Logo
শিরোনাম

হজ্জযাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার দাবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :হজ্জযাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা না হলে ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করবে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ 

বিমান ভাড়া হ্রাস এবং  হজ্জ প্যাকেজ থেকে  সকল প্রকার ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে ভর্তুকি দিয়ে হলেও পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে মিল রেখে

২০ মার্চ সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করার দাবি জানিয়ে আজ ১৭ মার্চ, শুক্রবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।  

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন,২০ মার্চের মধ্যে যদি এ বিষয়ে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত নেয়া না হয় তবে আগামী ২২ মার্চ, বুধবার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরের স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।  

তিনি বলেন, মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি, হজ্জ পালনে অস্বাভাবিক ও অতিরঞ্জিত খরচ নির্ধারণ করে অমানবিক প্যাকেজ ঘোষণা এবং কুরবানীর সময়ে কুরবানির পশুর চামড়ার মূল্য কমিয়ে সরকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ধর্মকর্ম পালনে কৌশলে নিরুৎসাহিত করছে। 

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের উদাসিনতা, অবহেলা এবং দুর্নীতিবাজ ও মুনাফাখোরদের নিয়ন্ত্রণহীন আধিপত্যে মুসলিম প্রধান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ধর্ম কর্ম পালন করা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হয়ে পড়ছে। 

তিনি বলেন, মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা সরকারের প্রধান কর্তব্য থাকলেও তারা সে কর্তব্য পালনে বছরের পর বছর ব্যার্থ হয়ে মিডিয়ার সামনে আওয়াজ দিয়ে যাচ্ছে।  বাস্তবে তাদের কোন কর্মতৎপরতা আছে বলে মনে হয় না। 

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, হজ্জের খরচ কমিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করা সরকারের দায়িত্ব হলেও তা না করে সিন্ডিকেটের সদস্যদের লাভবান করতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ হজ্জ যাত্রীদের কষ্টের জমানো অর্থ দিয়ে বিমানের লোকসান কাটিয়ে লাভবান করতে প্রায় ১ লাখ টাকা বিমান ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।  যে ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি দেবার কথা সেক্ষেত্রে ভ্যাট ট্যাক্স আরোপ করে অমানবিক হজ্জ প্যাকেজ ঘোষণার মাধ্যমে সরকার মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানছে। কুরবানির সময়ে কুরবানির পশুর চামরার মূল্য কমিয়ে দিয়ে গরীবের হক নষ্ট করে অমানবিক কাজ করে যাচ্ছে।  

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মুফতী মুহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাদুজ্জামান মোল্লা, মোঃ আবু শোয়াইব খান,মোঃ আবদুল কুদ্দুস, মোঃ আবদুর রাজ্জাক, মুফতি মুজিবুর রহমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস ও মুফতী ইসহাক মোহাম্মদ আল আমিন।


আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

চলতি মাসে দেশে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া কয়েকদিন বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। এক মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান জানান, মার্চে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা/মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কোথাও কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।


আরও খবর



সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়াদ্বীপের ভবিষ্যৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, যাকে ঘিরে রয়েছে অপার পর্যটন সম্ভাবনা। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ অবসর যাপনের জন্য ভিড় করে দেশের সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত এই নীল জলের দ্বীপে। সারি সারি নারিকেলগাছ আর কেয়াবনের সৌন্দর্য সেন্ট মার্টিনের গ্রহণযোগ্যতা আরও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপটি ঠিক কত আগে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছিল তার সঠিক দিন-তারিখ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরুতে এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামে ডাকা হতো। যা পরবর্তীতে নারিকেল জিঞ্জিরা, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, দারুচিনি দ্বীপ ইত্যাদি নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেন্ট মার্টিন নামকরণের দুই রকম ইতিহাস থাকলেও ধারণা করা হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মার্টিনের নামানুসারেই এর নাম সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়। ভৌগোলিকভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।

যার উত্তর অংশের ভাগকে বলা হয় উত্তর পাড়া বা নারিকেল জিঞ্জিরা। দক্ষিণ অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত লেজের মতো অংশটিকে ডাকা হয় গলাচিপা নামে। এই দ্বীপের দক্ষিণে ছোট আরেকটি দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেঁড়াদিয়া বা ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। জনশূন্য এই দ্বীপে ভাটার সময় হেটে যাওয়া গেলেও জোয়ারের সময় প্রয়োজন হয় নৌকা। তবে পর্যটকরা বেশিরভাগই ট্রলার, স্পিডবোট ইত্যাদিতে করে ছেঁড়াদ্বীপে যান। অনেকে আবার বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলও ব্যবহার করেন, যা এই দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় পাওয়া যায়। এত সুন্দর ভৌগোলিক পরিবেশে অবস্থিত এই দ্বীপের বর্তমানে বড়ই বেহাল দশা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ফলে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে প্রবালের পরিমাণ। কমছে গাছপালা আচ্ছাদিত অঞ্চলের পরিমাণ, নষ্ট করা হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ীঠা কেয়াবন। যেখানে ১৯৯৬-৯৭ সালে সেন্ট মার্টিনে বার্ষিক পর্যটকের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫০-২০০ জন সেখানে এখন প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করছেন এই দ্বীপে। একদিকে যেমন পর্যটন সম্ভাবনা বিকশিত হয়েছে অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়।

