় পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।

হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে বলেছিল, নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাইডেন হুমকি দিয়েছিলেন যে, গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আর নিঃশর্ত সহায়তা দেবে না। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সাত কর্মীকে নিহত হওয়ার পর বাইডেন সেই হুমকি দিয়েছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনিদের জীবনে।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




বুড়িগঙ্গার পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ৪ মিলিগ্রাম/লিটার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শ্যামপুর বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) মাত্র ০.১৪ থেকে ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার বলে জানিয়েছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিজা ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠা পানি নদীবেষ্টিত শহর ঢাকা। এই বিশাল মিঠা পানির জলাধার ইতোমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি উজান থেকে প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে যাচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পানির কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এতে কোনো জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পরিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মোস্তাক হোসেন।

বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ২.২ বিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০ শতাংশ (যার বেশির ভাগই সেচ কাজে), শিল্প খাতে ২০ শতাংশ (বিশেষ করে জ্বালানি ও উৎপাদনে), গৃহস্থালি কাজে ১০ শতাংশ (যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি) হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদেশে ছোট বড় ৪০৫টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। ৫৪টি ভারতের এবং ৩টি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৪৮টি মৌসুমী নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো আজ মৃতপ্রায়। উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো শুল্ক বালুচরে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। দখল, ভরাট, আর বর্জ্যে নদীগুলো এখন নিস্তব্ধ স্রোতহীন এবং দূষণের ভারে পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।

ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি অভাবে মানব শরীরের কিডনি, লিভার, হার্টসহ নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যাসহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন।

ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত দাবি করে পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, সকালবেলায় বস্তির মানুষেরা এক কলসি পানির জন্য এই শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে; যা তাদের জীবন জীবিকাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। সরকারকে এই প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

একটি রোডম্যাপ করে দেশব্যাপী পানির অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক।

 


আরও খবর



নেশাগ্রস্ত স্বামীর কাছ থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক :

নেশাগ্রস্ত ও বিকৃত স্বভাবের স্বামীর কাছ থেকে রেহাই পেতে গতকাল (১৭ এপ্রিল বুধবার) ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রিয়ন্তী সাহা নামে ১৯ বছর বয়সের এক তরুণী। অত্যাচারিত মেয়েটি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চায়। কিন্তু হিন্দু আইনে ডিভোর্স নেই। পরে “শ্বশুরবাড়িতে হামলা করার সময় চার বোতল ফেনসিডিলসহ” মেয়েটির স্বামী দীপকে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আচ্ছা বলুন দেখি, দীপ “ফেনসিডিলসহ শশুরবাড়িতে হামলা”র ঘটনাটি না ঘটালে আর কোন আইনে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারত? হিন্দু আইনে প্রিয়ন্তী সাহা প্রতিকার পাবে কিভাবে? প্রকৃত আইনে প্রতিকারের সুযোগ না থাকলে বিকৃত পন্থায় কিভাবে কি করতে হয় সে বিষয়ে আমাদের দেশের মানুষ সিদ্ধহস্ত। সবকিছুতেই বিকৃত পন্থার অনুশীলন!

শুরুতেই ঝরে গেছে মেয়েটির মধুময় দাম্পত্য জীবনের সকল সম্ভাবনা। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী মাত্র এক মাস আগে গরীবের মেয়ে প্রিয়ন্তীর বিয়ে হয়েছিল এক কোটিপতির নেশাগ্রস্ত ছেলে দীপের সাথে। বিয়ের প্রথম রাত থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। অভিযোগ অনুযায়ী, দীপ তাকে জোর করে নেশা করাতো; এমনকি স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্কের গোপন মুহুর্তগুলো ফিল্মিং করে ফেসবুকে দিত। 

মেয়েটি ঐ স্বামীর সাথে সংসার করতে রাজি নয়। ছেলের কাকাও নেশাগ্রস্ত দীপের দুরাচারের কথা স্বীকার করেছে। এ পর্যন্ত এই তথ্যগুলি মিডিয়ায় এসেছে। এরপর দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব যখন দীর্ঘায়িত হবে, তখন হয়তো ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েটির চরিত্রের দোষ ছড়ানো হবে। এসব নিয়ে সমাজে খোশগল্প হবে। কিন্তু এর স্থায়ী আইনগত সমাধান এবং এধরনের অবস্থার শিকার হওয়া মেয়েদের সুস্থ্য স্বাভাবিক দাম্পত্য ভবিষ্যৎ তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভাববে না! 

