Logo
শিরোনাম

হাজিদের ফেরার ফ্লাইট শুরু রোববার

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতে চলেছে। মিনায় জামারাতে শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজই হাজিরা মক্কায় ফিরবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে এখন শুধু বিদায়ি তওয়াফ বাকি।যারা আগে মদিনায় যাননি তারা এখন মদিনায় যাবেন। আর যারা মদিনার পর্ব আগে সেরেছেন তারা এবার দেশের পথ ধরবেন। মদিনায় যাওয়া বা দেশে ফেরার আগে শেষ বারের মতো বায়তুল্লাহ তওয়াফ করবেন, যা বিদায়ি তওয়াফ হিসেবে পরিচিত।

এদিকে হজের ফিরতি ফ্লাইট আগামী ২ জুলাই (রবিবার) থেকে শুরু হচ্ছে।তবে প্রথম ফ্লাইটটি বাংলাদেশে যখন অবতরণ করবে তখন ৩ জুলাই সোমবার।

হজযাত্রী বহনকারী এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, হজ অফিসের বরাত দিয়ে হজ পোর্টালে জানানো হয়েছে, আগামী ২ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়ে চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত।

হজ পোর্টালে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ হজ অফিস, মিনা এর আইটি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে পথ হারানো হাজিদের তাঁবু খুঁজে পেতে সহায়তা করা এবং হাজিদের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সেবা ও সহায়তা প্রদান করা অব্যাহত রয়েছে। এই কার্যক্রম ১২ জিলহজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।বিশেষ করে পথ হারানো হাজিদের তাঁবু খুঁজে পেতে সহায়তা করা, ম্যাপ বুঝিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজনে তাঁবুতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এবার হজে যাওয়া লক্ষাধিক বাংলাদেশির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল এক দিনেই সাতজন হাজি মারা গেছেন। সৌদি আরবে অবস্থানকালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। মারা যাওয়া মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৩৫ জন আর নারী আটজন।

চলতি বছর ৩২৫টি ফ্লাইটে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজের উদ্দেশে সৌদি আরবে গেছেন। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী; সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন হজযাত্রী এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী।


আরও খবর



বদহজম হলে কী করবেন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এই ঈদে কোরবানির গরুর মাংস দিয়ে বিভিন্ন পদের রেসিপি তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঘরের রাঁধুনিরা। এই সময়ে মজাদার খাবারে মুখের রুচি বেড়ে যায়। খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। বেশি গরুর মাংস খাওয়ায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায়ও ভুগতে হয়। ফলে ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে অনেক বেশি। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।

অতিরিক্ত গুরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেটে ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? তাহলে জেনে নিন আপনার কি করতে হবে-

১/ পেট ফাঁপার সঙ্গে পেট ব্যথায় ভুগছেন? তাহলে কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান। ব্যথা কমে যাবে।

২/ বদহজমের জন্য কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন। এছাড়া বদহজমের জন্য এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

৩/ গ্যাসে সমস্যা হলে মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খান। পেটে গ্যাস জমবে না।

৪/ দুই কাপ পানিতে এক টুকরা আদা কুচিয়ে জ্বাল দিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের জন্য এটি ভালো কাজ করে।

৫/ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।

৬/ দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে রাখুন। এরপর এ পানিতে কিছু মধু মিশিয়ে গরম গরম দিনে দুবার পান করুন।

৭/ কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। পেট ফাঁপা কমে যাবে।

৮/ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, রাতে ঘুমানর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

সতর্কতা-

১/ ঈদে কোরবানির গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করতে হবে। রান্না করা মাংস বারবার জ্বাল দিয়ে বেশি দিন না খাওয়াই মঙ্গলজনক।

২/ রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে তার মাংস খেলে মাংসে থাকা জীবাণু দেহে বিষ উৎপন্ন করে। যা নানা ধরনের রোগের সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

৩/ ২৫ এর বেশি বয়সী যাদের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদের রেড মিট বা লাল মাংস না খাওয়া ভালো।

৪/ বেশি তাপে মাংস রান্না করলে মাংসে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে রান্না করা উচিত।

৫/ যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। এবং বেশি খেলে তাদের ক্যান্সার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৬/ মাংস অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হলে মাংস থেকে ফিতা কৃমির সৃষ্টি হয় যা থেকে পেট ব্যথা, মাথা ধরা, খিঁচুনিত, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে।


