Logo
শিরোনাম

হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আন্তার্জাতিক ডেস্ক::


তেহরানে এক হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। এসময় তার এক দেহরক্ষীও নিহত হন।


বুধবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে হামাস। ইরানি মিডিয়ার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।


ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হানিয়া যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখানে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হন।


এতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন।

  

হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস। এতে বলা হয়, তেহরানে নিজ আবাসস্থলে বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী অভিযানে নিহত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।

 

তবে, হানিয়াকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি ইরান। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।



আরও খবর



ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপ মিয়ানমার-থাইল্যান্ড, জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশ দুটিতে ভবন ধসের পাশাপাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ভবন। ফাটল ধরেছে নানান অবকাঠামো ও সড়কে। ব্যাংককে অন্তত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ অবস্থায় ব্যাংকক শহরকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে সামরিক-শাসিত সরকার মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চল এবং রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

২৮ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারের মান্দালয়ে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর বিভিন্ন সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেশটি থেকে এএফপির সাংবাদিকরা জানান, নেপিডোতে ভূমিকম্পের সময় বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে অংশবিশেষ খসে পড়েছে। নেপিডো শহরে ২০ লেন পর্যন্ত প্রশস্ত রাস্তা আছে। ভূমিকম্পের কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কে ফাটল তৈরি হয়েছে।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত সাগাইং অঞ্চলে ৯০ বছরের পুরনো একটি সেতু ভেঙে পড়েছে এবং বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনকে সংযুক্তকারী মহাসড়কের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু কাঠামো মাটিতে ধসে পড়েছে। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরের ক্ষতির ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

তবে, দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায়, ছয়টি অঞ্চল এবং রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার।

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে কেঁপেছে প্রতিবেশি বাংলাদেশও। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। শুক্রবার দুপুরে ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ঢাকার আশপাশে বারবার ভূমিকম্প, কোথায় ঝুঁকি কতটা, ইতিহাস কী বলছে? ভারতের পশ্চিবঙ্গের কলকাতা, মনিপুর রাজ্য ও ইম্ফলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে দেশটি থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এছাড়া বেইজিংয়ের ভূমিকম্পবিষয়ক সংস্থা বলছে, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনান প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৯।

ভূমিকম্পের প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকক। শহরটিতে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ৪৩ শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সর্বশেষ খবর পর্যন্ত এখান থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বাং সু জেলার উপ-পুলিশ প্রধান ওরাপাত সুকথাই এএফপিকে বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। তবে আমরা এখনও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারিনি।’

ভূমিকম্পের পর থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিছু মেট্রো এবং হালকা রেল লাইন স্থগিত করা হয়েছে।

১ কোটি ৭০ লাখের বেশি লোকের বাসস্থান, বৃহত্তর ব্যাংকক মহানগর এলাকায় বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে, যেখানে বহুতল কনডোমিনিয়াম এবং হোটেলের বাসিন্দারা পালানোর জন্য সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন। ভূমিকম্পের পরের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে অনেকেই বিকেলের রোদ থেকে রক্ষা পেতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়নের জন্য থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা একটি জরুরি সভা ডেকেছেন।


আরও খবর



শুল্ক স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর নতুন বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে বিশ্বজুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই তার প্রভাব অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে— এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর, বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর— ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।

৫ এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে।

অনেক দেশ এর মধ্যেই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার বা স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক পন্থায় যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে; প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা স্বীকারও করেছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন—এ ইস্যুতে তিনি অনমনীয়।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শুল্ক স্থগিত করবেন কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এমন কিছু ভাবছি না। আপাতত (শুল্ক স্থগিতের) কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।”

“এমন অনেক, অনেক দেশ আছে যারা আমাদের সাথে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা করতে আসছে এবং তারা ন্যায্য চুক্তি করবে, এবং কিছু ক্ষেত্রে, তারা প্রচুর শুল্ক দেবে। আমরা ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই।”

আগের দিন রোববার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, “গতকাল আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি তাকে মাত্র একটি কথা বলেছি যে মার্কিন পণ্যের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত করতে হবে আপনাদের। কারণ বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রপ্তানির হার শূণ্যের কাছাকাছি অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখ লাখ গাড়ি রপ্তানি করে জাপান।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



আদালতের গ্রিল কেটে টাকা ও স্বর্ণালংকার ‍চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নাটোরে আদালতের স্টোররুমের জানালার গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।এতে ৩৭ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ১৭ ভরি রুপা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নাটোর আদালতের স্টোররুমে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করলে স্টোররুমের তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান। পরে খবর পেয়ে এসপি মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইর আমাদের সময়কে বলেন, সকালে স্টোররুমের জানালার গ্রিল কাটা ও তালা ভাঙা দেখতে পায় পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই স্টোররুমে তালা ভাঙা। এটি সংঘবদ্ধ চোরের একটি দল ঘটিয়েছে। তারা প্রথমে জানালার গ্রিল কেটে অফিসের প্রবেশ করে। এরপর স্টোররুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আনুমানিক নগদ ৩৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণ ১৫-১৬ ভরি এবং ১৭-১৮ ভরি রুপা চুরি করে পালিয়ে যায়। এর আগে চক্রটি আদালতের আশপাশের সিসিটিভি সংযোগ এবং ভিডিও রেকর্ডারসগুলো বিচ্ছিন্ন করে খুলে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্ত কাজ করছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ হয়। ওয়াশিংটন ডিসির সামনে জড়ো হন হাজার বিক্ষোভকারী। একইসঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ দেখা যায়।

৫ এপ্রিল দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে প্রায় ১২০০ বিক্ষোভ-সমাবেশ আয়োজন করার কথা ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ওয়াশিংটনের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। হালকা বৃষ্টিও ছিল। এরইমধ্যে শহরটিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হতে শুরু করেন। ওয়াশিংটনের কানেটিকাট অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভকারীদের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। শহরের ন্যাশনাল মল এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। এই বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’, ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড। গতকাল ন্যাশনাল মল এলাকায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ একত্র হবেন বলে আশা করছিলেন বিক্ষোভের আয়োজকরা।

এই বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’। এর একটি অর্থ হতে পারে, ‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও।


আরও খবর