আমরা যখন হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ ও মেয়েদের পুনঃবিবাহের আইন চাচ্ছি তখন আমাদের দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত তথাকথিত প্রগতিশীল কিছু হিন্দু বলছে “হিন্দু বিয়ে জন্মজন্মান্তরের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন।” হিন্দু বিয়ে ভাঙা সম্ভব নয়। মেয়েদের পুনরায় বিয়ে হতে পারে না। বাটপারদের এসব কথা বাস্তবসন্মত নয়, প্রিয়ন্তী ও দীপের ঘটনা তার প্রমাণ। এরকম প্রমাণ অসংখ্য। 

প্রিয়ন্তী নামক ১৯ বছরের এই মেয়েটির জন্য বাকি জীবন একাকি কাটানো কতটা ভাল এবং নিরাপদ? বর্তমান স্বামীর সাথে বৈধভাবে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে তাকে অন্য কোনো ভাল যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ দিলে কি অধর্ম হবে? অথচ বাংলাদেশের হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারীর পুনরায় বিবাহের বিধান নেই। ভারতের হিন্দু আইনে আছে; হিন্দু শাস্ত্রেও বিধান আছে। 

বাংলাদেশের হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ না থাকা সত্ত্বেও এখন আইনকে পাশ কাটিয়ে বহু দম্পত্তি অবৈধপন্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে। অবৈধভাবে মেয়েদের নতুন করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। জীবনের বাস্তবতায় যে বিষয়ের চাহিদা আছে বা অনিবার্যতা আছে, তাকে শুধু আইনগতভাবে বাঁধা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। 

হিন্দু বাটপাররা অবৈধ বিবাহ বিচ্ছেদ, মেয়েদের অবৈধভাবে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া, অবৈধভাবে দাম্পত্য সম্পর্ক করা, অবৈধভাবে সন্তান উৎপাদন এবং সেই অবৈধ সন্তানের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি সব জিইয়ে রাখতে চায়। সব অবৈধকর্ম মানবে, কিন্তু বৈধ বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইন প্রণয়ন মানবে না। ইংরেজদের ভগবান হিসেবে বিশ্বাস করে হিংরেজদের রেখে যাওয়া আইন মানবে! 

হিন্দুদের বড় বড় সংগঠন আছে। অথচ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ ছাড়া হিন্দুদের কোনো সংগঠনের দাবিনামায় প্রিয়ন্তীর মতো বিড়ম্বিত জীবনের মেয়েদের মুক্তির জন্য বা নারী অধিকারের পক্ষে একটিও দাবি নেই। সবচেয়ে বড় বাটপার সেইসব হিন্দু, যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত ও প্রগতিশীল দাবি করে; ইসলামী মৌলবাদের বিপক্ষে কথা বলে অথচ হিন্দু সমাজের সমস্যাগুলোর বিষয়ে নিরব থাকে। শুধু নিরব নয়, এরা কেউ প্রকাশ্যে, কেউ নিরবে এবং কেউ কেউ ইনিয়েবিনিয়ে ”হিন্দু বিয়ে জন্মজন্মান্তরের বন্ধন” গল্পই চালিয়ে যাচ্ছে। 

মন্ত্র পরে নাকি নারী ও পুরুষের দুই আত্মা এক করে দেয়া যায়! দুই আত্মার বন্ধন হলেও সেটা আবার পুরুষের জন্য নয়। পুরুষ বিয়ে করে এক বউকে ঘরে পৌঁছে দিয়েই চাইলে এক ঘন্টার মধ্যে আবার আরেকটি বিয়ের জন্য দৌড় দিতে পারে। এক পিঁড়িতে বসেই একাধিক মেয়েকে বিয়ে করতে পারে। আরও বহু নারীর সঙ্গে “জন্মজন্মান্তরের বন্ধন” তৈরি করতে পারে। সবগুলো বিবাহবন্ধনে শুধু নারী আটকাবে, পুরুষ মুক্ত। হিন্দু আইনে পুরুষের জন্য যতখুশি বিয়ে করতে বাধা নেই। বিয়ে ছাড়াও যত্রতত্র গমণে পুরুষের বাধা নেই; কারণ পুরুষের জন্য “সতীত্ব” নয়। 

