Logo
শিরোনাম

হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

পূজার ছুটির পর থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যহত রয়েছে। গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত গরম আর বৈরী আবহাওয়ার কারনে নষ্ট হয়ে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ আড়তের গুদামের মেঝেতে ঢেলে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে আর শ্রমিক দিয়ে চলছে বাছাই কাজ। আর এসব পেঁয়াজ স্বল্পমূল্যে বিক্রি হচ্ছে আড়তে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বস্তা বস্তা পেঁয়াজ ফেলে রাখা হয়েছে গোডাউনের বাহিরে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মূলত বিক্রি হয়ে থাকে স্থলবন্দর থেকে। তবে পেঁয়াজের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় পেঁয়াজগুলো নেয়া হয়েছে আড়ত ঘরে। সেখানে মেঝেতে ঢেলে শুকানো হচ্ছে ফ্যান দিয়ে। এরপরে শ্রমিক দিয়ে করা হচ্ছে বাছাই। ভালো পেঁয়াজ নেয়া হচ্ছে আলাদা ঘরে। সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। নিম্নমানের কিছু পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। আর কিছু বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বস্তা দরে। এমনকি কিছু পেঁয়াজ ফেলেও দিতে হবে

হিলি স্থল বন্দরের পেঁয়াজ আড়তদাড় মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আমদানি করছি, এগুলো ব্যাঙ্গালোরের সাউথ থেকে লোডিং করা হয়েছে। এরপর বন্দরে আসতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ দিন। পুরো রাস্তাটাই পেঁয়াজ ত্রিপল দিয়ে বাঁধা থাকে। ফলে অতিরিক্ত গরম ও বৈরী আবহাওয়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি, ফলে পেঁয়াজগুলো গাড়িতে ঘেমে গিয়ে অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলোকে গুদামে এনে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি আমাদের

তবে ভাল মানের পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের তিন দিনে ভারতীয় ৮২ ট্রাকে দুই হাজার ৩৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




ভূমি দস্যু নাজিম জামায়াত কর্মী পরিচয়ে জমি দখল, মাদক ব্যবসা ও নারী ব্যবসা করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর এলাকায় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান “অনলাইন গ্রুপের” নিজেস্ব জমি ও রাস্তা দখলের উদ্দেশ্যে তথাকথিত আওয়ামীলীগ নেতা অবসর প্রাপ্ত মেজর হারুন-উর-রশিদের নেতৃত্বে নিউগীনি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূমি দস্যু নাজিম এবং মাদক সম্রাজ্ঞী স্বপ্না তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শনিবার সকালে হামলা করে।

এসময় রাস্তা ও জমির উপর থাকা ১৬০ ফুট দৈর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্তের ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে সন্ত্রসীরা। জমিতে বসবাস করা ৭টি পরিবারে রুমে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে। ৭টি পরিবারের ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে যায় আক্রমনকারীরা।

এছাড়াও তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা ও মহিলাদের গহনাগাটি লুটপাট করে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থান করা পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে বলে। এসময় তারা তাদের সম্পদ রেখে না পালানোয় একপর্যায়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় সেখান থেকে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর হারুন-অর-রশিদ সেনাবাহিনীর ভয়ভীতি দেখায় এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচর ও নিপীড়ন চালায় আসছে দীর্ঘদিন যাবত।

অবসর প্রাপ্ত মেজর হারুন-অর-রশিদের কাছে মুঠোফোনে হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জমিটি ৩৪ জন আর্মি অফিসার ও তাদের আত্বীয় স্বজনদের । অনলাইন গ্রুপ জোরপূর্বক দখল করে ছিলো এতোদিন। এসময় তিনি আরও বলেন, জমি উদ্ধার করার জন্য আমি নাজিম ও স্বপ্নার দ্বারস্থ হই। তারা জমি উদ্ধার করে দিবে বলে আমাকে দীর্ঘদিন তাদের পিছে ঘুরাচ্ছে। এক পর্যায় অবসর প্রাপ্ত মেজর হারুন স্বীকার করে বলেন, নাজিম এবং স্বপ্না তারাও বড় সন্ত্রাসী।

অনলাইন গ্রুপের পরিচালক মুখলেছুর রহমান মিয়াজি বলেন , কয়েক দিনে আগে অবসর প্রাপ্ত মেজর হারুন-অর-রশিদ তার ভাড়াটিয়া গুন্ডার মাধ্যমে আমার কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য সময় সীমা বেধে দেয়। কিন্তু চাঁদা প্রদানে অসিকৃতি জানালে ২৮ শে সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তার সন্ত্রসী বাহিনী নিয়ে একযোগে হামলা ও লুটপাট করে, এবং যাওয়ার সময় বলে যায় তোদেরকে আওয়ামীলীগের কর্মী বানায় বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দিবো। ইতিমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কান্টনমেন্ট থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলায় অনলাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খান মোহাম্মাদ আক্তারুজ্জামানকে আওয়ামীলীগ নেতা বানিয়ে ২২ নম্বার আসামী করা হয়। যদিও তিনি বিগত বছরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়াও ছাত্রআন্দোলনে তিনি ছাত্রদের সার্বিক সহযোগীতা করেছেন বলেও জানান তিনি।

গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে ভূমিদস্যু নাজিম নিজেকে জামায়াত কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে নতুনভাবে এলাকায় তার আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এব্যাপারে খোজ নিয়ে জানা যায় সে কোনোদিন জায়ামায়াতের কোনো কর্মী বা নেতা ছিলোনা। এখনো নেই।

এবিষয়ে জামায়াত নেতা মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, “নাজিম উদ্দিন ভূইয়া দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। এদের সার্বিক সহযোগীতায় নাজিম উদ্দিন বিভিন্ন অপকর্ম ( ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদকসহ নারী ব্যবসায়ী কাজে জড়িত ছিলো এবং এলাকায় ভূমি দস্যু হিসাবে পরিচিতি লাভ করে তার এই অপকর্মকে ধামাচাঁপা দেওয়ার জন্য জামায়াতের কর্মী হিসাবে নিজেকে আত্মপ্রচার করে সমাজের আদর্শিক ব্যবসায়ী সাজার জন্য।  জামায়াতে ইসলামীর ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখার/ওয়ার্ড শাখার বা কোনো উপশাখার কোনো কার্যক্রমের সাথে তার নন্যতম কোনো সম্পর্ক ছিলোনা বা বর্তমানেও নেই । নাজিম উদ্দিনের স্থানীয় এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায় সে সেখানেও জামায়াত এর সাথে জড়িত ছিলোনা বা নাই। সে আমার কোনো কর্মীওনা। সে হলো ভূমি দস্যু, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, নারী ব্যবসায়ী, দখলদার। অবৈধ কাজের সাথে জড়িত । আমরা তার অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।”


আরও খবর



ভারতে মন্ত্রী পদমর্যাদার বাংলোতে শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির লোধি গার্ডেনের লুটেনস বাংলো জোনের একটি সুরক্ষিত বাড়িতে রয়েছেন। গত ২ মাস ধরে ভারত সরকারই সেখানে তার থাকার ব্যবস্থা করেছে। বৃহস্পতিবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

শেখ হাসিনা ইজ ইন অ্যা লুটেনস দিল্লি বাংলো আন্ডার টাইট সিকিউরিটি রিং, লেফট হিডন বেস টু মান্থস অ্যাগো শিরোনামে দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার মর্যাদা অনুসারে তার থাকার জন্য বেশ বড়সড় বাংলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের বাংলো ভারতের মন্ত্রী, পার্লামেন্ট সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে শেখ হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্য প্রিন্ট ওই বাংলোর বিস্তারিত ঠিকানা বা সড়ক নম্বর প্রকাশ করেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছে, নিরাপত্তার খাতিরে যথার্থ প্রটোকল নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে লোধি গার্ডেনে হাঁটতে বের হন। একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাদা পোশাকে ২৪ ঘণ্টা তার চারপাশে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসাবে তিনি এই পর্যায়ের নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

সূত্র আরো জানায়, তিনি এই বাড়িতে ২ মাসের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। সেখানে তার থাকার সব ব্যবস্থাই রয়েছে। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে বাংলাদেশ থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান। সেদিন তার সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বিমান ঘাঁটিতে দেখা করেন। এরপর ২ দিনের মধ্যে তিনি ওই বিমান ঘাঁটি ছেড়ে যান।

দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র জানায়, ওই বিমান ঘাঁটিতে তিনি দীর্ঘ সময় থাকতে পারতেন না। কারণ, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। তাই কয়েক দিনের মধ্যে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত লুটেনস এলাকায় তার জন্য একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা ওই এলাকায় অনেক সাবেক ও বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্যের বাড়ি রয়েছে। শেখ হাসিনা বাড়ির বাইরে চলাফেরা করেন কিনা জানতে চাইলে সূত্র জানায়, কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে মূল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দলকে জানানো হয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।

শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে আগস্টে ভারতের লোকসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে ভারতে আসার অনুমতি চেয়েছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে একই ফ্লাইটে ভারতে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিক তার ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ রেহানা এখনো শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে আছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।


আরও খবর

ঝুঁকির মুখে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪




গণতন্ত্রের ধারা চলমান রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

গণতন্ত্রের ধারা চলমান রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

তারেক রহমান বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপরিহার্য শর্ত হলো নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। গণতন্ত্র মানে শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের কথা স্মরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করেই দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ জেহাদ ৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। রক্তমাখা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে জেহাদ পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন। শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যূত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল স্বৈরশাসক এরশাদ। গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে।

শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

নাজির উদ্দিন জেহাদ ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকার পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




পীরগাছায় রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার-

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি -


রংপুরের পীরগাছায় মহির উদ্দিন(৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর- চৌধুরাণী- সুন্দরগঞ্জ সড়কের পাশে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তেয়ানী মনিরাম গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মহির উদ্দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের অনন্তরাম গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে রংপুর-চৌধুরাণী-সুন্দরগঞ্জ সড়কের তেয়ানী মনিরাম এলাকায় অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মরদেহটি মহির উদ্দিনের বলে সনাক্ত করে স্বজনরা।

পীরগাছা থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



খেলা হবে বলে কাকে ডাকছেন মাসুদ সাঈদী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই প্রজ্ঞাপন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী লিখেছেন, ট্রাইব্যুনাল ইজ রেডি। এবার আসো খেলা হবে !

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২২ মিনিটে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেন, খুনি হাসিনার বানানো আইনে আর তারই বানানো ট্রাইব্যুনালে হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ। এই দিনটির দেখার জন্য মহান রবের দরবারে অজস্রবার চোখের পানি ফেলেছি। এখন স্বপ্ন পূরণে এই তো আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা

এদিন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে সরকার। তিন সদস্যের এ ট্রাইব্যুনালে তার সঙ্গী হচ্ছেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী

এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুইজন বিচারক ট্রাইব্যুনালে কাজ করবেন। ট্রাইব্যুনাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা; পতন ঘটে তার সরকারেরএ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিপরিষদের ৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে

গত বছরের ১৪ আগস্ট একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার চার ছেলে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদী মারা গেছেন। আরেক ছেলে শামীম সাঈদী আমেরিকা আছেন। ছোট ছেলে নাসিম সাঈদী যুক্তরাজ্য প্রবাসী। সাঈদীর ছেলেদের মধ্যে শুধু মাসুদ সাঈদী দেশে থাকেন। তিনি পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