Logo
শিরোনাম

হিমালয় জয় বাংলার মেয়েদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২৭৯জন দেখেছেন

Image

আজ তো বিশেষণ দেওয়ারই দিন। হিমালয়ঘেঁষা নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়েছে বাংলার মেয়েরা। স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে নিয়েছেন সাবিনারা।

চোটে থাকা সত্ত্বেও শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে স্বপ্নার ওপর ভরসা রেখেছিলেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে শুরুর একাদশে মাঠে নামিয়েছেন স্বপ্নাকে। তবে দুর্ভাগ্য স্বপ্নার। ইনজুরির কারণে ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যে দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারকে উঠিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়রকে মাঠে নামান কোচ। তার এই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে মাত্র ৪ মিনিট সময় নেন শামসুন্নাহার।

শামসুন্নাহার-কৃষ্ণার দারুণ ফিনিশারে নেপালের জালে ৩ গোল দিয়ে ছিনিয়ে আনলেন শিরোপা। এই জয়টা তাদেরই প্রাপ্য। সাফের এই ঐতিহাসিক জয়কে কোনোভাবেই আর অবিশ্বাস্য বলা চলে না। নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে ১৫ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে, তাদের সাক্ষী রেখে শামসুন্নাহার-কৃষ্ণারা সেখানকার আকাশে-বাতাসে লিখে দিয়ে এলেন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা নারী ফুটবল দল আমরাই।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই আক্রমণে যায় বাংলার মেয়েরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্ডার জোরালো শট আটকে দেন নেপাল গোলরক্ষক। ফিরতি শটে সিরাত জাহান স্বপ্না চেষ্টা করলেও লক্ষ্যভেদ হয়নি।

ম্যাচের ১০ মিনিটে গর্জে ওঠা দশরথ স্টেডিয়ামে নীরবতা নামিয়ে আনেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। চোট পাওয়া স্বপ্নার জায়গায় মাঠে নেমে মনিকা চাকমার ক্রস থেকে ডান পায়ের দারুণ ভলিতে গোল করেন তিনি। এই টুর্নামেন্টের প্রথমবারের মতো গোল হজম করে স্বাগতিক নেপাল।

পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উইং ধরে বেশ ক’বার আক্রমণে উঠেছিল নেপাল। এদিন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও ডিফেন্ডারদের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছেন নেপালি ফরওয়ার্ডরা। তবে বিপদ হতে দেননি তারা। ৩৫ মিনিটের মাথায় নেপালের আনিতা বাসনেতের দারুণ এক ফ্রিকিক দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে রুপনা ঠেকিয়ে দিলে কর্নার পায় নেপাল।

সেই কর্নার থেকে জটলার মধ্য দিয়ে লক্ষ্যভেদের চেষ্টা করেও ব্যর্থ নেপাল। গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন। ঝিমিয়ে পড়া দশরথ স্টেডিয়াম আবারও জেগে ওঠে তখন। তবে ৪২ মিনিটে কৃষ্ণা রানীর বাঁ-পায়ের দারুণ এক ফিনিশিংয়ে আবারও নীরবতা নেমে আসে গ্যালারিতে। নেপালি ডিফেন্ডারদের ভুলকে কাজে লাগিয়ে অধিনায়ক সাবিনার বল বাড়ান ডি-বক্সে। সেখান থেকে বাঁম পায়ের দারুণ এক ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।

টানা আক্রমণের ফল নেপাল পেয়েছে ম্যাচের ৭০ মিনিটে। আনমার্কড অবস্থায় থাকা আনিতার জোরালো শটে প্রথম গোলের দেখা পায় নেপাল কিন্তু সেটা কেবল ব্যবধানই কমায়।

ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী নেপালের জালে তৃতীয় গোলটা দেন কৃষ্ণা। কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মনিকার বাড়ানো থ্রু ঠাণ্ডা মাথার দারুণ ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই কৃষ্ণা। ৩-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাবিনারা।



আরও খবর



যে ফল খেলে দূর হবে বাতের ব্যথা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা দেখা যায়। এই রোগে দেহের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ব্যথা হয়, দেখা যায় ফুলে ওঠা ও জড়তার মতো সমস্যাও।

আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, বংশগত, বিভিন্ন রোগের প্রভাব, এ ছাড়া আরও অনেক কারণেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়লেই বাত দেখা দেয়। কিন্তু যেকোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবার আরাম দিতে পারে বাতের ব্যথায়। এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো খেলে বাতের কষ্ট থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।

আপেল আপেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। আপেলে রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক এক ফ্ল্যাভোনয়েড, যাতে আবার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। কোয়ারসেটিন জয়েন্টে পেন, বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

চেরি চেরি, বিশেষ করে টার্ট চেরি আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। চেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। এই কারণেই বাতের রোগীদের প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে চেরি।

আনারস আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাবের মতো বাতের বিভিন্ন উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই ফল। তাই আনারসকে আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

ব্লুবেরি ব্লুবেরিতে পুষ্টিগুণ ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন উপকারী যৌগ সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের প্রদাহ কমায়। ব্লুবেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে বাতের বিভিন্ন উপসর্গ উপশম হতে পারে।

কমলালেবু কমলালেবু ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন সি প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই বাত বা আর্থ্রাইটিস উপশম করতে নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন।


আরও খবর

আম পান্না তৈরি করবেন যেভাবে

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




সোলার প্যানেল পার্বত্যবাসীর রাতের অন্ধকারকে আলোকিত করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা:

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, পার্বত্যবাসীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সোলার প্যানেল পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অন্ধকারকে দুর করে দিয়েছে। রাতের আঁধারে একসময় দুর্গম পার্বত্যবাসীদের কাছে জোনাকির মিটমিট আলো, হারিকেন ও কুপির আলো ছাড়া অন্য কোনো আলোর ব্যবস্থা ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্গম পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য এ মুহূর্তে যেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না সেই সমস্ত পাহাড়ি দুর্গম এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে প্রতিটি ঘরে ঘরে অন্ধকার ঘুচাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই ভিত্তিতে তিন পার্বত্য জেলায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৪২ হাজার ৫ শত দুর্গম পাহাড়ি পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করে রাতের অন্ধকারকে দুর করেছে। অন্ধকার গুচিয়ে আলোকিত এখন পার্বত্যাঞ্চল।

আজ শুক্রবার বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ি দুর্গম এলাকার ৩৩৮ পরিবারের মানুষের মাঝে সোলার প্যানেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্য এলাকাগুলোতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ফলে সেখানকার মানুষ সকল দুর্গমতাকে কাটিয়ে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছে। আগামিতেও পার্বত্য এলাকার যেসমস্ত দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা নাই, সেই সমস্ত এলাকায় বিনামূল্যে সোলার প্যানেল সিস্টেম প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. লুৎফর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছির আরাফাত, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুরসহ সরকারি কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর



কেরালায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবিতে ২২ জন নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

ভারতের কেরালায় দোতলা একটি হাউসবোট উল্টে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় রাজ্যটির মালাপ্পুরম জেলার উপকূলীয় শহর তানুরের সৈকতের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, থুভালথিরাম সৈকতের কাছে নোঙর করা হাউসবোটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে উল্টে যায়, অতিরিক্ত মানুষের ভারে এ ঘটনা ঘটে।

বোটটিতে টিকিটধারী ৪০ জন থাকলেও টিকিট ছাড়া অনেকে ছিলেন। তবে ঠিক কতজন ছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বোটটির নিরাপত্তা ছাড়পত্রও ছিল না বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

মালাপ্পুরম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল নজর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত যাত্রীর ভারেই বোটটি ডুবে গেছে। উদ্ধার করার পর ১০ জনের মতো যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আরো অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কেরালার মৎস ও বন্দর উন্নয়নমন্ত্রী ভি. আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বোটটি ঘোলা পানিতে আটকা পড়ে। এর ভেতরে যারা আটকা পড়ে আছেন তাদের উদ্ধার করতে বোটটিকে টেনে আনা হয়। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত চারজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেরালার রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (কেএসডিএমএ) মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে কাজ করে। তারা পানির নিচে ক্যামেরা ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালান।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় যাত্রীদের অনেকেই লাইফ জ্যাকেট পরা ছিলেন না।

এ ঘটনায় ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


আরও খবর



২ দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, রান্নার চুলা, শিল্পকারখানায় সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আর আগামী দুই দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দুই দিন ধরে চুলা জ্বালাতে সমস্যায় পড়ছেন ভোক্তারা। গ্যাসসংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তাই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের একটি বড় অঞ্চলে লোডশেডিং চলছে। শনিবার রাজধানীতে একেক এলাকায় গড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয়েছে। রবিবারও লোডশেডিং ছিল ঢাকায়।

নসরুল হামিদ বলেন, দুটি ভাসমান টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেটি থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। আর যেটি কাছাকাছি আছে, তা থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো হবে।

বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রভাবটা থাকবে, তবে খুব বেশি নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যে তৈরি হয়েছিল, এই সমস্যাটা আর থাকবে না। আগামী দুই দিনের মধ্যেই লোডশেডিং পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।

 গত শুক্রবারও এখান থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় শুক্রবার রাত ১১টায় দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় গড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। এতে সব সময়ই সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে আসে ২১৫ থেকে ২২০ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধ হওয়ায় গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি বেড়ে গেছে।


আরও খবর



শ্রীনগরের পুরাতন লঞ্চ ঘাটটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

ময়লা আবর্জনার ডাষ্টবিন হয়ে আছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শ্রীনগরের পুরাতন লঞ্চ ঘাটটি। দীর্ঘ দিনের বাজারের ময়লা স্হান্তর না করার কারনে লঞ্চ ঘাটসহ আশেপাশে ময়লার স্তর দুই -তিন ফুট জমে আছে। এতে একদিকে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে এসব ময়লা আবর্জনায় তৈরি হচ্ছে এডিস মশা, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এই ময়লার দুর্গন্ধের কারনে খালপাড়ের দোকানদারদের প্রতিনিয়ত নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। ১৯ মে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে জানা যায় যে, স্হানীয় লোকজন জানায় যে, আমরা ছোট বেলা থেকে দেখছি এখান দিয়ে লঞ্চ ঘাট ছিল। এই লঞ্চ ঘাট দিয়ে আমরা ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্হানে যাতায়াত করতাম। এই খালটি খনন না করার কারনে লঞ্চ ঘাট টি অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। স্হানীয় লোকজন আরও জানায় যে, এই লঞ্চ ঘাটটির অর্ধেকের বেশি বেদখলে চলে গেছে। স্হানীয় কর্তৃপক্ষ যদি এই লঞ্চ ঘাট টি ব্যাপারে সুদৃষ্টি দেয় তাহলে আমরা বাজারের দোকানদাররা সস্তি ফিরে পাব। এই লঞ্চ ঘাটটিতে লাকরী দিয়ে ঘাটে আসা যাওয়ার রাস্তাও আটকিয়ে রাখা হয়েছে।


আরও খবর