Logo
শিরোনাম

হাতি গর্তে পড়েছে ভেবে চামচিকা লাথি মারছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জাতীয় পার্টিকে নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সমালোচনা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, হাতি গর্তে পড়েছে মনে করে চামচিকা লাথি মারছে। তাদের অনেকের রাজনীতি করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

পানিতে না নামলে তো সাঁতার কাটা শেখা যায় না। তারা তো এখনো পানিতেই নামেনি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের কথা বলছে। আমরা তাদের কোনো আস্ফালনে ভয় পায় না। তারা ভবছে, জাতীয় পার্টি না থাকলে জাতীয় পার্টির ভোটগুলো তারা পাবে। কিন্তু না আমরা না থাকলে আমাদের ভোটগুলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বড়দলগুলো পাবে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।   

আগামীকাল জাতীয় পার্টির সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিতে পারে এমন অভিযোগ প্রশ্নে জিএম কাদের বলেন, কোনো লোক আসলে আমরা কি বেছে বেছে বাদ দিতে পারবো? আর এলে ওদের ক্ষতিটা কী? তারা তো বাংলাদেশের নাগরিক, তারা যাদি আসতে চায়।

এ সময় কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি জনগণের জন্য রাজনীতি করছে ভবিষ্যতেও করবে। কোনো শক্তিই তাদের দমাতে পারবে না।

তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থাকা সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আন্দোলন হলেও দেশ এখনো দুইভাগে বিভক্ত। এ সময় জাতীয় পার্টিকে কাছে টানার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান জিএম কাদের। 

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, দেশ বিভক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কে দোষী, কে নির্দোষ তারা ঠিক করে দিচ্ছে। এই রকম করেছিল শেখ হাসিনা। শাসকগোষ্ঠী বিচারের ঊর্ধ্বে। অফিস জ্বালিয়ে দেবেন, আইনের আওতায় আনা যাবে না? তিনি দাবি করেন, হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে মামলার নামে হেনস্তা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো আমরা আবারও বৈষম্যের শিকার বলে উল্লেখ করে জি এম কাদের। তিনি বলেন, ২ নভেম্বর আমাদের সমাবেশ হবেই। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে জীবন দেব। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে।

বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা দাবি করে জি এম কাদের বলেন, হামলার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। হাতি গর্তে পড়েছে বলে এখন চামচিকাও লাথি মারে। তবে আমরা ভিত নই।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




সিপিবির সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য স্বাধীন প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যালেস্টাইনের জনগণের সাথে সংহতির আন্তর্জাতিক দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি সভা উদযাপিত হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এই সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সংহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।

সভায় সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. আবু সাইদ, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. শাকিল আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাকী আক্তার।

সূচনা বক্তব্যে হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, ‘সকল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সনদ চরমভাবে লঙ্ঘন করে সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে জায়নবাদী ইসরাইলী বাহিনী গাজাসহ পুরো প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। যে পশ্চিমা দেশগুলো কথায় কথায় বিশ্বকে মানবাধিকারের সবক দেয়, তারা আজ প্যালেস্টাইনের গণহত্যা সম্পর্কে কার্যত নীরব। আরব লীগ এবং ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যার্থ। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যতটা সরব, গাজায় গণহত্যা নিয়ে ঠিক ততটাই নীরব। প্রথমে তারা যুদ্ধবিরতিতেও ভেটো দিয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। অবিলম্বে প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলী বাহিনীর গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করে জাতিসংঘ স্বীকৃত স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সিপিবির এই সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্যালেস্টাইনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে ১৯৭৩ সালে প্যালেস্টাইনের জনগণের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্যালেস্টাইনের মানুষ সব সময়ই সংকটের মধ্যে আছে। বাংলাদেশ প্যালেস্টাইনের এক অকৃত্রিম বন্ধু।

সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মদদে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে আগ্রাসন, গণহত্যা পরিচালনা করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং দোসর ইসরায়েলকে পরাস্ত করতে হবে। গণহত্যাকারী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার বিচার করতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।’

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান বলেন, ‘ইসরাইলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে দখলদার শক্তির সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে সকল বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আগামী দিনে আমরা প্যালেস্টাইনের জনগণের আন্দোলনে সংহতি জানাতে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করবো। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আমাদের দেশের সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’

সংহতি সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমরেডবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে যুদ্ধবিরোধী গান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।

এই কর্মসূচি উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি সংহতি বার্তা পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবা, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল সহ অন্যান্য সংগঠন  

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের আহ্বান জানায়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন  সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ৩ যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৩জন রং মিস্ত্রীর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক শাকিল হোসেনের দূর্ঘনাস্থলেই মৃত্যু হয় এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর জাহিদুল ইসলাম ও নূর আলম নামে দু' জনের মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধার পূর্ব মহূর্তে নওগাঁর মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ী টু চৌবাড়ীয়াহাট আঞ্চলিক সড়কের বাঁকাপুর নামক এলাকায়।

নিহত শাকিল হোসেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের মাজেদ আলীর ছেলে, নিহত জাহিদুল ইসলাম মহাদেবপুর উপজেলার কালুশহর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এবং নিহত নুর আলম মান্দা উপজেলার সতিহাট এলাকার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শাকিল হোসেন পেশায় একজন রং মিস্ত্রী। প্রতিদিনের মতো তার কাজ শেষ করে চৌবাড়িয়াহাট এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল যোগে তারা ৩জন বাসায় ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় দ্রতগামী একটি ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে দূর্ঘনাস্থলেই শাকিল হোসেনের মৃত্যু হয় এবং তার সাথে থাকা অপর দু'জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর জাহিদুল ইসলাম ও নূর আলমের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনছুর রহমান বলেন, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত এক জনের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যারিস হল ফ্রান্সের রাজধানী এবং সর্বাধিক জনবহুল শহর।  এটি 

আইফেল টাওয়ার এবং আরও অনেক কিছুর জন্য বিশ্বের বিখ্যাত শহর। প্যারিস খুব ব্যয়বহুল শহর। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে প্যারিস ইউরোপের অন্যতম অর্থ কেন্দ্র, কূটনীতি, বাণিজ্য, ফ্যাশন, বিজ্ঞান এবং চারুকলা কেন্দ্রগুলির একটি। 

প্যারিস বিশ্বের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। কাজেই আপনারা যারা ঘুরতে পছন্দ করেন , সবাই ফ্রান্স  ভিসা জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশেই ফ্রান্স দূতাবাস আছে।  আপনার ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে আপনাকে ভিসা দিবে। 

প্যারিসের ট্যুরিস্ট স্পট সমূহ


আইফেল টাওয়ার

আইফেল টাওয়ারটি প্যারিস এমনকি ফ্রান্সের প্রতীকী আইকন। ইঞ্জিনিয়ার গুস্তাভে আইফেলের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে, যার সংস্থা টাওয়ারটি ডিজাইন করে তৈরি করেছিল। আইফেল টাওয়ারটি ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এটি ফ্রান্সের একটি বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক আইকন এবং বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত কাঠামো । আইফেল টাওয়ার বিশ্বে পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর বিশ্বের বহু দম্পতি এখানে আসে এবং আইফেল টাওয়ারের সামনে ছবি তুলেন। 

নটরডেম ক্যাথিড্রাল

নটরডেম দে প্যারিস, নটর ডেম নামেও পরিচিত, রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রাল ইল দে লা সিটির পূর্ব অর্ধে অবস্থিত। এটি মধ্যযুগের গথিক ক্যাথেড্রালগুলির মধ্যে সর্বাধিক বিখ্যাত এবং এর আকার, প্রাচীনত্ব এবং স্থাপত্য আগ্রহের জন্য আলাদা করা হয়। এটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় স্থান। 

ল্যুভরে জাদুঘর 

ল্যুভরে বিশ্বের সবচেয়ে পরিদর্শন করা আর্ট মিউজিয়াম যা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। জাদুঘরটি ল্যুভর প্রাসাদে অবস্থিত, মূলত দ্বিতীয় ফিলিপের অধীনে দ্বাদশ থেকে ১৩ শতকের শেষদিকে ল্যুভর  দুর্গ হিসাবে নির্মিত।  এই সংগ্রহশালাটি বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত - মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকতা, প্রাচ্য প্রত্নতত্ত্ব, ইসলামী শিল্প, গ্রীক এবং রোমান শিল্প, চিত্রকর্ম, শিল্পের বস্তু, মধ্যযুগীয় ভাস্কর্য । 

