Logo
শিরোনাম

গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির দাবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইন-২০০৬ ও লেবার ফোর্স সার্ভেতে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি জানানো হয়েছে। এসব নারীশ্রমিকের বর্তমান কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর পরিচালিত গবেষণার ফলাফলবিষয়ক একটি জাতীয় অবহিতকরণ (কনসালটেশন) ও পরামর্শমূলক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় হোটেল লেক ক্যাসেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী। এতে সহযোগিতা করে ফ্রেডরিখ ইবার্ট স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশ কার্যালয়।

গৃহভিত্তিক নারীশ্ররমিকদের নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষণা দলের প্রধান ও ক্রিয়েটিভ পাথওয়েজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিয়া হক। গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তিনি গৃহভিত্তিক নারী শ্রমিকদের বর্তমান কর্ম পরিস্থিতি ও সামাজিক সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকেরা কত ধরনের কাজ করছেন, তা চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সমীক্ষায় আনতে হবে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে তাদের বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এ যুক্ত করতে হবে।

দলগত কাজের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারকদের করণীয়, ট্রেড ইউনিয়ন ও সুশীল সমাজের করণীয় বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে কর্মশালায়। এগুলো ভবিষ্যত অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জরুরি। গবেষণা ও থিমেটিক আলোচনা থেকে উঠে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে আছেগৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে একটি বিশেষ দল তৈরি, সংজ্ঞা নির্ধারণ করা, কত ধরনের গৃহভিত্তিক শ্রমিক রয়েছে তা ম্যাপিং করা এবং তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সংগঠন গড়ে তোলা।

কর্মজীবী নারীর সহ-সভাপতি ও নারীশ্রমিক কণ্ঠ-এর যুগ্ম সমন্বয়ক উম্মা হাসান ঝলমলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এফইএসের বাংলাদেশ কার্যালয়ের আবাসিক প্রতিনিধি ড. ফেলিক্স গ্যার্ডেস। এতে থিমেটিক আলোচনার সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও অক্সফামের (বাংলাদেশ) প্রকল্প সমন্বয়ক শাহাজাদী বেগম।

কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক তাসনুভা অনন্যা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার, কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) ইফফাত আরা।

কর্মশালার সঞ্চালনা ও সমাপনী বক্তব্য দেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা। প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এফইএসের (বাংলাদেশ) প্রকল্প উপদেষ্টা আরিফা এস আলম। অনুষ্ঠানে জাতীয়-আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসহ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকেরা অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সুফী একটি আত্মা বিষয়ক অধ্যায় । আত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। সুফিবাদের একমাত্র মূল বিষয়টি হল, আপন নফসের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া। জীবাত্মাকে পরমাত্মার অধীন করা। আল্লাহ পাক যে শয়তানটিকে
আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে তার সাথে জিহাদ করে তার থেকে মুক্ত হয়ে এ জড় জগত থেকে মুক্তি পাওয়া। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার


এবং আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাতিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) এর মতে, আল্লাহর ব্যাতীত অপর মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ন রূপে আল্লাহুতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ বলে

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহঃ


সুফীবাদ এক প্রকার রহস্যময় হৃদয়ভিত্তিক ও আত্মোপলব্ধিমূলক মতবাদ। একে রুহানী প্রশিক্ষণও বলা হয়। ব্যক্তির আত্মার পরিশুদ্ধি ও পরম সত্তার সন্ধানই এর লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সুফীগণ কতগুলো মূলনীতি ও স্তর তৈরি করেছেন। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো

মূলনীতি সমুহঃ-


১. তাওবা : অন্যায় ও পাপের ওপর আন্তরিক অনুশোচনা, অন্যায়ের স্বীকৃতি ও বিষ্যতে এ কাজ না করার দীপ্ত শপথ। তাওবা হচ্ছে সুফী মতবাদের প্রথম মূলনীতি


২. তাওয়াক্কুল : সর্বাবস্থায় দয়াময় আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করাই তাওয়াক্কুল


৩. পরিবর্জন: এ প্রসঙ্গে নিজামুদ্দীন আওলীয়া বলেন : স্বল্প আহার, স্বল্প কথন, স্বল্প মেলামেশা, স্বল্প নিদ্রার

 মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের পূর্ণতা।


৪. সবর : যে কোন অবস্থায় অস্থির না হয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নেয়াই সবরের একমাত্র দাবী


৫. আত্মসমর্পণ : গুরুও কাছে নিজ আত্মাকে সোপর্দ করে দিতে হবে


৬. ইখলাস : নিছক আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সব কাজ করতে হবে


৭. আল্লাহর প্রেম : অন্তরে পার্থিব জগতের কোনকিছুর প্রেম ও মোহ থাকতে পারে না। সর্বক্ষণ আল্লাহকে পাওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকতে হবে


৮. আল্লাহর যিকর : আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন ও অন্তরকে পরিশুদ্ধি করার জন্য সর্বদা আল্লাহর যিকর


৯: শুকুর : আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান ও আনুগত্যকরণ শুকর বলা হয়

স্তরসমুহঃ 
১. ফানাফিস শায়েখ : এই স্তরে সাধক তার মোরশেদের সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে তার মোরশেদ চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে মোরশেদ তাকে রাসুল (দ:) এর কাছে পৌছে দেন

২. ফানাফির রাসূল : এই স্তরে সাধক গন রাসুল (দ:) এর সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে রাসুল (দ:) চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে রাসুল (দ:) তাকে এর মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে পৌছে দেন

৩. ফানাফিল্লাহ ও বাকাবিল্লাহ :


ফানা ফিল্লাহ এবং বাকাবিল্লাহ হচ্ছে সুফী সাধনার সর্বোচ্চ স্তর। এ স্তরে পৌঁছলে সুফী নিজের ব্যক্তিগত চেতনাকে মুছে দিয়ে ঐশী চেতনায় উন্নীত হন। ব্যক্তিগত চৈতন্য খোদার ধ্যান ও প্রেমে সমাহিত হয়। তাই আত্মচেতনার অবলুপ্তিকেই বলা হয় ফানা


ফানার শেষ পর্যায়ে শুরু হয় বাকার প্রাথমিক পর্যায়। এ স্তরে সুফী সাধক আল্লাহর চিরন্তন সত্তার অবস্থান করেন

প্রাপ্তি কাশফ : সুফীগণ যখন আধ্যাত্মিক সাধনার চরম পর্যায়ে উপনীত হন তখন তার অন্তদৃষ্টি খুলে যায় এবং তার সামনে গোপনীয় সকল রহস্যদ্বার খুলে যায়। এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহর অসীমতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন

 


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরা অঞ্চলের জেলা নওগাঁয় সোমবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি, কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল হওয়ায় তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পথ, ঘাট ও মাঠ। এই কুয়াশা ভেদ করে গত কয়েক দিন সূর্যের দেখা মিললেও সোমবার ৯ ডিসেম্বর সারাদিন সূর্যের দেখা যায়নি। সেই সাথে দুপুরের পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। 

ঘন কুয়াশার কারণে নওগাঁর সড়ক গুলোতে রাতে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি দূর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৮ পর্যন্ত গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে।

সোমবার সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকেল ৩ টায় তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শনিবার সকাল ৬টা ও ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা ছিল ঐ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রার একটু বেড়েছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, শীতের দাপট জেলায় এখনো ততটা বৃদ্ধি না পেলেও দিন দিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তাই তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে আরও কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নওগাঁর সদর হাসপাতালসহ ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর মধ্যে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।


আরও খবর



ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শুক্রবার, ছুটির দিন। সরকারি সব প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ বন্ধ। তারপরও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর।

শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিশ্বের বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার দূষণ স্কোর ২৪২ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হো চি মিন শহরের দূষণ স্কোর ১৯০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের দুটি শহর করাচি ও লাহোর। ভারতের দিল্লি রয়েছে ৭ নম্বরে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। তবে এখনো সেই স্বৈরাচারের সহযোগীদের নানা উপায়ে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টরা। এমনকি প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা আবার নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি লাল রঙের করেছেন।

গত রবিবার (১০ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নতুন করে আরও তিনজনকে উপদেষ্টা করা হয়, যাদের মধ্যে রয়েছেন আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপরই পূর্ববর্তী সময়ে তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনার পর সর্বপ্রথম আবারও ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার আহ্বান জানান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘জুলাই শেষ হয় নাই। আসেন আমরা আমাদের প্রোফাইল ফটো আবারো লাল করে রাখি।’ আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আজকে ১৩৬ জুলাই’।

এরপরই শুরু হয় প্রোফাইল লাল করার হিড়িক। এরপর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি লাল করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টা ৫২ মিনিটে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে তিনি ক্যাপশনে লিখেন, ‌‘সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। ১৩৪ শে জুলাই, ২০২৪।’

এর আগে আরেকটি পোস্টে হাসনাত লিখেন ‌‘বশির-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি। এগুলা ভণ্ডামি। আপনেরা হাসিনা হয়ে ওঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হনু হইছেন?’

আরিফুল ইসলাম নামক এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘সবার ভেতরে থাকা লাল, আবার টগবগ করুক। চিরচেনা সেই উষ্ণতা, আবার ফিরে আসুক। হাজার হাজার প্রোফাইল লাল হওয়ার পরও যদি উপদেষ্টা পরিষদের টনক না নড়ে, তাহলে রাজপথ লাল হতে দেরি নাই।’

প্রতিবাদস্বরূপ ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। সেইসঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ১১টি প্রশ্নের উত্তরও চেয়েছেন তিনি। সেগুলো হলো— উপদেষ্টাদের কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় এবং কারা নির্বাচিত করেন? উপদেষ্টারা কি কোন বিশেষ ব্যক্তির নিয়োগ সুপারিশ করতে পারেন, কিসের ভিত্তিতে সুপারিশ করা হয়? ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তিনজন সমন্বয়ক ছাত্রকে কোন যোগ্যতায় উপদেষ্টা নির্বাচিত করা হয়েছে? এই আন্দোলনে জনতার পক্ষের যারা স্টেক হোল্ডার তাদের একজনও কেন উপদেষ্টা মণ্ডলীতে নেই?

আলোচিত এই সাংবাদিক প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সরকারে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই কেন? উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রিকশাচালক এই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই কেন? আওয়ামী লীগের পদলেহনকারী সেনা কর্মকতারা এখনো কীভাবে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন, তাদের কেন বরখাস্ত করা হচ্ছে না? ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান কি? গ্রামীণ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের কিসের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? আলী ইমাম মজুমদারের মতো একটা আওয়ামী ভৃত্য কেন সরকারের অংশ? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদকে কার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং কেন?

এর আগে আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ‘তাওহিদি ছাত্র জনতা’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক সভা পণ্ড হয়ে গেছে। সোমবার এই সভা থেকে পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– শিবলী নোমান, ওসামা, মবিন ও তওকীর।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেছিলেন হাসনাতসহ অন্য সমন্বয়করা।


আরও খবর



বুধবার থেকে ট্রাকে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ট্রাকে করে সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামীকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টিসিবি জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উক্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি তেল, ডাল ও খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে সরবরাহকৃত চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

এ কার্যক্রমের সঙ্গে বুধবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ৪০ টাকা।

এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সকাল সাড়ে ৯টায় টিসিবি ভবন কারওয়ান বাজার থেকে আলু বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