আরও খবর



ডেঙ্গু করোনা বায়ুদূষণে ত্রিশঙ্কু বিপদ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই বলে আসছেন, এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। একদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, আরেকদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা রোগী। আগে থেকেই খারাপ অবস্থা ঢাকার বায়ুমানের। সামনে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুললে বায়ুর মান আরও খারাপ হবে। রাজধানীতে চিরচেনা ভিড় বাড়লে করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণের হারও বাড়তে পারে। ফলে তিন বিপদের আশঙ্কায় আছে ঢাকাবাসী।

ডেঙ্গু এখন আর শহরের রোগ নয়। এ বছর ডেঙ্গু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের ৫৮টি জেলায় এটি দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি রোগী দেখা যাচ্ছে বরিশাল বিভাগে এবং একই বিভাগের বরগুনা জেলায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ হিসাবে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে একদিনে মারা গেছেন ৫ জন। যার মধ্যে চারজনই বরগুনার, আর একজন ঢাকায় মারা গেছেন। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ২৮ জনে। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৫৭০ জন।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩, ঢাকা বিভাগে নয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, খুলনা বিভাগে তিনজন এবং বরিশাল বিভাগে ১২৪ জন ও সিলেট বিভাগে একজন ভর্তি হয়েছেন।

ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫৩১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১২৭ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন ৪০৪ জন।

দেশে ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন; মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের। ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির এ সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর মৃতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মধ্যে একজন ঢাকা বিভাগের, আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা; দুজনই নারী। এ নিয়ে চলতি বছর করোনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। এর আগে ৫ জুন একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন বলা হয়, এদিন সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫টিতে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ বছর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৫ জনে, যাদের ৯৭ জনই চলতি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি এই সংস্থা বুধবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।

২০২০ সালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর দেশে ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা ভাইরাস পাওয়া যায় ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০টি নমুনায়। মৃত্যু হয় প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার মানুষের।

কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের প্রাণ কাড়ে করোনা ভাইরাস। সবচেয়ে বেশি ২০২১ সালে ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর পর ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন, ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যান এ ভাইরাসে।

করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে সামনে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবার ঢাকার চাইতে অন্যান্য জেলা শহরে বেশি। যেহেতু ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ঢাকাকেন্দ্রিক বেশি, তাই চাপটা রাজধানীর ওপর বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ঢিলেমিতে ডেঙ্গু ও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন তারা। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দাবি, ডেঙ্গু ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা বাড়তি নজর দিচ্ছে।

বাড়তি কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া আমাদের সময়কে বলেন, গত কয়েক দিন কোরবানির বর্জ্য নিয়ে আমরা একটু বেশি ব্যস্ত ছিলাম। তাই বুধবার জরুরি সভা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বাড়তি সতর্কতা মেনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিগুণ কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগ ঢাকার বাইরের। তবে চিকিৎসা নিতে রোগীরা ঢাকায় আসছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। এ জন্য তার দায় আমরা এড়াতে পারি না। এ জন্য বিশেষ অভিযানসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এবার ঢাকার চাইতে বরিশাল, বরগুনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ানক হবে এমন তথ্য বহু আগে থেকেই দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি না থাকায় যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনেকটাই পিছিয়ে সরকার। তাই এবার পরিস্থিতি ভয়ংকর হওয়ার আশঙ্কার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার আমাদের সময়কে বলেন, ঢাকার বাইরে পরিস্থিতি খারাপ হবে এই বার্তা আমরা আগেও দিয়েছি। কিন্তু সংস্থাগুলো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এখনও ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম শুরু হয়নি। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হবে জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। এ জন্য দ্রুত সার্ভে করে যেখানে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে তার ২০০ গজের মধ্যে লার্ভিসাইডিং করতে হবে। উড়ন্ত মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এখনই ব্যবস্থা না নিয়ে চাপ ঠেকানো কঠিন হয়ে যাবে বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

অন্যদিকে, ডেঙ্গু ও করোনা দুই আপদ থেকে ঢাকাবাসীকে সুরক্ষা দিতে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আমাদের সময়কে বলেন, সর্বশেষ বুলেটিনের তথ্যানুযায়ী ডিএনসিসিতে কোনো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তার পরও আমরা বাড়তি সতর্কতা জারি করেছি। হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত ডিএনসিসির ২৫টি ওয়ার্ডে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, উৎসে মশার বিস্তার রোধে যা যা করণীয়, তা করা হচ্ছে।