সেইন নদী

ফ্রান্সের উত্তরে প্যারিস অববাহিকার মধ্যে সেইন নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌপথ। এই নদীটি প্যারিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেইন নদী  ভ্রমন আপনি কখনই ভুলতে পারবেন না। 

ডিজনিল্যান্ডে

মিকির ভক্তরা ডিজনিল্যান্ড প্যারিসে যেতে পারবেন যা মধ্য প্যারিস থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মূলত ইউরো ডিজনি রিসর্ট নামে পরিচিত, প্যারিসে দেখার জন্য সর্বাধিক বিখ্যাত এই জায়গাগুলি সুপার মজাদার রাইড, শো, অ্যানিমেশন সিনেমা, সমাবেশ এবং আপনার প্রিয় চরিত্রগুলির সাথে মিলিত হওয়ার আকর্ষণীয় মুহুর্তের জন্য পরিচিত।


আরও খবর



আসছে নতুন ব্ল্যাক প্যান্থার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স আবারও ওয়াকান্ডায় ফিরতে প্রস্তুত। মানে, আবারও পর্দায় আসতে চলেছে ব্ল্যাক প্যান্থার। মার্ভেল স্টুডিও অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা তৈরির কথা ঘোষণা করেনি। তবে অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন গত মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিরিজের তৃতীয় সিনেমা আসছে। সেখানে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করবেন।

অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল নাইনের টুডে শোতে ‘গ্লাডিয়েটর ২’ ছবির প্রচারের অংশ হিসেবে কথা বলতে গিয়ে ওয়াশিংটন এসব কথা বলেন। তিনি জানান, পরিচালক রায়ান কুগলার পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমার জন্য তার জন্য একটি চরিত্র লিখছেন। তবে কবে নাগাদ সিনেমাটির কাজ শুরু হবে, সে নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। আভাস দেননি, এতে অন্যান্য শিল্পী কারা থাকবেন সে ব্যাপারেও।

ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়াশিংটন বলেন, ‘জানি না আরো কত সিনেমা করতে পারব। তবে ক্যারিয়ারের এ সময় এসে শুধু সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। হয়তো খুব বেশি সিনেমা করা হবে না। কিন্তু এমন কিছু করতে চাই যা আমি আগে কখনো করিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ২২ বছর বয়সে ‘ওথেলো’ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি। এখন ৭০ বছর বয়সে আবারও সেটা করতে যাচ্ছি। তারপর আমি হ্যানিবাল চরিত্রে অভিনয় করব। আমি স্টিভ ম্যাককুইনের সঙ্গে একটি সিনেমা নিয়ে কথা বলছি, সেটাও বড় কাজ হবে। এরপর রায়ান কুগলার আমার জন্য পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছবিতে একটি চরিত্র লিখছেন।

‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ মার্ভেলের অন্যতম সিগনেচার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমাটি চাডউইক বোসম্যান, লুপিতা নিয়ং’ও এবং মাইকেল বি. জর্ডানের অভিনয়ে শুধু সমালোচকদের প্রশংসাই লাভ করেনি বক্স অফিসেও বিশাল সাফল্য পেয়েছিল। ১.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল সেই সিনেমাটি, যা ছিল অপ্রত্যাশিত।

বোসম্যান ২০২০ সালে ৪৩ বছর বয়সে মারা যান। তারপর ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিক্যুয়েলটি প্রিয় অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে তৈরি হয়েছিল। এটি ওয়াকান্ডা এবং তার মানুষের গল্প চালিয়ে নেওয়ারও একটি উপায় ছিল। এটি বক্স অফিসেও সাফল্য অর্জন করে।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রিতে, আরও কমবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল হাওয়ায় শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছেন মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল ১০টার পর কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও বিকেল চারটার পর আবার হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছেন। শীতের কারণে কাজে যেতে না পারায় অনেকের সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশা চালক কুরবান আলীর সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সারাদিন যতক্ষণ গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।

এদিকে শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।


আরও খবর