হিন্দু পুরুষের বহুবিবাহের সুযোগ বন্ধ করার কথা বললে জন্মজন্মান্তরের বন্ধনবাদী দাদারা হৈ হৈ করে বাধা দিতে আসে। বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের দাবি জানালেও প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীল শয়তনরা আপত্তি করে। আমরা বহুবার শাস্ত্রবিধি দেখিয়ে বলেছি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারীর পুনরায় বিয়ে দেয়া সনাতন ধর্মে বৈধ। শাস্ত্রগ্রন্থে এর সুস্পষ্ট বিধান আছে; পৌরাণিক আমলে বিবাহ বিচ্ছেদের নজিরও আছে। একজনেরও সামর্থ্য হয়নি শাস্ত্র দেখিয়ে আমাদের দাবি ভুল প্রমাণ করার। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক কায়েমি স্বার্থ ও হীনমন্যতার ঊর্দ্ধে তারা উঠবে না। 

এরা গরু-বাছুর ও পণ্যসামগ্রির মতো মেয়েকে দান করার পক্ষে। শুধু দান নয়, এর নাম আবার “সম্প্রদান”! অর্থাৎ কোনও প্রকার শর্ত ছাড়া, সম্পূর্ণভাবে স্বত্ত্ব ত্যাগ করে ধর্মার্থে কন্যাদান। মেয়ে নাকি দানের বস্তু! দানের মধ্য দিয়ে মেয়ের উপর বাবার আর কোনও স্বত্ব থাকবে না; কন্যা দান করে বাবা পুণ্য অর্জন করবে। বাবার গোত্রেও মেয়েটির আর পরিচয় থাকবে না। একদম গোত্রান্তর! 

অনেকবার বলেছি, তোমরা একটি প্র্যাকটিক্যাল দৃষ্টান্ত আমাকে দেখাও যেখানে, বিয়ের মন্ত্রের মাধ্যমে মেয়েটির গোত্র বদলে গেছে। মেয়েটির শরীরে আর বাবা-মায়ের ডিএনএ নেই –পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে বিয়ের পর মেয়েটির সঙ্গে তার স্বামীর অথবা তার শশুর- শাশুড়ির ডিএনএ মিলছে। একজনও ডিএনএ টেস্ট করে পরীক্ষা দিতে রাজি নয়। মেয়েকে দান করেছ, তার সাথে তোমার আর সম্পর্ক নেই! দান করে মেয়েকে কি পর করে দেয়া যায়? তুমি কি বিয়ে দেয়ার পর তোমার মেয়েকে ভিন্ন সম্পর্কে বউদি ডাকতে পারবে? তাহলে গোত্রান্তর কি আসলে মিথ্যা নয়? তোমার মেয়ের গোত্রান্তর হবে কেন বন্ধু? 

শাস্ত্রে কন্যাদানের বিধান আছে, আমরা তা অস্বীকার করছি না। যজ্ঞের পুরোহিতকে স্বালঙ্করা কন্যা দান করলে পুণ্য বেশি হয়। শাস্ত্রে তাই বলা আছে। কিন্তু উপযুক্ত ছেলের কাছে বিয়ে না দিয়ে পুরোহিতকে কন্যাদান করতে কেউ রাজি হয় না। শাস্ত্রে শিশু কন্যাদানকে আরও বেশি মহিমান্বিত করা হয়েছে। আট বছর বয়সী কন্যাদানে পুণ্য অনেক বেশি। অষ্টম বর্ষীয় কন্যার বুড়ো স্বামী মারা গেলে সেই বাচ্চা মেয়েটাকে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারলে আরও বেশি পুণ্য অর্জন করা যায়। শাস্ত্রে এসব আছে। কিন্তু সরকার আইন করে সতীদাহ ও বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করেছে। ভারতে পুরুষের বহুবিবহাও নিষিদ্ধ হয়েছে। এখন কন্যাদানের মতো অসভ্যতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করার সময় এসেছে। মানুষকে উন্নত হতে হবে, আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের সমান্তরালে চলতে জানতে হবে। 

আমি বহুবার শাস্ত্র দেখিয়ে বলেছি, কন্যাদান ছাড়াও বিয়ের বিধান আছে। শাস্ত্রে আট প্রকার বিয়ের বিধান আছে। প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর পারস্পরিক পছন্দে ও সন্মতিতে বিয়ের স্বীকৃতি শাস্ত্রে আছে। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বিশেষ একটি শাস্ত্রের নির্দিষ্ট কোনো বিধান অনুসরণ করার বাধ্যবাদকতা নেই। 

সনাতন ধর্মে উদ্ভট প্রাচীন কিছু প্রথার নজির যেমন আছে তেমনি প্রথার বাইরে গিয়ে উন্নত হওয়ার তাগিদও আছে। সনাতন ধর্ম প্রগতিশীল। পরিবর্তন ও যুগধর্ম অনুসরণ সনাতন শাস্ত্রে অনুমোদিত। যারা সনাতন শাস্ত্রকে প্রতিক্রিয়াশীলতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নারীর জীবনকে দুর্বিষহ করতে চায় এবং হিন্দু নারীদের দাসীর মতো ব্যবহার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই এবং জয় আমাদের প্রাপ্য।


