ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট
থানার ইসিবি চত্বর
এলাকায় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান
“অনলাইন গ্রুপের” নিজেস্ব জমি
ও রাস্তা দখলের উদ্দেশ্যে তথাকথিত আওয়ামীলীগ নেতা
অবসর প্রাপ্ত মেজর হারুন-উর-রশিদের নেতৃত্বে নিউগীনি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ভূমি দস্যু নাজিম এবং মাদক সম্রাজ্ঞী স্বপ্না তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে
শনিবার সকালে হামলা করে।
এসময় রাস্তা
ও জমির উপর থাকা ১৬০ ফুট দৈর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্তের ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে সন্ত্রসীরা। জমিতে
বসবাস করা ৭টি পরিবারে রুমে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে। ৭টি পরিবারের ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ
যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে যায় আক্রমনকারীরা।
এছাড়াও তাদের
ঘরে থাকা নগদ টাকা ও মহিলাদের গহনাগাটি লুটপাট করে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থান করা পরিবারের
লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে বলে। এসময় তারা তাদের সম্পদ রেখে না পালানোয়
একপর্যায়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় সেখান থেকে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর হারুন-অর-রশিদ সেনাবাহিনীর
ভয়ভীতি দেখায় এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচর ও নিপীড়ন চালায় আসছে দীর্ঘদিন যাবত।
অবসর প্রাপ্ত
মেজর হারুন-অর-রশিদের কাছে মুঠোফোনে হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জমিটি
৩৪ জন আর্মি অফিসার ও তাদের আত্বীয় স্বজনদের । অনলাইন গ্রুপ জোরপূর্বক দখল করে ছিলো
এতোদিন। এসময় তিনি আরও বলেন, জমি উদ্ধার করার জন্য আমি নাজিম ও স্বপ্নার দ্বারস্থ হই।
তারা জমি উদ্ধার করে দিবে বলে আমাকে দীর্ঘদিন তাদের পিছে ঘুরাচ্ছে। এক পর্যায় অবসর
প্রাপ্ত মেজর হারুন স্বীকার করে বলেন, নাজিম এবং স্বপ্না তারাও বড় সন্ত্রাসী।
অনলাইন গ্রুপের
পরিচালক মুখলেছুর রহমান মিয়াজি বলেন , কয়েক দিনে আগে অবসর প্রাপ্ত মেজর হারুন-অর-রশিদ
তার ভাড়াটিয়া গুন্ডার মাধ্যমে আমার কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ২৫ সেপ্টেম্বরের
মধ্যে পরিশোধ করার জন্য সময় সীমা বেধে দেয়। কিন্তু চাঁদা প্রদানে অসিকৃতি জানালে ২৮
শে সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তার সন্ত্রসী বাহিনী নিয়ে একযোগে হামলা ও লুটপাট করে, এবং
যাওয়ার সময় বলে যায় তোদেরকে আওয়ামীলীগের কর্মী বানায় বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দিবো। ইতিমধ্যেই
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কান্টনমেন্ট থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলায়
অনলাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খান মোহাম্মাদ আক্তারুজ্জামানকে আওয়ামীলীগ নেতা
বানিয়ে ২২ নম্বার আসামী করা হয়। যদিও তিনি বিগত বছরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়াও
ছাত্রআন্দোলনে তিনি ছাত্রদের সার্বিক সহযোগীতা করেছেন বলেও জানান তিনি।
গত ৫ই আগস্ট
সরকার পতনের পর থেকে ভূমিদস্যু নাজিম নিজেকে জামায়াত কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে নতুনভাবে
এলাকায় তার আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এব্যাপারে খোজ নিয়ে জানা যায় সে কোনোদিন জায়ামায়াতের
কোনো কর্মী বা নেতা ছিলোনা। এখনো নেই।
এবিষয়ে জামায়াত
নেতা মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, “নাজিম উদ্দিন ভূইয়া দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির
সাথে জড়িত ছিলো। এদের সার্বিক সহযোগীতায় নাজিম উদ্দিন বিভিন্ন অপকর্ম ( ভূমি দখল,
চাঁদাবাজি, মাদকসহ নারী ব্যবসায়ী কাজে জড়িত ছিলো এবং এলাকায় ভূমি দস্যু হিসাবে পরিচিতি
লাভ করে তার এই অপকর্মকে ধামাচাঁপা দেওয়ার জন্য জামায়াতের কর্মী হিসাবে নিজেকে আত্মপ্রচার
করে সমাজের আদর্শিক ব্যবসায়ী সাজার জন্য। জামায়াতে
ইসলামীর ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখার/ওয়ার্ড শাখার বা কোনো উপশাখার কোনো কার্যক্রমের সাথে
তার নন্যতম কোনো সম্পর্ক ছিলোনা বা বর্তমানেও নেই । নাজিম উদ্দিনের স্থানীয় এলাকায়
খবর নিয়ে জানা যায় সে সেখানেও জামায়াত এর সাথে জড়িত ছিলোনা বা নাই। সে আমার কোনো কর্মীওনা।
সে হলো ভূমি দস্যু, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, নারী ব্যবসায়ী, দখলদার। অবৈধ কাজের সাথে
জড়িত । আমরা তার অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।”