ডেঙ্গু, করোনার পাশাপাশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জ্যৈষ্ঠের তাপপ্রবাহ ও বায়ুদূষণ। ঈদুল আজহার মধ্যে জ্যৈষ্ঠের তাপে ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ পুড়ছে। ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। যদিও গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি বৃষ্টি হওয়ায় সাময়িকভাবে তাপপ্রবাহ কিছুটা কম ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার পাশাপাশি রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হয়ে যা কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে। আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, তবে তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না।

এই তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার বায়ু গতকাল বৃহস্পতিবার দূষণের দিক দিয়ে বায়ুর মান মাঝারি মাত্রায় ছিল। ঈদের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস বন্ধ থাকায় মানুষের আনাগোনাও কম ছিল। যে কারণে বায়ুদূষণ কিছুটা স্বস্তিকর ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। রবিবার থেকে অফিস, আদালত চালু হলে দূষণের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তারা।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




গণতন্ত্র ফিরতে দেরি হলে দেশে সংকট আরও বাড়বে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন, গণতন্ত্র ফিরতে দেরি হলে দেশে সংকট আরও বাড়বে। তিনি বলেন, আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের জন্য। আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটা যত বিলম্বিত হবে, তত বেশি সংকট বাড়তে থাকবে।

সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশঙ্কার কথা বলেন। সেগুনবাগিচায় পেশাদার সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান হয়। ১৯৯৫ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু হয়েছিলো। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শ্লোগান : ঐক্য-সমৃদ্ধি।

আমীর খসরু বলেন, দেশে যতক্ষণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন না হবে মিডিয়া তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না। গণতন্ত্র ও মিডিয়া হাতে হাত মিলিয়ে চলবে। গণতন্ত্রের যতদিন অনুপস্থিতি থাকবে, গণতান্ত্রিক অর্ডারের যত বেশি অনুপস্থিতি থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতি যত বাড়তে থাকবে মিডিয়ার ওপর চাপ বাড়তে থাকবে। অগণতান্ত্রিকভাবে যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তারা থাকার জন্যে, ক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য বিভিন্ন চাপের মধ্যে মিডিয়াকেও তারা চাপের ওপর রাখতে চায়। আমাদের ঐক্যটা হবে গণতান্ত্রিক, সংবিধান, রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য। যার মধ্যে মিডিয়ার স্বাধীনতা অর্ন্তনিহিত আছে।

মানুষের কাছে দায়বদ্ধ সরকার হতে হবে, জবাবদিহি সরকার হবে, বার বার জনগণের দিকে তাকাতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আখনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ঝালকাঠিতে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ জুন) দুপুরে রাজাপুর-ভাণ্ডারিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাকাপুল এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিকআপটি ভাণ্ডারিয়া থেকে রাজাপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস পিকআপটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, “ঘটনার পর পরই পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


আরও খবর



নওগাঁয় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, এক বন্ধু আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর নজিপুর  থেকে মোটরসাইকেলের যোগে নিজ বাসায় ফেরার পথে দূর্ঘটনায় সুনিবর আশরাফ (১৭) ও হৃদয় (১৭) নামে দু'জন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন বন্ধু। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধার পূর্ব মহূর্তে নওগাঁ টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পত্নীতলা উপজেলার পার্বতীপুর মোড় নামক স্থানে।।

নিহত সুনিবর আশরাফ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাস্টার পাড়া এলাকার বেথুল আশরাফ ওরফে বাবু'র ছেলে এবং হৃদয় আখতারুজ্জামানের ছেলে। আর আহত বন্ধু হলেন, একই এলাকার শাহাজান আলীর ছেলে সাদনান সাকিব (১৭)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ও আহতরা ৩ জন বন্ধু। তারা বাড়ি থেকে নজিপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে পার্বতীপুর মোড় এলাকায় পৌছার পরই তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে রাখা একটি বাসের পেছনে ধাক্কা লেগে

সুনিবর আশরাফের দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা নিহত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে সুনিবর আশরাফ এর মৃতদেহ ও  আহত দুই জনকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক আহত দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহীতে নেওয়ার পথে হৃদয়ের মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুল বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধে মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর