Logo
শিরোনাম

হাওর সুরক্ষায় জলবায়ু তহবিলের দাবিতে নেত্রকোনায় যুব সম্মেলন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

“হাওর সুরক্ষায় জলবায়ু তহবিল নিশ্চিত কর” এই স্লোগানে নেত্রকোনার সিমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দায় যুব জলবাযু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর আয়োজনে উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার স্থানীয় ৩৮টি যুব সংগঠন অংশ নেয়। 

জেলার সীমান্ত উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চন্দ্রডিঙ্গা গ্রামে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা ও খরা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

স্থানীয় চন্দ্র ডিঙ্গা গ্রামের বাঁধ রক্ষা কমিটির সভাপতি সুনীল ম্রং এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( তথ্য প্রযুক্তি) বিপীন চন্দ্র বিশ্বাস। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, নৃবিজ্ঞানী সৈয়দ আলী বিশ্বাস, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান, জলবায়ু ও নগর গবেষক জাহাঙ্গীর আলম, সমাজকর্মী শংকর ভদ্র, সংস্কৃতিকর্মী মো. আলমগীর, কৃষক মনোরমা আজিম প্রমুখ। দিনব্যাপি সম্মেলনে হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবদানের জন্য চৌদ্দজনকে পরিবেশ সম্মাননা দেয়া হয়। 

দিনব্যাপি এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হাওরবাসী কৃষক, মৎসীজীবী, আদিবাসী, যুবসহ নানা পেশাজীবী জনগণ তাদের ক্ষয়ক্ষতি এবং দাবি তুলে ধরেন। এসময় হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি রক্ষায় নানা শ্লোগান সংবলিত ফেস্টুন নিয়ে পাহাড়ি বালিতে বিধ্বস্ত জমিতে দাঁড়িয়ে ‘প্রকৃতি-বন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে হাওর, পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যময় কৃষিফসল, বিলুপ্তপ্রায় খাদ্য, জলবায়ু সহনশীল দেশী ধানের জাত প্রদর্শিত হয়। 

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাহাড়ি ঢল ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাত বেড়েছে এবং এসব কারণে পাহাড়ি ঢলের আগ্রাসনও বেড়েছে। হাওরের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়, কিন্তু এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাওরবাসীকে। 


আরও খবর



দেশের সব ইউএনওকে বদলির নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ওসির পর এবার সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ (এক) বছরের বেশি চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে কমিশনে পাঠানো প্রয়োজন।

এর আগে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) বদলি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনা দেয় ইসি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




১৮৮ টাকায় ঢাকা থেকে যাওয়া যাবে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আগামী ১ ডিসেম্বর হতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে চালু হচ্ছে ট্রেন। ট্রেন চালু হওয়ার পর এই রুটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া যাবে মাত্র ১৮৮ টাকায়।

১০ নভেম্বর কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধনী প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রেল সচিব হুমায়ুন কবির ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া সম্পর্কে এই তথ্য দেন।

এ সময় রেলওয়ে সচিব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে বলে আমরা আশা করছি। সেই ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া যেটি ধরা হয়েছে সেটি হচ্ছে ১৮৮ টাকা। আর এটি নন এসি মেইল ট্রেন। সর্বোচ্চ ভাড়া এসি বার্থে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। বর্তমানে রেলের যে ভাড়ার হার আছে সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ১ ডিসেম্বর শুধু আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে। পাশাপাশি কমিউটার ও মেইল ট্রেনও চালু হবে।

সচিব বলেন, ভবিষ্যতে এই রুটে পর্যটক কোচ চালু করা হবে। শুধু ঢাকা নয় উত্তর অঞ্চল ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকেও কক্সবাজারে রেলপথে আসা যাবে। এতে করে যোগাযোগের নতুন পথ উন্মোচন হবে।

তবে ১ তারিখ থেকে রেল চালু হলেও কক্সবাজারের আইকনিক ঝিনুক স্টেশনে সবরকম সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। পর্যায়ক্রমে এসব সুবিধা চালু করা হবে।

এ সময় বাংলাদেশ রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেন, ঢাকা থেকে যে ট্রেনটি কক্সবাজার আসবে সেটি সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা ছাড়বে। আর কক্সবাজার এসে পৌঁছাবে ৬টা ৩০ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে এই রুটে আরও ট্রেন বাড়ানো হবে।

রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনও রেল যোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু- কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




রাঙ্গামাটিতে আবারো নৌকার মাঝি হলেন দীপংকর তালুদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

উচিংছা রাখাইন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় এক ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ডিঙ্গিয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হলেন চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার। এ নিয়ে টানা ৬বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তিনি। ২৯৯নং পার্বত্য রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের জন্য রোববার দুপুরে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গামাটি ২৯৯ একটি সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীক চেয়ে দীপংকর তালুকদারসহ ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেলেন দীপংকর তালুকদার।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার এমপি বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যর দায়িত্ব পালন করছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনসহ বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা যখন সারাদেশে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ চলছিল; সেসময় পাহাড়ের রাজনীতির মাঠেও নানা ধরনের গুজব উঠে। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমাসহ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দীন, বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য সমরেশ দেওয়ান, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমর কুমার দে এবং রাঙ্গামাটির সাবেক সিভিল সার্জন অবসরপ্রাপ্ত ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী ঢাকার কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষে এমপি পদে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নৌকার মাঝি হতে দলীয় টিকিট পেলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এই ধারাবাহিকতায় আবারো প্রমাণিত হলো পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনে দীপংকর তালুকদারের কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামীলীগের হয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে থেকে টানা ছয়বার অংশ নিয়ে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দীপংকর তালুকদার। এর মধ্যে বিএনপি এবং অনিবন্ধিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রার্থী একবার করে বিজয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীপংকর তালুকদার ১৯৫২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মাান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনীতির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করে আসছেন। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে যে কজন নেতা এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল, দীপংকর তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৬৯ ও ১৯৮৭ এর গণঅভূত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি দু’বার কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৭২-৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্র সংসদের সদস্য এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ইংরেজি বিভাগীয় সমিতির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৬ সালে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আবার কারারুদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে তিনি পরপর দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত তিনি দলের নেতাকর্মীদের সমর্থনে সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসন থেকে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশ শিক্ষা কমিটি, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় সংসদ হাউস কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। ২০০৯ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দিবে না ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দিবে না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম রহ. কখনো অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেনি। যত বড় বাঁধার পাহাড় নেমে আসুক না কেন সত্যের পথ থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। আমরাও অন্যায়ের সাথে কখনোই আপোষ করবো না ইনশাআল্লাহ।

ঐতিহাসিক চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলে আজ ২৪ নভেম্বর'২৩ শুক্রবার সকাল দশটায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পীর সাহেব চরমোনাই।

তিনি আরো বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরীর কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। আমাদের স্লোগান হচ্ছে সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। তাই সাহাবাদের চরিত্রে মানব জীবন গঠন করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে কখনোই দূরে সরা যাবে না। 

ছাত্র গণজমায়েতের বিশেষ অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন অন্যান্য সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদানের পূর্বের যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় কে কত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত, কে কেন্দ্র দখল করতে পারবে, চাঁদাবাজি ও মাদকের সাম্রাজ্য গঠন করতে পারবে কিন্তু ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্ব প্রদানের পূর্বে যাচাই করা হয় জ্ঞান এবং সৎকর্ম। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সব সময় আদর্শিক নৈতিক শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নে সচেতন ভূমিকা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে সমাজসেবা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছে তারা।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন সংসদ নির্বাচনে নায়ক, গায়ক ও খেলোয়াড়দের নমিনেশন দিয়ে জাতীয় সংসদকে তামাশার মঞ্চে পরিণত করেছে জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী সরকার। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করার যে পায়তারা তা ছাত্র-জনতা কোনভাবেই সহ্য করবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

তিনি আরো বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমিরের নেতৃত্বে  জুলুমের বিরুদ্ধে মাজলুমের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

সময় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম,  চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার সাকি, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মানসুর আহমাদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ- এর সহ-সভাপতি নূরুল বশর আজিজী প্রমুখ।

আগামীকাল (শনিবার) সকাল ৮টায় আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁ-৬ এমপি হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা দিলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল। রবিবার ২৬ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে চ‚ড়ান্তভাবে জানান দিয়েছেন নৌকার মাঝির নাম। এমপি হেলালের নাম ঘোষণা হওয়ার পরপরই নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর আগে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন কে হচ্ছে গুরুত্বপ‚র্ণ এই আসনের নৌকার মাঝি। 

তপশিল ঘোষণা হওয়ার পর শুরু হয়েছিল মনোনয়ন ফরম দেওয়ার লড়াই। ফলে এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১০জন। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে এমপি হেলালের নাম ঘোষণা দেন। বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য নাম প্রকাশ হওয়ার পরপরই ধন্যবাদ দিতেও ভ‚লেননি এমপি হেলাল।

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে সর্বশেষ আসন নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) এটি। জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬। এ আসনটি জাতীয় সংসদের ৫১ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩লক্ষ ১৯হাজার৩৩৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১লক্ষ৬১হাজার৭৭ জন, নারী ১লক্ষ৫৮হাজার২৭১ জন এবং হিজড়া ২জন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন তৎকালীন ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা ইসরাফিল আলম। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আবারও আসনটি দখলে রাখেন ইসরাফিল আলম। গত ২০২০ সালের ২৭জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইসরাফিল আলম। এরপর উপনির্বাচনে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলালকে নৌকার মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। উপ-নির্বাচনে বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল জয়ী হওয়ার পর সাংগঠনিকভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা ও বিভিন্ন উন্নয়নম‚ল কাজের জন্য তিনি আবারও পেয়েছেন বলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী মনে করছেন। 

এমপি হেলাল বলেন, গত উপ-নির্বাচনে ৩৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে সংসদে গিয়েছিলাম। এমপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ধরে রেখেছি। আবারও এ আসনটি তাকে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমি আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্যায় অবিচার দ‚র করে সাম্যের সমাজ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, সিইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এবং আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