আরও খবর



রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অবৈধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মেগাসিটি ঢাকার ৭৪ ভাগ ভবনই অবৈধ। অবাক করার মতো হলেও বাস্তবতা বলছে, এই নগরের মাত্র ২৬ ভাগ ভবন তৈরি হয়েছে নিয়মনীতি মেনে। বাকি সবক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যত্যয়। তবে এবার তৃতীয়পক্ষ দিয়ে জরিপ করে নগরের শতভাগ ভবনের নকশা হাতে পেতে চায় রাজউক। তিন ধাপে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। নগরবিদরা বলছেন, কষ্টসাধ্য হলেও সম্ভব। তবে বাস্তবায়নে খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে রাজউককেই। এই মহানগরে প্রায় চার লাখ ভবন রয়েছে, যা বিধির বাইরে।

৪০০ বছরের পুরনো শহর ঢাকা। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে এর গোড়াপত্তন হলেও এখন টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ঠেকেছে সীমানা। স্বাধীন বাংলার ২০ লাখ মানুষের নগরে মতিঝিল আর কারওয়ান বাজারই ছিলো দুটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ৫৩ বছর পর শহরের জনসংখ্যা এখন দুই কোটির বেশি।

এমন অবস্থায় আবাসিক ভবনে বাণিজ্য কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এমনকি আবাসিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

রাজউকের কাগজে-কলমে ধানমন্ডি একটি আবাসিক এলাকা। কালের বিবর্তনে তা এখন পুরদস্তুর বাণিজ্যিক এলাকায় রূপ নিয়েছে। এখানকার সাত মসজিদ রোডের কথাই ধরা যাক। একটি সড়কের মধ্যে যে পরিমাণ হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্তোঁরা, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস রয়েছে; একক সড়ক হিসেবে কোন সড়কে এতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বে নজিরবিহীন বলা যায়।

যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই কথিত তিলোত্তমা ঢাকায় সেখানে আলাদা করে আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকা সেটাও এখন বিলাসিতার পর্যায়। আর তাইতো অপরিকল্পিত এই নগরে কদিন বাদেই নিমতলী, এফআর টাওয়ার, চুড়িহাট্টা কিংবা বেইলী রোডের মতো ট্রাজেডি সামনে আসে।

রাজউকের তথ্যই বলছে, ঢাকায় ৭৪ ভাগ ভবনই গড়ে উঠেছে নকশার বাইরে। বাকি ২৬ ঠিকঠাক। তবে এবার এই নগরের সব ভবনের নকশা নিজেদের মুঠোয় পেতে চায় রাজউক। নীতিমালা প্রস্তুত করে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করা হবে জরিপ।

সংস্থাটির প্রধান নগরবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজউকের পক্ষে একা এ কাজ করা কঠিন। তাই আমরা তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করার চেষ্টা করছি। তারা সরেজমিনে সব ভবন পরিদর্শন করে অগ্নি নিরাপত্তা এবং ভূমিকম্প ঝুঁকির বিষয়ে দেখবে।

তারপর তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা যতোই হোক তা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বাকিদের দেয়া হবে সংশোধনরে সুযোগ। এরপর বিশাদ অঞ্চর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

নগরবিদরা বলছেন, কেবল পরিকল্পনা নয় বাস্তবায়নও দেখতে চান তারা। আর সেজন্য দরকার প্রতিষ্ঠানটির সদিচ্ছা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, এই কাজে কেউ যেন হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি আছে সেই খোলস থেকে বের হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা দিতে হবে। আর যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।


আরও খবর



রাজাপুরে ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তি আটক, ১৩ কেজি তামার তার উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরের ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পশ্চিম ফুলহার ও বড় কৈবর্তখালী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হল, উপজেলার পশ্চিম ফুলহার গ্রামের মৃত আয়েন আলী খানের ছেলে দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু (৫৫) ও বড় কৈবর্তখালী গ্রামের হানিফ ঘড়ামীর ছেলে ইসা ঘড়ামী (৪৫)। 


রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকটি ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে আটক করে এবং ট্রান্সফর্মারের ১৩ কেজি তামার তার উদ্ধার করা হয়। 

আটকৃতদের বিরুদ্ধে রাজাপুর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসূদন রায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর