Logo
শিরোনাম

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ জন করোনা আক্রান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image


গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

আজ এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছে, এ সময় ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক মাস ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। জানুয়ারির শুরুতে এটি ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁলেও আকু বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়নে নেমে আসে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাবে মোট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে মাত্র ছয় দিনে বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না; শুধু আইএমএফকে সরবরাহ করা হয়। সূত্রমতে, সেটি বর্তমানে ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করে। প্রথমটি মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ সমগ্র রিজার্ভ, যার মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তের ঋণসহ বিভিন্ন তহবিল অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়টি হলো, আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি। এটি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে হিসাবটি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। তখন বৈদেশিক ঋণ এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ থাকায় এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার সংযোজন হওয়ায় রিজার্ভের ধারা ইতিবাচক হয়েছে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশের ইসলামিক বক্তারা কি করছেন?

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে যারা মোটামুটি পরিচিত ইসলামিক বক্তা তারা প্রায় সবাই অর্থনৈতিকভাবে বেশ সলভেন্ট আলহামদুলিল্লাহ্‌ । 

প্রায় সবারই নিজের ব্যাক্তিগত গাড়ি-ড্রাইভার আছে, ঢাকায় ফ্ল্যাট আছে বা অন্তত জেলা শহরে নিজের একটা থাকার জায়গা আছে। 


যাদের ব্যাক্তিগত গাড়ি আছে তারা জানেন যে, ড্রাইভারসহ একটা প্রাইভেট কারের মাসিক খরচ অন্তত ৫০ হাজার টাকা । 

ঢাকার এবং জেলা শহরগুলোর ভালো এলাকার ইমাম-মুয়াজ্জিন-খতীবরাও এখন মোটামুটি স্বচ্ছল বলা যায় ।  

আমরা তো এরকমটাই চেয়েছিলাম, আমাদের ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বগণ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকবেন, তারা পর মুখাপেক্ষী হবেন না, নিজেদের ইনকাম সোর্স তৈরি করবেন। তারাও দেশের প্রথম শ্রেনীর নাগরিকদের মত নিয়মিত ট্যাক্স দিবেন, সকল সুযোগ-সুবিধা, সন্মান ভোগ করবেন ।  

কিন্তু আমার আফসোস এবং কষ্ট লাগে যখন দেখি, হেলিকপ্টার ,ব্যাক্তিগত গাড়ি থেকে মাহফিলে নেমে কোন কোন বক্তা মাহফিলে উপস্থিত শ্রোতাদেরকে দারিদ্রতার দিকে মোটিভেট করেন । 

আপনি বলতেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দিনের পর দিন না খেয়ে ছিলেন, সাহাবারা (রা) না খেয়ে ছিলেন, অনেকের পায়ে স্যান্ডাল থাকতো না, গায়ের জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল । 

আপনি নিজে চকচকা জামা পড়ে এসে, গাড়িতে বসে এসির হাওয়া খেতে খেতে এসে এগুলা কেন বলেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) না খেয়ে ছিলেন ওয়াজ করে, পরের মুহুর্তেই মাহফিল কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা ৮-১০ পদের শাহী খানাদানা কিভাবে আপনার গলা দিয়ে নামে ?     

প্রথমত, এই যে আমরা বলি, রাসুলুল্লাহ (সা) দরিদ্র লাইফ-স্টাইলটার দিকে ফোকাস করি এই কনসেপ্টটাই ভুল । এটা রাসুলুল্ললাহ (সা) এর ইনকম্পিটেন্সী ছিল না বরং উনার ব্যাক্তিগত চয়েজ ছিল ।  হি হ্যাড অল দ্যা লাক্সারিজ । 

কিন্তু উনি সেগুলো মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন । উনি ব্যবসায়িক-মিলিটারিলি ইন্টিলিজেন্স মারাত্নক রকমের শার্প এবং ব্রিলিয়ান্ট ছিল । উনি চাইলে প্রচুর টাকা কামাতে পারতেন । বাট উনি সেটা করেননি । আবু বকর (রা), উমার (রা) প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য । 

বাট আপনি নিজে তো সেই চয়েজটা বেছে নেননি । আপনি ভালো খাচ্ছেন, ভালো পোশাক পড়েন, ভালো গাড়িতে চড়েন, ভালো বাসায় থাকেন । তাহলে মানুষকে কেন গরীব থাকতে বলেন ? শুধু তাই না অপনাকে আনতে বা এই গনজমায়েত করতে কত মানুষের কাছে হাত পাত্তে হয়েছে এবং কোন কোন বয়সের মানুষ হাত পেতেছে তা অপনি ভালো করেই জানেন। তাহলে বলেন এটা কি ধরনের হিপোক্রেসী ? 

আপনি রাসুল (সা) এর বিজনেস/মিলিটারি একিউমেনের কথা কেন বলেন না, উনার সুপার-ডুপার ব্রিলিয়ান্ট ডিপ্লোম্যাটিক স্কিলের কথা কেন বলেন না, রাস্ট্র গঠনে উনার অসাধারণ জ্ঞানের কথা কেন তুলে ধরেন না। 

ভাই নিজেরা নিজেদের লিমিটেশন মেনে নেই । আমরা দুর্বল ঈমানের অধিকারী । আমরা কষ্ট করতে পারি না । ইটস ওকে। আল্লাহ্‌ আপনাকে এর জন্য জাহান্নামে দিবে না । 

আপনি মানুষকে সৎ হতে বলেন, কারো মনে কষ্ট না দিতে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)এর মত অসাধারণ এম্প্যাথেটিক একজন মানুষ হতে বলেন, নিজের কাজ-কর্মে সুপার ডুপার স্কিলড হতে বলেন। 

আইটিতে স্কিলড হতে বলেন, সেলসে স্কিল্ড হতে বলেন, বিজনেস কমিউনিকেশন-ম্যানেজমেন্ট এগুলাতে স্কিলড হতে বলেন । যে ডাক্তার হইছে তাকে তার ফিল্ডের সবচেয়ে বেষ্ট ডাক্তার হইতে বলেন, একজন ইঞ্জিনিয়ারকে সেরা ইঞ্জিনিয়ার হইতে বলেন । আপনি মানুষকে প্রচুর পরিমাণে হালাল উপার্জন করতে বলেন। 

আপনি মানুষকে যাকাত দেয়ার উপযোগী করতে মোটিভেট করেন। বলেন না, যে এ বছর এক লাখ টাকা যাকাত দিয়েছে সে যেন নেক্সট ইয়ার ৫ লাখ টাকা যাকাত দেয়ার মত অবস্থায় যেতে পারে। 

হ্যাঁ, তাকে চেষ্টা করতে বলেন । বাট ক্যারিয়ারকে নিজের ইলাহ বানাইতে না করেন । হালালভাবে একটা সার্টেন এফোর্ট দিয়ে ভালো উপার্জন করতে মানুষকে মোটিভেট করতে অসুবিধা কোথায় ? 

কেন মাত্র একটা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন তৈরি হইছে ? আরো ১০০টা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নাই কেন ? 

আপনি মানুষকে আরও ভালো করতে উৎসাহ দেন। তাদেরকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে বলেন । কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে বলেন । সেখানে ইসলামিক পরিবেশ এনশিউর করতে বলেন । অসহায়-বিপদগ্রস্থ মানুষদের কাজের ব্যবস্থা করতে বলেন।  

আপনি খেয়াল করে দেখেন, শিক্ষিত লোকজন কিন্তু আপনাদের কথা খুব একটা শুনতেছে না । কারন, আপনারা তাদের নীড ক্যাটার করতে পারতেছেন না । বুঝতেছেন না মানুষ এখন অনেক ওয়েল ইনফরমড । তার কাছে অনেক তথ্যের এক্সেস আছে যে পর্যন্ত আপনি এখনো যেতেই পারেন নাই । 

২১ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার এবং মাত্র ৯০ লাখ মানুষের একটা পুঁচকে রাস্ট্র সারা দুনিয়াকে নাচাচ্ছে শুধুমাত্র টেকনোলজি আর অর্থণীতির জোরে ।  তাদের অত্যাচার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমরা কিছু করতে পারতেছি ? 

ভাইয়েরা এখন সময় আছে নিজেদেরকে আপগ্রেড করি ।  উম্মাহর খেদমত করার অনেক জায়গা আছে । 

এখনো যদি ৮০-৯০ বছর আগের স্টাইল নিয়ে আপনি পরে থাকেন তাহলে আপনার দ্বারা উম্মাহর খুব একটা খেদমত হবে না এবং হইতেছে না এটা নিশ্চিত থাকেন। হ্যাঁ, আপনি খালি আপনার লাইফ-স্টাইলটাই এনশিউর করে যাচ্ছেন।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির জন্য জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে অভিযোগ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, গঠনের পর থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টারা। সরকারের মধ্যে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরে বা জুনে যখনই হউক; জাতীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যে রাজনৈতিক দল জাতীয় সরকারে যাবে না, জনগণই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ আগস্টের পরেই জাতীয় বা সর্বদলীয় সরকার গঠন জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করা হয় নাই। অন্তবর্তীকালীন সরকার নাম দিয়েই সরকারকে দুর্বল করা হয়েছে। এখন সরকার ও রাজনৈতিক দল মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। এখন এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে এই বিভাজনই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিবে।

আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সুযোগ পায়, তাহলে কিন্তু কাউকে ছাড়বে না। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অনেক এজেন্ট কাজ করবে, ফান্ড দেবে। কাজেই ছাত্রসহ সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন এবং করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো ছাত্রকে আমরা শক্ত অবস্থানে দেখছি না। এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালানোর দরকার ছিল। কিন্তু বুঝতে পারছি না, তারা কেনো আওয়ামী লীগের প্রশ্নে একটা সুবিধাবাদী অবস্থায় আছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে। তারা ধান্দা করার জন্যই টাকা খরচ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংস্কারে যারা কাজ করছেন, তারা কালো টাকা আর পেশিশক্তি ব্যবহার বন্ধে কি কাজ করেছেন আমাদের সেটা জানা নাই। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে নূন্যতম একটি শর্ত রাখতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকেই প্রার্থীর পোস্টারসহ নূন্যতম খরচ দিতে হবে। এ সময় তিনি উপদেষ্টাদের ভূমিদস্যু এবং লুটেরা দুইটি গ্রুপের বৈঠকের অভিযোগ তোলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, কেন উপদেষ্টারা বিএনপিকে বলছে, তারা কি ১/১১ চায়? বিএনপি তো ১/১১ এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বরং শোনা যাচ্ছে এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আশপাশে এক-এগারোর কুশীলবরা ঘোরাফেরা করছে। বরং মানুষের মনে উদ্বেগ যে, এ সরকার ব্যর্থ হয়ে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টি করে কি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, ব্যর্থ হবেন না। সব রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার ফলাফল ভাল হবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকার গত সাড়ে ৫ মাসে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। বরং পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো কেনো শেখ পরিবার, আওয়ামী হাইকমান্ড ও তৃণমূল থেকে আওয়ামী পান্ডাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কেনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না; শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেনো নিত্যপণ্যের দাম না কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলো? সরকারের এসব ব্যর্থতা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে উপদেষ্টারা।

এসময় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিপিএল ফাইনালে তামিমকে সম্মাননা দেবে বিসিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আরেকটি বিপিএলের শেষ পর্যায়ে এসে তামিম ইকবাল প্রকাশ করেছেন পরবর্তী বিপিএলেও খেলার তার আগ্রহ রয়েছে। এটি হওয়া স্বাভাবিক। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটকে তো নয়!

শুধু বিপিএল নয়, আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও তামিমের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সুযোগ পেলে বিভিন্ন দেশে হওয়া সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট লিজেন্ড লিগেও খেলতে চান তিনি। সুতরাং বাংলাদেশ দলের জার্সি না পরলেও এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না তামিম। তবে গুঞ্জন সত্যি হলে অদূর ভবিষ্যতে যদি তিনি সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, সেটি হবে ভিন্ন কথা।

জাতীয় দলে যেহেতু আর খেলছেন না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিম ইকবালকে বিদায়ী সম্মাননা জানানোর। আপাতত ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নেই। বিপিএলের কালকের ফাইনালটাকেই তাই তামিমের বিদায়ী উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। কাল সন্ধ্যায় মিরপুরে অনুষ্ঠেয় বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তার হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের দুই দলের একটি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।

বিপিএলের সিলেট পর্ব চলাকালীন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তামিম থাকবেন কি থাকবেন না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সিলেটে নির্বাচকেরা তার মতামত জানতে চাইলে তামিম জানিয়ে দেন তিনি আর জাতীয় দলে খেলবেন না। নির্বাচকেরা তাঁকে আরেকটু ভাবতে বললে তামিম দুই দিন সময় নেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান তিনি।

তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ পরে বিপিএলের মধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। আজ মিরপুরেও বলেছেন একই কথা।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মধ্যে অনেকটা অভিমান থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবশ্য পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টান। তবে এরপর জাতীয় দলের হয়ে মাত্র দুই ওয়াডেই খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখা গেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




১৯ টাকা দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি মাসের জন্য নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