যে প্রবালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্বচ্ছ জলধারার এই দ্বীপ সেটিই এখন প্রবালশূন্য হওয়ার পথে। গত চার দশকে এই দ্বীপে প্রবালের পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। অথচ শুধু এই প্রবালের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এই দ্বীপ। প্রবাল কমে যাওয়ায় এই দ্বীপের আয়তনও কমা শুরু হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫-৫০ সালের মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ প্রবালশূন্য হয়ে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে। প্রবালকে আমরা সাধারণভাবে পাথর মনে করলেও এটি এক ধরনের অমেরুদন্ডী প্রাণী। এর বাইরের আবরণ শক্ত হওয়ায় আমরা একে পাথর ভেবে ভুল করে থাকি।

 সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা যায়, সেন্ট মার্টিনে হোটেল-মোটেল ও আবাসিক স্থাপনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামলাতে এই স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে এবং নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। প্রবাল পাথরগুলোকে ভেঙে হোটেল নির্মাতাদের কাছে বিক্রি করছেন স্থানীয় মানুষজন। যা সেন্ট মার্টিনের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। অল্প কিছু টাকার জন্য তারা নিজেদের আবাসস্থলকে ফেলছে অসম্ভব বড় ঝুঁকিতে। এই মানুষ হয়তো অজ্ঞতার ফলে বুঝতে পারছে না এই প্রবালের সঙ্গেই নির্ভর করছে তাদের টিকে থাকা, এই দ্বীপের টিকে থাকা।

ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই গবেষণা করছেন সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কিন্তু সবার গবেষণালব্ধ ফলাফলই আমাদের এই দ্বীপ সম্পর্কে অশনিসংকেত দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু সংগঠন ও পরিবেশবাদী লোকজন এই বিষয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা বা প্রতিবাদ করলেও হচ্ছে না কোনো প্রতিকার। তাদের ধারণা, কিছু প্রভাবশালী মহল সেন্ট মার্টিনে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতে গিয়ে চালাচ্ছেন এক ধ্বংসলীলা। সরেজমিনে গিয়েও আপনি একই চিত্র দেখতে পাবেন। যেখানে ২০১২ সালে সেন্ট মার্টিনে মাত্র ১৭-১৮টি হোটেল-রিসোর্ট ছিল এখন সেখানে হোটেল-রিসোর্টের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এসব হোটেল-রিসোর্টের সিংহভাগেরই মালিক বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। টাকার খেলায় যারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই কুচক্রী মহলের মানুষরূপী পরিবেশখেকোর দল।

সেন্ট মার্টিনে একসময় দেখা যেত বিরল প্রজাতির সব কাছিমসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের। অথচ এসব প্রাণী এখন চোখেই পড়ে না। সরকারিভাবে এসব প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে পরিবেশবিদদের ধারণা। কয়েক প্রজাতির কাছিমের অভয়ারণ্য ও প্রজননস্থান হিসেবে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বিচকে আলাদা করা হলেও এই বিচেও কমেছে কাছিমের আনাগোনা। স্বাভাবিক সময়ে এখন আর এখানে কাছিম দেখতে পাওয়া যায় না। তবে করোনাকালীন লকডাউনের সময় সেন্ট মার্টিন পর্যটকশূন্য থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে মা কাছিম এই সমুদ্রতটে এসে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে। এতে সহজেই অনুমান করতে পারি আমরা পর্যটকরা এই সামুদ্রিক প্রাণীদের স্বাভাবিক প্রজননের ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করছি।

সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ বিপর্যয় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত পর্যটক, পাথর তুলে ফেলা, প্রবাল উত্তোলন, আবাসিক হোটেলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটকদের ব্যবহৃত সামগ্রী সমুদ্রের পানিতে ফেলা ইত্যাদি বিশেষভাবে দায়ী। গবেষকদের মতে, সেন্ট মার্টিনে নতুন জন্ম নেওয়া প্রবালগুলো জেলেদের জালের টানে নষ্ট হওযার সম্ভাবনা থাকে কারণ জেলেরা দ্বীপের তীর উপকূলবর্তী এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরেন। যেখানে জন্মায় সবচেয়ে বেশি প্রবাল। ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক জলের রাসায়নিক পরিবর্তন যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ। সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ভারসাম্য রক্ষায় 'প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন' এলাকা ঘোষণা করে ভ্রমণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধগুলো আরোপিত হয়েছে। নিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বীপের সৈকতে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন না চালানো।

সৈকত বা সমুদ্রে পস্নাস্টিক বা অন্য কোনো ধরনের বর্জ্য না ফেলা। দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ না করা। জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা না করা। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা না করা। সৈকতে মাইক না বাজানো, হইচই এবং উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা না করা। স্পিডবোট, ট্রলার কিংবা অন্যান্য উপায়ে ছেঁড়াদ্বীপে না যাওয়া। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কাছিম, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় না করা। সর্বোপরি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। সেন্ট মার্টিনের পরিবেশগত বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পস্নাস্টিক। সম্প্রতি এই দ্বীপের মাত্র দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ১২০ কেজি পস্নাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সংগৃহীত পস্নাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই ছিল একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ, পেস্নট, চিপসের খালি প্যাকেট প্রভৃতি। আমরা জেনে কিংবা অজান্তেই এসব পস্নাস্টিক এই দ্বীপে ফেলে আসি যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেহেতু খাবার এবং পানির জন্য প্যাকেটজাত ও বোতলজাত পণ্যের উপর নির্ভর করতে হয় তাই নূ্যনতম সচেতন না হলে এই মারাত্মক দূষণ ঠেকানো কঠিনসাধ্য হবে। এছাড়া সেন্ট মার্টিনকে পর্যটনবান্ধব করতে এবং এর পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যত্রতত্র হোটেল তৈরি না করে নিয়ন্ত্রিত ও মানসম্পন্ন স্বল্পসংখ্যক হোটেল তৈরি করা যেতে পারে।

আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি দ্বীপটিকে পর্যটকদের নিকট নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে যাতে সেই সুন্দর স্থানটিকে কেউ নষ্ট করতে উদ্যত না হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন, কোস্ট-গার্ড, নৌ-বাহিনীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যটক হিসেবে আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে। তবেই প্রিয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে আমরা সবাই মিলে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারব।

 


আরও খবর



কুমিল্লার দেবিদ্বারে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত’র অভিযোগ এনে তাকে ‘অবরুদ্ধ’ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

বুধবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেবিদ্বার

উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এসময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষক ও তাঁর জামাতার

ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।এছাড়াও উত্তেজিত জনতা একটি সিএনজি ও বিদ্যালয়ের

শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা,

ওসি কমল কৃষ্ণ ধরসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনি উপস্থিত

হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। রাত ৮টার দিকে

বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি

ছোঁড়ে এতে ২জন গুরুতর আহত হয় আহতদের উদ্ধার করে

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক-শুভানুধ্যায়ী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ ইসলামী ব্যাংকের ধানুয়া কামালপুর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার গ্রাহক,শুভানুধ্যায়ী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে ধানুয়া কামালপুর ডাকবাংলো সভা কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। মেসার্স তানহা এন্টার প্রাইজের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। ইসলামী ব্যাংক বকশীগঞ্জ শাখা প্রধান ও ব্যাংক ম্যানেজার এসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ফুয়াদের সভাপতিত্বে ও ইসলামী ব্যাংকিং ধানুয়া কামালপুর শাখার এজেন্ট ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজন মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধানুয়া কামালপুর কো অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন,সহকারী প্রধান শিক্ষক মেজবাহ উল হক তুহিন । এছাড়া ব্যবসায়ী সিএন্ডএফ আবদুল করিম,ব্যবসায়ী রাব্বানী,মোশারফ হোসেন ও মিশু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় কামালপুর স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সার্বিক সুবিধা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন ফুয়াদ।


আরও খবর

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩

রমজানে জাল নোট নিয়ে সতর্কতা

শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় মায়ের সাথে বাড়ী ফেরার পথে চার্জার ভ্যানের চাপায় শিশু নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে চার্জার ভ্যানের চাপায় শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী নিহত।

মর্মান্তিক এ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীগঞ্জ-আত্রাই  রাস্তার জাতআমরুল নামক স্থানে।

নিহত ফাতেমা খাতুন (৬) আত্রাই উপজেলার জাতআমরুল উত্তরপাড়া গ্রামের উজ্জল হোসেন এর মেয়ে ও আহসানগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিশু শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশু শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুনের মায়ের কোলে এক শিশু ছিল এবং ফাতেমা তার মায়ের হাত ধরে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। 

পথে আত্রাই-ভবানীগঞ্জ রাস্তার জামআমরুল নামক স্থানে পৌছলে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা টিন বহণকারী একটি চার্জার ভ্যান শিশুকে চাপা দেয়।

সাথে সাথে স্থানিয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনার পরই চার্জার ভ্যান রেখে চালক পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন ভ্যানটি ইউনিয়ন পরিষদ হেফাজতে দিয়েছেন।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রোকসানা হ্যাপি বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, শিশুর মৃতদেহ হাসপাতালে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে 


আরও খবর