
মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
“হাওর সুরক্ষায় জলবায়ু তহবিল নিশ্চিত কর” এই স্লোগানে নেত্রকোনার সিমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দায় যুব জলবাযু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর আয়োজনে উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার স্থানীয় ৩৮টি যুব সংগঠন অংশ নেয়।
জেলার সীমান্ত উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চন্দ্রডিঙ্গা গ্রামে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা ও খরা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় চন্দ্র ডিঙ্গা গ্রামের বাঁধ রক্ষা কমিটির সভাপতি সুনীল ম্রং এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( তথ্য প্রযুক্তি) বিপীন চন্দ্র বিশ্বাস। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, নৃবিজ্ঞানী সৈয়দ আলী বিশ্বাস, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান, জলবায়ু ও নগর গবেষক জাহাঙ্গীর আলম, সমাজকর্মী শংকর ভদ্র, সংস্কৃতিকর্মী মো. আলমগীর, কৃষক মনোরমা আজিম প্রমুখ। দিনব্যাপি সম্মেলনে হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবদানের জন্য চৌদ্দজনকে পরিবেশ সম্মাননা দেয়া হয়।
দিনব্যাপি এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হাওরবাসী কৃষক, মৎসীজীবী, আদিবাসী, যুবসহ নানা পেশাজীবী জনগণ তাদের ক্ষয়ক্ষতি এবং দাবি তুলে ধরেন। এসময় হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি রক্ষায় নানা শ্লোগান সংবলিত ফেস্টুন নিয়ে পাহাড়ি বালিতে বিধ্বস্ত জমিতে দাঁড়িয়ে ‘প্রকৃতি-বন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে হাওর, পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যময় কৃষিফসল, বিলুপ্তপ্রায় খাদ্য, জলবায়ু সহনশীল দেশী ধানের জাত প্রদর্শিত হয়।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাহাড়ি ঢল ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাত বেড়েছে এবং এসব কারণে পাহাড়ি ঢলের আগ্রাসনও বেড়েছে। হাওরের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়, কিন্তু এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাওরবাসীকে।